জেনে নিন বাদামে কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি । আসুন এ বিষয়ে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। প্রতিদিন বিকেলের দিকে হাল্কা কিছু খেতে ইচ্ছে করছে সবারই? অনেকেই মুড়ি-বাদাম খেতে পছন্দ করেন। কারও কারও আবার মুড়ি একেবারেই পছন্দ নয়, তারা ঝাল নুন দিয়ে চিনেবাদামের স্বাদ বেশ উপভোগ করেন।
- আরো পড়ুন: যেসব খাবার সকালে খাবেন না
- আরো পড়ুন: অনলাইন ফরমে ছবির সাইজ কমাবেন যেভাবে
- আরো পড়ুন: দুই যুগ আগে ভিডিও গেমের নাম ছিল ‘ওমিক্রন’
বাদামে কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি
কাছে পিঠে কোথাও বেড়াতে গেলেও ব্যাগে অনেকেই চিনেবাদাম কিনে রেখে দেন। এটি খেলে চটজলদি পেটও ভরে। কিন্তু জানেন কি চিনাবাদাম খেলে ভালো থাকে হৃদযন্ত্র?
তাই স্বাস্থ্য সচেতনরা দৈনিক বাদাম খান। অবসর সময় গরম গরম বাদাম ভাজা খেতে কে না পছন্দ করেন! ওজন কমানো থেকে শুরু করে হৃদযন্ত্র-ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ বশে রাখার কার্যকরী এক খাবার হলো বাদাম।
তাই একমুঠো বাদাম বড় খিদের ছোট সমাধান। সব সময় সাথেও রাখা যায় বাদাম, আবার সহজলভ্যও বটে। ঠিক যেমন চিনাবাদাম সব জায়গায় পাওয়া যায়, আবার এটি দামেও সস্তা। তবে এর উপকারিতা কিন্তু অনেকে।
জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে রোজ ৪ থেকে ৫ টি চিনেবাদাম খেলে ইস্কেমিক স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
কেন চিনেবাদাম উপকারী?
১. চিনেবাদামে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশ কম। কিন্তু এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ও ফ্যাট রয়েছে।
২. চিনেবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩. চিনে বাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও আর্জিনিন নামে একটি ফাইবার। এই ফাইবার হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
৪. হৃদযন্ত্র ভাল রাখার পাশাপাশি ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায় চিনেবাদাম। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন-ই এর মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট।
৫. অতিরিক্ত ওজন থেকে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি, হৃদরোগের আশঙ্কাও থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনেবাদাম খেলে বিপাক হার বাড়ে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
চিনাবাদাম কেন খাবেন?
১. চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বো-হাইড্রেট ও প্রোটিন রয়েছে। প্রতিদিন এক মুঠো চিনাবাদাম খেলে শরীর অনেক অসুখ থেকে বাঁচবে।
২. শরীরের মাত্রাধিক কোলেস্টেরল হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিস এর মতো কঠিন রোগ সৃষ্টি করে। চিনাবাদামের অসাধারণ কার্যকরী ফ্যাট শরীর থেকে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
৩. এই বাদাম শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন একমুঠো চিনাবাদাম খেলে পেটও দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকবে আবার ওজনও কমবে।
৪. রাতে ১০ থেকে ১৫ টি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিনাবাদামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস নির্মূলে বিশেষভাবে কার্যকরী।
৫. চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণ বি ৩ রয়েছে। যা মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। প্রতিদিন চিনাবাদাম বা এর মাখন খেলে মস্তিস্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- আরো পড়ুন: হিসাববিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয় কোনগুলো?
- আরো পড়ুন: হিসাববিজ্ঞানের আওতা ও পরিধি বা কার্যক্ষেত্র
- আরো পড়ুন: হিসাববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা
৬. শরীরে সঠিক পরিমাণ পুষ্টি না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। চিনাবাদামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরে কঠিন রোগকে বাসা বাধতে বাঁধা দেয়। তাই প্রতিদিন চিনাবাদাম খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।
৭. এছাড়াও ক্যানসারের মতো রোগ দূরে রাখে বাদাম। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যানসারের কোষকে বেড়ে উঠতে দেয় না। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৮. চিনাবাদামে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের অ্যাক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে কোষদের ক্ষত রোধ করে। একইসাথে ত্বকের বয়স কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
৯. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় চিনাবাদাম। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামে উপস্থিত ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু কাজ করে যার প্রভাবে হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
কতটা চিনেবাদাম খাবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ দিন চিনেবাদাম খাওয়া জরুরি। তবে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ গ্রামের বেশি খাওয়া উচিত নয়। কারো যদি বিশেষ কোনও অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকে সেক্ষেত্রে খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেয়া ভালো।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।