ঈদকে সামনে রেখে বাড়ল মুরগি-চিনির দাম

স্টাফ রিপোর্টার :: ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর বাজারগুলোতে মুরগি ও চিনির দাম বেড়ে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা ও চিনির দাম ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। সাথে বেড়েছে সব ধরেনের মসলার দামও।

আজ (শুক্রবার ৭ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে লাল লেয়ার মুরগির।

গত সপ্তাহে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লেয়ার মুরগির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৩৫ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সোনালী বা পাকিস্তানি কক মুরগির দাম। আগের মতো ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে সোনালী মুরগি।

মুরগির দামের বিষয়ে ব্যবসায়ী শহীদুল জানান, বাস চলাচলের সংবাদে গ্রাম থেকে অনেকে ঢাকায় ফিরে এসেছে। পাশাপাশি বাইরে মানুষের চলাচল বেড়েছে। এসব কারণে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়েছে। আর চাহিদা বাড়ার কারণে দাম একটু বেড়েছে। আমাদের ধারণা, ঈদের আগে দাম আরো বাড়বে।

মুরগির পাশাপাশি খোলা ও প্যাকেট উভয় ধরনের চিনির দাম বেড়েছে। খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭২ থেকে ৭৪ টাকা। আর ৭৫ টাকা বিক্রি হাওয়া প্যাকেট চিনির দাম বেড়ে ৭৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

চিনির দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. আফজাল বলেন, চিনির দাম আগে থেকেই বেশি। হঠাৎ করে কোম্পানি আবার চিনির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে আমাদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

মসলার বাজার ঘুরে দেখা যায়, এলাচি, জিরা, দারুচিনি ও লবঙ্গের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি এলাচি ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, জিরা ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা, দারুচিনি ৪০০-৪৫০ টাকা, লবঙ্গ ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আলুবোখারা ৪৪০ থেকে ৬০০ টাকা, জয়ত্রী ২ হাজার ৪২০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা এবং জায়ফল বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায়।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢ়েঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। এক কেজি কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সফেদ আলী বলেন, ঈদের আগে সবজির দাম বাড়া বা কমার সম্ভাবনা কম। ঈদ পর্যন্ত সবজি এমন দামেই বিক্রি হবে। তবে ঈদের পর কিছু কিছু সবজির দাম বাড়তে পারে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, রোজার শুরুতে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। ঈদের আগে দাম আরও বাড়বে বলেও জানান মাংস বিক্রেতারা।

 

 

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।

এগুলো দেখুন

ফিন্যান্স কী জেনে নিন বিস্তারিত

ফিন্যান্স কী জেনে নিন বিস্তারিত

ফিন্যান্স কী জেনে নিন বিস্তারিত এ বিষয়। আসুন আজকে এ বিষয়ে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *