নারীদের প্রস্রাবে সংক্রমণ কেন হয়, করণীয় কি? দুর্বা ডেস্ক :: প্রস্রাবে সংক্রমণ (ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশান) নারীদের খুব কমন সমস্যা। কিছু বাজে অভ্যাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে এটি হয়ে থাকে। সময় মতো চিকিৎসা না করালে এ থেকে শরীরে অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অনেকেই আমাদের কাছে এসে বলেন, ঘনঘন প্রস্রাব হয় ও জ্বালাপোড়া করে, তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাব করতে গেলে আটকে যায়। অনেকের দাবি, শরীরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে ও পেটে ব্যথা করে। কারও কারও ক্ষেত্রে এসব কোনো উপসর্গ নেই, তবে প্রস্রাব তীব্র গন্ধ।
এক্ষেত্রে আমরা রোগটি শনাক্তে ইউরিনের কিছু রুটিন পরীক্ষা দেই। পাশাপাশি সেনসিটিভিটি দিয়ে থাকি। শনাক্তের পর একান্ত প্রয়োজন হলে এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়।
যেকোনো সংক্রমণ (ইনফেকশন) ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে হয়। প্রস্রাবে সংক্রমণও ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে হয়। এ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান ও প্রস্রাব ঠিকমতো হলে ব্যাকটেরিয়াগুলো ফ্লাশআউট হয়ে যায়।
মেয়েদের একটি বাজে অভ্যাস রয়েছে। কোথাও গেলে বিশেষ করে কর্মস্থলে প্রস্রাব আটকে রাখে। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কর্মস্থলের পরিবেশ নারীবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। যখনই প্রয়োজন হবে, প্রস্রাব করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে জীবাণুমুক্ত থাকতে হবে। অন্তর্বাস নিয়মিত পরিবর্তন করতে হবে। টয়লেট করার পরে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে, টয়লেট পেপার ব্যবহার করা যেতে পারে। বিবাহিতদের উচিত ইন্টারকোর্সের আগে ও পরে জায়গাটি পরিষ্কার করে নেয়া। স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই পরিষ্কারের এ বিষয়টি মেনে চলতে হবে।
মায়েরা সঠিকভাবে পরিষ্কার না করার কারণে বাচ্চা মেয়েদের প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দেয়। তাদের প্রস্রাব-পায়খানা পরিষ্কারের সময় সামনে থেকে পেছনের দিকে পরিষ্কার করতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এমন বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে।
মেয়েদের ভ্যাজাইনাইটিস হলে সঠিকভাবে চিকিৎসা করাতে হবে। কারও কারও বারবার প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়। এমন হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ডায়াবেটিস বিশেষ করে আনকনসাস ডায়াবেটিস আছে কিনা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে। এরপর সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আরো পড়ুন: এসইও কি? এসইও কিভাবে করতে হয়?
অনেকের মূত্রথলিতে পাথর হওয়ায় ঠিকমতো প্রস্রাব আসে না। এক্ষেত্রে পার্সিয়াল অবস্ট্রাকশন হলে ঘনঘন প্রস্রাবে সংক্রমণ হতে পারে। কিডনি ও মূত্রথলির গঠনগত সমস্যা থাকলেও এমনটি হতে পারে। এক্ষেত্রে একজন গাইনিকলজিস্টের কাছে যেতে হবে। ইউরোলজির শরণাপন্ন হতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রস্রাবের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পানি ও তরল জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। ডাবের পানি ও জুস খাওয়া গেলে ভালো হবে। আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। নিয়মিত সকাল ও রাতে ইসুবগুলের ভূষি খেলে উপকার হবে। সাধারণত সবাই ইসুবগুলের ভূষি ভিজিয়ে রেখে খান। আমরা পরামর্শ দেই, পানিতে দিয়ে নেড়ে তৎক্ষণাৎ খেয়ে ফেলার।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন।