জেনে নিন যৌ’নস্বাস্থ্যের ব্যাপারে নারী কেন কম কথা বলেন? আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। প্রত্যেক মানুষের জীবনে যৌ’নস্বাস্থ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে যৌ’নস্বাস্থ্য নিয়ে নারীরা এখনও তেমন মনোযোগী নন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
- আরো পড়ুন: যৌ’ন মিলন করার পূর্বে কি করবেন
- আরো পড়ুন: নারীর যৌ’নাঙ্গে ইনফেকশন হলে যা করবেন
- আরো পড়ুন: যৌ’নমি’লন কতটা নিরাপদ গর্ভাবস্থায়?
যৌ’নস্বাস্থ্যের ব্যাপারে নারী কেন কম কথা বলেন?
নারীর যৌ’নস্বাস্থ্য সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন ভেল্লা লেজার কেয়ার ও ভেল্লা এসথেটিকসের কনসালটেন্ট ডা. দিলরুবা সুলতানা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. দিলরুবা সুলতানা বলেন, ফিমেল সে’ক্সুয়াল হেলথ নিয়ে এখন পর্যন্ত আমরা দেখি না খুব ওপেনলি কেউ কথা বলছে। কিন্তু খুবই ইমপরটেন্ট একটা পার্ট ফিমেলের লাইফ সাইকেলের মধ্যে, তার সে’ক্সুয়াল হেলথ কী রকম। এটা যেমন তার মানসিক স্বাস্থ্যকে ইফেক্ট করে, সেই স’ঙ্গে তার রিলেশনশিপকেও ইফেক্ট করে। এটা হচ্ছে টোটাল পার্টনারশিপের ব্যাপার যে তার পুরুষ পার্টনার কীভাবে তার স’ঙ্গে বিহেভ করছে, পুরুষ পার্টনারের সাথে তার বন্ডিংটা কেমন।
সবকিছু কিন্তু ডিপেন্ড করে এই ব্যাপারটার ওপরে। এটা শুধু আমাদের দেশে, ব্যাপারটা এ রকম নয়। আমাদের দেশে যদিও তেমন স্টাডি নেই, কিন্তু আপনি যদি উন্নত দেশে দেখেন, সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আমেরিকার মতো দেশে মহিলারা তাদের রাইটের ব্যাপারে খুবই আউটস্পোকিং। ওদের স্টাডিতে আছে, ৪৩ শতাংশ নারীর সে’ক্সুয়াল হেলথ রিলেটেড ডিসঅর্ডারগুলো আছে। পুরুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় ৩০ শতাংশের কম।
ডা. দিলরুবা সুলতানা আরও বলেন, বাজারে যে সে’ক্সুয়াল ডিজঅর্ডারের ওষুধ আছে, পুরুষদের জন্য আছে ১১০ টা মেডিকেশন। নারীর ক্ষেত্রে কোনো মেডিসিন নেই। আমাদের দেশে ব্যাপারটা আরো ভ’য়াবহ। যেহেতু আমরা কনজারভেটিভ সোসাইটিতে থাকি, সো ফিমেলরা কমফোর্ট ফিল করে না এ ব্যাপারে কথা বলতে। দেখা যায়, মহিলারা যে রয়েছে, যে সাফার করছে, সেও কথা বলতে পারছে না হয়তো লজ্জায়। কাউকে বলতে পারছে না ফ্যামিলির কাউকে না তার ফ্রেন্ড সার্কেলকে। এমনকি ডক্টরকেও বলছে না।
- আরো পড়ুন: পুরুষের যৌ’ন অক্ষমতার কারণ, চিকিৎসা ও সচেতনতা
- আরো পড়ুন: যৌ’ন মিলনের পূর্বে যা করা প্রয়োজন
- আরো পড়ুন: যৌ’ন মিলনের প্রথম সেরা ৭টি ট্রিপস গুলো এখানে
কীভাবে আমরা সামাজিকভাবে আরো সচেতন হতে পারি, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. দিলরুবা সুলতানা বলেন, প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে এটা একটা ডিজিজ। এগুলোকে আমরা সাইকোসে’ক্সুয়াল ডিসঅর্ডার বলি। এখানে যেমন মেন্টাল হেলথ ইনভলভ, সেই সাথে দেখতে হবে ফিজিক্যালি আপনি আনফিট কি না। ফিমেল সে’ক্সুয়াল ডিজঅর্ডারের মধ্যে প্রথমেই যে ব্যাপারগুলো আসে, এর রিজনটা কী।
প্রথমে এটাকে আইডেন্টিফাই করতে হবে। তার কোনো ক্রনিক ইলনেস রয়েছে কি না, স’ঙ্গীর সাথে তার সম্পর্ক ভালো কি না, তার সাইকোলজিক্যাল কোনো ডিপ্রেশন বা স্ট্রেস রয়েছে কি না। তো সবকিছু মিলেই ব্যাপারটা হয়। কারণ, এটা শুধু শারীরিক ব্যাপার তা নয়, এখানে আবেগের ব্যাপার রয়েছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে যেটা হয়, এটা বেশি শারীরিক। নারীর ক্ষেত্রে এটা বেশি আবেগ ও মানসিক ব্যাপার।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।