জেনে নিন ব্রেন টিউমারের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। শরীরের যেকোনো জায়গা বা অঙ্গে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে টিউমার বলে। এটি মস্তিষ্কের ভেতরে সেটিকে ব্রেন টিউমার বলে থাকি। ব্রেন টিউমার ২ রকম হতে পারে। বিনাইন বা শিষ্ট টিউমার এবং ম্যালিগন্যান্ট বা দুষ্টু টিউমার।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী সহকারী অধ্যাপক ডা. রবিউল করিম।
- আরো পড়ুন: গ্রাফিক্স ডিজাইনে ক্যারিয়ার
- আরো পড়ুন: ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার
- আরো পড়ুন: গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে সহজে যেভাবে আয় করবেন
ব্রেন টিউমারের লক্ষণ ও চিকিৎসা
যেকোনো বয়সে ব্রেন টিউমার হতে পারে। মস্তিষ্কে কিছু টিউমারের সূত্রপাত বলে তাকে প্রাইমারি ব্রেন টিউমার বলে। কিছু শরীরের অন্য স্থানের টিউমার থেকে হয়, সেটি সেকেন্ডারি বা মেটাস্টাটিক ব্রেন টিউমার।
ব্রেন টিউমার অত্যন্ত জটিল এবং সংযোজনশীল অঙ্গের টিউমার। ফলে রোগটির চিকিৎসা পদ্ধতিও জটিল এবং ক্ষেত্রবিশেষে অনেক ব্যয়বহুল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না।
ব্রেন টিউমারের লক্ষণ
ব্রেন টিউমারের প্রধান বা স্বাভাবিক লক্ষণ মাথাব্যথা। এ ব্যথা রোগীর কর্মকাণ্ডের সাথে তীব্র হয়। অর্থাৎ রোগী বিশ্রামে থাকলে ব্যথা কম থাকে। কোনও কাজ করলে বাড়ে। অনেক সময় ভোরে মাথাব্যথা হয়। পাশাপাশি বমি বমি ভাব, বমি হয় এবং দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে থাকে।
অনেক সময় রোগীর খিঁচুনি হতে পারে। শরীরের যেকোনো একদিকের হাত – পা দুর্বল বা অবশ হয়ে যেতে পারে। আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়।
ব্রেন টিউমার নির্ণয়
নিউরো মেডিসিন বা নিউরো সার্জন ব্রেনের সিটিস্ক্যান ও এমআরআই, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা দেখার জন্য ইলেকট্রো এনকেফালোগ্রাফি বা ইইজি, স্নায়ুতন্ত্রের পরিবহন ক্ষমতা বা নার্ভ কন্ডাকশন টেস্ট বা ইলেকট্রোমায়োগ্রাফি, সিটি গাইডেড এফএনএসির মাধ্যমে রোগটি নির্ণয় করে থাকেন। তবে এমআরআই পদ্ধতি সব থেকে আধুনিক এবং ব্রেন টিউমার নির্ণয়ের জন্য উন্নত পরীক্ষা।
- আরো পুড়ন: সামাজিকমাধ্যমে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার শাস্তি কি
- আরো পড়ুন: মিথ্যা মামলা হলে যা করণীয়
- আরো পড়ুন: ইভটিজিংয়ের শিকার হলে যা করবেন
ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা
ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা বেশ জটিল। তবে চিকিৎসা নির্ভর করে টিউমারের ধরন, আকার ও অবস্থানের ওপর। সার্জারি, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেয়া হয়। খিঁচুনি, বমির মতো লক্ষণ দেখে এগুলো বন্ধে ওষুধ দেওয়া হয়।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।