জেনে নিন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী যে দেশের শিশুরা । আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। বিশ্বের প্রতিটি বাবা-মা তার সন্তানদেরকে সুখে ও আনন্দে রাখতে চায়। তাদের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্যম করেন। নিজেরা না খেয়ে সন্তানের মুখে অন্ন তুলে দেন বাবা-মায়েরা। তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন, সুখে রাখার চেষ্টা করার পরও আদৌ আপনার সন্তান সুখী কি না?
- আরো পড়ুন: সুন্দরবনে গিয়ে যা যা দেখবেন
- আরো পড়ুন: কুমিল্লায় ক্যাম্পিং করবেন যেখানে
- আরো পড়ুন: টাঙ্গাইল ভ্রমণে যা যা দেখলাম
পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী যে দেশের শিশুরা
২০২০ সালের ইউনিসেফের একটি রিপোর্ট থেকে প্রকাশ্যে এসেছে, নেদারল্যান্ডসের শিশুরা পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী শিশুদের তালিকায় পড়ে। ৪১ টি ধনী দেশের মধ্য থেকে অ্যাকাডেমিক ও সোশ্যাল স্কিলের ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়।
এই অধ্যায়নে নেদারল্যান্ড প্রথম স্থান অধিকার করে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ডেনমার্ক ও নরওয়ে। ৪১ টি দেশের তালিকায় সবচেয়ে শেষ স্থানে রয়েছে চিলি, বুলগেরিয়া ও আমেরিকা। নেদারল্যান্ড আর্থিক দিক দিয়ে শক্তিশালী। তবে অর্থ দিয়েই যে সব হয়, তা মনে করার কোনও কারণ নেই। এই তালিকায় শেষের স্থান দখল করে থাকা আমেরিকা তা প্রমাণ করেছে।
নেদারল্যান্ডের শিশুরা কীভাবে সবচেয়ে সুখী? তা বিভিন্ন বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করা গিয়েছে যে, নেদারল্যান্ডসের বাচ্চারা বিশ্বের সবচেয়ে সুখী নাগরিক। বিশেষজ্ঞরা এর বিভিন্ন কারণ সম্পর্কেও জানিয়েছেন।
তারা শিশুদের নিজের ভবিষ্যৎ বেছে নেয়ার স্বাধীনতা দেয়। যা স্বাভাবিকভাবেই শিশুদেরকে আনন্দে রাখে। তবে মা-বাবা যে তাদেরকে কোনও পরামর্শ দেন না, তা কিন্তু নয়। বরং তারা প্রতিটি বিষয় সন্তানের সঙ্গে উন্মুক্ত মনে কথা বলেন। কী করা উচিত বা উচিত নয় সে বিষয় আলোচনা করেন।
নেদারল্যান্ডের সব স্কুলেই প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে স্কিল লার্নিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। শিশুরা পরীক্ষায় কত নম্বর পাচ্ছে, তা দিয়েই শুধু তাদের মূল্যায়ন করা উচিত নয়। তৃতীয় স্থান অধিকার করে থাকা নরওয়ের স্কুলে একাত্মতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়। তাই নিজের সঙ্গে অন্যের উন্নতিতেও সচেষ্ট থাকে প্রত্যেক শিশুরাই।
ডাচ অভিভাবকরা নিজের সন্তানের উপরোক্ত নানা বিষয় আলোচনা তো করেনই বরং সেসব বিষয়ে খোলামেলা কথাও বলেন। যা অনেক অভিভাবকরাই সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করেন না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে দুরত্ব তৈরি হয়।
বন্ধু না ভেবে অভিভাবককে ভয় করে অনেক কথায় লুকিয়ে রাখে শিশুরা। যা ভবিষ্যতে বিপদের কারণ হতে পারে। তাই শিশুর সাথে বন্ধুর মতো সম্পর্ক সম্পর্ক গড়ে তুলুন। নিজের ইচ্ছে শিশুর উপর চাপিয়ে না দিয়ে বরং তাকে স্বাধীনতা দিন।
- আরো পড়ুন: কাপ্তাই লেক ভ্রমণে যা যা দেখবেন
- আরো পড়ুন: খুব সহজেই নাগরিকত্ব পাবেন ৮ দেশে!
- আরো পড়ুন: বদলে যাচ্ছে খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটনকেন্দ্র
পশ্চিম ইউরোপের বেলজিয়াম ও জার্মানির মাঝে ছোট একটি দেশ নেদারল্যান্ড। দেশটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এতটাই নিচে যে, এর ৫০ শতাংশ তার চাইতে বেশি জায়গা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১ মিটার উপরে। এর রাজধানী অ্যামস্টারড্যামও সমুদ্রপৃষ্ঠের ২ মিটার নিচে অবস্থিত।
অক্সফামের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের ১২৫ টি দেশের মধ্যে পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও খাবারের সাশ্রয়ী মূল্যের দিক থেকে নেদারল্যান্ড সবসময়ই সবার চেয়ে এগিয়ে থাকে। আর তাই দেশটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যবান দেশ হিসেবেও পরিচিত।
১৯৮০ সালের প্রথমদিকে দেশটির শহরের ৪ হাজার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গাড়ি চালানোর পরিবর্তে সাইকেল চালানো শুরু করা হোক। ডাচ শহর হিউটন পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত শহর হিসেবেও পরিচিত। সাইকেল চালানোর কারণেই হয়তো তারা স্বাস্থ্যবান।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।