জেনে নিন ইউটিউব শর্টস থেকে আয় করার সহজ উপায় সম্পর্কে। আসুন আজকে এ সম্পর্কে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। সারাবিশ্বে এখন টিকটক বেশ জনপ্রিয় এক মাধ্যম। বর্তমানে অল্প সময়ের ভিডিওসমূহের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে এই মাধ্যমটির। আর এই ধারণাকে কাজে লাগিয়ে শর্টস ফিচারটি চালু করে ইউটিউব। অল্প সময়ের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একটি ইউটিউব ফিচারে পরিণত হয়েছে এটি।
- আরো পড়ুন: ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে ফিরে পাওয়ার উপায়
- আরো পড়ুন: স্মার্টফোন বারবার হ্যাং হলে যে ১০ কাজ করণীয়
- আরো পড়ুন: ফেসবুক থেকে আয়ের নতুন উপায়
ইউটিউব শর্টস আপলোড করার একাধিক উপায় রয়েছে। প্রথমত ভার্টিকাল এসপেক্ট রেশিওর ৬০সেকেন্ডের যেকোনো ভিডিও আপলোড করলে, তা শর্টস হিসেবে বিবেচ্য হবে। আবার ইউটিউবের ভিডিওসমূহে থাকা “Create” অপশন ব্যবহার করে উক্ত ভিডিওর সাউন্ড দ্বারা শর্টস তৈরি করা যাবে।
তবে শুধুই বিনোদনের জন্য নয়, ইউটিউবের মতো শর্টসেও ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করা যায়। এক্ষেত্রে অবশ্য ইউটিউবের মূল মনিটাইজেশন ফিচারের চেয়ে ইউটিউব শর্টস থেকে আয় করার বিষয়টি একটু আলাদা।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউটিউব শর্টস থেকে আয় করার সহজ উপায় সম্পর্কে
১. ইউটিউবের সাধারণ ভিডিও থেকে আয় করতে ইউটিউব মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হয়। তবে ইউটিউব শর্টস ফান্ডের মাধ্যমে যেকোনো ক্রিয়েটর (শুরুতে মনিটাইজেশন না থাকলেও) আয় করতে পারবেন।
২. মূলত শর্টস ক্রিয়েটরদের উৎসাহ প্রদানে এই বোনাস চালু করেছে ইউটিউব। বাংলাদেশের ক্রিয়েটরদের প্রথমদিকে শর্টস ফান্ডের বোনাসের অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও সম্প্রতি বাংলাদেশকেও শর্টস ফান্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ কেউ, ইউটিউবের মূল মনিটাইজেশন না থাকলেও শর্টস আপলোড করে আয় করতে পারবেন।
৩. শর্টসের বোনাস নির্ভর করে চ্যানেলের মাসিক ভিউস ও অডিয়েন্সের অবস্থানের উপর। সুতরাং আপনি শর্টস আপলোড করলেই যে টাকা পাবেন এর গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবেনা।
৪. ইউটিউব শর্টস ফান্ড হলো ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের একটি ফান্ড, যেখান থেকে ২০২১ ও ২০২২ সালের মধ্যে যোগ্য ক্রিয়েটরদের অর্থ প্রদান করা হবে। প্রতি মাসে একজন শর্টস ক্রিয়েটর ১০০ থেকে ১০,০০০মার্কিন ডলার পর্যন্ত শর্টস ফান্ড বোনাস পেতে পারেন।
৫. ইউটিউব শর্টস ফান্ড থেকে বোনাস তারাই পান। যেসব ক্রিয়েটর অরিজিনাল শর্টস ভিডিও তৈরি করবেন। এমনকি ইউটিউব পার্টনার এর অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন চ্যানেলও শর্টস বোনাস পাবে। অর্থাৎ প্রায় যে কেউ ইউটিউব শর্টস থেকে শর্টস ফান্ডের বোনাস পেতে পারেন।
৬. প্রতি মাসে পূর্ববর্তী মাসের শর্ট এর পারফরম্যান্স উপর ভিত্তি করে যোগ্য ক্রিয়েটরদের শর্টস ফান্ড বোনাস প্রদান করবে ইউটিউব কতৃপক্ষ। সকল শর্টস ভিডিও এর পারফরম্যান্স মেট্রিকস এ যোগ হবে। অর্থাৎ নতুন পুরোনো সকল ভিডিও থেকে শর্টসের মাধ্যমে আয় সম্ভব।
৭. প্রতি মাসে শর্টস বোনাস পাওয়া চ্যানেলের তালিকা রিফ্রেশ করা হবে। তার মানে আপনি যদি এক মাসে শর্টস বোনাস না পেয়ে থাকেন, তবে পরের মাসে পেতে পারেন।
শর্টস ফান্ডের বোনাস পেতে হলে মানতে হবে কিছু শর্ত। সেগুলো হলো-
১. শর্টস ফান্ডের বোনাস পেতে হলে বিগত ১৮০ দিনের মধ্যে চ্যানেলে কমপক্ষে একটি শর্টস আপলোড করা থাকতে হবে।
২. চ্যানেলের ইউটিউব কমিনিউটি গাইডলাইন, কপিরাইট রুলস ও মনিটাইজেশন পলিসি মেনে চলতে হবে।
- আরো পড়ুন: ওয়ার্ড প্রসেসর কি – ওয়ার্ড প্রসেসিং এর সুবিধা
- আরো পড়ুন: সফটওয়্যার কি – সফটওয়্যার কত প্রকার ও কি কি
- আরো পড়ুন: ইন্টারনেট প্রটোকল কি ও ইন্টারনেট প্রটোকল’র কাজ
৩. যেসব চ্যানেলের ভিডিওতে অন্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের লোগো বা ওয়াটারমার্ক থাকবে, সেসব চ্যানেলকে বাদ দেয়া হবে।
৪. অন্য কোনো ক্রিয়েটরের কনটেন্ট আপলোড করলে। কিংবা সিনেমা, টিভি শোর আনএডিটেড ক্লিপস আপলোড করলে সেক্ষেত্রেও উক্ত চ্যানেল শর্টস বোনাস পাবে না।
৫. ক্রিয়েটরের বয়স কমপক্ষে ১৩ বছর বা তার অধিক হতে হবে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।