পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষাঃ IELTS কি! কোথায় পরীক্ষা দিবেন

পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষাঃ IELTS কি! কোথায় পরীক্ষা দিবেন এবিষয় আজকের বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এখানে। এছাড়া পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষাঃ IELTS কি! কোথায় পরীক্ষা দিবেন এবং বাংলাদেশের কোথায় কোন মাধ্যমে দিবেন পরীক্ষা দিতে ফি কত বিস্তারিত আলোচনা করা হবে শিক্ষা ডেস্ক থেকে উচ্চ শিক্ষায় পাড়ি জমাতে আমাদের সামনে আসে অনেক উদাহণ ও বিশ্বে অনেক দেশেই যাবার সুযোগ।

আমদের অধিকাংশের চিন্তা ঘোরে আমেরিকা কিংবা আরও বেশ কিছু নামী-দামি কয়েকটি দেশ ঘিরে। পৃথিবী বেশ কিছু দেশের মধ্যে পোল্যান্ডেও যেতে হলে প্রথমে আপনার IELTS করতে হবে। IELTS এ পাশ করলেই আপনি পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

ইউরোপের মধ্যে অবস্থিত পোল্যান্ডের মত একটি সুন্দর দেশের বর্ণনা নিয়ে এবং সে পোল্যান্ডে  যেতে হলে IELTS এ কত নম্বর পেতে হবে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। পাশাপাশী আজ তুলে ধরবো পোল্যান্ডের পরিচিতি সম্পর্কের কথা। পোল্যান্ড ইউরোপের অন্যান্য দেশের মধ্যে একটি সুন্দরতম দেশ।

পোল্যান্ড পরিচিতি

ইউরোপের দেশ পোল্যান্ড। পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ার্শ, দেশটির ভাষা পোলিস আর মুদ্রা পোলিশ জোল্টি। পোল্যান্ডের আয়াতন ইউরোপের ৩, ১২, ৬৯৬ বর্গ কিলোমিটার। এই দেশটিতে বসবাস করছেন প্রায় ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ লোক। অর্থনৈতিক দিক থেকে এই দেশের জিডিপি হল ৬০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এর বেশি। পোল্যান্ডের তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালে ২৫ থেকে ৩৫ ডিগ্রী  থাকে আর শীতে শূন্য ডিগ্রীর নীচে নেমে যায়।

পোল্যান্ড‘র কোর্স বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়। অথাত, আপনি পোল্যান্ডের কোন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবেন বা পড়াশুনা করবেন। সেটা আপনাকেই আগে যাচা-বাচাই করে নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা এখান থেকে দেখে নিতে পারেন। আপনার পছন্দ মতে।



দেশটির বর্তমান পোল্যান্ড সরকার International Student-দের জন্য খুলে দিয়েছে উচ্চশিক্ষা সহ নিজেকে বিকশিত করার এক অপার সুযোগ।  এই দেশে রয়েছে শত বছর পুরনো বিশ্বমানের ১০০টিরও বেশি  বিশ্ববিদ্যালয়- আর এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বিভিন্ন ফিল্ডে পড়াশুনা করার বহু কোর্স। উন্নত দেশের বেশীব ভাগ দেশে যেতে হলে মধ্যে IELTS এ   অংশ নিতে হবে। যেমনটা পোল্যান্ডে যেতে হলেও আপনাকে IELTS এ ৬.৫ (Reading and Writing এ ন্যূনতম ৬.০) পেতে হবে।

অবশ্যই এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোলিশ সহ ইংরেজী মিডিয়ামের কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। এই দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং,অর্থনীতি,মিউজিক, এগ্রিকালচার, ফরেস্ট্রি, থিওলোজী, ব্যবসায় শিক্ষা, আর্ট ও এডুকেশন, আরকিওলোজী, ফিল্ম ইত্যাদিসহ একাধিক সহ নানা বিষয় পোল্যান্ডের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

পোল্যান্ডে নার্সিং কোর্সের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং নার্সিং পড়াশুনা খুবই জনপ্রিয় আর বর্তমানে চাকুরীর বাজারে নাসিং এ  সুযোগ বেশী থাকায় বহু ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এখন এই দেশে নার্সিং নিয়ে পড়াশুনা করে থাকেন।

IELTS এর প্রস্তুতি কিভাবে নিলে ভালো হয়

সত্যি করে ভেবে বলুন তো, ইংরেজিতে আপনার দক্ষতা কেমন । ইংরেজিতে লেখা যেকোন কিছু কি আপনি সহজে বুঝতে পারেন? আপনি একটানা কতক্ষণ ইংরেজি ভাষায় কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারেন? আর ইংরেজিতে লেখার অবস্থা? দেশে কিংবা বিদেশে যেখানেই হোক, ইংরেজি শুনে সাথে সাথে বোঝার ক্ষমতাও আপনার থাকতে হবে । তাই আপনি যেখানেই থাকুন আর যে কাজ ই করে থাকুন, ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে নুণ্যতম জ্ঞান রাখতে হবে । এক কথায়, আপনার পৃথিবী অচল ইংরেজি ছাড়া ।

ইংরেজি ভাষা নিয়ে সমস্ত দুর্বলতা কাঁটিয়ে উঠার একমাত্র পথ হতে পারে IELTS । IELTS একটি সার্টিফিকেট কোর্স যা আপনার ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার মাপকাঠি স্বরূপ । এই সর্বজনস্বীকৃত আন্তর্জাতিক সনদটি পেতে ইংরেজি নিয়ে যথেষ্ট ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে আপনার । এই পরীক্ষায় একাধারে ইংরেজি কথা বলা, শুনা, লেখা এবং পড়তে পারার ক্ষমতা নির্ণয় করা হয়। তাই আপনার মনে যদি ইংরেজি ভাষা নিয়ে একটুও দুর্বলতা কাজ করে, এখন ই এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে থাকুন । এই প্রস্তুতি একদিক দিয়ে আপনার ইংরেজিতে স্বক্ষমতা বাড়াবে, আত্নবিশ্বাস তৈরি করবে, অন্যদিকে IELTS পরীক্ষায় ভালো একটা স্কোর এনে দিবে ।

ইংরেজি ভাষায় নৈপূন্যতা আজকের দিনে স্মার্টনেস এর লক্ষণ । আপনি যদি নিজের ব্যাপারে একটুও যত্নশীল হয়ে থাকেন, তাহলে এতক্ষণে নিশ্চয়ই IELTS এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন । এছাড়াও উন্নত দেশে পড়াশুনা বা ক্যারিয়ার গড়তে যেতে চাইলে একটি ভালো IELTS স্কোর খুব কাজে দেয় ।

ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাই এর জন্য IELTS আন্তর্জাতিক মানের একটি পরীক্ষা । সেজন্য এর প্রস্তুতি একটু ভালোভাবে নিতে হয় । আমার নিজস্ব কিছু অভিজ্ঞতা থেকে IELTS এর এই প্রস্তুতিমূলক নোটটি লেখা । আশাকরি আপনারা উপকৃত হবেন ।

কোথায় কোচিং করতে হবে?

IELTS এর জন্য কোচিং করলে ভালো । এতে করে অনেকের সাথে ক্লাস করতে পারবেন এবং অনেক কিছু জনতেও পারবেন । তবে সমস্যা একটাই । বেশিরভাগ জায়গায় DU, IBA বা English Medium এর ছাত্রছাত্রীরাই টিচার হিসেবে ইংরেজি শেখায় । সেখানে তাদের ইংরেজি উচ্চারণ শুনে আপনার ভালো লাগতে পারে, কিন্তু আপনার ইংরেজি ভাষার ভিত্তি মজবুত হবে কিনা তার কোন গ্যারান্টি আমি দিতে পারছি না । তাছাড়া ওখানে ইংরেজির বেসিক নিয়ে কাজ করা থেকেও বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় মডেল টেস্ট এর উপর । তাই আমার মনে হয় না ইংরেজিতে দুর্বল থাকলে এই কোচিং করে কোন লাভ আছে । সেহেতু নিজে নিজে প্রস্তুতি নেয়াই ভালো । আপনি নিচের পয়েন্ট গুলো ফলো করতে পারেন ।

প্রথমেই আপনি ৯ম–১০ম শ্রেণীর ইংরেজি ২য় পত্রের বই সংগ্রহ করুন । সেখানে যা কিছু থাকবে সব ভালোভাবে রপ্ত করুন । একটি অনুশীলনীও বাদ দিবেন না । আপনি যদি গ্রামারে খারাপ হয়ে থাকেন, আশা করি একটু হলেও সেটা ঠিক হয়ে যাবে। তবে প্রথমেই HSC লেভেল এর কোন গ্রামার বই না ধরাই ভালো, কারন সেগুলো অনেক উচুমানের ।

লিসেনিং (Listening)

কথোপকথন শুনে বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হয় এ অংশে। চারটি বিভাগে মোট ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। আপনাকে একটা প্যাসেজ ইংরেজিতে বাজিয়ে শোনানো হবে, আর সামনে থাকবে প্রশ্নপত্র, ঐ শোনার ভিত্তিতে আপনাকে উত্তর করতে হবে, কী বোঝানো হয়েছে ঐ অডিও টেপে। মোটামুটি ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। শেষ ১০ মিনিটে উত্তরপত্রে উত্তর লিখতে হয়। একটি বিষয় কেবল একবারই বাজিয়ে শোনানো হয়। কোনো অংশ শুনে না বুঝতে পারলে সেটা নিয়ে আর মাথা না ঘামানোই ভালো। কারণ, এতে পরবর্তী প্রশ্নগুলোর উত্তর বুঝতে না পারার ঝুঁকি থাকে। সঠিক উত্তর বেছে নেওয়া, সংক্ষিপ্ত উত্তর, বাক্য পূরণ ইত্যাদি নানা ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে।

রিডিং (Reading)

অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতে IELTS এর সবগুলো পার্টের মধ্যে এটি কঠিন মনে হয়। এখানে তিনটি বিভাগে ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। সময় এক ঘণ্টা। Reading-এ টেস্ট করা হয় একটা প্যাসেজ পড়ে বোঝার ক্ষমতা। আপনাকে বিশাল বিশাল তিন-চারটা প্যারাগ্রাফ দেয়া হবে, তার থেকে আপনাকে অত্যন্ত সিম্পল সিম্পল উত্তর দিতে হবে। কিন্তু ঐ সিম্পল সিম্পল উত্তরগুলো আপনি সহজে পারবেন না, যদি না আপনি প্যাসেজটা ঠিকমতো বুঝতে পারেন।

প্যাসেজটা আপনি ঠিকমতো বুঝতে হলে আপনাকে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে, আর তাহলে বাকি প্যাসেজে সময় কমে আসবে। এভাবেই এই সহজ পরীক্ষাটা সব পরীক্ষার্থীর জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। অর্থাৎ এই পরীক্ষায় আপনি যদি কিছু কৌশল রপ্ত না করে চলে যান, তাহলে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পারবেন না, সে আপনি যতই কনফিডেন্ট হোন না কেন? ইংরেজি মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারেন। এখানেও বাক্য পূরণ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, সঠিক উত্তর খুঁজে বের করা ইত্যাদি প্রশ্ন থাকবে। পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোয় দাগ দিয়ে রাখুন। উত্তর খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।

রাইটিং (Writing)

