ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে যা জানা প্রয়োজন:
এক গভেষনায় দেখা গেছে প্রায় ৯০% নতুনরা ইউটিউব এর দেওয়া ১০০০ সাবসক্রাইবার ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম এর শর্ত পূরণ করতে পারেনা আর এর কারন হচ্ছে সঠিক পদ্ধতিতে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে ধারনা না থাকা।
আর এর জন্য দায়ী তারা নিজেরাই। কারন তারা সঠিক পদ্ধতিতে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেনা।
ইউটিউব এর বিভিন্ন ভিডিও দেখে ইউটিউব চ্যানেল খুললেও তাদের চ্যানেল র্যাংক করেনা বা সার্চ করলে তাদের চ্যানেল খুজে পাওয়া যায় না।
এর কারন একটাই তা হলো – সঠিক পদ্ধতিতে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম ফলো করেনি।
” কিভাবে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলব ? ” – লিখে ইউটিউবে সার্চ করলে হাজার হাজার ভিডিও পাওয়া যায়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও বলতে হচ্ছে, এই হাজার হাজার ভিডিওর মধ্যে কিছু সংখ্যক ভিডিও ছাড়া কেউই সঠিক পদ্ধতিতে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম দেখাতে পারেনা।
তাই আজকে আমি আপনাদের শেখাব ইউটিউব চ্যানেল সম্পর্কে সঠিক পদ্ধতিতে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম:
মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
আপনি যখন কম্পিউটার বা ল্যাপটপের কোন ব্রাউজারে ইউটিউব ওপেন করেন তখন একরকম লাগে। আবার যখন মোবাইল দিয়ে ইউটিউব ওপেন করেন তখন কিছুটা তারতম্য লক্ষ করা যায়।
সেজন্যেই কম্পিউটার মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম এবং মোবাইলে কিভাবে খুলতে হয় তা আলাদা ভাবে দেখানো হবে।
এই ব্লগে আমরা দেখাবো কিভাবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম।
আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম জানতে durba.tv ওয়েবসাইটের দৈনিক আপডেটের সাথে যুক্ত থাকতে পারেন।
আমরা দুইভাবেই ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম দেখাবো।
আসলে প্রায় একই শুধু সেটিংস এ কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। তবে যে পদ্ধতিটা আপনার কাছে সহজ মনে হবে আপনি সেটা ব্যবহার করে নিজের জন্য একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিতে পারেন।
কম্পিউটারের সাহায্যে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়মঃ
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম ২০২২
ইউটিউব ব্যবহার করতে হলে একটা জিমেইল একাউন্ট লাগবেই। যদি না থাকে তাহলে একটা জিমেইল আইডি তৈরি করে নিন।
এবার আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে গুগোল ক্রোম বা অন্য যে কোন একটি ব্রাউজার ওপেন করে এড্রেসবারে গিয়ে www.youtube.com লিখে ইউটিউবে ঢুকুন।
এবার ইউটিউব হোম পেইজে ডান কোনায় Sign in বাটনে ক্লিক করে আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে সাইন ইন করুন।
সাইন করার পরে সেই জায়গায় আপনার জিমেইলের একাউন্টের প্রোফাইল শো করবে। যেমনটা নিচে দেখতে পাচ্ছেন। এবার আপনার জিমেইল একাউন্টের প্রোফাইলের উপর ক্লিক করুন।
প্রথমেই Create a channel অপশনটি পাবেন অথবা ড্রপ ডাউন মেন্যুর নিচের দিকে Settings অপশনে ক্লিক করুন।
এবার আপনি নিচের ছবির মতো উইন্ডো পাবেন। এখানে আপনি আপনার সমস্ত চ্যানেলের (যদি আগের তৈরি করা চ্যানেল থাকে) তালিকা দেখতে পাবেন। এখানে Your Channel ট্যাবে Create a channel অপশনে ক্লিক করুন।
Create a channel এ ক্লিক করার পরা আপনাকে অন্য একটি পেইজে নিয়ে যাবে। যেখানে আপনি চ্যানেলের নাম চ্যানেলের পিকচার আপলোড দেওয়ার অপশন পাবেন। দেখতে নিচের ছবির মতো দেখাবে।
চ্যানেলের নাম চ্যানেলের পিকচার আপলোড দেওয়ার পরে Create channel অপশনে ক্লিক করুন।
তারপর আপনার চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে এবং এখন কাস্টোমাইজ করতে হবে যা একটি নতুন চ্যানেলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন এবার কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল কাস্টোমাইজ করব তা দেখা যাক।
ইউটিউব চ্যানেল সেটিং ও কাস্টোমাইজেশন:
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম ২০২২
এবার পূনরায় আপনার ইউটিউব একাউন্টের প্রোফাইল আইকন এর উপর ক্লিক করুন।
দেখতে পাবেন যেখানে একটু আগে Create Channel অপশন ছিলো সেখানে Your Channel নামের একটি অপশন চলে আসছে। এখন Your Channel নামের একটি অপশনে ক্লিক করুন।
তারপর নিচের ছবির মতো একটি পেইজ চলে আসবে।
এবার CUSTOMIZE CHANNEL অপশনটিতে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনি যেই পেইজটি দেখতে পাবেন তা হলো ইউটিউব স্টূডিও এর পেইজ। এখানেই সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
এবার নিচের ছবির মতো Basic info অপশনে ক্লিক করুন এবং Description এর বক্সে কি সম্পর্কে আপনার চ্যানেল তা ৩-৪ লাইনের মধ্যে লিখুন।
তারপর নিচের Add Language অপশনে ক্লিক করুন এবং আপনি যে ভাষায় ভিডিও করেন সে ভাষা এড করুন।
ইউটিউব চ্যানেল সেটিং
প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
এরপর বা পাশে Setting নামের অপশনে ক্লিক করবেন এবং একটি নতুন পপ আপ আপনার সামনে শো হবে যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপশন দেখতে পাবেন।
সেটিং অপশন ক্লিক করার পর নিচের ছবির মতো General, Channel সহ আরও কিছু অপশন পাবেন।
সেখান থেকে Channel অপশনে ক্লিক করুন এবং Basic info ক্লিক করুন। এরপর আপনি কোন দেশের নাগরিক সে দেশ সিলেক্ট করবেন। এবং Keywords এর বক্সে চ্যানেল এর সাথে সম্পর্কিত কিছু কিওয়ার্ড দিয়ে সেইভ এ ক্লিক করুন।
কিওয়ার্ড গুলো অবশ্যই চ্যানেল রিলেটেড হতে হবে। যেমন ধরুন, আমার একটি কার্টুন চ্যানেল আছে তো আমার কিওয়ার্ড হতে পারে,
- কার্টুন এনিমেশন।
- কার্টুন বাংলা।
- বাংলা ফানি কার্টুন।
- ফানি কার্টুন এনিমেশন।
- কার্টুন বাংলা ডাবিং ও ইংলিশ সাবটাইটেল।
এরপর আপনি উপরের Advance Setting এ চলে যান। সেখানে আপনি দেখতে পাবেন কিছু নির্ধারিত অপশন।
যদি আপনার চ্যানেলের ভিডিও বাচ্চাদের জন্য হয়ে থাকে তাহলে আপনি Yes it’s for kid এ ক্লিক করুন।
আর যদি বাচ্চাদের জন্য আপনার চ্যানেল এর ভিডিও গুলো না হয় তাহলে No it’s not for kid এ ক্লিক করুন।
এরপর General অপশন এ ক্লিক করুন।
আপনার পেমেন্ট মেথড ডলার সিলেক্ট করে বা পাশে নিচে Save এ ক্লিক করুন।
আপনার সেটিং’স এর কাজ শেষ।
গুরুত্বপূর্ণ কথা:
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস।
একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর আপনার সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে তা হচ্ছে কাস্টোমাইজেশন।
কারন কাস্টোমাইজেশন এ আপনাকে চ্যানেল এর টাইটেল, ডিসক্রিপশন, এসইও রিলেটেড কিওয়ার্ড, ট্যাগ ইত্যাদির ব্যবহার করতে হবে।
যার মাধ্যমে আপনার চ্যানেল এর নাম অনুযায়ী ইউটিউব চ্যানেলটি সার্চ লিস্টের টপে থাকে।
ভিডিও আপলোড করার আগে মাথায় রাখবেন এসইও এর কথা।
প্রত্যেকটি ভিডিও এসইও করে আপলোড করতে হবে যার মাধ্যমে আপনার ভিডিওগুলো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে। যার ফলে চ্যানেল এর রিচ বাড়বে।
প্রত্যেকটি ভিডিওর পিছনে সর্বনিম্ন ১-২ ঘন্টা সময় দিবেন শুধু এসইও করতে।
এসইও এর জন্য গুগোল এর সাহায্য নিতে পারেন।
অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রি টুলস পাওয়া যায় যার মাধ্যমে আপনি সহজেই ভিডিওর জন্য কিওয়ার্ড এবং ট্যাগ সমূহ রিসার্স করে সংগ্রহ করে নিতে পারেন।
তাছাড়াও আপনার পরিশ্রম এবং অনেক সময় দিতে হবে প্রত্যেকটি কনটেন্ট এর উপর।
মনে রাখবেন ১ দিন বা ২ দিনে কখনওই লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব না। সফলতা পাওয়ার জন্য সময় এবং পরিশ্রমের বলিদান দিতে হয়।
এই টপিকের কোন প্রশ্ন থাকলে এবং আমাদের সর্ম্পকে যেকোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের সাথে ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
স্যার, ইউটিউব চ্যানেল এসইও করবো কিভাবে? তার ব্লগ দেন।
স্যার ইউটিউব ভিডিও কিভাবে এসইও করবো তার একটা ব্লগ দেন।