অষ্টম শ্রেণি:সৃজনশীল জ্ঞানমূলক ও প্রশ্নব্যাংক’র উত্তর (PDF)

অষ্টম শ্রেণি: সৃজনশীল জ্ঞানমূলক ও প্রশ্নব্যাংক’র উত্তর (PDF)>

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

অষ্টম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা: আজ বাংলা ১ম পত্রের ‘সৃজনশীল জ্ঞানমূলক ও প্রশ্নব্যাংক’র সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ফ্রি পিডিএফ ফাইলসহ দেওয়া হলো। সুবিধা মতো পড়ার জন্য নিচের লি:ক দেওয়া আছে। প্রয়োজনে ফ্রি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারবে।

প্রশ্ন-০১ এক তাঁতি তাঁর কাপড়ের দোকান করিম বখ্শ নামের একটি ছেলেকে দেখতে বলে বাইরে গেলেন। নানা দুর্বিপাকে পড়ে তাঁতি দীর্ঘদিন ফিরে আসতে পারলেন না।

করিম বখ্শ সততার সাথে দোকানদারি করে তিনটি দোকান স্থাপন করল। সাত বছর পরে তাঁতি ফিরে এলে করিম দোকান তিনটির দায়িত্ব তাঁতিকে ফিরে দিতে আগ্রহী হলো। সে কারো আমানত নষ্ট করতে শেখেনি। সবাই করিমের সততার প্রশংসা করতে লাগল।

ক. কে সারাজীবন পরিশ্রম করে অনেক টাকা সঞ্চয় করেছিল?
খ. খলিফা ও উজির বিস্মিত হলেন কেন?

গ. উদ্দীপকের মূলবক্তব্য কোন দিক দিয়ে ‘কিশোর কাজি’র গল্পের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘করিম বখ্শ ও নাজিম আলী বিপরীত মেরুর মানুষ’ উদ্ধৃতিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।

প্রশ্ন-০২ জনাব তালেব একজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সরকারি নির্দেশনায় তিনি দেশের বাইরে যাওয়ার সময় তার সম্পত্তির দলিল ছোট ভাই আবু নাসেরের কাছে গচ্ছিত রেখে যান।

আবু নাসের বিশ্বাসঘাতকতা করে ভাইয়ের সমস্ত দলিল নিজ নামে জাল দলিল করে নেয়। জনাব তালেব দেশে ফিরে এসে আইনের আশ্রয় নিয়ে সম্পত্তির দলিল ফেরত পান।

ক. কত দিন পর আলী কোজাই বাগদাদে ফিরে আসেন?
খ. আলী কোজাই কীভাবে সোনার মোহর ফেরত পেলেন?

গ. উদ্দীপকের আবু নাসের চরিত্রে ‘কিশোর কাজি’ গল্পের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘আলী কোজাই ও জনাব তালেব একই চরিত্রের প্রতিচ্ছবি’। উক্তিটি মূল্যায়ন কর।

অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানমূলক

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ আলী কোজাই তার সঞ্চিত সোনার মোহর কার কাছে গচ্ছিত রেখেছিল?
উত্তর : বণিক আলী কোজাই তার সঞ্চিত সোনার মোহর বন্ধু নাজিমের কাছে গচ্ছিত রেখেছিল।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ নাজিম কী ধরনের লোক ছিল?
উত্তর : নাজিম লোভী ও বিশ্বাসঘাতক ছিল।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বালকেরা কী খেলা খেলছিল?
উত্তর : বালকেরা বণিক আলী কোজাই ও নাজিমের বিচারের খেলা খেলছিল।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ বালক কাজি কার দরবারে বসে বিচারকার্য পরিচালনা করে?
উত্তর : বালক কাজি খলিফা হারুন-অর-রশীদের দরবারে বসে বিচারকার্য পরিচালনা করে।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ আলী কোজাই কলসিতে মোহর না পেয়ে কী করল?
উত্তর : বণিক আলী কোজাই কলসিতে মোহর না পেয়ে নাজিমের কাছে মোহরগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করল।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ আলী কোজাই মক্কায় যান কেন?
উত্তর : হজ করার জন্য আলী কোজাই মক্কায় যান।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ ‘কিশোর কাজি’ গল্পের খলিফার নাম কী?
উত্তর : ‘কিশোর কাজি’ গল্পের খলিফার নাম হারুন-অর-রশীদ।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ ‘কিশোর কাজি’ গল্পে জলপাই খাওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল কার?
উত্তর : ‘কিশোর কাজি’ গল্পে নাজিমের স্ত্রীর জলপাই খাওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ নাজিম আলী কোজাইর কলসিটি বাড়ির কোথায় রেখেছিল?
উত্তর : নাজিম আলী কোজাইর কলসিটি ভাঁড়ার ঘরে রেখেছিল।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ বালকেরা কার বিচারের খেলা খেলছিল?
উত্তর : বালকেরা আলী ও নাজিমের বিচারের খেলা খেলছিল।

অনুধাবনমূলক

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ খলিফা কেন বালক কাজির শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছিলেন?
উত্তর : খলিফা বালক কাজির বিচার দক্ষতায় খুশি হয়ে তার শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বালক কাজি রাজদরবারে এসে আলী ও নাজিমের বিচার করে নাজিমকে দোষী প্রমাণিত করে এবং আলীকে তার মোহর ফিরিয়ে দেয়।

তখন খলিফা তার এই সুনিপুণ বিচারকার্যের পুরস্কার হিসেবে তাকে ভবিষ্যতে রাজদরবারে কাজি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই লক্ষ্যে তাকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য তার শিক্ষার দায়িত্ব নেন।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ খলিফা বিচারের খেলা দেখে কী শিখেছিলেন? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : খলিফা বিচারের খেলা দেখে বিচার করার সঠিক পদ্ধতি ও যৌক্তিকতা শিখেছিলেন। কাজি যখন প্রথমে আলী কোজাই ও নাজিমের বিচার করেছিলেন, তখন সঠিক বিচার হয়নি।

কারণ কাজি বিচারের বুদ্ধিবৃত্তিক ও যৌক্তিক পথ অনুসরণ করেননি। পূর্ণিমা রাতে বালকেরা যে বিচারের খেলা খেলছিল, সেখানে বিচার ছিল কৌশলপূর্ণ, অর্থাৎ, বালকদের বিচারের খেলা দেখে তিনি বিচার করার সঠিক পদ্ধতি বুঝতে পেরেছিলেন।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ ‘সে কী বন্ধু! তুমি আমার কাছে জলপাই রেখে গেলে। এখন মোহর চাচ্ছ। ব্যাপার কী’? Ñউক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বন্ধুর কাছে আলী সোনার মোহর ফেরত চাইলে বন্ধু নিজাম বিস্ময়ের ভান করে আলোচ্য উক্তিটি করে। আলী তার বন্ধুর কাছে জলপাইয়ের আড়ালে লুকানো সোনার মোহরভর্তি একটি কলসি গচ্ছিত রাখতে দেয়। কিন্তু ঘটনাচক্রে নিজাম সেই

মোহরের সন্ধান পেয়ে সেগুলো অন্যায়ভাবে রেখে দেয় এবং আলী ফিরে এলে আলীকে জলপাইপূর্ণ কলস ফেরত দেয়। আলী কোজাই যখন বাড়ি গিয়ে কলসিতে শুধু জলপাই পায়, তারপর সোনার মোহর না পেলে আবার বন্ধু নাজিমের কাছে এসে তার মোহর ফেরত চায়। তখন নাজিম তার বন্ধু আলী জোকাইকে উল্লিখিত কথাগুলো বলে।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ খলিফা বালকটিকে কাজির পদ প্রদান করে পুরস্কৃত করলেন কেন?
উত্তর : বালকটির মাঝে ন্যায়বিচার করার যোগ্যতার প্রমাণ পাওয়ায় খলিফা বালকটিকে কাজির পদ প্রদান করে পুরস্কৃত করলেন।

উল্লিখিত বালকটির বুদ্ধিমত্তার কারণেই আলী কোজাই সুবিচার পায়। বালকটির মেধা ও বুদ্ধিমত্তায় খলিফা মুগ্ধ হন। পরবর্তীতে তিনি বালকটির শিক্ষার ব্যবস্থা করেন এবং বড় হলে তাকে কাজির পদ প্রদান করেন।

Download Free PDF

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

(PDF) অষ্টম শ্রেণি:মধুসূদন দত্ত‘সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

(PDF) অষ্টম শ্রেণি:মধুসূদন দত্ত‘সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

(PDF) অষ্টম শ্রেণি:মধুসূদন দত্ত‘সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর.. অষ্টম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীরা: আজ বাংলা ১ম পত্রের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *