যে জিকিরের পুরস্কার আল্লাহ নিজে দেবেন

জেনে নিন যে জিকিরের পুরস্কার আল্লাহ নিজে দেবেন । আসুন এ সম্পর্কে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। এক বান্দা আল্লাহর সম্মান ও মর্যাদার তারিফ করেন; যা শুনে ফেরেশতারা আশ্চর্য হয়ে যান। তার এ প্রশংসার বিনিময় কী লিখবেন তা নিয়েও তারা হতবাক হয়ে যান। সে সময় মহান প্রভু ফেরেশতাদের ডেকে বলেন, তোমরা আমার বান্দার বাক্যগুলো লিখে রাখ; আমি নিজে তাকে এর প্রতিদান দেব। সেই মর্যাদার প্রশংসামূলক বাক্যগুলো কী?



যে জিকিরের পুরস্কার আল্লাহ নিজে দেবেন

ফেরেশতাদের কাছে জিকিরের কথা শুনে মহান আল্লাহ তাআলা জানতে চান, আমার বান্দা কী প্রশংসা করেছেন। যদিও তা তিনি জানেন। আর তাহলো-

يَا رَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِي لِجَلاَلِ وَجْهِكَ وَعَظِيمِ سُلْطَانِكَ ‏

উচ্চারণ:ইয়া রাব্বি লাকাল হামদু কামা ইয়ামবাগি লিঝালালি ওয়াঝহিকা ওয়া আজিমি সুলত্বানিকা।’

অর্থ: ‘হে প্রভু! তোমার মহিমান্বিত চেহারার এবং তোমার মহান রাজত্বের উপযোগী প্রশংসা তোমার জন্য।’

হাদিসের পুরো বর্ণনাটি হলো-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর বান্দাগণের মধ্যে এক বান্দা বললো-

يَا رَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِي لِجَلاَلِ وَجْهِكَ وَعَظِيمِ سُلْطَانِكَ ‏

উচ্চারণ: ‘ইয়া রাব্বি লাকাল হামদু কামা ইয়ামবাগি লিঝালালি ওয়াঝহিকা ওয়া আজিমি সুলত্বানিকা।’

অর্থাৎ ‘হে প্রভু! আপনার মহিমান্বিত চেহারার এবং আপনার মহান রাজত্বের উপযোগী প্রশংসা আপনার জন্য’ দুইজন ফেরেশতা একথা শুনে হতবাক হলেন এবং তারা ঠিক বুঝে উঠতে পারলেন না যে, তা কীভাবে লিপিবদ্ধ করবেন। তাই তারা আসমানে আরোহণ করে বলেন, হে আমাদের প্রভু! আপনার এক বান্দা এমন একটি বাক্য বলেছে, যা আমরা কীভাবে লিখবো তা বুঝে উঠতে পারছি না।

মহান আল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন- ‘আমার বান্দা কী বলেছে?’ যদিও তাঁর বান্দা যা বলেছে তা তিনি সম্যক অবগত। ফেরেশতাদ্বয় বলেন, হে আমাদের প্রভু! সে বলেছে-

يَا رَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِي لِجَلاَلِ وَجْهِكَ وَعَظِيمِ سُلْطَانِكَ ‏

উচ্চারণ: ‘ইয়া রাব্বি লাকাল হামদু কামা ইয়ামবাগি লিঝালালি ওয়াঝহিকা ওয়া আজিমি সুলত্বানিকা।’

অর্থ: ‘হে প্রভু! তোমার মহিমান্বিত চেহারার এবং তোমার মহান রাজত্বের উপযোগী প্রশংসা তোমার জন্য।’



মহান আল্লাহ তাআলা তাদেরকে বলেন, আমার বান্দা যেভাবে বলেছে, সেভাবেই লিখে রাখো। (পরকালে) আমার সঙ্গে (একান্ত) সাক্ষাতের সময় আমি তাকে তার বিনিময় দান করবো।’ (ইবনে মাজাহ)

অনেকে বলে থাকেন, আল্লাহর প্রিয় বান্দারা এ জিকির বা তাসবিহটি রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকেন।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, তাৎপর্যপূর্ণ জিকিরটি পড়ে পরকালের বিশেষ দিনে এ আমলের বিশেষ প্রতিদান পাওয়ার চেষ্টা করা। নামাজের রুকু থেকে দাঁড়িয়ে মহান রবের জন্য এ প্রশংসা পড়া। এছাড়াও যখনই প্রশংসা করার সুযোগ হয় তখনই এ প্রশংসায় নিয়োজিত হওয়া।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে শেখানো জিকিরটি যথাযথভাবে করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। মহান রবের কাছ থেকে সরাসরি প্রতিদান পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

সালাতুত তাসবিহ পড়ার নিয়ম

ফজরের জামাত চলা অবস্থায় সুন্নত পড়া যাবে?

জেনে নিন ফজরের জামাত চলা অবস্থায় সুন্নত পড়া যাবে? আসুন এ বিষয়ে কোরআনে কি বলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *