জেনে নিন দ্বৈত নাগরিকত্ব: বিধান কী । আসুন এ বিষয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। পাসপোর্টএকজন ব্যক্তির একই সঙ্গে দুটি দেশের নাগরিকত্ব নেওয়াকে দ্বৈত নাগরিকত্ব বলা হয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান রয়েছে। দ্বৈত নাগরিত্বের জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগে আবেদন করতে হয়।
দ্বৈত নাগরিকত্ব: বিধান কী
এরপর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নাগরিকত্ব আইন, বিধি ও পরিপত্র অনুসরণে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই শেষে দ্বৈত নাগরিত্বের সনদপত্র ইস্যু কিংবা তার আবেদন বাতিল করা হয়। তবে বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান অনুযায়ী সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি এবং মিয়ানমারসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকরা দ্বৈত নাগরিকত্ব পাবেন না।
- আরো পড়ুন: মক্কা বিজয় ও নবীজির ‘সাধারণ ক্ষমা’, বিজয়ী শাসকদের জন্য শিক্ষা
- আরো পড়ুন: মাহরাম ও গায়রে মাহরাম কারা?
- আরো পড়ুন: বিশ্বনবি ঘর থেকে বের হয়ে যেসব বিষয়ে আশ্রয় চাইতেন
তাছাড়া সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদেরও দ্বৈত নাগরিকত্ব না দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাবনা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন কারণেই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান রাখা হয়েছে। যেমন বাংলাদেশের নাগরিক কোনও বাবা-মায়ের সন্তান যদি যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিয়ে থাকে, তাহলে তাদের সন্তানটি ওই দেশের নিয়ম অনুযায়ী সেখানকার নাগরিকত্ব লাভ করবে।
আবার জন্মনীতির কারণে ওই শিশুটি বাংলাদেশেরও নাগরিকত্ব লাভ করবে। প্রবাসীরা সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার কারণে নিজ দেশের নাগরিকত্বও হারাবেন না। এছাড়া মিয়ানমারসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকরা বাদে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে এমন দেশের যেকোনো নাগরিক দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।
একইসঙ্গে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিলে কিংবা কোনও তথ্য গোপন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল ছাড়াও জরিমানা এবং কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশে দ্বৈত নাগরিত্বের সনদ পাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগে ইংরেজিতে লেখা নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়।
বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। ওই আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের পাসপোর্টের ফটোকপি, বিদেশে জন্ম নেওয়া ব্যক্তির নাগরিকত্ব সনদের ফটোকপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন শাখা-৩ এর অনুকূলে পাঁচ হাজার টাকা জমা দেওয়ার চালানের কপি, ২০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অ্যাফিডেভিট, পাসপোর্ট সাইজের ছয় কপি ছবি দিতে হবে।
আবেদনপত্রের বাম পাশে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা কিংবা নোটারি পাবলিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে। এসব কাগজপত্র দুই সেট করে জমা দিতে হবে। এরপর নাগরিকত্ব আইন, বিধি ও পরিপত্র অনুসরণে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দ্বৈত নাগরিত্বের সনদপত্র ইস্যু কিংবা তার আবেদন বাতিল করা হয়ে থাকে।
- আরো পড়ুন: কেমন হবে কেয়ামতের মাঠ?
- আরো পড়ুন: সামাজিক উন্নয়নে ইসলামের অর্থনৈতিক নির্দেশনা কি কি?
- আরো পড়ুন: নারীরা কি কবর জিয়ারত করতে পারবেন?
এজন্য কমপক্ষে ৬০ কার্যদিবস সময় নিয়ে থাকে মন্ত্রণালয়। বৈবাহিক সূত্রেও বিদেশিদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব সনদপত্র দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদের আবেদন ডাকযোগে কিংবা সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করতে হবে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।