পিঠের যত্নে অয়েল থেরাপি

পিঠের যত্নে অয়েল থেরাপি দুর্বা ডেস্ক :: পিঠের সমস্যার অন্ত নেই কারো কারো। র্যা শের সমস্যা তো, কারো কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যাওয়ার সমস্যা। কারো পিঠের ত্বক শুষ্ক, কারো বা সাদা সাদা ছিট ছিট দাগ। সমস্যা তো অনেক, কিন্তু এর মূলে হলো- মুখ, হাত ও পায়ের যত্ন আমরা যতটা নিই, পিঠের যত্ন ততটা নেয়া সম্ভব হয় না।

আজকাল বিউটি পার্লারে এ ধরনের সেবা কিন্তু আপনি অনায়াসেই নিতে পারেন। সমস্যা ঠিক করতে হলে ট্রিটমেন্টও আপনাকে সেরকমই নিতে হবে।

কিছু যত্ন আপনি নিজেও করতে পারেন। পিঠে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে গেলে আলমন্ড অয়েল ১ চা চামচ, সিসিমি অয়েল ১ চা চামচ একসাথে মিশিয়ে নিন। পিঠ ভালোভাবে ভেজা টাওয়াল দিয়ে মুছে এই তেলের মিশ্রণ দিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন।

ম্যাসাজের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। এখন তো শেখারও অনেক মাধ্যম আছে। একটু কষ্ট করে পিঠের ম্যাসাজ শিখে নিন অথবা প্রফেশনাল হেল্প তো নিতেই পারেন। এবার ভালো করে একটু চেপে চেপে ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট। এই ১০ মিনিটে পিঠের ত্বক নরম হয়ে আসবে, এরপর হাতে কেস্টর সুগার অথবা সাধারণ চিনি নিয়ে সার্কুলার মুভমেন্টে ম্যাসাজ করুন।

৩ থেকে ৪ মিনিট পরিষ্কার পানি দিয়ে মুছে ফেলুন। ১ চা চামচ চন্দন, ১ চা চামচ মুতাণী, ১ চা চামচ কর্নফ্লাওয়ার ও কয়েক ফোঁটা আলমন্ড অয়েল নিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন।

গোলানোর সময় ভিনেগার ও গোলাপ জল সমপরিমাণ নিয়ে প্যাক গুলিয়ে নিন। এবার এই মাস্ক পিঠে লাগিয়ে ২০ মিনিট রিলাক্স করুন। প্যাক শুকিয়ে গেলে হাত ভিজিয়ে ঘষে ঘষে এই প্যাক ওঠান। ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। ভালো কোনো ময়েশ্চরাজইার লাগিয়ে নিন। এভাবে যত্ন নিলে আপনার পিঠের দাগ ছোপ কমে আসবে।

পিঠে র্যারশ ও ব্রনের সমস্যা ব্রনের সমস্যা নানা ধরনের হয়। সমাধান ভিন্ন ভিন্ন হলেও বেসিক সমস্যা হলো অস্বস্তি। কারও ব্রনে ছোট ছোট দানা দানা র্যা শ হয়, কারো আবার ফোঁড়ার মতো হয়। অনেকের মুখ থেকে পিঠে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। মুখে হলে তো আপনি অনেক পরিচর্যা করে নিজেই অনেকটা ঠিক করে নিতে পারেন। কিন্তু যখন পিঠে এ সমস্যা দেখা দেয় তখন সারতে অনেক সময় লাগে।

এ সমস্যাও কিন্তু অয়েল থেরাপিতে ঠিক করতে পারেন। অয়েল থেরাপিতে ব্রন ঠিক হওয়ার কথা শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যে কোনো অয়েল হলেই হবে না, এক্ষেত্রে জোজতা অয়েলের সাথে ট্রি ট্রি অয়েল এবং ল্যাভেন্ডার অয়েল নির্দিষ্ট পরিমাণে মিক্স করে এই ট্রিটমেন্ট করা হয়। একমাত্র প্রফেশনাল এ্যারোমা থেরাপিস্টই এই ট্রিটমেন্ট আপনাকে সঠিকভাবে দিতে পারেন। কিন্তু আজকাল এ ধরনের এ্যারোমা থেরাপি অয়েল রেডি কিনতে পাওয়া যায়। তা দিয়ে আপনি নিজেই নিজের ট্রিটমেন্ট করতে পারেন। এই অয়েল শুধু লগিয়ে রাখলেই হবে না। সঠিক উপায়ে ম্যাসাজ করতে হবে এবং ম্যাসাজ করে ১০ মিনিটের মধ্যে অয়েল তুলে ফেলতে হবে।

ভেজা টাওয়াল দিয়ে এরপর নিম পাউডার ১ চা চামচের সাথে ১ চা চামচ গোলাপ জল ও এক চা চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে কয়েক ফোটা জোজভা অয়েলের মিশ্রণ দিয়ে পেস্ট বানিয়ে পুরো পিঠে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর ভালোভাবে পরিষ্কার করে সমপরিমাণ ভিনেগার ও সমপরিমাণ পানি মিলিয়ে পুরো পিঠে লাগিয়ে দিন। চাইলে আধঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। না ধুলেও কোনো অসুবিধা নেই। এভাবে সপ্তাহে ২ দিন পিঠের যত্ন নিন, আপনার পিঠে কোনোরকম ব্রন-র্যা শ থাকবে না। যদি খুব কষ্ট মনে হয় এই কাজগুলো করতে তবে যেকোনো ভালোমানের পার্লারে যেখানে এ ধরনের ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়, তাদের উপর ছেড়ে দিন। ব্রন, কালো ছোপ ছোপ হয়ে যাওয়া অথবা অতিরিক্ত শুষ্কতা- সবই ঠিক হয়ে যাবে।

বাড়তি যত্ন: প্রতিদিন গোসলের সময় ভালোভাবে পিঠ পরিষ্কার করুন।
– সবসময় সাবান ব্যবহার করে পরিষ্কার করবেন না। ত্বকের অম্ল ও খারের ব্যালেন্স ব্যাহত হতে পারে।
– সারাদিন যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করুন, অতিরিক্ত টক্সিন ও বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যাবে, ত্বক পরিস্কার রাখতে সাহায্য করবে।
– পিগমেন্টটেশন থাকলে সান্সক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। কিন্তু যদি দিনে একবার সিসিমি অয়েল ম্যাসাজ করে নেন ভালোভাবে, এরপর গোসাল করে নেন, তাহলে সান্সক্রিন ব্যবহার করতে হবে না। সিসিমি অয়েল ন্যাচারাল সান্সক্রিনের কাজ করবে। আপনার কালো ছোপ ও শুষ্কতা সবই ঠিক হয়ে যাবে নিয়মিত সিসমি অয়েলের ম্যাসাজে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।

এগুলো দেখুন

কষা পায়খানা দূর করার ঘরোয়া চিকিৎসা ! কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

কষা পায়খানা দূর করার ঘরোয়া চিকিৎসা ! কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

ইদানিং দেখা যাচ্ছে ছোট থেকে বড় সকলের কোষ্ঠকাঠিন্য বা কষা পায়খানা নিয়ে চিন্তায় আছেন বা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *