স্টাফ রিপোর্টার :: আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। আজ (মঙ্গলবার ১১ মে) ১০টা থেকেই বিভিন্ন ব্যাংকে প্রবেশের জন্য লাইন ধরে দাঁড়ান গ্রাহকরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে লাইন দীর্ঘ হয়।
একে তো সীমিত পরিসরের ব্যাংকিং, সেই সাথে ঈদের কেনাকাটা যুক্ত হওয়ায় ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য গ্রাহকের বাড়তি চাপ রয়েছে। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, আর ব্যাংকের ভেতরে তাদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সরেজমিন রাজধানীর কয়েকটি ব্যাংক ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরে ২ পাশে মানুষের দীর্ঘ লাইন। চেক হাতে দাঁড়িয়ে থেকে সবার অপেক্ষা কখন ভেতর থেকে ডাক আসবে। এছাড়া দ্রুত টাকা তুলে বের হওয়ার তোড়জোড় আছেই। একসাথে অনেক লোক গাদাগাদি করে দাড়ানোর কারণে উপেক্ষিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি।
ধানমন্ডির ডাচ বাংলা ব্যাংকের গেটে দাড়িয়ে থাকা সকলের মুখে মাস্ক ছিলো। কিন্তু দূরত্বের বালাই ছিলো না। ইসলামিক ব্যাংকে দাড়িয়ে থাকা শাহিনুর লিটন নামে একজন বলেন, আমরা ব্যাংকে টাকা তুলতে এসেছি জরুরী প্রয়োজনেই। রোজা থেকে দাড়িয়ে আছি প্রায় এক ঘন্টা। তবে দূঃখের বিষয় আমার পরে এসেও অনেক লোক আগে ঢুকে যাচ্ছে।
ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদকেন্দ্রিক গ্রাহকদের উপস্থিতি বেশি। গ্রাহকের বেশিরভাগই নগদ টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে এসেছেন। ঈদ যে দিনই হোক, আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ মে ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকের কথা চিন্তা করে আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার ব্যাংক খোলা থাকবে।
দীর্ঘদিনের রেওয়াজ হলো, ঈদের আগের দিন ব্যাংক বন্ধ থাকে। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রম হয়েছে। ঈদ ১৩ তারিখ হলেও তার আগের দিন ব্যাংক খোলা থাকবে। ফলে ঈদের আগে আর মাত্র এক দিন (বুধবার) ব্যাংক খোলা থাকছে।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবার ঈদের ছুটি তিনদিনের বেশি দেয়া হবে না বলে আগে থেকেই নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এছাড়া এবার ঈদের ছুটিতে সবাইকে কর্মস্থলে ঈদ উদযাপন করতে বলা হয়েছে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।