৫ মিনিটে নিজেই খুলুন e-TIN সার্টিফিকেট

৫ মিনিটে নিজেই খুলুন e-TIN সার্টিফিকেট ।। আজকে আমরা আলোচনা করবো মাত্র ৫ মিনিটে কিভাবে টিন বা e-TIN সার্টিফিকেট খুলবেন। এছাড়া আরো আলোচনা করবো কেন e-TIN সার্টিফিকেট খুলবেন এবং এর প্রয়োজনীয়তা কি।

টিন কেন প্রয়োজন?

  1.  আমদানি করার ক্ষেত্রে আমদানিপত্র রেজিস্ট্রেশন করার জন্য।
  2.  বিভাগীয় জেলা শহর অথবা পৌরসভায় ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য।
  3.  মাল সরবরাহ, চুক্তিনামা অথবা অন্যান্য যেকোনো বাণিজ্যের দরপত্রের জন্য।
  4.  সাধারণ বীমা তালিকাভুক্তকরণ অথবা লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য।
  5. এক লাখ টাকার ওপরে সিটি করপোরেশনভুক্ত অঞ্চলে যেকোনো জমি বা ভবন রেজিস্ট্রেশনের জন্য।
  6.  ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে।
  7. কম্পানি রেজিস্ট্রেশনের জন্য।
  8.  ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য।
  9.  যেকোনো ব্যবসায়িক সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য কিংবা সদস্যপদ নবায়ন করার জন্য।
  10. আইএসডি টেলিফোন সংযোগের জন্য।
  11. মুসলিম বিবাহ ও তালাকনামা রেজিস্ট্রেশনের জন্য।
  12. কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা জমা দেওয়ার জন্য।
  13. গাড়ি, জিপ অথবা মাইক্রোবাসের রেজিস্ট্রেশন কিংবা মালিকানা পরিবর্তন ও ফিটনেস লাইসেন্সের জন্য।
  14. কোনো ব্যক্তির কমার্শিয়াল ব্যাংক অথবা লিজিং কম্পানি থেকে ঋণ গ্রহণ অথবা ঋণ অনুমোদনের জন্য।

টিন গ্রহণকারী হিসেবে আপনার সুবিধা

  1. কর-সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে আপনি নিজেই উপস্থিত থাকতে পারবেন।
  2. কর্তৃপক্ষ কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে আপনি তার বিপরীতে কোনো আবেদন করার অধিকার রাখেন।
  3. কর্তৃপক্ষ সব বিষয়ে আপনাকে তথ্য প্রদানে বাধ্য থাকবে।
  4. আপনাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভাউচার প্রদান করা হবে।
  5. টিন-সংক্রান্ত যথাযথ নীতিমালা থাকায় আপনি আশঙ্কামুক্ত থাকবেন।

যে বাধ্যবাধকতা পালন করতে হবে

  1.  কর প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া কর পরিশোধ করতে হবে।
  2.  আপনার আয় দুই লাখ টাকার ওপরে হলে আপনাকে আয়ের চতুর্থাংশের এক ভাগ অগ্রিম কর প্রদান করতে হবে।
  3. একজন টিন গ্রহণকারীকে অবশ্যই তাঁর সম্পত্তি এবং দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে।
  4. আপনার ব্যক্তিগত আয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে হবে।
  5. ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য সঠিক হতে হবে।
  6. আপনার টিন সার্টিফিকেট অনুমোদন, চুক্তিনামা হিসাবসংক্রান্ত তথ্য আইন অনুযায়ী হবে।
  7. ব্যবসাসংক্রান্ত বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই টিন সার্টিফিকেট প্রদর্শন করতে হবে।

ই-টিন কি?

  1. সরকার করদাতা হিসাবে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজতর করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-টিআইএন (e-TIN) রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি প্রবর্তন করেছে।
  2. এ পদ্ধতিতে কয়েকটি সহজ ধাপ শেষ করে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি একটি নতুন টিআইএন সার্টিফিকেট পেতে পারেন।
  3. বর্তমানে যাদের টিআইএন আছে, তাঁদেরকেও নতুন পদ্ধতির টিআইএন এর জন্য রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
  4. e-TIN করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল ফোন নম্বর ও কোম্পানীর ক্ষেত্রে RJSC এর নিবন্ধন নম্বর প্রয়োজন হয়।

e-Tin প্রাপ্তির নিয়ম

নতুন পদ্ধতিতে টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশনের শুরুতে প্রত্যেককে প্রথমে অ্যাকাউন্ট তৈরী করে নিতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরীর নিয়ম নিচে দেওয়া হলো।

  1. প্রথমে আপনার রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরকারের নির্ধারিত ওয়েবসাইটটে প্রবেশ করতে হবে।
  2. হোমপজের Register বাটনে ক্লিক করলে ‘রেজিস্ট্রেশন’ ফরম ওপেন হবে। ফরমের নির্ধারিত শুন্যস্থানগুলো পূরণ শেষে Register বাটনে ক্লিক করুন।
  3. ফরমে প্রদানকৃত আপনার মুঠোফোন নম্বরে তাৎক্ষনিকভাবে একটি কোর্ড পৌছে যাবে।
  4. পর্দায় প্রদর্শিত ডায়ালগ বক্সে মুঠোফোনে প্রেরণকৃত কোডটি প্রদান করুন।

এরপর Register বাটনে ক্লিক করলেই পর্দায় দেখতে পাবেন।“Welcome to Taxpayer’s Identification Number (TIN) Registration/Re- Registration”

বাংলাদেশী স্থায়ী বাসীন্দাদের জন্য টিআইএন (TIN) রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিষ্ট্রেশনের নিয়মঃ

TIN Application মেন্যুতে ক্লিক করুন। এবার Registration/Re- Registration ফরমে প্রদর্শিত শূন্যস্থান পূরণ করে Go to Next চাপুন।নূতন টিন করত Registration বাটনে এবং পুরাতন টিন রি রেজিষ্ট্রেশন করতে Re- Registration বাটনে ক্লিক করুন।

Basic Information ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করে Go to Next বাটনে ক্লিক করুন।

Final preview তে ফরমে প্রদর্শিত আপনার দেয়া তথ্যগুলো সঠিক আছে কিনা, তা শেষবারের মতো যাচাই করুন । সবকিছু ঠিক থাকলে, Final preview এর একেবারে নীচে চেক বক্সে টিক চিহ্ন দিন।

এরপর Submit Application বাটনে ক্লিক করলেই রেজিস্ট্রেশন/রি-রেজিস্ট্রেশনকারী নতুন টিআইএন পাবেন। তবে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপাপ্তবয়স্ক আবেদনকারী , যার জাতীয় পরিচিতি নম্বর নেই এবং যিনি পাসপোর্টের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন/রি-রেজিস্ট্রেশন করতে চান, তিনি একটি Ticket পাবেন।

Ticket প্রিন্ট করে তাতে উল্লিখিত নিয়ম অনুসরন করে টিকেটে উল্লেখিত আয়কর কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।

লিমিটেড কোম্পানীসহ রেজিষ্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস ( RJSC) এ রেজিষ্ট্রেশনকৃত এবং অ-রেজিস্ট্রেশনকৃত ফার্মের ক্ষেত্রে টিআইএন রেজিষ্ট্রেশন ও রি-রেজিষ্ট্রেশনের নিয়মঃ

উপরের বর্ণিত নিয়মেই আপনার নিজের নামের জায়গায় প্রতিষ্ঠানের নাম ‍দিন। প্রতিষ্ঠানের ধরণ সিলেক্ট করে RJSC তে রেজিষ্ট্রেশনকৃত নং টি ব্যবহার করুন।

Final preview তে ফরমে প্রদর্শিত আপনার দেয়া তথ্যগুলো সঠিক আছে কিনা , তা শেষবারের মতো যাচাই করুন । সবকিছু ঠিক থাকলে, Final preview এর একেবারে নীচে চেক বক্সে টিক চিহ্ন দিন।

সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আবেদনকারী কোম্পানী/ফার্ম নতুন টিআইন সম্বলিত সার্টিফিকেট পাবেন।

আরো পড়ুন:স্মার্টফোন দিয়েই চোখের পরীক্ষা করা যাবে

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন।

এগুলো দেখুন

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া প্রোফাইল চিনবেন যেভাবে

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া প্রোফাইল চিনবেন যেভাবে

জেনে নিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া প্রোফাইল চিনবেন যেভাবে। আসুন এ বিষয়ে আলোচনা করে আজকে বিস্তারিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *