আলাদা আলাদা ৫ ধরণের সঞ্চয়পত্র কিনতে চাইলে যা করবেন

আমরা অনেকেই জানি না কোথা থেকে কোন সঞ্চয়পত্র আমাদের জন্য লাভজনক। আসুন জেনে নেই আলাদা আলাদা ৫ ধরণের সঞ্চয়পত্র কিনতে চাইলে যা করবেন । তাহলে চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

বর্তমানে সব শ্রেণির মানুষের জন্য নিরাপদ বিনিয়োগের নাম হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। আবার নিশ্চিত ও সর্বোচ্চ মুনাফার কারণে সঞ্চয়পত্র কিনতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। বর্তমানে এ ৪ ধরনের সঞ্চয়পত্র চালু আছে। পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র ৫ বছর মেয়াদের। এ ছাড়াও আছে ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র।

পরিবার সঞ্চয়পত্রের সুদ মাসিক ভিত্তিতে এবং ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্রের সুদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তোলা যায়। সঞ্চয়পত্র কেনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন ঢাকার শান্তি নগরের পোস্টমাস্টার গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া। আসুন জেনে নিই সঞ্চয়পত্র কিনতে চাইলে কি কি করবেন-

১. সব সঞ্চয়পত্রেরই নির্দিষ্ট ফরম আছে। ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করেই এ ফরম পাবেন। সঞ্চয়পত্র কিনতে ফরম পূরণ করতে হবে এবং সাথে দিতে হয় গ্রাহক ও নমিনির ২ কপি করে পাসপোর্ট আকারের ছবি। গ্রাহকের ছবি সত্যায়িত করতে হয় প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মচারীর মাধ্যমে। তবে নমিনির ছবির সত্যায়ন করতে হয় গ্রাহককে।


আরো পড়ুন: দেশে আস্থার অপর নাম সঞ্চয়পত্র
আরো পড়ুন: বাড়ি তৈরিতে ২ কোটি টাকা লোন দিচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংক
আরো পড়ুন: ধান কেনা বেচার লাভজনক ব্যবসার কৌশল


২. ১ লাখ টাকার বেশি অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ইটিআইএন) থাকতেই হবে। ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অবশ্য ইটিআইএন লাগে না।

৩. গ্রাহক ও নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি অবশ্যই দিতে হবে। নমিনি নাবালক হলে লাগে জন্ম নিবন্ধনের কপি।

৪. গ্রাহকের নিজ ব্যাংক হিসাবের চেকের কপি, যে হিসাবে গ্রাহকের মুনাফা ও আসল টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হবে, সে হিসাবের নম্বর লাগে। পেনশনার সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে বাড়তি কাগজ হিসেবে লাগে সর্বশেষ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সনদ।

৫. ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র।

সঞ্চয়পত্র কেনা ও ভাঙানো

৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের পেনশনার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। আর পরিবার সঞ্চয়পত্র রয়েছে ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের।

এগুলো কেনা যায় জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ৭১ টি সঞ্চয় ব্যুরো কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কার্যালয়, সব তফসিলি ব্যাংক ও সব ডাকঘর থেকে। একই জায়গা থেকে ভাঙানোও যায়। ভাঙানোর দিন গ্রাহককে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদন করার নিয়ম আছে।


আরো পড়ুন: মুখের ব্রণ-দাগ দূর করবে পুদিনা পাতা
আরো পড়ুন: ব্রণের দাগ দূর করে ফলের খোসা
আরো পড়ুন: মানসিক চাপ থেকে হতে পারে ত্বকের সমস্যা


পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১ লাখ টাকায় মাসিক মুনাফা পাওয়া যায় ৮৬৪ টাকা। ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ত্রৈমাসিক মুনাফা ২ হাজার ৪৮৪ টাকা। আর পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ত্রৈমাসিক মুনাফা ২ হাজার ৬৪৬ টাকা। ৩ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে একেক বছরের জন্য একেক হারে মুনাফা পাওয়া যায়।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

জীবনবিমায় প্রিমিয়াম, বোনাস এবং বার্ষিকবৃত্তি

জীবনবিমা: দাবি আদায় পদ্ধতি

জেনে নিন জীবনবিমা: দাবি আদায় পদ্ধতি সম্পের্কে। আসুন আজকে এ সম্পর্কে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *