ভ্রমণের খাবার কেমন হবে

জেনে নিন ভ্রমণের খাবার কেমন হবে । আসুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। ভ্রমণ করছেন। নানা দিকে দৌড়াচ্ছেন। পাহাড়ে ট্র্যাকিং করছেন। সমুদ্রে সাঁতার কাটছেন। মাইলের পর মাইল হেঁটে পাড়ি দিচ্ছেন কিংবা বাস-ট্রেন-বিমানে যেখানে, যেভাবেই চলাচল করুন না কেন, খাবার কিন্তু মৌলিক জিনিস। স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাবার ভ্রমণে আবশ্যক। হালকা ধরনের খাবার প্রাধান্য পাবে।

ভ্রমণের খাবার কেমন হবে

ভ্রমণ মনকে প্রফুল্ল রাখে। শরীরকেও সুস্থ রাখে। আর এই সুস্থতার জন্য সঠিক খাবার বাছাই করতে হবে। স্বাস্থ্যকর, পরিমিত, নিরাপদ ও হালকা ধরনের খাবার ভ্রমণে প্রযোজ্য। ভিন্ন স্থান, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন রুটিন এবং সঙ্গে সময়ের তারতম্যের সাথে মিলিয়ে নিয়ে ভ্রমণের খাদ্যাভ্যাস ঠিক করতে হবে। কাজটি যদিও বেশ চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা করে আগালে সহজ।



ভ্রমণের সময় খাবারের প্রতি যত্নশীর হতে হবে। অপরিমিত, অখাদ্য, কুখাদ্য খেয়ে পেট ভার করে ফেললে ভ্রমণ তো দূরের কথা, উল্টো হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরতে হবে। যেখানে সেখানে খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভ্রমণে যেহেতু পরিবারের রান্না নেই। তাই নিজের পছন্দ মতো খাবার নাও পেতে পারেন বা স্বাস্থ্যকর খাবারেরও অভাব হতে পারে। তবুও যদি আপনি কম সময়ে অধিক জায়গা ভ্রমণ করতে চান তাহলে খাবারের ক্ষেত্রে সচেতন হতেই হবে। শুরুতে ভ্রমণে কোন ধরনের খাবারে খেতে হবে তা জেনে নেয়া যাক-

  • স্বাস্থ্যকর খাবার
  • নিরাপদ খাবার
  • হালকা জাতীয় খাবার
  • সুলভ মূল্যের খাবার

সময় ভেদে খাবার হবে ভিন্ন ভিন্ন।

সকালের খাবার

সকালের খাবারে থাকতে পারে সবজি-রুটি বা স্যান্ডউইচ, ডিম, ছোলা, নানা স্বাদের ফল, পাউরুটি-জেলি ইত্যাদি। সাথে দুধ খেতে পারেন। অনেক সময় দুধ পাওয়া যায় না বা খেতে মন চায় না। সেক্ষেত্রে সঙ্গে রাখতে পারেন গ্রীন টি। কফিও চলতে পারে। সকালের খাবারটা দীর্ঘ সময়ের রসদ যোগায়। ভারি কিছু খেয়ে ফেললে সারাদিনের ঘুরাঘুরিটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। তাই ভারি খাবার নয় কোনোভাবেই।

দুপুরের পূর্বের বিরতিতে

অনেকে ভ্রমণ করতে গিয়েও বাড়ির অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেন না। রেস্টুরেন্ট খুঁজে বেড়ান। আরাম করে বসে পেট ভরে ভাত-মাংস-মাছ খেয়ে ফেলেন। ফলে শরীর বিছানা তালাশ করে। হাঁটতে হাঁটতে বা চলতে চলতে দুপুরে মাঝামাঝি সময়ে অনেকে খেয়েই শুয়ে বিশ্রাম নেয়ার মনোভাব ধারণ করেন। অনেকে আছেন, ঘুরতে এসেও ঘুমান। ব্যাপারটা খুব বিশ্রি হয়ে যায়। আপনাকে দুপুরের আগে আগে হালকা কিছু খেতে হবে কোনোভাবেই অবসাদ ঘিরে না ধরে। এসময় তাই হালকা খাবার খেতে হবে। যেমন- পাউরুটি, ডাবের পানি, ফল,কফি, চা। জুস খেতে পারেন। ভাজাভুজি তো একদম নিষিদ্ধ।

দুপুরের খাবার

ভ্রমণের সময় দুপুরের খাবারটাও বাড়ির মতো ভারি করা যাবে না। তবে খাবেন। ভাত বা রুটি, মুরগি বা মাছ, ডাল, সবজি। সঙ্গে প্রচুর সালাদ, থাকতে পারে। যা আপনাকে ক্যালোরি যোগান দেয়। ভ্রমণের সময় গরুরর মাংস এড়িয়ে চলা।



বিকালের নাশতা

বিকালের নাশতাটা আরও হালকা ধরনের হবে। হালকা স্ন্যাকস, চা/কফি, লেমোনেড ইত্যাদি খেতে পারেন। তবে ভ্রমণকৃত এলাকার ফল-ফলাদি থাকরে খেতে পারেন।

রাতের খাবার

রাতে যতোটা সম্ভব শর্করা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আমিষ জাতীয় খাবার, যেমন- মাছ অথবা মাংসের রোষ্ট এবং সালাদ হতে পারে এ সময়ের গুরুত্বপূর্ণ খাবার। ডাল খেতে পারেন। খেতে পারেন রুটি আর তরকারি। সুপ এবং সালাদও খেতে পারেন। সবাই মিলে বারবি কিউ বানিয়ে খেতে পারেন।



ভ্রমণে সর্বদা পানি সঙ্গে রাখবেন। এক বোতল পিউর মিনারেল ওয়াটার। সংগ্রহে রাখতেই হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। নিয়মিত ও পরিমিত পানি পান করলে আপনার ভ্রমণের এনার্জি বৃদ্ধি পাবে। তবে পানি যেন হয় বিশুদ্ধ।

সর্বশেষ মনে রাখতে হবে যে, বিভিন্ন ঋতুতে খাবারের পরিবর্তন হতে পারে। শীতে কেমন খাবার হবে আর গরমে কোন ধরনের খাবার হবে তার পার্থক্য জেনে নিতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রমণের আগে ভালো একজন খাদ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নিন। সঠিক খাবার বাছাইয়ে ভুল করা যাবে না। আপনার ভ্রমণকে সুস্থ ও নিরাপদ করতে সঠিক খাবার বাছাইয়ের বিকল্প নেই।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে। 

এগুলো দেখুন

চায়ের কেজি লাখ টাকা

যে চায়ের কেজি লাখ টাকা

জেনে নিন যে চায়ের কেজি লাখ টাকা । আসুন এ বিষয়ে আজকে আমরা আলোচনা করে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *