বিশেষ প্রতিনিধি :: গতকাল সকাল ৬টা থেকে হঠাৎ কোনো ঘোষণা ছাড়াই ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে ঈদে ঘরমুখী হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়ে। শুধু ইমারজেন্সি ২টি ফেরি চালু রেখে রোগী বাহী এ্যাম্বুলেন্স পারাপার করার কথা থাকলেও সঙ্গে শত শত যাত্রী ও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার পারাপার হচ্ছে।
ইমারজেন্সি ফেরিতে নদী পার হতে মানুষের গাদা গাদি করে পার হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি রয়ে গেছে অগোচরে। এতে সরকারি সকল সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে রয়ে গেছে উপেক্ষিত। মানুষ যে যার মত করে ফেরিতে উঠছে নামছেও ঠিক একইভাবে।
এদিকে গণ পরিবহন, লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত কয়েকগুণ ভাড়া দিয়ে ছোট ছোট যানবাহনে ফেরি ঘাটে এসে পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। উপচেপড়া ভিড়ের মধ্যে নদী পার হতে একরকম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে দিনে ফেরি বন্ধের কারণে শত শত পণ্যবাহী ট্রাকের যানজট তৈরি হয়েছে দৌলতদিয়ার মহাসড়কে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা ও রোদ গরমে তাদের ভোগান্তি ছাড়িয়েছে চরমে।
আজ (রোববার ৯ মে) সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এমন চিত্র। সকল ফেরি বন্ধ রয়েছে অথচ ইমারজেন্সি ২টি ফেরি চালু থাকায় ঈদে শত শত সাধারণ মানুষ এ ফেরি গুলোতে ঘরমুখী হচ্ছেন ঠাসাঠাসি করে। আজ (রোববার ৯ মে) স্থানীয় গণপরিবহন গুলোকেও রাস্তায় তেমন একটা চলাচল করতে দেখা যায়নি।
মাহেন্দ্র, অটো টেম্পু ও ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল এবং মাইক্রোবাসে কয়েকগুণ ভাড়ায় যাত্রীরা তাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। শুধু রাতের বেলায় পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।
আরো পড়ুন: লাইফ ফোকাস পর্ব-৩
আরো পড়ুন: ৮ম শ্রেণি: বিজ্ঞান ১ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
আজিজুল হক খান মামুন-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোয়ালন্দ উপজেলা তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিসির নির্দেশনা অনুযায়ী ২টি ফেরি চালু রাখা হয়েছে শুধু ইমারজেন্সিভাবে এ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে।
জনগণকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে স্থান ত্যাগ করতে। কোভিড-১৯ এর কারণে নিজ নিজ স্থানে থেকে ঈদ করতে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেরি চলাচল সীমিত করা হয়েছে এবং সবাইকে নিজ স্থানে ঈদ করতে অনুরোধ জানান তিনি।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুণ।