(PDF) অষ্টম শ্রেণি:মার্চেন্ট অব শেক্সপিয়ার‘সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

(PDF) অষ্টম শ্রেণি:মার্চেন্ট অব শেক্সপিয়ার‘সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা: আজ বাংলা ১ম পত্রের ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস উইলিয়াম শেক্সপিয়ার‘ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর’ ফ্রি পিডিএফ ফাইলসহ দেওয়া হলো। সুবিধা মতো পড়ার জন্য নিচে লিংক দেওয়া আছে। প্রয়োজনে ফ্রি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারবে।

মার্চেন্ট অব ভেনিস উইলিয়াম শেক্সপিয়ার

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও
জমি আবাদের জন্য সরলপ্রাণ ইসমাইল তার গ্রামের মোড়লের কাছ থেকে একটি জমি বন্ধক রেখে ১০ হাজার টাকা ধার নেয়। ধার নেবার সময় মোড়ল সাদা স্ট্যাম্পে ইসমাইলের স্বাক্ষর রাখে।

দুই বছর পর ইসমাইল মোড়লকে ঐ টাকা ফেরত দিতে গেলে সে টাকা গ্রহণ না করে বলে, ‘তুমিতো ঐ জমিটা আমার নিকট ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকায় বিক্রি করেছ’। নিরুপায় ইসমাইল আইনের আশ্রয় নেয়।

ক. ইসমাইল মোড়লের নিকট হতে কোন শর্তে টাকা ধার নেয়?
খ. ইসমাইলের সরলতাকে মোড়ল কীভাবে ব্যবহার করছে বর্ণনা কর।

গ. তোমার পঠিত ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের শাইলক-চরিত্রের সঙ্গে উদ্ধৃতাংশের মোড়ল-চরিত্রের কী মিল লক্ষ করা যায়Ñ বর্ণনা কর।
ঘ.কুচক্রী এ সকল মোড়ল একের সঙ্গে অন্যের সম্পর্কের যে ক্ষতি সাধন করছে উদ্ধৃতাংশের আলোকে তা বিশ্লেষণ কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ইসমাইল মোড়লের নিকট থেকে জমি বন্ধক রাখার শর্তে টাকা ধার নেয়।
খ. ইসমাইলের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে মোড়ল তার সরলতার সাথে প্রতারণা করেছিল।
ইসমাইল একজন সরলমনা কৃষক। সে মোড়লের কুটিলতা বুঝতে পারেনি।

তাই জমি বন্ধক রেখে সরল মনেই সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে টাকা ধার করে সে। কিন্তু মোড়ল সেই স্বাক্ষরিত সাদা স্ট্যাম্পে নিজের মনের মতো করে শর্ত লিখে ইসমাইলকে ধোঁকা দেয়।

দুই বছর পর টাকা ফেরত দিতে গেলে মোড়ল বলে যে, তার কাছে ইসমাইল জমি বিক্রি করেছে। এভাবেই মোড়ল ইসমাইলের সরলতার সদ্ব্যবহার করে।

গ. ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের শাইলক চরিত্রের সঙ্গে উদ্ধৃতাংশের মোড়ল চরিত্রের কূটকৌশলী মনোভাবের সাথে মিল লক্ষ করা যায়। গল্পের শাইলক সুদের বিনিময়ে মানুষকে টাকা ধার দেয়। তবে ধার দেয়ার সময় নানা হীন কৌশল অবলম্বন করে সকলের সাথেই নিষ্ঠুর আচরণ করে।

বাসানিওকেও তিন হাজার ড্যাকাট ধার দিয়ে বাসানিওর বন্ধু অ্যান্টনিওকে ফাঁদে ফেলার আশায় নিষ্ঠুর শর্ত আরোপ করে যে, অ্যান্টনিওর ধার পরিশোধ করতে না পারলে শরীর থেকে শাইলক এক পাউন্ড মাংস কেটে নেবে। এমনই কূটবুদ্ধিসম্পন্ন ও বিবেকহীন মানুষ ছিল শাইলক।

উদ্ধৃতাংশের মোড়লও শাইলকের মতো ধূর্ত ও কূটবুদ্ধিসম্পন্ন। সে মানুষ ঠকানোর হীন কাজে ব্যস্ত। সরলপ্রাণ ইসমাইলের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে সই নিয়ে নিজের মনের মতো করে শর্ত লিখে দরিদ্র ইসমাইলকে ধোঁকা দেয়।

জমি বন্ধক রেখে ১০ হাজার টাকা নিলেও মোড়ল কৌশলে জমি নিজের করে নেয়। তাই বলা যায়, গল্পের শাইলক ও উদ্ধৃতাংশের মোড়ল উভয়েই নিজেদের কূটবুদ্ধির মাধ্যমে বিভিন্ন হীন কৌশল অবলম্বন করে মানুষকে বিপদে ফেলে।

ঘ. নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এ সকল কুচক্রী মোড়লরা সমাজে একের সঙ্গে অন্যের সম্পর্কের চরম ক্ষতিসাধন করছে । ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের শাইলকও মানুষদেরকে চড়া সুদে টাকা ধার দেয়। এই টাকা উসুল করার জন্য সে যেকোনো ধরনের নিষ্ঠুর কাজ করতে পারে। তার এই আচরণে সবাই তার ওপর ক্রুদ্ধ।

উদ্ধৃতাংশের মোড়ল সমাজের অসহায় মানুষদের জমি বন্ধকের বিনিময়ে ঋণ দেয়। পরে এই ঋণের বিনিময়ে সে তাদের সম্পত্তি জালিয়াতি করে কেড়ে নেয়। দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের সরলতার সুযোগে তাদের ধোঁকা দিয়ে নিজের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করে।
উদ্ধৃতাংশের কুচক্রী মোড়লের আচরণেও সমাজে একই ধরনের খারাপ প্রভাব দেখা যায়।

তাদের এরূপ নীতিগর্হিত কাজে সমাজের অসহায় মানুষ সব হারিয়ে পথে বসে। ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও বৈষম্য সৃষ্টি হয়। মানুষের সাথে মানুষের আন্তঃসম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যার বাস্তবচিত্র আমরা উদ্দীপকের মোড়ল ইলিয়াস এবং পাঠ্যপুস্তকের শাইলক ও অ্যান্টনিওর মধ্যে দেখতে পাই।

প্রশ্ন-২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও
সোনাপুর গ্রামের ধনী ব্যবসায়ী ইমরান সাহেবের কাছে দরিদ্র জালাল মিয়া কন্যার বিবাহের জন্য কিছু সাহায্য চাইলে তিনি তাকে ৫০০০ টাকা দিলেন।

প্রচণ্ড খরায় দিশেহারা কয়েকজন কৃষক তার কাছে কিছু লোন চাইলে বিনা শর্তে তাদেরকে ২০০০ টাকা করে লোন দিলেন এবং সুবিধাজনক সময়ে ফেরত দিতে বললেন। ইমরান সাহেবের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইমন বেশ কিছু টাকা লোন চাইল। কিন্তু এত টাকা তার কাছে তখন ছিল না। তাই ইমরানের কাছ থেকে লোন নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন।

ক. ইহুদি ব্যবসায়ীর নাম কী?
খ. এই ব্যবসায়ীর ব্যবসায়ের ধরন বর্ণনা কর।

গ. ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের অ্যান্টনিও চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্য ইমরান সাহেবের মধ্যে লক্ষ করা যায় তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ.‘ইমরান সাহেব যেন অ্যান্টনিওর প্রতিচ্ছবি’ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক. ইহুদি ব্যবসায়ীর নাম শাইলক।
খ. শাইলক ইতালির ভেনিস শহরে সুদের ব্যবসা করত। শাইলক ছিল অত্যন্ত সুচতুর ও কূটবুদ্ধিসম্পন্ন লোক। তার ব্যবসায়িক নীতি ছিল ছলচাতুরিপূর্ণ। মানুষের বিপদের সময় বা কেউ বেকায়দায় পড়লে সুদ ব্যবসায়ী শাইলক তাকে চড়া সুদে টাকা ধার দিতেন এবং যথাসময়ে ঋণগ্রহীতা সুদসহ ধারকৃত টাকা ফিরত দিতে ব্যর্থ হলে তার সর্বস্ব কেড়ে নিতেন।

কম টাকা দিয়ে বেশি টাকা আদায়, চড়া সুদের হার, চক্রবৃদ্ধি হারে মূল টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে মানুষকে ঠকানোই ছিল তার ব্যবসায়ের মূল বৈশিষ্ট্য।

গ. ‘মাচেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের অ্যান্টনিওর চরিত্রের অনেক বৈশিষ্ট্য উদ্দীপকের ইমরান সাহেবের মধ্যে লক্ষ করা যায়।
‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের অ্যান্টনিও সৎ, বন্ধুবৎসল ও পরোপকারী ব্যবসায়ী। অভাবগ্রস্ত মানুষ বিপদে পড়লেই সাহায্যের জন্য তার কাছে ছুটে আসে।

অ্যান্টনিও কাউকে কখনো খালি হাতে ফেরায় না। সর্বস্ব দিয়ে তাকে রক্ষা করতে চেষ্টা করে। অ্যান্টনিও তার বন্ধুকে সাহায্য করার জন্য শাইলকের নিষ্ঠুর শর্তেও রাজি হয়েছিল।

উদ্দীপকের ইমরান সাহেবের চরিত্রেও আমরা এসব গুণ দেখতে পাই। অ্যান্টনিওর মতো সেও গ্রামের বিপদগ্রস্ত মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করে। ইমরান সাহেব ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইমনকে নিজ জিম্মায় লোনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। সুতরাং বলা যায়, গল্পের অ্যান্টনিওর চরিত্রের পরোপকারিতা এবং বন্ধুবৎসল বৈশিষ্ট্য উদ্দীপকের ইমরান সাহেবের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে।

ঘ. ‘ইমরান সাহেব যেন অ্যান্টনিওর প্রতিচ্ছবি’Ñ মন্তব্যটি যথার্থ। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র অ্যান্টনিও সৎ, পরোপকারী ও বন্ধুবৎসল ব্যবসায়ী। উদারনীতির জন্য সে সবার কাছে প্রশংসিত। সে নিঃস্বার্থভাবে মানুষকে সাহায্য করত। ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও সে কখনো কাউকে ঠকিয়ে মুনাফা লাভের চেষ্টা করেনি।

তার বন্ধুপ্রীতিও ছিল দেখার মতো। বন্ধু বাসানিওকে তার ইচ্ছা পূরণ করতে সাহায্য করার জন্য সে নিজের শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে দেওয়ার মতো কঠিন শর্তে সুদখোর শাইলকের কাছ থেকে অর্থ ধার করে দেয়। উদ্দীপকের ইমরান সাহেব ও নানা ভাবে গ্রামের লোকদের সাহায্য করেছেন।

দরিদ্র জালাল মিয়ার কন্যার বিয়েতে সে তাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে। গ্রামের কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ দিয়েছেন। বন্ধু ইমরানকে নিজ জিম্মায় লোনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

বিপদগ্রস্ত মানুষকে আর্থিক সাহায্য দান এবং বন্ধুকে নিজ জিম্মায় লোনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যান্টনিও ও ইমরান সাহেব যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তারা দুজনেই উদার, পরোপকারী এবং বন্ধুবৎসল। তাই আমরা একথা নিঃসন্দেহে বলতে পারি, চরিত্র দুটি একটি অপরটির প্রতিচ্ছবি।

প্রশ্ন -৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাজন ও সাজন দুই ভাই হলেও দুজনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ভিন্ন। রাজন সাধ্যমতো অন্যের উপকার করে, বিপদে পাশে দাঁড়ায়। অন্যদিকে সাজন কী করে ধনী হবে সেদিকেই তার খেয়াল। তাইতো মানুষকে বিপদে ফেলে অর্থ আদায়ে দ্বিধা করে না। শহরের সবাই রাজনকে পছন্দ করে আর সাজনকে করে ঘৃণা।

ক. আরাগনের যুবরাজ কোন পেটিকা পছন্দ করল?
খ. ‘আমি মাংস চাই না, আমার আসল টাকাটা চাই। এ উক্তির কারণ কী?

গ. উদ্দীপকের সাজনের সাথে ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের যে চরিত্রের মিল রয়েছে। তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকটি ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের খ-চিত্র মাত্র। Ñউক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪

৩নং প্রশ্নের উত্তর

ক. আরাগনের যুবরাজ রৌপ্য পেটিকা পছন্দ করল।
খ. “আমি মাংস চাই না, আমার আসল টাকাটা চাই।” শাইলকের এ উক্তির প্রধান কারণ তরুণ উকিল পোর্শিয়ার কথার মারপ্যাঁচ।
আদালতে তরুণ উকিল পোর্শিয়া যখন এক পাউন্ড মাংস কাটার কথা বলে কোনো রক্তপাত ছাড়া। শাইলক তখন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।

কারণ রক্তপাতবিহীন মাংস কোনোভাবেই কাটা সম্ভব না। তাই পূর্বে শাইলকের বেশি টাকা গ্রহণের সুযোগ থাকলেও অবস্থা বেগতিক দেখে সে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করে।

গ. উদ্দীপকের সাজল চরিত্রের সাথে মার্চেন্ট অব ভেনিস গল্পের শাইলকের চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
লোভীরা যেকোনো মূল্যে অন্যের অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করতে চায়। ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের শাইলক অর্থলোভী ও কূটকৌশলী লোক। সে মানুষের অসহাত্বের সুযোগ নিয়ে উচ্চমূল্যে সুদ দেয়।

তার এ হীন আচরণের কারণে নগরের কোনো লোক তাকে পছন্দ করত না সকলে তাকে ঘৃণা করত। উদ্দীপকে উল্লিখিত সাজন তেমনি একজন লোভী দুজন চরিত্রের প্রতিনিধি। ধন পিপাসায় সে তৃষ্ণার্ত। যেকোনো মূল্যে সাজন ধনী হতে চায়।

মানুষকে কৌশলে বিপদে ফেলে সে অন্যায়ভাবে অর্থ আদায় করতে কোনো দ্বিধাবোধ করে না। শহরের সকল লোক সাজনকে ঘৃণা করে। তাই বলা যায়, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে উদ্দীপকের সাজন ও ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের শাইলক একে অপরের প্রতিনিধিত্বকারী

ঘ. উদ্দীপকটি ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের খ-চিত্র মাত্র উক্তিটি যথার্থ।
ইতালির ভেনিস শহরের সওদাগর অ্যান্টনিও। সকলে তাকে পছন্দ করে। আর এক ব্যবসায়ী শাইলক নীতিহীন সুদখোর। কূটবুদ্ধিসম্পন্ন কেউ তাকে পছন্দ করে না।

অ্যান্টনিও তার বন্ধুর বিয়ের জন্য শাইলকের কাছ থেকে অর্থ ধার নেয়। শাইলক তাকে টাকা ধার দিলেও কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়। অ্যান্টনিও সময়মতো টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে শাইলক পূর্ব প্রতিশ্রুত মোতাবেক অ্যান্টনিও তার শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস দাবি করে।

উদ্দীপকে উল্লিখিত রাজন ও সাজন ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের অ্যান্টনিও ও শাইলক চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে। রাজন সৎ পরোপকারী। শহরের সবাই তাকে পছন্দ করে। অন্যদিকে সাজন লোভী ও অসৎ ব্যক্তি।

তাকে কেউ পছন্দ করে না। গল্পের শাইলক চরিত্রটি লোভী ও স্বার্থবাদী চরিত্র যা সাজন চরিত্রের প্রতিরূপ। উল্লিখিত আলোচনা শেষে বলা যায়, গল্পে উল্লিখিত চরিত্রদ্বয় ও উদ্দীপকের উল্লিখিত চরিত্রদ্বয় এর মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান থাকলেও গল্পের পরিণতির দিক থেকে এক নয়। অতএব আলোচনা শেষে বলা যায় উদ্দীপকটি ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের খ-চিত্রকে ধারণ করে।

প্রশ্ন-৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও
ইউনুস ও ইসমাইল একই অফিসে চাকরি করে। ইসমাইলের দক্ষতার কারণে খুব অল্প সময়েই তার পদোন্নতিও হয়। কিন্তু ইউনুস ইসমাইলের এই সাফল্যে খুশি হতে পারে না। সে তাকে হিংসা করতে থাকে।

একদিন অফিসের কিছু জরুরি কাগজ ইসমাইলের টেবিল থেকে সে গোপনে সরিয়ে ফেলে তাকে বিপদে ফেলতে চায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইউনুস যে এ কাজ করেছে তা সবাই জেনে যায়। ফলে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।

ক. শাইলকের কীসের ব্যবসা ছিল?
খ. শাইলকের শর্ত অ্যান্টনিও মেনে নিয়েছিল কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের ইউনুস ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের কোন চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.“উদ্দীপকের মূল বক্তব্য ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের মূল সুরের অনুসারী” Ñমন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।

