জেনে নিন বয়স বাড়লে ঘন ঘন প্রস্রাব হয় কেন? আসুন এ সম্পর্কে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। শরীরের অতিরিক্ত বর্জ্য প্রস্রাব হয়ে বেরিয়ে আসে। মূলত এই কাজটির অনুঘটক কিডনি। মূত্রতন্ত্র এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। একজন স্বাভাবিক মানুষের দিনে নিদেনপক্ষে ৫ বার প্রস্রাব হয়ে থাকে। এর কমবেশি হলে বুঝতে হবে শরীরে কোনও না কোনও সমস্যা রয়েছে।
- আরো পড়ুন: শীতে ফুসফুসের নানা সমস্যার সমাধান হবে ৫ খাবারে
- আরো পড়ুন: অতিরিক্ত পালং শাক খেলে যে ৪ ক্ষতিকর
- আরো পড়ুন: শীতে যন্ত্রণাদায়ক সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির ৭ উপায়
বয়স বাড়লে ঘন ঘন প্রস্রাব হয় কেন?
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রস্রাব বেশি হয়ে থাকে। আবার বয়স বাড়লে প্রস্রাবের ঘনত্ব বাড়ে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. সোহরাব হোসেন সৌরভ।
মানব শরীরে পানি ও লবণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কিডনি-মূত্রতন্ত্র বিশেষ অবদান রাখে। বর্জ্য নিঃসরণে মূত্রতন্ত্রের অপর্যাপ্ত ক্ষমতা বা অক্ষমতায় এসব বর্জ্য শরীরে জমা হয়ে আমাদের শরীরের সুস্থ আবহকে বিঘ্নিত করে।
একজন মানুষ ২৪ ঘণ্টায় সাধারণত ২ দশমিক ৫ থেকে ৩ লিটার পানি বা পানীয় পান করে থাকেন। কিডনির কাজ করার ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকলে, পারিপার্শ্বিক আবহাওয়ার খুব বড় তারতম্য না হলে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫০০ সিসি প্রস্রাব কিডনি তৈরি করে থাকে।
শরীরের সব বর্জ্য যে প্রস্রাবের সাথে বের হয় তা নয়। কিছু পানি ঘাম আকারে, কিছু পানি শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে, কিছু পানি মলের সাথে বের হয়ে যায়।
যেহেতু আমাদের প্রস্রাবের থলির স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা ৩০০ সিসি, তাই স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষ ২৪ ঘণ্টায় ৫ বার প্রস্রাব করে থাকে। সাধারণত দিনে ৪ বার আর রাতে ১ বার।
- আরো পড়ুন: প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করুন ঘরে বসেই – জানুন এ টু জেড
- আরো পড়ুন: গর্ভবতী মায়েরদের এই ৫টি বিপদ থেকে সাবধান
- আরো পড়ুন: গর্ভকালীন গোপনাঙ্গের যত্ন নেওয়ার ৯টি গোপন কথা
নানাবিধ স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক কারণে বারবার প্রস্রাবের প্রবণতা দেখা দিতে পারে, আবার কমেও যেতে পারে। যদি আমরা অতিরিক্ত পানি বা তরলজাতীয় খাবার খাই, তবে প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি হয়, বারবার প্রস্রাব হয়। বারবার প্রস্রাব হয় ডায়াবেটিসেও।
অন্যদিকে পুরুষের ক্ষেত্রে বয়োবৃদ্ধির সাথে বয়সজনিত স্বাভাবিক পরিবর্তন হিসেবেই বৃদ্ধি ঘটে প্রোস্টেট গ্রন্থির। প্রোস্টেট গ্রন্থি প্রস্রাব প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করে। ফলে প্রস্রাবের থলি সব সময় সম্পূর্ণ খালি হয় না।
আর বৃদ্ধি পাওয়া প্রোস্টেট সৃষ্টি করে প্রস্রাবের থলির মুখে এক ধরনের অস্বস্তি। বয়োবৃদ্ধির কারণে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার প্রস্রাবের থলিরই ধারণক্ষমতা কমে যায়। বারবার প্রস্রাব করার প্রবণতা বেড়ে যায়।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।