জেনে নিন বিপদে আল্লাহর পরীক্ষায় যে আমল করতেন নবিজী (সা.) । আসুন এ সম্পর্কে আজকে আলোচনা করে জেনে নেওয়া যাক। আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিপদ-আপদ, দুঃখ-দুর্দশা ও দুশ্চিন্তা দিয়ে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন। এমনকি জীবন ও সম্পদের ক্ষতি করেও তিনি মানুষের ঈমান ও তাঁর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। এসব পরীক্ষায় মুমিন মুসলমানের করণীয় ও আমল কী?
- আরো পড়ুন: নামাজে নারীদের পোশাক যেমন হওয়া প্রয়োজন
- আরো পড়ুন: স্বামীর সাথে স্ত্রীর আচরণ যেমন হওয়া জরুরি
- আরো পড়ুন: যেসব লোকের সাথে আল্লাহ কথা বলবেন না
বিপদে আল্লাহর পরীক্ষায় যে আমল করতেন নবিজী (সা.)
আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে বান্দার প্রথম করণীয় হলো- সুখ-দুঃখ সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা রাখার পাশাপাশি ধৈর্যের সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানানো। তবেই দুনিয়ার যাবতীয় বিপদাপদে বান্দা পাবে মুক্তি ও স্বস্থি।
আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পবিত্র কুরআনের দুটি আয়াতাংশের সমন্বয়ে একটি উত্তম তাসবিহ তথা দোয়া আছে। যা বিপদাপদ-দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে অত্যন্ত কার্যকরী।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-আপদ, দুঃশ্চিন্তা ও পেরেশানিতে এ দোয়াটি পড়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন। তাহলো-
حَسْبُنَا اللهُ وَ نِعْمَ الْوَكِيْلُ – نِعْمَ الْمَوْلَىْ وَ نِعْمَ النَّصِيْر
উচ্চারণ : হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল; নিমাল মাওলা ওয়া নিমান নাছির।’
অর্থ : ‘আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলাই যথেষ্ট, আর সবচেয়ে ভালো অভিভাবক; আল্লাহ তাআলাই হচ্ছেন উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।’
সেই মহান সত্তা হচ্ছে মহান আল্লাহ। যিনি সবাইকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন। তিনি যদি কাউকে বিপদ দিতে চান তা রোধ করার শক্তি যেমন কারও নেই। আবার কাউকে যদি তিনি কল্যাণ দান করেন তবে তাতে বাধা দেয়ার সাধ্যও কারও নেই। তাই আল্লাহর পরীক্ষায় কঠিন বিপদে তার সাহায্য পেতে এ দোয়াটিই সর্বোত্তম।
সুতরাং বিপদ-আপদ-মুসিবতে কোরআন-সুন্নাহর নির্দেশনার শব্দমালায় আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করা উত্তম। যেহেতু আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে তাঁরই তাসবিহ-তাহলিল ও তাওবা-ইসতেগফারের বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এ দোয়ার প্রথমাংশ পড়ে নমরূদের অগ্নিকুণ্ডলি থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। অবিশ্বাসী অত্যাচারী নমরূদ যখন তাকে অগ্নিতে নিক্ষেপ করেন তখন তিনি ‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল’ পড়েন। যার ফলে আল্লাহ তাআলা তাঁকে নমরূদে অগ্নিকুণ্ডলী থেকে রক্ষা করেছিলেন।
- আরো পড়ুন: শিশুদের প্রতি নবিজীর ভালোবাসা
- আরো পড়ুন: শান্তি ও মুক্তির সহজ আমল
- আরো পড়ুন: বড়দের সম্মান করবেন কেন?
আবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন শুনলেন যে, মুশরিকরা তাঁর ওপর আক্রমণ করবে তখন তিনি এ খবর পাওয়া মাত্রই ‘হামরাউল আসাদ’ নামক স্থানে এ দোয়াটি পড়েন। (বুখারি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জীবন জীবিকায়, আয়-উপার্জনে সব সময় উল্লেখিত দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য কামনা করা। আল্লাহর পরীক্ষায় ভয়বাহ শাস্তি থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সকাল-সন্ধ্যায় তাঁরই শেখানো উল্লেখিত তাসবিহ-তাহলিলসহ তাওবা-ইসতেগফার এবং তাঁরই দরবারে সাহায্য প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।