৪নং প্রশ্নের উত্তর

ক. শাইলকের সুদের ব্যবসা ছিল।
খ. শাইলকের শর্ত অ্যান্টনিওর মেনে নেয়ার কারণ অ্যান্টনিওর সকল জাহাজ সমুদ্রবক্ষে আছে। এ জাহাজগুলো ফিরে আসলে আর কোনো অর্থকষ্ট থাকবে না।

অ্যান্টনিওর বন্ধু বাসানিওর অর্থ সাহায্যের প্রয়োজনে অ্যান্টনিও শাইলকের দ্বারস্থ হয়। তখন কূটকৌশলী শাইলক অ্যান্টনিওকে জামিন রেখে বলে যে, যদি বাসানিও অর্থ পরিশোধ করতে অপারগ হয় তাহলে অ্যান্টনিওর শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নেওয়া হবে।

অ্যান্টনিও এ ঘোষণা শুনে অবাক হলেও পরক্ষণেই ভেবেছিল অর্থ পরিশোধ করলে তো আর সমস্যা থাকছে না। তাই শাইলক অ্যান্টনিওর শর্ত মেনে নিয়েছিল।

গ. উদ্দীপকের ইউনুস ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের শাইলক চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের খলচরিত্র ইহুদি সুদখোর শাইলক। মানুষের বিপদের সুযোগ নিয়ে টাকা ধার দেয় উচ্চসুদে। পরে এই সুদ শোধ করতে গিয়ে মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে।

সমাজে যারা মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে শাইলক তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করে না। কারণ উদারপন্থি এসব মানুষের কারণে তার ব্যসায়ের ক্ষতি হয়। শাইলক কূটবুদ্ধিসম্পন্ন হওয়ায় অ্যান্টনিওকে বিপদে ফেলে নিজের প্রতিশোধ নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল কিন্তু পোর্শিয়ার বুদ্ধির কাছে সে ধরাশায়ী হয়।

উদ্দীপকের ইউনুস একজন পরশ্রীকাতর ব্যক্তি। সে তার সমসাময়িক সহকর্মী ইসমাইলের পদোন্নতি মেনে নিতে পারে না। ফলে ইসমাইলকে বিপদে ফেলে সে নিজের মানসিক শান্তি খোঁজে। অফিসের কিছু জরুরি কাগজ সে ইসমাইলের টেবিল থেকে গোপনে সরিয়ে ফেলে।

এতে করে ইসমাইল বিপদে পড়লেও একসময় সকলে সত্য ঘটনা জানতে পারে যার ফলশ্রুতিতে ইউনুসকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। প্রতিশোধ স্পৃহায় অন্ধ হয়ে অপরের ক্ষতি করতে গিয়ে নিজের দুর্দশা ডেকে আনার দিক দিয়ে উদ্দীপকের ইউনুস ও গল্পের শাইলকের সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ. “উদ্দীপকের মূল বক্তব্য ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের মূল সুরের অনুসারী”Ñ মন্তব্যটি সঠিক।
অ্যান্টনিও তার বন্ধু বাসানিওর জন্য ইহুদি সুদব্যবসায়ী শাইলকের কাছ থেকে কিছু অর্থ ধার করে। শাইলক তার দুষ্টবুদ্ধির কারণে চুক্তিপত্রে লেখে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা না দিলে সে অ্যান্টনিওর শরীরের এক পাউন্ড মাংস কেটে নেবে।

অ্যান্টনিও এই শর্তে রাজি হলে কিছুদিন পর জাহাজডুবিতে তার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। শাইলক আদালতে নালিশ করে। কিন্তু পরবর্তীতে পোর্শিয়ার বুদ্ধির মারপ্যাঁচে হেরে শাইলক ধরাশায়ী হয় এবং দুর্বুদ্ধির জন্য সম্পদও হারায়।

উদ্দীপকের ইউনুস ইসমাইলের পদোন্নতিতে ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়ে। ইসমাইলের ক্ষতি করার জন্য ইউনুস অফিসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ সরিয়ে ফেলে।

তার আশা ছিল এর কারণে ইসমাইলের চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবাই জানতে পারে এই কাজের পেছনে ইউনুসের হাত আছে। তাই তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়।

উদ্দীপকের ইউনুস এবং গল্পের শাইলক উভয়ই অপরের ক্ষতি করতে গিয়ে নিজেই বিপদে পড়ার কারণে উদ্দীপক এবং গল্পের মূল সুর একই বলে প্রতীয়মান হয়। উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের মূল বক্তব্য ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের মূল সুরের অনুসারী।

প্রশ্ন -৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও
গফুর মিয়া একজন গরিব কৃষক। চাষাবাদ করার জন্য সে গ্রামের মোড়লের কাছে জমি বন্ধক দিয়া দশ হাজার টাকা ধার নেয়। মোড়ল সাদা কাগজে গফুরের স্বাক্ষর নিয়ে রাখে।

দুই বছর পর গফুর টাকা ফেরত দিতে গেলে সে বলে ‘তুমি তো আমার কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছিলে, মোড়লের এহেন আচরণে গফুর বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নেয়।

ক. অ্যান্টনিও কোন শহরের বাসিন্দা ছিলেন?
খ. বিচারক আর কোনো কথা বললেন না কেন?

গ. উদ্দীপকের মোড়ল চরিত্রটি “মার্চেন্ট অব ভেনিস” গল্পের কোন চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.“উদ্দীপকটি ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের আংশিক প্রতিফলন মাত্র”যৌক্তিক মতামত দাও।

৫নং প্রশ্নের উত্তর

ক. অ্যান্টনিও ইতালির ভেনিস শহরের বাসিন্দা ছিলেন।
খ. শাইলক ক্রুদ্ধস্বরে চুক্তিনামার বাস্তবায়ন চাইলে বিচারক আর কোনো কথা বললেন না।
বাসানিওর টাকা পরিশোধ করার সময় অতিক্রান্ত হলে শাইলক আদালতের দ্বারস্থ হয়। শাইলককে অধিক টাকা পরিশোধ করার সুযোগ প্রদান করা হলেও শাইলক সে টাকা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

তখন বিচারক শাইলককে একটু নরম হতে বলে। বিচারক শাইলককে নরম হতে বললে শাইলক চুক্তিনামার বাস্তবায়ন চান বলে ক্রুদ্ধস্বরে চেঁচিয়ে ওঠেন। এ দেখে বিচারক আর কোনো কথা বলেন না।

গ. উদ্দীপকের মোড়ল চরিত্রটি ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের শাইলক চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পে শাইলক নামধারী চরিত্রটি একজন সুদখোর ব্যবসায়ী। সে মানুষকে উচ্চসুদে ঋণ দেয় এবং পরবর্তীতে ঋণ শোধের জন্য লোকটিকে সর্বস্বান্ত করে।

এই একই কারণে সে অ্যান্টনিওকে ঋণ দেয়। যার শর্ত ছিল ঋণ শোধে ব্যর্থ হলে অ্যান্টনিওর শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নেবে। উপায়ান্তর না দেখে অ্যান্টনিও রাজি হলে শাইলক ঋণ দেয়।

কিন্তু সমুদ্রে জাহাজডুবি হলে অ্যান্টনিও সে ধার শোধ করতে ব্যর্থ হয়। তখন শাইলক আদালতে নালিশ করে অর্থ আদায় করতে চায়, মূলত অ্যান্টনিওর বিপদের সুযোগ নিয়ে শাইলক তার সুযোগ গ্রহণ করে।

অন্যদিকে উদ্দীপকের গরিব চাষি গফুর মিয়া অর্থের অভাবে চাষবাস করতে না পারায় গ্রামের মোড়লের কাছ থেকে জমি বন্ধক দিয়ে দশ হাজার টাকা ধার নেয়। মোড়ল সাদা কাগজে গফুরের স্বাক্ষর নিয়ে রাখে। দুই বছর পর গফুর টাকা ফেরত দিতে গেলে সে অস্বীকৃতি জানায়।

মোড়লের ভাষ্যমতে গফুর মিয়া পঞ্চাশ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিল। মোড়লের এই অন্যায় আচরণ মেনে নিতে না পেরে গফুর মিয়া বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নেয়। একজন বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্যের নাম করে আরও বেশি বিপদাপন্ন করা উদ্দীপকের মোড়লের মতো গল্পের শাইলকের স্বভাব। তাই বলা যায় যে, মোড়ল চরিত্রটি ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের শাইলক চরিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ. “উদ্দীপকটি ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের আংশিক প্রতিফলন মাত্র” উক্তিটি সঠিক।
‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের শাইলক অ্যান্টনিকে তার বন্ধুর জামিন হয়ে টাকা ধার দেয়। এর পেছনে শর্ত থাকে ঋণ পরিশোধে অসমর্থ হলে শাইলক অ্যান্টনিওর শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নেবে।

অ্যান্টনিওর দুর্ভাগ্য সে টাকা শোধ করতে না পারায় শাইলক আদালতে নালিশ করে। আদালতের অনুরোধেও শাইলক নিজের অবস্থান ত্যাগ করে না। পরবর্তীতে বাসানিÍ্যর স্ত্রী পোর্শিয়া তার বুদ্ধির মারপাঁচে শাইলককে ধরাশায়ী করলে আদালত তাকে একজন মানুষকে হত্যার ষড়যন্ত্রের কারণে শাস্তি দেয়।

আলোচ্য উদ্দীপকে গফুর মিয়া চাষ করার জন্য নিজের জমি গ্রামের মোড়লের কাছে বন্ধক রেখে দশ হাজার টাকা ধার নেয়। ধার নেয়ার সময় সাদা কাগজে স্বাক্ষরও করে। দুই বছর পর গফুর টাকা ফেরত দিতে গেলে মোড়ল দশ নয়, পঞ্চাশ হাজার টাকা ধারের কথা বলে।

মোড়লকে গফুর নানাভাবে বোঝাতে চেষ্টা করলেও সে তার বক্তব্যে অটল থাকে। ফলে নিরুপায় গফুর মিয়া বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নেয়। উল্লিখিত আলোচনা শেষে মোড়লের দাবির কারণে গফুর মিয়ার জীবনসংশয় না হলেও অ্যান্টনিওর ক্ষেত্রে তা ঘটতে চলেছিল। এসব কারণে উদ্দীপকটি গল্পের সমগ্রভাব ধারণ করে না।

প্রশ্ন -৬ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বর্গাচাষি গণি মিয়া আমজাদ চৌধুরীর কাছ থেকে জমি বর্গা নেওয়ার সময় তার একটা লিখিত বন্দোবস্ত থাকা দরকার বলে কাগজে টিপসই নেন।

এরপর ফসল উঠলে তার দুই-তৃতীয়ংশ কেটে নেয় এই বলে যে, হালের বলদ কেনার জন্য সে আমজাদ চৌধুরীর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছে। ফলে নিরুপায় হয়ে গণি মিয়া আদালতের দারস্থ হয়। আদালতের রায়ে পাঁচ বছরের জেল ও অর্থদ- হয় আমজাদ চৌধুরীর।

ক. অ্যান্টনিও কোন শহরে বাস করত?
খ. শাইলক কেন অ্যান্টনিওর গায়ের এক পাউন্ড মাংস চায়?
গ. উদ্দীপকের আমজাদ চৌধুরীর সঙ্গে “মার্চেন্ট অব ভেনিস” গল্পের শাইলক চরিত্রের কোন দিকটির মিল রয়েছে, তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ.“নীতিহীন, সুদখোর, কূটবুদ্ধিসম্পন্ন লোকের পরিণতি ভালো হয় না।” মন্তব্যটি উদ্দীপক ও মার্চেন্ট অব ভেনিস গল্প অবলম্বনে বিচার কর।

৬নং প্রশ্নের উত্তর

ক. অ্যান্টনিও ইতালির ভেনিস শহরে বাস করত।
খ. শাইলক প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে অ্যান্টনিওর শরীর থকে এক পাউন্ড মাংস চায়।
শাইলক কূটকৌশলে ফেলে অর্থ ধার দিয়ে অ্যান্টনিওর শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নিতে চায়। তার একমাত্র কারণ শাইলক অ্যান্টনিওর জনপ্রিয়তা ও বন্ধুবাৎসল্যকে একেবারেই সহ্য করতে পারে না।

তাই শাইলক সব সময় মনে মনে অ্যান্টনিওর মৃত্যু কামনা করত। পরবর্তী সময় যখন অ্যান্টনিওকে ফাঁদে ফেলতে সক্ষম হয় শাইলক তখন সে এক পাউন্ড মাংস কেটে নিতে চায়।

গ. লোভ ও কূটকৌশলের দিক থেকে ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের শাইলক চরিত্রের সাথে উদ্দীপকের আমজাদ চৌধুরীর মিল রয়েছে।

‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের শাইলক মানুষকে চড়া সুদে ঋণ দেয় এবং শোধ করতে অপারগ হলে আদালতে নালিশ করে। আন্টনিওর বন্ধু বাসানিওর জন্য জামিনদার হয়ে ঋণ নিলে শাইলক শর্ত দেয় ঋণ শোধ করতে না পারলে সে অ্যান্টনিওর শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নেবে। কূটকৌশল ও লোভের কারণেই সে অ্যান্টনিওর ক্ষতি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল।

অপরদিকে উদ্দীপকের গণি মিয়া আমজাদ চৌধুরীর কাছ থেকে জমি বর্গা নেওয়ার সময় লিখিত বন্দোবস্ত হিসেবে কাগজে টিপসই দেন। ফসল উঠলে তার দুই-তৃতীয়াংশ কেটে নেওয়া হয় সে টাকা ধার নিয়েছে বলে। নিরুপায় গণি মিয়া আদালতের দ্বারস্থ হন।

আদালত আমজাদ মিয়ার লোভ ও কূটকৌশলের কারণে তাকে শাস্তি দেন। আদালতের রায়ে আমজাদ চৌধুরীর পাঁচ বছরের জেল ও অর্থদ- হয়। উদ্দীপকের আমজাদ চৌধুরী এবং ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের শাইলক উভয়ই মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে।

ঘ. নীতিহীন, সুদখোর, কূটবুদ্ধিসম্পন্ন লোকের পরিণতি ভালো হয় নাÑ মন্তব্যটি যথার্থ।
‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ গল্পের শাইলক একজন সুদখোর ব্যবসায়ী। সে ব্যবসায়িক এবং ব্যক্তিগত কারণে অ্যান্টনিওকে পছন্দ করে না। ফলে যখন অ্যান্টনিও শাইলকের কাছে ঋণ নিতে চায় তখন সে কূটবুদ্ধির প্রয়োগে একটি শর্ত জুড়ে দেয় যে ঋণ পরিশোধে অক্ষম হলে সে অ্যান্টনিওর শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নেবে।

যেহেতু শাইলক দুষ্ট ও কূটবুদ্ধির লোক তাই সে প্রতিশোধ নেয়ার এ উপায়টি খুঁজে নিয়েছিল যার ফলে আদালত তাকে শাস্তি দেয়।
উদ্দীপকের আমজাদ চৌধুরী গণি মিয়ার কাছ থেকে কাগজে টিপসই নেয়। সে পরবর্তীতে গণি মিয়ার উৎপন্ন ফসলের সিংহভাগ আত্মসাৎ করার জন্য এই টিপসই ব্যবহার করে।

আমজাদ চৌধুরীর ভাষ্য অনুযায়ী গণি মিয়া হালের বলদ কেনার জন্য টাকা ধার নিয়েছিল। এই কূটবুদ্ধির হাতিয়ার গণি মিয়ার উপর প্রয়োগ করা হয় কারণ জমির ফসল জোর করে দখল করা যায় না।

তাই কূটবুদ্ধির চালে আমজাদ চৌধুরী ফসল আত্মসাৎ করেন। গণি মিয়া বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিলে আদালত আমজাদ চৌধুরীকে শাস্তি প্রদান করে।

এই একই ধরনের কাজ গল্পের শাইলক করেছিল অ্যান্টনিওর প্রতি প্রতিশোধ নেবার জন্য। নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নীতিহীন, সুদখোর ও কূটবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের মতো আচরণ করে যার সমাপ্তি ঘটে শাস্তির মাধ্যমে। তাই বলা যায়, যে নীতিহীন, সুদখোর, কূটবুদ্ধিসম্পন্ন লোকের পরিণতি ভালো হয় না।

Download Free PDF

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

(PDF) অষ্টম শ্রেণি:মাইকেল মধুসূদন দত্ত‘বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

(PDF) অষ্টম শ্রেণি:মাইকেল মধুসূদন দত্ত‘বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

(PDF) অষ্টম শ্রেণি:মাইকেল মধুসূদন দত্ত‘বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর> অষ্টম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা: আজ বাংলা ১ম পত্রের ‘মাইকেল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *