জীবনে সম্ভাবনা এবং বিপদ একসাথে চলে

জীবনে সম্ভাবনা এবং বিপদ একসাথে চলে । জীবনে চলার পথে অনেক ধরনের বাধা-বিপত্তি আসতে পারে। বিপদও ঘটতে পারে। তাই বলে কি হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হবে! হিমালয়ের চূড়ায় উঠতে হলে মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত নিতে হয়। যারা পাহাড় বেয়ে ওঠে তারা সবাই জানে, পা ফসকে পড়লেই নির্ঘাত মৃত্যু। সেই মৃত্যুর আশঙ্কা উপেক্ষা করেই তো মানুষ হিমালয় পর্বতের চূড়ায় ওঠে এবং হিমালয় জয় করে।

জীবনে সম্ভাবনা এবং বিপদ একসাথে চলে

ভয়ংকর প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যে মানুষ জন্ম লাভ করে তাকে তো প্রতি মুহূর্তেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই এগোতে হয়। চ্যালেঞ্জ না নিলে তো কোনও সম্ভাবনাই তৈরি হবে না। আকাশ ভেঙে পড়ার ভয়ে কেউ যদি বাড়ির বাইরে না যায় তাহলে সফলতা তার কাছে কখনোই ধরা দেবে না। বরং পদে পদে সে বিপদে পড়বে।



অনেক সময়ই আমরা দেখি, ব্যর্থ হয়ে অনেকে ভাগ্যকে দোষ দেন। সফল না হলে অনেকে বলেন, কপাল মন্দ, তাই সফল হতে পারলাম না। অনেকে জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে বলেন, দেখেন তো ভাই, আমার ভাগ্য খুলবে কবে? কিংবা বলেন, আমার ফাড়া কতদিন থাকবে? মানুষের ভাগ্যের কথা যদি জ্যোতিষ বলতে পারত তাহলে তো নিজের ভাগ্যই পরিবর্তন করে ফেলতো। জ্যোতিষগিরি করতে হতো না।

বার বার ব্যর্থ হয়ে হতাশাগ্রস্ত অনেকে আবার ছুটে যান পীর-ফকিরের কাছে। বিপদে যেন তারাই রক্ষাকর্তা! এ কথা কেউ ভাবে না যে, কোনও মানুষই শতভাগ সফল নয়। আজ যিনি সফল তিনি নিশ্চয়ই জীবনের শুরুতে অনেক ধকল সয়েছেন। আগে আমরা শুনতাম, কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলে না। জীবনের শুরুতে প্রত্যেকেই কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগোতে হয়।

আমরা মানুষের সাফল্যগাঁথা দেখে আনন্দিত হই। কিন্তু সেই সাফল্যের পেছনে কত শ্রম-ঘাম ঝরাতে হয়েছে তা আমরা অনুভব করতে চাই না। আমাদের মনে রাখতে হবে, রাত না থাকলে আমরা দিনের মর্ম বুঝতে পারতাম না। রাত কখনোই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। রাতের আঁধার কেটে সূর্য উঠবেই। মানুষের জীবনও তাই।

সারাজীবন কোনও মানুষের জীবনে বিপদ থাকে না। দুঃখ থাকে না। ভালো সময় আসে। ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। দুঃসময় থেকে সুসময়ে যাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হয়। সময়টাকে বদলাতে কেউ হয়তো একবারই পারে। আবার কেউ ৭ বারের প্রচেষ্টার পর সফল হয়।



একবার হয়নি বলে যে দ্বিতীয়বার হবে না বা দ্বিতীয়বার হয়নি বলে যে তৃতীয়বার হবে না তা মনে করা ঠিক না। মানুষের জীবনে ব্যর্থতা একটা অভিজ্ঞতা। কোনও মানুষই বলতে পারবে না যে, তার জীবনে কোনও ব্যর্থতা নেই। মনে রাখতে হবে, যতবার ব্যর্থ হবে ততবারই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হবে। সেই অভিজ্ঞতা পরবর্তী জীবনে অনেক কাজে লাগবে।

অনেকে বার বার ব্যর্থ হয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সবকিছু ছেড়ে দিয়ে বসে থাকেন। এটা ঠিক নয়। কোনো অবস্থাতেই হাল ছেড়ে দিতে নেই। হাল ছেড়ে দিলেই সব শেষ! চরম দুর্যোগে কিংবা সংকটে যে মনোবল শক্ত রাখতে পারে তার জীবনে সফলতা আসবেই।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

আলোচনা পদ্ধতি কাকে বলে

আলোচনা পদ্ধতি কাকে বলে? জেনে নিন বিস্তারিত

জেনে নিন আলোচনা পদ্ধতি কাকে বলে? আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *