জেনে নিন শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়ক ৫ খাবার সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। শিশুদের বেড়ে ওঠার সাথে সাথে মস্তিষ্কের বিকাশও জরুরি। অনেক শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ হয় না। এ জন্য অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাবারও অনেকাংশে দায়ী।
আমরা যে খাবার খাই তা থেকে পুষ্টি শোষণ করে মস্তিষ্ক। তাই শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার বিষয়টি অনেক বেশি জরুরি।
- আরো পড়ুন: ভুল অন্তর্বাস ব্যবহারে হতে পারে মারাত্মক ব্যাধি
- আরো পড়ুন: স্তন ক্যান্সার হলে কিভাবে বুঝবেন এবং করণীয় কী?
- আরো পড়ুন: স্তন ক্যান্সার রোধে যা খাবেন
শিশুরা অনেক সময় খাবার বেছে বেছে খায়। তাই তারা বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার না খেলে তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। এতে করে তাদের মস্তিষ্কের বিকাশটাও হয় না।
শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়ক ৫ খাবার
১. ডিম
আপনার সন্তানের সকালের নাস্তার প্লেটটিতে কার্বস, প্রোটিন এবং অল্প পরিমাণে স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করুন। এ খাবারগুলো সারাদিনের জন্য তার শরীরে শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। ডিমের মধ্যে প্রোটিন বেশি থাকে এবং কোলিন থাকে, যা স্মৃতির বিকাশেও সহায়তা করে।
২. তৈলাক্ত মাছ
তৈলাক্ত মাছে ওমেগা-৩ যুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকায় তা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এ ছাড়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হচ্ছে কোষের বিল্ডিং ব্লকের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান।
৩. ওটস
ওটস ও ওটমিল শক্তির জন্য একটি চমৎকার উৎস এবং মস্তিষ্কের জন্য জ্বালানী হিসেবে কাজ করে। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় তা বাচ্চাদের সন্তুষ্ট রাখে এবং তাদের জাঙ্ক ফুডে আসক্ত হওয়া থেকে বিরত রাখে।
এ ছাড়া এগুলোতে ভিটামিন ই, বি কমপ্লেক্স এবং জিঙ্কও থাকে, যা বাচ্চাদের মস্তিষ্ককে তাদের সর্বোত্তমভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। বাড়তি স্বাদের জন্য আপেল, কলা, ব্লুবেরি— এমনকি বাদামের মতো যেকোনো ফল যোগ করতে পারেন এর সঙ্গে।
৪. রঙিন সবজি
রঙিন সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে তা মস্তিষ্কের কোষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ নিশ্চিত করতে টমেটো, মিষ্টি আলু, কুমড়া, গাজর বা পালং শাকজাতীয় সবজি খাওয়াতে পারেন।
- আরো পড়ুন: বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে যা যা রয়েছে
- আরো পড়ুন: কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে যা দেখবেন
- আরো পড়ুন: ঘুরে আসুন ঢাকার বিখ্যাত রোজ গার্ডেনে
৫. দুগ্ধজাত খাবার
দুধ, দই ও পনির জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিন বি থাকার কারণে তা মস্তিষ্কের টিস্যু, নিউরোট্রান্সমিটার এবং এনজাইমের বৃদ্ধির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর এসব খাবারে ক্যালসিয়ামও অনেক বেশি থাকায় শিশুদের শক্তিশালী এবং দাঁত ও হাড়ের বিকাশের সহায়তা করে।
তাই শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ান। আর তারা সরাসরি দুধ না খেতে চাইলে দই, পুডিং বা প্যানকেক তৈরির সময় পানির পরিবর্তে দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।