জেনে নিন ডেঙ্গির কারণে মস্তিষ্কের অ্যানালাইটিক্যাল ক্ষমতা হ্রাস? যা করণীয় । আসুন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। ডেঙ্গিজ্বর শরীরকে দুর্বল করে দেয়। শরীরে নানা যন্ত্রণা দেখা দেয়। জ্বর চলে গেলেও শরীর স্বাভাবিক গতিতে ফিরতে একটু সময় লাগে। সঠিক যত্ন ও নিয়মমাফিক না চললে শরীর সহজে ঠিক হয় না।
ডেঙ্গির কারণে মস্তিষ্কের অ্যানালাইটিক্যাল ক্ষমতা হ্রাস? যা করণীয়
ডেঙ্গিজ্বরের কারণে মস্তিষ্কের অ্যানালাইটিক্যাল ক্ষমতা হ্রাস পায়। ডেঙ্গিজ্বর থেকে সেরে ওঠার পর করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা. মো. ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী।
- আরো পড়ুন: গুগল এ্যাডসেন্স থেকে মাসে ৫ কোটি টাকা আয় করবেন যেভাবে
- আরো পড়ুন: গুগল এ্যাডসেন্সের প্রোগ্রাম নীতি
- আরো পড়ুন: গুগল এ্যাডসেন্সের জন্য আপনার সাইটের পৃষ্ঠা তৈরি আছে তো?
ডেঙ্গি থেকে সেরে ওঠার পর রোগী দুর্বল থাকে, অবসাদগ্রস্ত থাকে, মাথা হালকা থাকে, চলাফেরার সময় কিছু ভারসাম্যহীনতা থাকে, গভীর ও নিবিড়ভাবে কাজে মনোনিবেশ করা যায় না। যারা কাজে ব্যস্ত থাকেন, তারাও জ্বর থেকে সেরে ওঠার পর গভীরভাবে কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন না।
ডেঙ্গির কারণে ব্রেনের অ্যানালাইটিক্যাল ক্ষমতা হ্রাস পায়, তাই এ সময়ে ওই ধরনের কাজে হাত দেয়া ঠিক নয়। বরং ওই ধরনের কাজ করতে গেলে পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি পাওয়া যাবে না। এক ধরনের অবসাদ ও হতাশা সৃষ্টি হবে।
সপ্তাহ ২-৩ দিন পর রোগীর শারীরিক ও মানসিক কাজ করার ক্ষমতা আগের মতোই ফিরে আসবে। তাই ডেঙ্গি থেকে সেরে ওঠার পর শিথিলতার সাথে ২-৩ সপ্তাহ কাটাতে হবে।
কী করবেন
যারা শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে উপার্জন করেন, তারাও দ্রুত ওই ধরনের কাজে যাবেন না। সপ্তাহ দুয়েক শিথিলতার সাথে সময় কাটান, তার পর আস্তে আস্তে নিজ কাজে হাত দেন। এ সময় কিছু করণীয় হলো
প্রথমে বাড়িতে চলাফেরা করুন, তার পর বাড়ির আঙিনায় যান, এর পর উপাসনালয়, বাজার, অফিস-আদালতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। অফিস-আদালতে হালকা রুটিনওয়ার্ক করুন। এভাবে সপ্তাহ দু-তিনেক কাটান। তার পর যার যে কাজ সে কাজ শুরু করুন।
ডেঙ্গির সময় রোগীরা সাধারণত তরল, নরম এবং সহজপাচ্য খাবারের ওপর নির্ভরশীল থাকে। জ্বরের সময় যে খাবারগুলো খেতে বারণ করা হয়েছে, সেগুলোকে এখনও না বলুন। আর যেগুলো খেতে বলা হয়েছে, সেগুলোকে এখনো হ্যাঁ বলুন। তরল, নরম ও সহজপাচ্য খাবার থেকে ধীরে ধীরে উঠে আসুন।
তরল খাবার আগের মতো বেশি না খেয়ে কিছুটা কমিয়ে ফেলুন। ফলমূল যেভাবে বেশি করে খেয়েছেন, সেভাবে না খেয়ে স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ যেভাবে খায়, সেভাবে খেতে থাকুন। নরম খাবার, যেমন জাউভাত না খেয়ে এখন ভাত খান। তবে এ পর্যায়ে গুরুপাক খাবার, যেমন-রোস্ট, বিরিয়ানি ইত্যাদি না খেয়ে লঘুপাক বা কম মসলা দিয়ে সহজে হজম হয় এমন খাবার খান।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার আগে যদি জিমে যাওয়ার অভ্যাস থাকে, তা হলে ডেঙ্গি থেকে সেরে ওঠার পর কিছু দিন জিম থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজন হলে এক বা দুই মাস অপেক্ষা করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস থাকলেও এ সময় ব্যায়াম করবেন না।
- আরো পড়ুন: (SEO) এসইও থেকে কিভাবে আয় করবেন! বিস্তারিত জেনে নিন
- আরো পড়ুন: এসইও কি? এসইও কিভাবে করতে হয়?
- আরো পড়ুন: ব্লগ ভাইরাল করুন টাইটেল দিয়ে, জেনে নিন ৭ টি গোপনীয় কৌশল
কারো আগে থেকেই রাত জাগার অভ্যাস থাকলে ডেঙ্গি থেকে সেরে ওঠার পর এ অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। পারতপক্ষে রাত ১০টার পর আর জেগে থাকবেন না। রাতের বেলায় ক্ষতিপূরণকারী কিছু হরমোন শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়।
দিনের বেলায় জেগে থাকার ফলে যে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হয়, রাতে ঘুমানোর ফলে ওই বিষাক্ত পদার্থ নিঃশেষ হয়ে যায়। অর্থাৎ পরিপূর্ণ নিবিড় ঘুমের মাধ্যমে ব্রেন সতেজ হয়, মন সতেজ হয়, শরীরও সতেজ হয় এবং ক্লান্তি দূর হয়।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।