জেনে নিন প্রস্রাবের রঙ স্বাস্থ্য সম্পর্কে বলে দিবে । আসুন এ সম্পর্কে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমেই একটি ভয়াবহ খবর দিয়ে শুরু করা যাক:
কিডনিতে পাথর হলে প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু ঘাবড়াবেন না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধারণ কারণে প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন হয়, যেমন- কিছু খাবার, কিছু ওষুধ, কম পানি পান ও সাধারণ সংক্রমণ। নর্থশোর ইউনিভার্সিটি হেলথ সিস্টেমের ইউরোলজিস্ট ক্রিস্টিয়ান নোভাকোভিক বলেন, ‘সাধারণত প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন ভীতিজনক নয়, কিন্তু তারপরও দুশ্চিন্তা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলাতে ভুল নেই।’
- আরো পড়ুন: মেদ কমাতে জীবনধারায় আনুন ৫ পরিবর্তন
- আরো পড়ুন: বৈধপথে ইউরোপে প্রবেশে যে ভিসা দরকার
- আরো পড়ুন: পর্তুগালে গেলেই কি নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে?
প্রস্রাবের রঙ স্বাস্থ্য সম্পর্কে বলে দিবে
প্রস্রাবের স্বাভাবিক রঙ কি?
এ প্রসঙ্গে মাউন্ট সিনাই বেথ ইসরাইলের ডিপার্টমেন্ট অব ইউরোলজির সাইট চেয়ার মাইকেল পালিস বলেন, ‘সাধারণত প্রস্রাবের রঙ হলদেটে (অল্প হলুদ) প্রকৃতির হয়ে থাকে। একটি সাধারণ নিয়ম হলো- আপনি যত বেশি পানি পান করবেন, আপনার প্রস্রাব তত স্বচ্ছ হবে।’ এ প্রতিবেদনে প্রস্রাবের কোন রঙ কিসের লক্ষণ হতে পারে তা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয়া হলো।
১. গাঢ় হলুদ প্রস্রাব
অ্যাম্বার/ হানি কালার/ গাঢ় হলুদ অথবা গাঢ় কমলা রঙের প্রস্রাব ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ হতে পারে, অর্থাৎ আপনি পর্যাপ্ত পানি পান করছেন না। ডা. পালিস বলেন, ‘আপনি যত বেশি ডিহাইড্রেটেড হবেন, আপনার প্রস্রাব তত গাঢ় হবে।’ প্রস্রাব গাঢ় হলুদ হলে প্রতিদিন ১.৫ থেকে ২ লিটার পানি পান করুন। এতেও কাজ না হলে অন্য সমস্যা শনাক্ত করতে চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন। কিছু ওষুধও প্রস্রাবকে গাঢ় হলুদ/ কমলা করতে পারে, যেমন- মূত্রনালীর সংক্রমণে ব্যবহৃত ফেনাজোপাইরিডিন ও আলসারেটিভ কোলাইটিসে ব্যবহৃত সালফাস্যালাজিন।
২. গাঢ় বাদামী প্রস্রাব
আপনার প্রস্রাবের রঙ চা বা কোকাকোলার মতো হলে অথবা গাঢ় বাদামী হলে এর জন্য কিছু খাবার দায়ী হতে পারে, যেমন- রুবার্ব ও ফাভা বিনস। গাঢ় বাদামী প্রস্রাব তীব্র ডিহাইড্রেশনকেও নির্দেশ করতে পারে। সম্প্রতি কোনো ইউরোলজিক প্রসিডিউর করলেও প্রস্রাব গাঢ় বাদামী হতে পারে, কারণ প্রস্রাবে ধীরে ধীরে রক্ত যাচ্ছে। কিছু ওষুধও প্রস্রাবকে হলুদ করতে পারে, যেমন- অ্যান্টিবায়োটিক মেট্রোনাইডাজোল, অ্যান্টিবায়োটিক নাইট্রোফুরানটয়েন, মিথোকার্বামল ও মিথাইলডোপা। বাদামী প্রস্রাব মারাত্মক সমস্যারও লক্ষণ হতে পারে, যেমন- লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া।
৩. পিঙ্ক বা লাল প্রস্রাব
সম্প্রতি রুবার্ব, বিট ও ব্লুবেরি খেয়ে থাকলে আপনার পিঙ্ক/লাল প্রস্রাবের জন্য এগুলোই দায়ী হতে পারে। এমনকি মলের রঙও অনুরূপ হতে পারে। পিঙ্ক বা লাল প্রস্রাবের জন্য ওষুধও দায়ী হতে পারে, যেমন- অ্যান্টিবায়োটিক রিফামপিন ও লোকাল অ্যানালজেসিক ফেনাজোপাইরিডিন। সম্প্রতি লাল বা পার্পল খাবার না খেলেও প্রস্রাবের রঙ লাল হতে পারে। তখন এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে মূত্রনালীর সংক্রমণ ও কিডনি পাথর। ডা. পালসি বলেন, ‘প্রস্রাবে রক্ত দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।’
- আরো পড়ুন: গ্রাফিক্স ডিজাইনে কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়(এটুজেড)
- আরো পড়ুন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে কি কি প্রয়োজন
- আরো পড়ুন: গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে সহজে যেভাবে আয় করবেন
৪. সবুজ অথবা নীল প্রস্রাব
আপনার মনে হতে পারে যে শরীরে নিশ্চয় মারাত্মক কিছু হয়েছে, নাহলে প্রস্রাবের রঙ সবুজ বা নীল হয়েছে কেন। কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, খুবই সাধারণ কারণে প্রস্রাবের রঙ এমন হতে পারে। আপনার খাবারের রঙ অথবা কিছু ওষুধ প্রস্রাবকে নীল বা সবুজ করতে পারে। ডা. পালসি বলেন, ‘ওষুধের কারণে প্রস্রাবের রঙ নীল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’ এছাড়া নীল বা সবুজ প্রস্রাব বিরলক্ষেত্রে ফ্যামিলিয়াল হাইপারক্যালসেমিয়ার লক্ষণও হতে পারে। এটা ব্লু ডায়াপার সিন্ড্রোম নামেও পরিচিত। এটা বিরল জেনেটিক ডিসঅর্ডার।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।