দুর্গন্ধ কীভাবে দূর করবেন

জেনে নিন দুর্গন্ধ কীভাবে দূর করবেন । আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। ভ্যাজাইনাল স্মেইল, মেয়েদের যোনিপথে একটি কমন সমস্যা। সচরাচর ভ্যাজাইনাতে এক ধরনের গন্ধ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু সময় সময় এ গন্ধ পরিবর্তন হয়ে গিয়ে কিছু সময় ধরে চলতে থাকলে বুঝতে হবে জায়গাটিতে কোনো পরিবর্তন হয়েছে, যা কোন শারীরিক সমস্যার সাথে জড়িত হতে পারে। বিভিন্ন কারণে ভ্যাজাইনাতে দুর্গন্ধ হতে পারে। তবে সবসময় গন্ধের এ পরিবর্তনে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। অনেক সময় এ গন্ধ সাময়িক। তবে গন্ধ পরিবর্তনের সাথে সাথে কোন ধরনের ডিসচার্জ, চুলকানি, অস্বস্তি লাগা- এমন হলে বুঝতে হবে ভ্যাজাইনার জায়গাটি কোনোভাবে সমস্যায় আক্রান্ত।



তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দুর্গন্ধ কীভাবে দূর করবেন

টক টক গন্ধ: কোন সময় ভ্যাজাইনা থেকে এক ধরনের টক টক বা দইয়ের মতো গন্ধ বের হয় কিছুদিন ধরে। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

আঁষটে গন্ধ: কখনো কখনো টক টক গন্ধ পরিবর্তন হয়ে একধরনের মাছের গন্ধের মতো লাগতে পারে। জায়গাটি চুলকাতে পারে। এমনটি অনেক সময় পিরিয়ডের পরপর হতে পারে, সঙ্গমের পরও হতে পারে। এ সমস্যার ট্রিটমেন্ট না করলে এবং দীর্ঘদিন চলতে থাকলে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস নামক সমস্যা হতে পারে। এমনটি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কপারের গন্ধ: অনেকসময় ভ্যাজাইনা থেকে কপারের মতো গন্ধ পাওয়া যায়। কখনো কখনো লোহার পাইপের গন্ধ হতে পারে। পিরিয়ডের পরই সাধারনত এমনটি হয়। এটি পিরিয়ডের কয়েকদিন পর চলে যেতে পারে। কিন্তু পিরিয়ডের অনেক পরে এমন গন্ধের পরিমাণ বেড়ে গেলে এবং সাথে কোনো ধরনের ব্লিডিং হলে গন্ধটি স্বাভাবিক নয়। এমন অবস্থায় চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করুন।

এমোনিয়ার গন্ধ: মেয়েদের একটি কমন সমস্যা ইউরিন লিকিং। ইনকন্সিস্টেন্সি, প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা। তখন ভ্যাজাইনাল এরিয়াতে ড্রিপিং হয় ইউরিনের। অনেক সময় এটি অনেক মেয়ে বুঝতেও পারে না। মেয়েদের প্রস্রাবের রাস্তায় কোনো সমস্যা হলে ভ্যাজাইনাল এরিয়াতে এমোনিয়া ধরনের গন্ধ তৈরি করে।

এর বাইরে কখনো মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ, কখনো ব্লিচের গন্ধ, এমনকি কখনো গ্রোয়েনে বের হওয়া ঘামের গন্ধ জমেও ভ্যাজাইনাল এরিয়াতে গন্ধ তৈরি করতে পারে। পরিবর্তনগুলো স্বাভাবিক। কিন্তু পরিবর্তনগুলো বেশিদিন চলতে থাকলে এবং সঙ্গে ভ্যাজাইনাল এরিয়াতে পোড়া পোড়া ভাব, ইরিটেশন এবং কোনো ধরনের স্মেলি ডিসচার্জ নিয়মিত হতে থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।

সচেতনতায় যা জানা জরুরি

১. নিয়মিত শাওয়ার করবেন, ভ্যাজাইনাল জায়গাটি গরম পানি নয়, নরমাল তাপমাত্রার পানিতে নিয়মিত পরিষ্কার করবেন।

২. ব্যায়াম করবেন, বিশেষ করে পেলভিক ফ্লোর ব্যায়াম। স্কিপিং পেলভিক ফ্লোরের ভালো ব্যায়াম, সঙ্গে স্ট্র্যচিং।

৩. ডিসচার্জ বেড়ে গেলে পরিমাণের চেয়ে বেশি পানি পান করবেন।

৪. আন্ডার-গার্মেন্টস পরিষ্কার রাখবেন, নিয়মিত পরিবর্তন করবেন।



৫. ভ্যাজাইনাল এরিয়ার বাইরে সাবান বা জেল দিয়ে পরিষ্কার করলেও ভ্যাজাইনাল এরিয়ার ভেতরে কোনো ধরনের কেমিক্যাল দিয়ে ধোবেন না। পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন শুধু।

৬. পিরিয়ডের সময় এক প্যাড বেশিক্ষণ পরে থাকবেন না, সময় সময় চেঞ্জ করবেন।

৭. অনেকে ডেটিং বা সঙ্গমের আগে ভ্যাজাইনাল এরিয়াতে পারফিউম ব্যবহার করে সুগন্ধ তৈরি করতে। এমনটি করবেন না, এটি উলটো খারাপ ব্যাকটেরিয়া বসার জায়গা করে দেয় ভ্যাজাইনাল এরিয়াতে।

৮. ভ্যাজাইনাল আউটার এরিয়া নিয়মিত শুকনো এবং পরিষ্কার রাখবেন।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

কেন যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন

কেন যৌ’ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন

কেন যৌ’ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন! যৌ’ন বিজ্ঞান কি? যৌ’নতা কি! এমন হাজারো প্রশ্ন আপনার/আমার সবার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *