সরকারি কর্মচারীরা রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের আইন (PDF) সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ১৯৭৯, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ১৯৮৫, সরকারি চাকরি বিধিমালা pdf, সরকারী চাকুরী বিধিমালা ২০১৮ ও সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিধি-২৫ এর উপবিধি-১ অনুসারে সরকারি কর্মচারীর রাজনীতি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্পর্কিত বিধান। সম্পর্কে অনেকের অজনা। যার ফলে অনেকেই সরকারী চাকরী করার পাশাপাশী রাজনৈতি বা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পরে বিপদের সম্মূখিন হন। সরকারি কর্মচারীরা রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের আইন (PDF) পড়ুন।
এদিকে সরকার, নতুন আরো একটি বিধিমালার খসড়া তৈরি করছেন। সেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সরকারি চাকরিজীবীদের স্ত্রী বা স্বামী সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না – এমন বিধান করে নতুন বিধিমালার খসড়া তৈরি হচ্ছে৷ এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজনীতিতে যুক্ত হলে তা হবে গুরুতর অসদাচরন৷
- আরো পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিরাপত্তা দেবে এসএসএফ,সংসদে বিল পাস
- আরো পড়ুন: পরিবর্তন হচ্ছে ব্রিটিশদের ফৌজদারি নিয়ম!
- আরো পড়ুন: বাবা-মায়ের ভরণপোষণ দিতে কি সন্তান বাধ্য
সরকারি চাকরিতে থেকে সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বাংলাদেশে বিরল কোনো ঘটনা নয়৷ তাছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেয়া আজকাল স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে৷ আবার সরকারি চাকুরে পেশাজীবীরা রাজনৈতিক আদর্শের নানা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন৷ বিষয়টি এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সরকারও এটা নিয়ে বিব্রত৷ তাই সরকারি চাকরিজীবীদের আচরণ বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘সরকারি কর্মচারীদের আচরণ বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলছে৷ এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে মতামত জানতে চওয়া হয়েছে এবং তারা মতামত দিয়েছে৷ এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে৷ তাই শীঘ্রই এটা চূড়ান্ত করে নতুন গেজেট প্রকাশ করা হবে৷” তবে এর আগপর্যন্ত আগের বিধিমালা অনুযায়ী চলতে হবে।
সরকারি কর্মচারীরা রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের আইন (PDF)
প্রচলিত সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালায় সরকারি কর্মচারীদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, পরিবার পরিজনের বিষয়ে কিছু বলা নাই৷ শুধু বলা আছে যে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ত্রী বা স্বামী রাজনীতিতে জড়িত থাকলে তা সরকারকে জানাতে হবে৷ কিন্তু এই বিধান বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না৷ মন্ত্রী এমপিসহ অনেক রাজনৈতিক নেতার স্বামী বা স্ত্রী সরকারি চাকরি করলেও তাঁরা সরকারকে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাচ্ছেন না৷ এমনকি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেরাও রাজনীতিতে জড়াচ্ছেন৷ নিজের এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন, প্রভাব বিস্তার করছেন৷
- আরো পড়ুন: বিচারক কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ
- আরো পড়ুন: পর্নোগ্রাফি আইন সম্পর্কে আলোচনা ও বিচার
- আরো পড়ুন: দলিল ও খতিয়ান বিষয়ক আলোচনা
এ রকম অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে৷ আর সরকারি চাকুরেদের রাজনীতিতে এই অতি উত্সাহের লাগাম টেনে ধরতেই নতুন নীতিমালা কঠোর করা হচ্ছে৷ তবে নতুন এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে নীতিমালা তৈরির পর যাঁরা সরকারি চাকরিতে ঢুকবেন, তাঁদের জন্য৷
সরকারি কর্মচারী কোন রাজনৈতি
কোন সরকারি কর্মচারী কোন রাজনৈতিক দলের বা, রাজনৈতিক দলের কোন অঙ্গ সংগঠনের সদস্য হইতে অথবা অন্য কোনভাবে উহার সহিত যুক্ত হইতে পারিবেন না, অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করিতে বা কোন প্রকারেই সহায়তা করিতে পারিবেন না। (এসআরও নং ৩৬৮-আইন/২০০২/সম(বিধি-৪)/শৃ:আ:-১/২০০২, তারিখ: ২৯ ডিসেম্বর, ২০০২ দ্বারা উপবিধিটি প্রতিস্থাপন করা হয়।)
সরকারী কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর পিডিএফ কপি সংগ্রহে রাখতে পারেন
ডাউনলোড করুনযুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।