ফলটি দেখতে বেলের মত পাকলে ভেতরে ছাই> লিটু দেবনাথ, পটুয়াখালী ॥ গাছটি মাঝারি আকারের চিরসবুজ দেখতে কিছুটা বেল গাছের মত। ফলটি দেখতে বেলের মত হলেও এটি পাকলে ভেতরে কালোরঙ্গের ছাইয়ের মতো কিছু উপাদান ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। ফলটি দেখতে বেলের মত পাকলে ভেতরে ছাই কেন হয় সে সম্পর্কে আজকের আলোচনা।
Crescentia cujete>আমেরিকা
ডুগডুগি গাছ অথবা বৈষ্ণব বেল, (বৈজ্ঞানিক নাম: Crescentia cujete) (ইংরেজি: Calabash Tree) হচ্ছে মুলত আমেরিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের ছোট ধরনের গাছ। এটি সেন্ট লুসিয়ার জাতীয় গাছ।
ভারতে এটির প্রসার প্রকৃতিগতভাবে ব্যাপক আকারে হয়েছে। গাছটি মাঝারি আকারের চিরসবুজ দেখতে, ফল দেখতে একবারে কাচাঁ বেলের মতো।
- আরো পড়ুন: কুমড়ার বীজে যেসব রোগ সারবে
- আরো পড়ুন: টমেটো কমাবে পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি
- আরো পড়ুন: এক পাতায় ৯ সমস্যার সমাধান!
গাছটি কত মিটার লম্বা হয়
গাছটি ১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। ফলের ওজন ১০ থেকে ১২ কেজি পর্যন্ত হয়। ফল দেখলে মনে হবে একবারে কাঁচা বেলের মতো। বাংলাদেশে এই গাছটি বিভিন্ন এলাকাতে বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন, ডুগডুগি গাছ , বৈষ্ণব বেল, বেলি বেল বা পাহাড়ি বেল ইত্যাদি। এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্রিসেন্টিয়া কুজেতে।
ফলটি দেখতে বেলের মত পাকলে ভেতরে ছাই
এর ইংরেজি নাম কলাবশ গাছ। পটুয়াখালী জেলার কমলাপুর ইউনিয়নের চৌদ্দবুরিয়া মাসুমিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সামনে এই গাছটির সন্ধান পাওয়া যায় তবে বাংলাদেশে এই গাছের ব্যাপকতা নেই বললেই চলে। এই গাছ মুলত আমেরিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের ছোট ধরনের গাছ। এটি সেন্ট লুসিয়ার জাতীয় গাছ।
ভারত
ভারতে এটির প্রসার প্রকৃতিগতভাবে ব্যাপক আকারে হয়ে থাকে। ভারতে এই গাছ ডুগডুগি গাছ নামে খুবই পরিচিত। এই গাছের ঔষধি গুনাগুন আছে। ডুগডুগি গাছের সবুজ পাতা উপবৃত্তাকার, মাথার দিকে গোলাকার আর গোড়ার দিকে সুচালো, পাতা একেবারে জেঁকে থাকে কান্ডের সঙ্গে। এর কাণ্ডে ফেঁটে বের হয় ফুল।
তার পর ফুল থেকে ফল। ফল দেখতে এতই সুন্দর অথচ এ ফলটি পাকলে খাওয়া যায় না। ফল পাকতে সময় লাগে প্রায় সাত মাস। গ্রীষ্মের শেষে বা জ্যৈষ্ঠ মাসে এ গাছে ফুল ফোটে, জানুয়ারি- সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত গাছে ফুল ফল দেখা মিলে। ডুগডুগি গাছের উপকারিতা ও গুণাগুণ।
- আরো পড়ুন: অতিরিক্ত ভিটামিন ডি যে ৩ রোগ হতে পারে!
- আরো পড়ুন: জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
- আরো পড়ুন: শসা হার্টের উপকারী?
আমাশয় সারাতে ডুগডুগি গাছের ফল প্রতিদিন খেলে রক্ত আমাশয়ে উপকার পাওয়া যায় । অতিসার সমস্যায় ডুগডুগি গাছের পাতা ও ছালের রস করে এই রস সকাল-বিকাল চিনি অথবা গুর দিয়ে সেবন করলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। অরুচি দূর করতে ডুগডুগি গাছের পাতার রস করে খেলে আস্তে আস্তে মুখের অরুচি ভাব কেটে যাবে।
কাটা জায়গার ক্ষত সারাতে ডুগডুগি গাছের ছাল মিহি গুড়া করে এরপর এই গুড়া থেতো করে লাগালে ক্ষত ভালো হয়ে যায় । গলা, মুখ ও জিভের ঘা সারাতে এই গাছের পাতা ও ছালের ক্বাথ কুলকুচা করলে গলা, মুখ ও জিভের ঘা ভালো হয় । বমি ভাব দূর করতে ডুগডুগি গাছের পাতার রস করে এরপর এটি মধু দিয়ে সেবন করলে বমি বমি বন্ধ হয়ে যাবে ।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।