জেনে নিন বিসমিল্লাহর আশ্চর্যজনক ফজিলত সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে কোরআনে কি বলা হয়েছে, সে সম্পর্কে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম` কুরআনুল কারিমের আয়াতাংশ। এ বিসমিল্লাহর রয়েছে বরকতময় ও আশ্চর্যজনক ফজিলত। হাদিস ও তাফসিরে যার প্রমাণ পাওয়া যায়। পাঠকের জন্য বিসমিল্লাহর আশ্চর্যজনক ফজিলত তুলে ধরা হলো-
- আরো পড়ুন: বৈধ কাজে ‘বিসমিল্লাহ’ বলার উপকারিতা
- আরো পড়ুন: খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে ভুলে গেলে কী করবেন?
- আরো পড়ুন: খাওয়ার আগে ‘বিসমিল্লাহ’ না বললে কি খাবার হারাম হবে?
ক. হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ বর্ণনা করেন, বিসমিল্লাহ যখন নাজিল হয়, তখন মেঘমালা পূর্বদিকে দৌড়াতে লাগল, সাগরগুলো উত্তাল অবস্থায় ছিলো, সব প্রাণীজগত নিস্তব্ধভাবে দাঁড়িয়ে শুনতে ছিলো, শয়তানকে দূরে বিতাড়িত করা হয়েছিল এবং আল্লাহ তাআলা নিজ ইজ্জত ও জালালিয়াতের কসম খেয়ে বলেছেন, যে জিনিসের ওপর বিসমিল্লাহ পড়া হবে, ঐ জিনেসে অবশ্যই বরকত দান করব। (তাফসিরে মারদুওয়াই)
খ. হজরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর বিপক্ষে শত্রু যুদ্ধের ময়দানে অপেক্ষা করছিল। হজরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদের ধর্মে সত্যতা পরীক্ষার জন্য বিষে ভরা একটি শিশি তাঁকে দেওয়া হলো। তিনি শিশির সম্পূর্ণ বিষ বিসমিল্লাহ পড়ে পান করেছেন। কিন্তু বিসমিল্লাহ`র বরকতে বিষের বিন্দু মাত্র প্রভাবও তার ওপর পড়েনি। (তাফসিরে কাবির)
গ. হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, কোনো ব্যক্তি যদি পায়খানায় প্রবেশকালে বিসমিল্লাহ পড়ে, তবে জিন ও শয়তানদের দৃষ্টি ঐ ব্যক্তির গুপ্তাঙ্গ পর্যন্ত পৌছতে পারে না। (তিরমিজি)
ঘ. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে খাদ্যে বিসমিল্লাহ পড়া হয় না, সে খাদ্যে শয়তানের অংশ থাকে। (মুসলিম)
ঙ. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে খাবারের মজলিসে জনৈক সাহাবি বিসমিল্লাহ ব্যতিত খাওয়া শুরু করে। পরে যখন স্মরণ হয় তখন বলেন, বিসমিল্লাহি আওয়ালিহি ও আখিরিহি` তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ অবস্থা দেখে হাসতে লাগলেন এবং বললেন, শয়তান যা কিছু খেয়েছিল তিনি (সাহাবি) বিসমিল্লাহ পাঠ করার সাথে সাথে দাঁড়িয়ে সব বমি করে দিয়েছে। (আবু দাউদ)
- আরো পড়ুন: ‘বিসমিল্লাহ’ পড়বেন যে কারণে
- আরো পড়ুন: অমুসলিমের দোয়া কি আল্লাহ কবুল করেন?
- আরো পড়ুন: রোগীকে দেখতে যাওয়ার ফজিলত ও মর্যাদা
ফজিলত লাভের কার্যকরী উপায়
লোক দেখানো, কু-ধারনা, কল্পনা ও অবিশ্বাস থেকে বিরত হয়ে খালেছ নিয়ত, সুদৃঢ় বিশ্বাস, আল্লাহর সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক এবং পরিপূর্ণ ঈমান রাখা। সব জিনিসই শর্ত সাপেক্ষে কাজ করে, তদ্রুপ বিসমিল্লাহর এ আশ্চর্যজনক ফজিলত লাভ করতে হলে বিরত থাকা ও মেনে নেয়া বিষয়গুলোর প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। তবেই হজরত খালিদ ইবনে ওয়ালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর মতো ইসলামের সত্যতার জন্য বিষপানেও বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার বিন্দুমাত্র সন্দেহ ও সংশয়ের অবকাশ থাকবে না।
আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে হকের ওপর অটল ও অবিচল থাকার পাশাপাশি অন্যায় থেকে বিরত থাকা এবং বিসমিল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।