বিনোদন ডেস্ক :: গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট প্রার্থী চন্দ্রমণি শুক্লকে হারিয়ে ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন রাজ চক্রবর্তী। করোনাকালীন সময়ে রোগীদের সাধ্যমতো অক্সিজেন, বেডের বেডের করে দিচ্ছে তিনি। তা সত্ত্বেও ব্যঙ্গবিদ্রুপ পিছু ছাড়েনি তার। সবকিছু পেছনে ফেলে বিজয়ের হাসি তিনিই হাসলেন।
এই জয় নিয়ে রাজের উত্তর, ‘কাউকে দেখানোর জন্য তো আমি কাজগুলো করিনি। বিপদে পড়া মানুষের পাশে থাকাটা এই মুহূর্তে বেশি জরুরি। আর জয় প্রসঙ্গে বলতে পারি, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চায়। সেটাই ফের প্রমাণ হয়ে গেল।’
তার লড়াইটা সহজ ছিল না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরাও ভাবতে পারেননি, রাজ জিততে পারেন। কারণ ওই এলাকার অনেকটাই বিজেপি-র দখলে। ব্যারাকপুরে সবুজায়নের যে দায়িত্ব রাজকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, পরিচালক তাকে হতাশ করেননি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ তার কেন্দ্রে এতটাই ভাল জনসংযোগ তৈরি করেছিলেন যে, মানুষ তার উপরে আস্থা রেখেছেন। রাজ অবশ্য শুরু থেকেই প্রত্যয়ী ছিলেন নিজের জয় নিয়ে।
তার মতে, ‘এলাকা কঠিন বলে আমার মনে হয়নি। মানুষের সঙ্গে কথা বলেই বুঝতে পেরেছিলাম, মানুষ দিদিকেই চান।’’ অনেকের মতে, রাজের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি এ ক্ষেত্রে কাজে এসেছে। ‘‘সেলেব্রিটি মানেই দূরের বাসিন্দা এবং ভোট মিটলেই তিনি এলাকাবাসীকে ভুলে যাবেন, এই ধারণাটাও ভাঙতে পেরেছি বলে মনে হয়,’’ বলছিলেন রাজ।
রাজনীতিতে তার এটা প্রথম পদক্ষেপ হলেও রাজ বরাবরই দক্ষ সংগঠক। পরিচালকের কাছের লোকেরা জানেন, সকলকে নিয়ে চলতে রাজের জুড়ি নেই। গত দু’বছর ধরে তিনি কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারপার্সন। ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র-জুনিয়র সকলকে একসঙ্গে নিয়ে সফল ভাবে উৎসব পরিচালনা করেছেন তিনি।
রাজের জয়ে খুশি স্ত্রী শুভশ্রীও। জানালেন, তিনি আর ইউভান রাজের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। রোববার সকাল থেকেই রাজ তার কেন্দ্র ব্যারাকপুরে ছিলেন। প্রথম পদক্ষেপেই ‘হিট’।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।