জেনে নিন প্রেগনেন্সি টেস্ট কেন সকালেই করা হয়? আসুন আজকে এ সম্পর্কে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত সকালেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করা হয়ে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় গর্ভধারণ সন্দেহে ঘরেই কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হয় প্রেগনেন্সি। এজন্য দরকার হয় সকালের প্রথম ইউরিন। গর্ভধারণ বিষয়ে নিশ্চিত হতে সব নারীই এখন হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের উপর নির্ভর করেন।
প্রেগনেন্সি টেস্ট কেন সকালেই করা হয়?
- আরো পড়ুন: গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াবে এই ১২ টি খাবার
- আরো পড়ুন: এনআইডির তথ্যের সাথে না মিললে পাসপোর্ট হবে না
- আরো পড়ৃন: অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা সমাধান করবে যে পানীয়
যদিও সবসময় এর ফলাফল সঠিক আসে, তা নয়। কিছু ক্ষেত্রে হোম কিট দিয়ে পরীক্ষা করা হলেও ফলাফল ভুল আসতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফলাফল ঠিক আসার কারণে নিশ্চিন্তেই সবাই হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের উপর নির্ভর করেন।
তবে সবসময় সকালেই কেন এই কিট ব্যবহার করতে হয়? এ বিষয়ে নিশ্চয়ই কৌতূহল জাগে! প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, প্রেগন্যান্সি টেস্ট সকালে করা উচিত, এতে পরীক্ষার রিপোর্ট সঠিক আসে। রাতে এই টেস্ট করলে ভুল রিপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু সত্যিই কি তাই?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতেও প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যেতে পারে। তবে সেই ফলাফল কতটুকু ঠিক বা ভুল, সে বিষয়টি এখনো এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ ঘরে কিট ব্যবহারের মাধ্যমে যেভাবে গর্ভবতী কি-না জানা যায়, এজন্য প্রয়োজন হয় প্রস্রাবের একটি বিশেষ উপাদান।
হিউম্যান ক্রনিক গোনাডোট্রপিন বা (এইচসিজি)র উপস্থিতির উপর নির্ভর করেই গর্ভধারণের ফলাফল বের হয়। ওভালুয়েশন শুরু হওয়ার ১০ দিনে শরীরে উত্পাদিত প্ল্যাসেন্টার উপর এই হরমোনের উপস্থিতি নির্ভরশীল। হোম টেস্ট কিটের দ্বারা নির্ধারণ করা সম্ভব, এই স্তরে (এইচসিজি)র পৌঁছালে, তবেই পরীক্ষার সঠিক ফল মেলে।
- আরো পড়ুন: গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়াবে এই ১২ টি খাবার
- আরাে পড়ুন: মা হওয়ার সবচেয়ে ভালো বয়স কখন?
- আরো পড়ুন: গর্ভবতীর গর্ভের সন্তান সুস্থ কিনা কিভাবে বুঝবো
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের প্রথম ইউরিন বেশি ঘন হয়ে থাকে। আর (এইচসিজি)র উপাদানটি ওই সময়ই বেশি পরিমাণে থাকে প্রস্রাবে। যত বেলা বাড়ে; ততই ইউরিন পাতলা হয় এবং তাতে (এইচসিজি)র উপস্থিতি কমতে থাকে। তাই রাতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করলে আপনি গর্ভবতী হলেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসতে পারে।
শারীরিক সম্পর্কের পর যদি কোনও মাসে পিরিয়ড মিস হয়; তাহলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন। তবে অনিয়মিত পিরিয়ড হলে শেষ পিরিয়ডের তারিখের পর ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
সঠিক রিপোর্ট পেতে রাতের থেকে সকালে টেস্ট করাই ভালো। যদি মনে হয়, আপনি প্রেগন্যান্ট তবে হোম কিটের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও সঠিক ফলাফলের জন্য ল্যাব থেকে পরীক্ষা করিয়ে নিন।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।