জেনে নিন শীতে ত্বক ও চুলের যত্নে যা খাবেন । আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আমাদের ত্বক ও চুলের ওপর অনেক প্রভাব পড়ে। এ সময় ত্বক শুষ্ক, খসখসে ও নিষ্প্রভ হয়ে যায়। চুল হয়ে যায় রুক্ষ, নিষ্প্রাণ। মাথার ত্বকে খুশকি জন্মায়। ত্বক ও চুলের যত্নে তাই এ সময়ে প্রয়োজন পুষ্টিকর সুষম খাবার। পর্যাপ্ত পরিমানে জটিল শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ খাবার তালিকায় রাখতে হবে।
- আরো পড়ুন: পাকা আমের ফেসপ্যাক থেকে পান উজ্জ্বল ত্বক
- আরো পড়ুন: অল্প সময়ে পরিপাটি মেকআপ লুক
- আরো পড়ুন: লিচু দিয়ে রূপচর্চা
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে ত্বক ও চুলের যত্নে যা খাবেন
প্রোটিন: চুল সুন্দর ও মসৃণ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির প্রোটিনকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রতিদিন ডিম, মাছ, মাংস, বিভিন্ন প্রকারের ডাল গ্রহণ করুন। দৈনিক এক গ্লাস দুধ বা টক দই খেতে পারেন, যা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন এ: গাজর, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো, মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এগুলো নিয়মিত খেলে চুলা পড়া বন্ধ হয়। নতুন চুল গজায়।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার, ডাল, লেটুস, সবুজ শাকসবজি ও পালংশাকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আছে। শীতে ত্বকের খসখসে, শুষ্ক ভাব দূর করতে চাইলে ভিটামিন বি–এর বিকল্প নেই।
ভিটামিন সি: গাজর, টমেটো, লেবুতে ভিটামিন সি আছে, যা কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি চুলের বৃদ্ধি সাধন করে, চুলের আগা ফাটা বন্ধ করে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ই: কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, অ্যাভোকাডো, পালংশাক, বীজজাতীয় খাবারে প্রচুর ভিটামিন ই থাকে, যা সহজেই ত্বক ও চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে।
ভিটামিন কে: সবুজ শাকসবজি, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপিতে ভিটামিন কে পাওয়া যায়। ভিটামিন কে ত্বকে পুষ্টি জোগায়।
- আরো পড়ুন: ইউরোপে প্রবেশের পর কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য
- আরো পড়ুন: ইউরোপে প্রবেশ করতে যেসব ভুল করা চলবে না
- আরো পড়ুন: যুক্তরাজ্যে কেন পড়াশোনা করবেন?
জিংক: সুস্থ, সুন্দর, স্বাস্থ্যকর চুল পেতে চাইলে প্রতিদিন জিংকযুক্ত খাবার—বিভিন্ন প্রকারের বিচি, অর্গান মিট, লাল মাংস, মটরশুঁটি, ছোলা, মাশরুম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম খেতে হবে।
ওমেগা ৩: ওয়ালনাট, ফ্ল্যাক্সসিড, সামুদ্রিক মাছ, অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল ওমেগা ৩– এর উৎস। ওমেগা ৩ চুল মজবুত করে, তেমনি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আয়রন: বিটরুটে আয়রন অনেক বেশি থাকে। টিরুটের জুস খেলে রুক্ষ, শুষ্ক চুলকে করে তোলে মসৃণ। এ ছাড়া প্রচুর পানি পান করতে হবে। নিয়মিত যোগব্যায়াম ও দৈনিক আট ঘণ্টা ভালো ঘুম দিতে হবে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।