(PDF) অষ্টম শ্রেণি:রোস্তম‘র অনুধাবনমূলক-দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর

(PDF) অষ্টম শ্রেণি:রোস্তম‘র অনুধাবনমূলক-দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর

অষ্টম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা: আজ বাংলা ১ম পত্রের ‘সোহরাব রোস্তম এর  অনুধাবনমূলক-দক্ষতাস্তরের প্রশ্নোত্তর’ ফ্রি পিডিএফ ফাইলসহ দেওয়া হলো। সুবিধা মতো পড়ার জন্য নিচে লিংক দেওয়া আছে। প্রয়োজনে ফ্রি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারবে।

সোহরাব রোস্তম
মূল : মহাকবি আবুল কাসেম ফেরদৌসী
রূপান্তর : মমতাজউদদীন আহমেদ

অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ সি-মোরগ কী?
উত্তর : সি-মোরগ হচ্ছে এক প্রজাতির পাখি।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ ফেরিদুর কোন দেশের রাজা ছিলেন?
উত্তর : ফেরিদুর ইরান দেশের রাজা ছিলেন।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ শাম কোন রাজার সৈন্যদলের নামকরা যোদ্ধা ছিলেন?
উত্তর : শাম রাজা মনুচেহের সৈন্যদলের নামকরা যোদ্ধা ছিলেন।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ বীরযোদ্ধা শামের মনে দুঃখ ছিল কেন?
উত্তর : পুত্রসন্তান না থাকার কারণে বীরযোদ্ধা শামের মনে দুঃখ ছিল।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ শাম নিজ পুত্র জালকে কোথায় ফেলে আসলেন?
উত্তর : শাম নিজ পুত্র জালকে আলবুরুজ পর্বতে ফেলে আসলেন।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ বাদশা মনুচেহ জালকে কী উপহার দিলেন?
উত্তর : বাদশা মনুচেহ জালকে তেজি ঘোড়া উপহার দিলেন।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ জাবুলিস্তান আক্রমণের জন্য রোস্তম কেমন পোশাক পরিধান করেছিলেন।
উত্তর : জাবুলিস্তান আক্রমণের জন্য রোস্তম রংধনু রঙের রেশমি পোশাক পরিধান করেছিলেন।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ রাজা কায়কাউস দৈত্যদের রাজ্য জয় করতে গিয়েছিলেন কেন?
উত্তর : চাটুকারদের প্রশংসায় বিভ্রান্ত হয়ে রাজা কায়কাউস দৈত্যদের রাজ্য জয় করতে গিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ তুরানের রাজপ্রাসাদে রোস্তম বিমোহিত হয়েছিলেন কেন?
উত্তর : তুরানের রাজপ্রাসাদে স্নিগ্ধ সরল সুন্দরীর রূপমাধুর্যে রোস্তম বিমোহিত হয়েছিলেন।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ মহাবীর রোস্তম কী দিয়ে প্রাতরাশ সম্পন্ন করতেন?
উত্তর : মহাবীর রোস্তম পাঁচটি ছাগলের মাংসের কাবাব দিয়ে প্রাতরাশ সম্পন্ন করতেন।

 অনুধাবনমূলক

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ রোস্তমের বংশ পরিচয় কী?
উত্তর : প্রাচীন ইরানের সৈন্যদলের নামকরা বীরযোদ্ধা ছিলেন শাম। শামের পুত্রের নাম হলো জাল। যুবরাজ জাল ছিল ইরানের বাদশাহ মনুচেহের খুব প্রিয়পাত্র।

যুবরাজ জাল একবার কাবুল রাজ্যে বেড়াতে গেলে কাবুল রাজ মেহেরাবের পরমাসুন্দরী কন্যা রুদাবার সাথে প্রণয় হয়। কিছুদিনের মধ্যে জাল আর রুদাবা এক শক্তিমান ও বলবান পুত্র সন্তান লাভ করলেন। তাদের এই সন্তানই মহাবীর রোস্তম।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ রোস্তম সোহরাবকে কীভাবে চিনতে পেরেছিল?
উত্তর : সোহরাবের বাহুতে নিজের নাম স্বাক্ষর করা তাবিজ দেখে রোস্তম সোহরাবকে চিনতে পারল।
রোস্তমের যুদ্ধরীতি বহির্ভূত আঘাতে মৃত্যু পথযাত্রী সোহরাব বলল, তুমি অন্যায় যুদ্ধে প্রথম পরাজয়ে আমাকে প্রাণে বধ করলে,

কিন্তু এ সংবাদ যখন আমার বাবা জানতে পারবেন তখন, তিনি তোমাকে ক্ষমা করবেন না। মহাবীর রোস্তম তখন বললেন, কে তোমার বাবা?

অবসন্ন সোহরাব বললেন, মহাবীর রোস্তম আমার বাবা আর সামেনগান অধিপতির কন্যা তহমিনা আমার মা। রোস্তম আর্তনাদ করে বলল, মিথ্যে কথা, আমার কোনো পুত্র নেই। তহমিনা আমাকে সংবাদ দিয়েছে, আমার কন্যা সন্তান হয়েছে।

সোহরাব তার হাত তুলে দেখাল, সেখানে রোস্তমের দেওয়া তাবিজ বাঁধা রয়েছে। এভাবেই নিজের নাম স্বাক্ষর করা তাবিজ দেখে রোস্তম সোহরাবকে চিনতে পেরেছিলেন।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ মহাবীর রোস্তম কেন সামেনগান শহরে গিয়েছিলেন?
উত্তর : মহাবীর রোস্তম তার প্রিয় ঘোড়া রখ্শকে খুঁজতে সামেনগান শহরে গিয়েছিলেন। ইরানের মহাবীর রোস্তম ছেলেবেলা থেকেই ছিলেন অসীম সাহসী আর বীরত্বের অধিকারী। তার প্রিয় ঘোড়া রখ্শ ছিল যেমনই দুরন্ত তেমনই অবাধ্য।

আর এই কারণেই সে ছিল রোস্তমের সবচেয়ে প্রিয়। রোস্তম একদিন রখ্শের পিঠে চড়ে শিকারে বের হয়েছিল। ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে রোস্তম তুরানের কাছে এক জঙ্গলের ভিতর একটা বড় গাছের নিচে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে একদল তুরানি সেই পথ ধরে যাবার সময় রখ্শকে চুরি করে নিয়ে যায়।

সকালে রোস্তমের ঘুম ভাঙলে তিনি জঙ্গলের ভিতর কোথাও রখ্শকে খুঁজে পাননি। পরে বনের প্রান্তে ধুলার মধ্যে রখ্শের খুরের দাগ দেখে তিনি বুঝতে পারেন তুরানি ঘোড়া চোরেরা তার রখ্শকে নিয়ে পালিয়েছে। তাই খুরের দাগ অনুসরণ করে ক্রোধে উন্মত্ত মহাবীর রোস্তম রখ্শকে খুঁজতে তুরানের সামেনগান শহরে গিয়েছিলেন।

Download Free PDF

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

(PDF) অষ্টম শ্রেণি:মাইকেল মধুসূদন দত্ত‘বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

(PDF) অষ্টম শ্রেণি:মাইকেল মধুসূদন দত্ত‘বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

(PDF) অষ্টম শ্রেণি:মাইকেল মধুসূদন দত্ত‘বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর> অষ্টম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা: আজ বাংলা ১ম পত্রের ‘মাইকেল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *