যেভাবে নির্ণয় হয় ক্যান্সারের স্তর, কেমো দিতে হবে যখন?

যেভাবে নির্ণয় হয় ক্যান্সারের স্তর, কেমো দিতে হবে যখন?

ক্যান্সার নামক জটিল রোগটি বর্তমানে বেশি হচ্ছে। ‘ক্যান্সারে অবধারিত মৃত্যু’-এমন কথা এখন আর খাটে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রসারের ফলে সঠিক সময়ে ক্যান্সারের স্তর নির্ণয় করা গেলে কাজটা সহজ হয়ে যায়। সঠিক সময়ে কেমো ও রেডিওথেরাপি দিতে পারলে রোগী সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।

সে কারণে ক্যান্সারের স্টেজ নির্ণয়টা জরুরি। স্তর নির্ণয়ের উপায় ও দন্ত ক্যানসার রোগীদের কেমোথেরাপি নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ এবং দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ফারুক হোসেন।

ক্যান্সার শরীরের যে স্থানেই হোক না কেন তা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিস্তার লাভ করে এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যান্সার কোষের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়াকে মেটাসটেসিস বলা হয়। বিনাইন টিউমারের ক্ষেত্রে মেটাসটেসিস হয় না, অর্থাৎ টিউমার যে স্থানে সৃষ্টি হয় সেখানেই বড় হতে থাকে। রক্ত পরীক্ষা বা বায়োপসির মাধ্যমে ক্যানসার নির্ণয়ের পর একজন রোগীর ক্যানসারের সার্বিক অবস্থা এবং এটি ছড়িয়ে পড়বে কিনা তা দেখার জন্য সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করা হয়।

ক্যান্সারকে বিভিন্নভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। আবার ক্যানসার কোনো পর্যায়ে বা স্টেজে আছে তাও নির্ণয় করা হয়। ক্যান্সারের শ্রেণিবিন্যাসগুলোর অন্যতম হলো TNM শ্রেণিবিন্যাস। TNM বলতে বোঝায় টিউমার, লিম্ফনোড এবং মেটাসটেসিস। TNM শ্রেণিবিন্যাসে টিউমারের অবস্থান, আকৃতি, ক্যানসার নিকটবর্তী কোনও লিম্ফনোডে বিস্তৃতি লাভ করেছে কিনা, তা দেখা হয়। আর মেটাসটেসিস বলতে ক্যানসারের ছড়িয়ে পড়াকে বোঝায়। মেটাসটেসিস কি পরিমাণ হয়েছে এবং কোথায় কোথায় হয়েছে তার ওপর চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে।

ক্যান্সারের শ্রেণিবিন্যাস এবং ক্যানসার কোন পর্যায়ে রয়েছে তা নিরূপণ করে নির্ধারণ করা হয় চিকিৎসায় কোনও রোগীর ক্ষেত্রে কি পরিমাণ বা মাত্রায় কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি প্রদান করা হবে। শুধু তাই নয়, রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপি আগে দিয়ে পরে অস্ত্রোপচার করা হয়। আবার কখনো কখনা আগে ক্যান্সারের অপারেশন করে পরে কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়।

ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি দেয়ার পর রোগীর মাথার চুল, শরীরের লোম এবং চোখের ভ্রু পড়ে যেতে পারে। কারণ কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি দেয়ার সময় ক্যানসার কোষ মারা যাওয়ার পাশাপাশি কিছু সুস্থ কোষও মারা যায়। তাই ক্যান্সারের চিকিৎসা রোগ নির্ণয়ের পর যত দ্রুত সম্ভব শুরু করা উচিত। অন্যথায় বিলম্ব হলে ক্যানসার কোষের মেটাসটেসিস বা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।


আরো পড়ুন: গর্ভবতী স্ত্রীর সাথে সহবাস ৯টি সতর্ক বার্তা


অনেক সময় মেটাসটেসিস না হয়ে মাইক্রো মেটাসটেসিস হয়ে থাকে। সেসব ক্ষেত্রেও প্রয়োজন মতো রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপি দিতে হয়। মুখের ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি হিসেবে সাইটোটক্সিক ওষুধ দেয়ার পর রোগী দিনে বহুবার বমি করতে পারে। আবার বমি বমি ভাবও হতে পারে। আর মুখের কোনো আলসারকে সন্দেহজনক মনে হলে দ্রুত আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন মুখের ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে শতভাগ রোগ নিরাময় সম্ভব।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন।

এগুলো দেখুন

কষা পায়খানা দূর করার ঘরোয়া চিকিৎসা ! কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

কষা পায়খানা দূর করার ঘরোয়া চিকিৎসা ! কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

ইদানিং দেখা যাচ্ছে ছোট থেকে বড় সকলের কোষ্ঠকাঠিন্য বা কষা পায়খানা নিয়ে চিন্তায় আছেন বা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *