দুর্বা ডেস্ক : আজ আবারো হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি রেসিপির সাথে আজকে আমি আপনাদের চাল ডাল ও ডিম দিয়ে একটু ভিন্ন স্বাদের খিচুড়ি রান্না করার পদ্ধতি গুলো জানাবো, বৃষ্টির দিনে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় খিচুড়ি খেতে আমরা কমবেশি সবাই পছন্দ করি নতুন রাঁধুনি এবং ব্যাচেলর ভাইয়াদের জন্য সহজভাবে রেসিপিটি তৈরি করার পদ্ধতি গুলো জানাবো আশা করছি এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে তো চলুন জেনে নিই কিভাবে খিচুড়ি রান্না করতে হয় এজন্য প্রথমে নিয়ে নেব দুইকাপ পরিমাণে আতপ চাউল সেদ্ধ হতে চাও অথবা চিনিগুড়া চাল দিয়ে.
রেসিপিটি করে নিতে পারেন সেই সাথে লাগবে ডাল এখানে আমি একা পরিমাণে মসুরের ডাল নিয়েছি আপনারা চাইলে মুগ ডাল দিয়ে এই রেসিপিটি করে নিতে পারেন আর এখানে নিয়েছি ২ টি ডিম আমরা চাইলে তিনটা অথবা ৪ টা ডিম দিয়ে রেসিপি করতে পারেন এখানে আমি ২ টি ডিম নিয়েছি এবার অন্য একটি পাত্রে নিয়ে নিচ্ছি এর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিয়ে হাত দিয়ে কচলে কয়েকবার পানি চেঞ্জ করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে পরিষ্কার পানি বের হয়ে আসা পর্যন্ত পাঁচ থেকে ছয় বারের মত পানি চেঞ্জ করে এটাকে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেব চাল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি এবার এটাকে ১৫ মিনিটের মত ভিজিয়ে রাখব খিচুড়ি রান্না করার জন্য প্রথমে ডিমটাকে ভেজে নেবো সেজন্য চুলায় বসিয়ে দিলাম এর মধ্যে ২ টি.
চামচ পরিমাণ সয়াবিন তেল দিয়ে দিচ্ছি ছড়িয়ে দিতে হবে তখন গরম হয়ে আসবে তখন এর মধ্যে ২ টি ডিম ভেঙ্গে দিয়ে দেব তাকে এভাবে ভেঙেচুরে চুরি করে ভেজে নেব ফ্রাইড রাইস রান্না করার জন্য দিনটাকে যেমন করে চুরি করি ঠিক তেমনি করব ডিমটাকে এভাবে হাতল দিয়ে ভেঙে জুরি জুরি করে নিতে হবে চুলটুল এর মাঝামাঝি রেখে ডিমটাকে ভাজতে হবে খেয়াল রাখবেন তা যেন পুড়ে না যায় ডিম ভাজা হয়ে গিয়েছে এবার চুলা থেকে নামিয়ে নেব খিচুড়ি রান্না করার জন্য এরকম একটি পাত্র বসিয়ে ওয়ার্ড কাপ পরিমাণ সয়াবিন তেল দিয়ে দিচ্ছি আপনার চাইলে সরিষার তেল দিয়ে রেসিপি করতে পারেন এতে খিচুড়ি খেতে বেশি ভালো.
এবারের মতি দিয়ে দিচ্ছি দুইটা তেজপাতা তিনটা এলাচ ও দুই টুকরো দারুচিনি গুঁড়া মসলা গুলোকে কয়েক সেকেন্ড বেছে নেব তারপর এর মধ্যে দিয়ে দিচ্ছি একটা পরিমাণে পেঁয়াজকুচি এবার পেজটাকে হালকা ব্রাউন কালার করে বেছে নেব তবে খুব বেশী ভাসতে যাবেন না তাহলে খিচুড়ির কালার টা নষ্ট হয়ে যাবে তাই পেজটাকে হালকা করে ভেজে নিতে হবে পেঁয়াজ টা যাতে পড়ে না যায় সে জন্য সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে দিলাম এবার এর মধ্যে দিয়ে দিচ্ছি এক টেবিল চামচ পরিমাণ আদা রসুন বাটা আদা রসুন তাকে খুব ভাল করে ভেজে নেবে যাতে করে আদা রসুন থেকে কাছাকাছি চলে যায় এবার দিয়ে দিচ্ছে হাফ চা চামচ পরিমাণ হলুদের গুরা হলুদের গুরা যতটা সম্ভব কম দিবেন.
দি দিছি একটা চামচ পরিমাণে মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ ধনিয়ার গুড়া ১ চা চামচ পরিমাণে ভাজা জিরার গুড়া দিয়ে দিচ্ছি স্বাদমতো লবণ কাঁচামরিচ ফালি এবার সবকিছু ভালো করে মিশিয়ে নেব খুব ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে মসলা টাকে ভালো করে কষিয়ে নেওয়ার জন্য এর মধ্যে সামান্য পরিমাণে পানি দিয়ে দিচ্ছি পানির সাথে ভাল করে মিশিয়ে আরো কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন কষানো হয়ে তেল উপরে ভেসে উঠবে তখন এর মধ্যে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখা চাল ডাল দিয়ে দিচ্ছি চালডাল ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়েছিলাম এবার মসলার সাথে ভাল করে মিশিয়ে.
চাল এবং ডালটাকে ১৫ মিনিটের মত ভেবে নেবো.
চার্জ থাকে এমন ভাবে বাঁচতে হবে যাতে করে পাত্রের ভিতর একটা সন্তান শব্দ করে চাল ভালো করে ভাজা হয়ে আসলে তখন এর মধ্যে ৬ কোয়া পরিমাণে গরম পানি দিয়ে দিচ্ছি এখানে দুই কাপ চা এবং এককাপ পরিমাণে ডালের জন্য ৬ কোয়া পরিমাণে পানি নিয়েছি এবার সব কিছু ভাল করে মিশিয়ে নেব মোটকথা চাল-ডাল যতটুকু নিবেন পানি ডাক্তার ডাবল নিতে হবে আমি তিন কাপ চাল-ডালের জন্য ৬ কোয়াপরিমাণে পানি নিয়েছি এখানে অবশ্যই গরম পানি ব্যবহার করবেন এখন ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিতে হবে ১০ মিনিটের জন্য সময় চুল এক সাইডে রাখতে হবে এই ১০ মিনিটের ভিতরে মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে একটু নেড়েচেড়ে দিতে হবে.
না হয় তলানীতে লেগে যেতে পারে ফিরে আসলাম ১০ মিনিট পর দেখুন পানি শুকিয়ে গিয়েছে তার আগে আমি চুলার উপরে একটি তাওয়া বসিয়ে দিয়েছি এখন আবারও লোহিত ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দমে রেখে দেবো ১০ মিনিটের জন্য দেখুন খিচুড়িটা প্রায় হয়ে এসেছে এবং অনেকটা ঝরঝরে হয়েছে এখন এরমধ্যে অ্যাড করে দিচ্ছি চার থেকে পাঁচটি আস্ত কাঁচামরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ পরিমাণ এর ধনিয়া পাতা কুচি ২ টেবিল চামচ পরিমাণ.
সবশেষে ভেজে রাখা ডিম দিয়ে দিচ্ছি এবার সবগুলো উপকরণ খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে আবারো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিতে হবে পাঁচ থেকে ছয় মিনিটের মত ফিরে আসলাম ৫ মিনিট পর দেখুন আমার খিচুড়ি রান্না হয়ে গিয়েছে এখন চুলা বন্ধ করে পরিবেশনের চলে যাচ্ছি আশা করছি এই সহজ খিচুড়ি রেসিপি টি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ভাল লাগলে অবশ্যই একটা লাইক দিবেন বন্ধুদের সাথে বেশি বেশি করে শেয়ার করবেন ।