জেনে নিন ফৌজদারী মামলায় অব্যাহতি প্রাপ্তদের বেতন ভাতা পরিশোধ সংক্রান্ত সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে আজকে আমরা আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেই। বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হয়েছে। উক্ত মন্ত্রণালয় থেকে যে সকল শিক্ষক/ শিক্ষিকা বিভিন্ন ফৌজদারী মামলায় জড়িত হয়ে পরবর্তীকালে আদালতের রায়ে অভিযোগ হতে অব্যাহতি, মামলা হতে খালাস, নির্দোষ ও বেকসুর খালাস হচ্ছেন তারা সকলেই বিএসআর ১ম খন্ডের ৭৩ নং বিধি মোতাবেক চাকুরীতে পুনর্বহাল হওয়ার পর পূর্ণ বেতন ও ভাতাদি পেতে পারেন।
- আরো পড়ুন: লঘুদণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়
- আরো পড়ুন: চাকরিচ্যুত হলে কি মামলা করা যাবে?
- আরো পড়ুন: আইপি অ্যাড্রেস কি – আইপি অ্যাড্রেস এর প্রকার ও ভার্সন সমূহ
ফৌজদারী মামলায় অব্যাহতি প্রাপ্তদের বেতন ভাতা পরিশোধ সংক্রান্ত
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ
বাংলাদেশ, সচিবালয়, ঢাকা।
স্মারক নং-প্রগবি/প্রশা-৪/১০ বকেয়া বেতন (চট্ট)-৬/৯৮/৮৭৯; তারিখ: ২৩/০১/২০০১ ইং
বিষয়: ফৌজদারী মামলায় অব্যাহতি প্রাপ্ত/ খালাস/ নির্দোষ/ বেকসুর খালাস শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের বেতন ভাতা পরিশোধ সংক্রান্ত।
নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ নানা কারণে ফৌজদারী মামলায় জড়িত হয়ে পড়ছেন। মামলার অভিযুক্ত শিক্ষককে যথারীতি আদালতে হাজির ও পুলিশ কর্তৃক আটক হওয়ার পর যথা নিয়মে সাময়িকভাবে বরখাস্তও করা হচ্ছে। কিন্তু ফৌজদারী মামলা শেষে রায়ের ভিত্তিতে এ সমস্ত শিক্ষককে চাকুরীতে পুনর্বহাল ও বেতন ভাতাদি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত আদেশে সব সময় যথাযথ নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে শিক্ষকগণ আর্থিকভবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন অথবা ক্ষেত্র বিশেষে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
২। এসব ফৌজদারী মামলায় আদালতে রায়ে কখনো আসামীদেরকে অভিযোগ হতে অব্যাহতি/ নিদোর্ষ/ খালাস/ বেকসুর খালাস ব্যতীয় অন্য কোনো ধরনের রায়েই তারা পূর্ণ বেতন ভাতাদি পেতে পারেন না। বাস্তবিক পক্ষে এই ধারণা সঠিক নয়। কারণ বিএসআর পার্ট-১ এর ৭৩ ধারায় Acquitted of the Blame বলতে Acquitted of the Charge ই বুঝানো হয়েছে। এই ২ টি শব্দই আসলে এক এবং অভিন্ন এবং এই কথা ২ টির মধ্যে মূলত: কোনো পার্থক্য নেই।
ফলে কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীকে আদালতের রায়ে নির্দোষ ঘোষনা করা হলে বা অভিযোগ হতে অব্যাহতি দেওয়া হলে বা মামলা হতে খালাস প্রদান করা হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক/কর্মচারীকে বে-কসুরই ধার্য করা হয়। এতে কার্যক্রমের দিক থেকে কোনো পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না এবং এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগের কোনো সুযোগ রয়েছে বলে মনে হয় না।
- আরো পড়ুন: পর্তুগালে নার্সারি থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন?
- আরো পড়ুন: নরওয়েতে উচ্চশিক্ষাঃ জেনে নিন বিস্তারিত
- আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষা ও নাগরিকতার সুযোগ
৩। এ ব্যাপারে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয়া হয়েছে। উক্ত মন্ত্রণালয় থেকে যে সকল শিক্ষক/ শিক্ষিকা বিভিন্ন ফৌজদারী মামলায় জড়িত হয়ে পরবর্তীকালে আদালতের রায়ে অভিযোগ হতে অব্যাহতি, মামলা হতে খালাস, নির্দোষ ও বেকসুর খালাস হচ্ছেন তারা সকলেই বিএসআর ১ম খন্ডের ৭৩ নং বিধি মোতাবেক চাকুরীতে পুনর্বহাল হওয়ার পর পূর্ণ বেতন ও ভাতাদি পেতে পারেন।
৪। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপরোক্ত ব্যাখ্যার প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো এবং ব্যাখ্যা অনুসারে এ সমস্ত ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হল।
(আসাদুজ্জামান)
সিনিয়র সহকারী সচিব (প্র-৪)
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।