এখানে যাচাই করা হয় আপনি কতটুকু কল্পনাশক্তি খাটাতে পারেন এবং একটা বিষয়ের উপরে লিখতে পারেন। এক ঘণ্টায় দুটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে প্রথম প্রশ্নের চেয়ে দ্বিগুণ নম্বর থাকে। এজন্য শুরুতেই দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর ভালোভাবে লিখতে পারেন। প্রথম প্রশ্নটিতে মোটামুটি ২০ মিনিট সময় দিতে পারেন। অন্তত ১৫০ শব্দের উত্তর লিখতে হবে। দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর দিতে ৪০ মিনিট নিতে পারেন। অন্তত ২৫০ শব্দ লিখতে হবে। শব্দসংখ্যা একটু বেশি হলে ক্ষতি নেই। কিন্তু কম হলে নম্বর কমে যাবে। প্রথম প্রশ্নটিতে সাধারণত কোনো চার্ট, ডায়াগ্রাম থাকে। এ থেকে নিজের কথায় বিশ্লেষণধর্মী উত্তর লিখতে হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে সাধারণত কোনো বিষয়ের পক্ষে, বিপক্ষে মত বা যুক্তি উপস্থাপন করতে হয়।

স্পিকিং (Speaking)

এখানে কোনো লেখালেখী নেই। আপনাকে নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষাস্থলে (সাধারণত ব্রিটিশ কাউন্সিলে) যেতে হবে। সেখানে দু-তিনজন পরীক্ষকের সামনে আপনাকে বসতে হবে। তাঁরা আপনাকে বিভিন্নভাবে ইংরেজিতে প্রশ্ন করবেন, আপনি তাঁর উত্তর দিবেন। তিনটি অংশে মোটামুটি ১১ থেকে ১৪ মিনিটের পরীক্ষা হয়। প্রথম অংশে পরীক্ষার্থীকে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয়, যেমন, পরিবার, পড়াশোনা, কাজ, বন্ধু ইত্যাদি। চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে উত্তর দিতে হয়। দ্বিতীয় অংশে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে এবং দুই মিনিট কথা বলতে হয়। এর আগে চিন্তা করার জন্য এক মিনিট সময় দেওয়া হয়। তৃতীয় অংশে চার থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য পরীক্ষকের সঙ্গে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে কথোপকথন চালাতে হয়।

উদাহরণ: Suppose, you have visited a Pharmaceutical company. Now would you please explain what did you see there?- মার্কা একটা প্রশ্ন করতে পারে।

কেনো IELTS??

IELTS স্কোর দ্বারা বুঝানো হয় আপনার ইংরেজির উপর কতটা আধিপত্য আছে। সত্যি বলতে আপনি যদি উচ্চ শিক্ষা কিংবা ক্যারিয়ার গড়ার জন্য জন্য বাহিরের দেশে যেতে চান, তাহলে USA, UK, Australia, Canada, New-Zealand,-র মতো দেশগুলোতে ভিসা প্রাপ্তির একটি অন্যতম প্রধান শর্ত হলো IELTS-এর স্কোর। আর এই স্কোর দিয়েই বুঝানো হয় আপনি সেইসব ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলোতে ঠিক মতো পড়াশোনা বা জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন কিনা।

IELTS – এ কত স্কোর লাগে??

আপনার যদি IELTS করতে হয়, তাহলে অবশ্যই এটার স্কোর সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। IELTS পরীক্ষার সর্বোচ্চ স্কোর ৯। যারা আন্ডারগ্রাজুয়েশন করতে যেতে চান HSC পরীক্ষার পর পর, তাদের সাধারণত ৫.৫ স্কোর হলেই চলে। তবে পিএইচডি বা মাস্টার্স করতে যেতে চাইলে, আপনার অন্তত ৬.৫-৭ থাকা লাগবে। প্রতিটি স্কোর এর ই আলাদা আলাদা অর্থ আছে। তবে ভালো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে আপনার স্কোর কমপক্ষে ৬ রাখার চেষ্টা করতে হবে।

IELTS –এ কিভাবে স্কোর নির্ধারণ করা হয়?

Reading, Listening, Writing এবং Speaking – এই চারটি বিষয়ের উপর পৃথক পৃথক পরীক্ষা হয় এবং সবগুলো পরিক্ষায় আপনি কত পেলেন তা যোগ করে মোট নম্বর কে ৪ দিয়ে ভাগ করা হয়।

কোথায় IELTS পরীক্ষা হয়??

সারা বাংলাদেশে IELTS পরীক্ষা ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজন করে থাকে। এবং তাদের নির্ধারিত পরীক্ষা ভেন্যুতে যেয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। প্রতি মাসে ৩ টা করে বছরে মোট ৩৬টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আপনাকে পরীক্ষা দেয়ার অন্তত ২ মাস আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফি ১৩,৮০০ টাকা।

কোথায় এবং কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন

আপনি চাইলে IELTS পরীক্ষার জন্য সম্পূর্ণ নিজে নিজে প্রস্তুতি নিতে পারেন। প্রচুর বই পাবেন, আর ইন্টারনেট তো আছেই। নিয়মিত প্রশ্নপত্রের সমাধান করতে পারেন। তবে আরো ভালো প্রস্তুতির জন্য প্রশিক্ষণ কোর্স করতে পারেন ব্রিটিশ কাউন্সিল, সাইফুরস, উইংস এ। এইসব জায়গায় সাধারণত ২-৩ মাসের IELTS প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করা হয়।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপি অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে পরিচালনা করে IELTS পরীক্ষা। IELTS পরীক্ষা নিয়ে এতো ভয় পাবার কিছু নেই।

কোচিং যদি করতেই চান তাহলে, ঢাকা ইউনিভার্সিটির IELTS , ব্রিটিস কাউন্সিল, WINGS এ করতে পারেন। WINGS এর সুবিধা হলো যে IELTS এর পরীক্ষকরাই ওখানে ক্লাস নেন ।



আইইএলটিএস‘র প্রস্তুতি

আইইএলটিএস পরীক্ষা নিয়ে উত্কণ্ঠার কিছু নেই। নিয়মিত প্রস্তুতি নিয়ে যথেষ্ট ভালো স্কোর করা সম্ভব। শুরুতেই আপনার লক্ষ্য ঠিক করে নিন। তবে ইংরেজিতে আপনার এত দিনকার যা দক্ষতা, সে অনুযায়ীই লক্ষ্য ঠিক করবেন। রাতারাতি ভালো স্কোর করা সম্ভব নয়।

আবার ইংরেজিতে আপনি যথেষ্ট দক্ষ হলেও কোনো প্রস্তুতি ছাড়া পরীক্ষা দিয়ে আশানুরূপ স্কোর করা সম্ভব নয়। রোজকার কাজের মধ্যেই অন্তত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখুন এ জন্য। কত দিন ধরে প্রস্তুতি নেবেন, এটা আপনার দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। অন্তত তিন মাস সময় হাতে রাখা ভালো। প্রশ্নপত্র সমাধান করাটা প্রস্তুতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘড়ি ধরে প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। সম্ভব হলে পরীক্ষার পরিবেশে একসঙ্গে সব অংশের পরীক্ষা দিন।

কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নীলক্ষেতে কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো সমাধান করুন। এছাড়া বাজারে অসংখ্য বই পাবেন। তবে সবই নির্ভরযোগ্য এ কথা বলা যায় না। এ পরীক্ষার জন্য কোচিং করবেন কি না এটা সম্পূর্ণ আপনার সিদ্ধান্ত। তবে যা-ই করুন বাড়িতে নিজে পড়াশোনা করতে হবে। আইইএলটিএস নিবন্ধনের সময় প্রস্তুতির জন্য দুটি ছোট বই দেওয়া হয়। এগুলো ভালোমতো পড়ুন ও সমাধান করুন।

বই পরিচিতি

Listening: লিসেনিং-এর জন্য Cambridge-এর সিরিজ আছে। খুব ভালো। তবে প্রথম দুটো (মানে 1 এবং 2 খুব সাধারণ মানের)। ভালো কিছু শেখা যাবে 3, 4, 5, 6 -এই বইগুলো থেকে। এই বইগুলো CD-সহ কিনতে হবে। অথবা কারো থেকে পেনড্রাইভে সফ্‌ট কপিও সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

  • Reading: অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতে রিডিং-এর জন্য Saifur’s-এর বইটা সহজ এবং বোধগম্য।
  • Writing: রাইটিং-এর জন্য ভালো বই হচ্ছে Moniruzzaman’s IELTS Writing বইটি।
  • Speaking: স্পীকিং-এর জন্য Khan’s Cue-Card 1 এবং 2 বেশ কার্যকরী।

আইইএলটিএস স্কোর স্কেল

আইইএলটিএস স্কোরসমূহের শুরু ১ থেকে ৯ পর্যন্ত। স্কোরগুলোর স্বীকৃতিস্বরুপ হচ্ছে –

  • ব্যান্ড ৯ দক্ষ ব্যবহারকারী
  • ব্যান্ড ৮ খুব ভালো ব্যবহারকারী
  • ব্যান্ড ৭ ভালো ব্যবহারকারী
  • ব্যান্ড ৬ পর্যাপ্ত ব্যবহারকারী
  • ব্যান্ড ৫ পরিমিত ব্যবহারকারী
  • ব্যান্ড ৪ সীমিত ব্যবহারকারী
  • ব্যান্ড ৩ অতিরিক্তমাত্রায় সীমিত ব্যবহারকারী
  • ব্যান্ড ২ ব্যবহারকারী নয়
  • ব্যান্ড ১ যারা অপ্রাসঙ্গিক উত্তর দিয়েছে বা যারা communicate ব্যর্থ হয়েছে
  • ব্যান্ড ০ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেনি / উত্তর দেয়নি

প্রস্তুতি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত আরও কিছু তথ্য

  • শুরুতেই একটি মডেল টেস্ট দিন এতে নিজের দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
  • কত নম্বর পেলে স্কোর কেমন হবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে পারেন।
  • ভুল বানানের জন্য নম্বর কমে যায় তাই বানানে সতর্ক হোন।
  • যে কয় শব্দে উত্তর দিতে বলা হয়, সে কয় শব্দই লিখতে হবে। দুটি শব্দের মধ্যে উত্তর লিখতে বললে আপনি এক বা দুই শব্দ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু দুইয়ের বেশি শব্দ হলে নম্বর পাবেন না।
  • ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা যায় না। কাজেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করুন।
  • স্পিকিংয়ে (speaking) ভালো করতে হলে বন্ধুবান্ধব, পরিচিতদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলার অভ্যাস করুন। অনেকে খুব ভালো ইংরেজি জানেন। কিন্তু বলতে অসুবিধা বোধ করেন। এ পরীক্ষার জন্যই নিয়মিত প্রস্তুতি নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
  • প্রশ্নপত্র সমাধান করে আপনি নিজেই অনেকখানি মূল্যায়ন করতে পারবেন। তবে আরও নির্ভরযোগ্যতার জন্য মক টেস্ট (Mock Tast) দিতে পারেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল, উইংসসহ (Wings) বিভিন্ন কোচিং সেন্টার যেমন সাইফুরস, মেন্টরস, গেটওয়েতে নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে মকটেস্ট দেওয়া যায়।
  • পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নিন।

রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া

  • পরীক্ষার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ঢাকা, চট্টগ্রাম অথবা সিলেট শাখায়। তাদের অনুমোদিত ‘রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট’ সাইফুর’স, গেটওয়ে ও মেনটরস থেকেও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। পরীক্ষার তিন থেকে চার সপ্তাহ আগেই রেজিস্ট্রেশন করা ভালো।
  • পরীক্ষার্থীরা অনলাইনেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। ফি পরিশোধ–সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা অনলাইনেই পাওয়া যাবে।
  • ব্রিটিশ কাউন্সিলের অফিশিয়াল সাইটের ‘রেজিস্ট্রার ফর আইইএলটিএস’ থেকে ‘রেজিস্ট্রার অনলাইন ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য এন্ট্রির মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা সহজেই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করতে খরচ পড়বে ১৪,৫০০ হাজার টাকা।
  • রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। রেজিস্ট্রেশনের সময় পাসপোর্টের ১ম ৪ পৃষ্ঠার ফটোকপি জমা দিতে হবে।
  • ৩ কপি সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট আকারের ছবি ( ছয় মাসের অধিক পুরানো নয় এমন ছবি) এবং রেজিস্ট্রেশন ফরমে চশমা পরিচিত ছবি গ্রহণযোগ্য নয়।
  • আপনার নিবন্ধন ফর্ম কাছের কোন ব্রিটিশ কাউন্সিল অফিস অথবা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ব্রাঞ্চের বুথে অথবা রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে জমা দিন।
  • আপনি আপনার পরীক্ষা খরচ ব্যাংক ড্রাফট অথবা নগদ অর্থের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিলে অথবা রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট অথবা ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিপোজিট স্লিপ পূরন করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের শাখাগুলোতে জমা দিতে পারেন।
  • বিস্তারিত তথ্য জানতে ব্রিটিশ কাউন্সিল এ যোগাযোগ করুন।

পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ

ব্রিটিশ কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে প্রতি মাসে তিনবার করে বছরে ৩৬ বার আইইএলটিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগে, কোনো পরীক্ষার্থী আশানুরূপ না পেলে পরে পরীক্ষা দিতে হতো প্রথম পরীক্ষার অন্তত তিন মাস পর। এখন নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত স্কোর পাওয়ার আগ পর্যন্ত যতবার খুশি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। সাধারণত আইইএলটিএস ফল প্রকাশিত হয় পরীক্ষার ১৩ দিন পর। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে ফলাফল সংগ্রহ করা যাবে।

এছাড়া ব্রিটিশ কাউন্সিল এর ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার্থীর নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, জন্মতারিখ, পরীক্ষা প্রদানের তারিখ এন্ট্রি করে সহজেই জেনে নিতে পারবেন আইইএলটিএস পরীক্ষার ফলাফল। যদি আপনার পরীক্ষার ফলের ওপর কোন সন্দেহ থাকে তবে ছয় সপ্তাহের মধ্যে ‘এনকুয়ারি অন রেজাল্ট-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে, ফলাফলে ভুল ধরা পড়লে অবশ্যই আপনি ওই টাকা ফেরত পাবেন। ছয় থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই ব্রিটিশ কাউন্সিল আপনার পুনঃনম্বরকৃত ফলাফল ফিরে পাবে এবং তখন ব্রিটিশ কাউন্সিল আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

পরীক্ষা কেন্দ্রে কি কি নিয়ে যেতে হবে

  • মেয়াদ আছে এমন একটি আসল পাসপোর্ট
  • কলম, পেন্সিল এবং রাবার (চাইলে সার্পনার নিতে পারেন)
  • মোবাইল ফোন এবং অনান্য জিনিষ অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে এবং সাথে যা যা ( ব্যাগ, বই ইত্যাদি) ব্যাক্তিগত জিনিসপত্র নির্দিষ্ট দ্বায়িতে থাকা ব্যাক্তির কাছে জমা রাখতে হবে।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

ইউরোপে প্রবেশ করতে যেসব ভুল করা চলবে না

ইউরোপে প্রবেশ করতে যেসব ভুল করা চলবে না

জেনে নিন ইউরোপে প্রবেশ করতে যেসব ভুল করা চলবে না । আসুন এ বিষয়ে আজকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *