জেনে নিন ওয়েব ডিজাইন ফন্ট ব্যবহারের চূড়ান্ত গাইডলাইন সম্পর্কে। আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। ফন্ট বা অক্ষর ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশেষ করে যারা ফ্রন্ট- এন্ড ডেভেলপার, তারা ফন্টের যথাযথ ব্যবহারকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখে থাকেন। কারণ, ফন্ট এমন একটি উপাদান, যা আপনার ডিজাইনকে ব্যবহারকারীর কাছে আরও ফুটিয়ে তোলে।
- আরো পড়ুন: HTML কেন ব্যাবহার করা হয় এর কোডিং কিভাবে করে
- আরো পড়ুন: এইচটিএমএল কি? এইচটিএমএল ট্যাগ কি – বৈশিষ্ট্য এবং এর ব্যবহার
- আরো পড়ুন: ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানোর সেরা ৫ টি কৌশল
ওয়েবসাইট ডিজাইনে ফন্ট ব্যবহারের ভালো ধারণা না থাকলে আপনি কখনোই একজন ভালো মানের ডিজাইনার হতে পারবেন না। নতুন ওয়েব ডিজাইন শিখতে আসা বেশীর ভাগ স্টুডেন্টের ভিতরে একটা ভুল ধারণা থাকে। আর সেটা হলো ডিজাইন করতে হলে অনেকগুলো ফন্ট সংগ্রহে রাখতে হবে। অথবা অনেকগুলো ফন্ট ব্যবহার করতে হবে। কেউ বা অনেক অনেক ফন্ট পিসিতে ইন্সটল করে রাখেন। এই ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভুল।
একটি ভালো ডিজাইন করতে হলে আপনার অনেকগুলো ফন্ট ব্যবহার করা লাগবে না। একটি ডিজাইনকে সুন্দর রূপ দিতে হলে সর্বোচ্চ ২/৩টি ফন্ট ব্যবহার করাই যথেষ্ট।
আপনি যদি অযথা কম্পিউটারে অনেক ফন্ট ইন্সটল দেন, তাতে বরং আপনার কম্পিউটার স্লো হতে পারে। আপনি ২/১ হাজার ফন্টের বান্ডেল ডাউনলোড করেও দেখবেন সেটা কাজে লাগছে না। অথচ, শুধু শুধু পিসিতে ফেলে রাখছেন।
দুর্বা টিভির পাঠকদের জন্য আজ আমরা কিছু ফন্টের নাম শেয়ার করা হলো। যেগুলো আপনি ওয়েব ও প্রিন্ট ডিজাইন উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করতে পারবেন। আর ওয়েব ডিজাইন করার ক্ষেত্রে প্রফেশনাল ডিজাইনারগণ এগুলোকেই বেশি পছন্দ করে থাকে।
Roboto, Open Sans, Raleway, Lato, Nexa, Source sans pro, Akrobat, Bebas-NEUE, Poppins, Ubuntu, Rubik, Cabin, Josefin Sans এই ফন্টগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ডিজাইনকে অসাধারণ রূপ দিতে পারবেন।
তবে ক্ষেত্র বিশেষ ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরির ওপর ফন্টের ব্যবহার নির্ভর করে। আপনি কেমন ডিজাইন করবেন, সেটা কোন ক্যাটাগরির এবং কাদের জন্য করবেন, তার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। যেমন প্রফেশনালদের জন্য ডিজাইনে আপনি যে ফন্ট করবেন, শিশুদের ক্ষেত্রেও নিশ্চই একই ফন্ট ব্যবহার করবেন না।
আবার মেয়েদের জন্য বা বিশেষ করে ফ্যাশন টাইপের ডিজাইন করলে সেখানেও ফন্টের ব্যবহার ভিন্ন হয়ে থাকে। এ ধরনের ডিজাইনে বেশীর ভাগ সময়ে Script, HandWritten এবং Display ফন্টগুলো বেশী ব্যাবহার করা হয়। একটি ডিজাইনে ফন্টের ব্যবহার ভালোভাবে শিখতে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অনুশীলন করতে হবে। ডিজাইনকে ধ্যান জ্ঞ্যানে রাখতে হবে।
১ মাস টুলস শিখলেই আপনি ডিজাইনার হয়ে যাবেন না। আবার দিনে ২ ঘণ্টা অনুশীলন করলেও ২ মাসে ডিজাইনার হতে পারবেন না। এটা সম্পূর্ণই আপেক্ষিক একটি বিষয়। আপনি বিষয়টাকে কতটা নিজের মধ্যে নিতে পারছেন, তার ওপর নির্ভর করে আপনার সফলতা।
ফন্ট নিয়ে অনুশীলন ও ফ্রিতে ভালো মানের ফন্ট পাওয়ার জন্য অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আপনি পাবেন। তার মধ্যে Google Fonts, Dafonts এবং 1001 Fonts অন্যতম। এছাড়াও Creativebloq থেকে ৪১ টি ফ্র্রি ফন্টের নাম পাবেন, যেগুলো প্রফেশনালি ব্যবহার করা হয়। তবে আপনি ইচ্ছে করলে প্রিমিয়াম ফন্ট নিয়েও কাজ করতে পারেন। আর এ জন্য MyFonts ব্যবহার করতে পারেন।
কোন ওয়েবসাইটে বিশেষ কোন ফন্ট দেখে যদি আপনার পছন্দ হয়ে যায় এবং আপনি যদি ওই ফন্টের নাম না জেনে থাকেন, তাহলে আপনি WhatTheFont ব্যবহার করতে পারেন। এটি অসাধারণ একটি ফন্ট রিকগনাইজার। যেখানে আপনি কোন নির্দিষ্ট একটি ফন্টের স্ক্রিনশট নিযৈ আপলোড করলে তারা ইমেজ থেকে ফন্টের নাম খুঁজে দেবে।
এখানে আপনি অনেক অপশন পাবেন। একটু খুঁজলে অনেক কিছু পেয়ে যাবেন। তবে সব সময় যে এখানে ১০০% সঠিক রেজাল্ট পাবেন, তা না। অন্তত ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ তো সঠিক হবেই।
- আরো পড়ুন: HTML কেন ব্যবহার করা হয় এর কোডিং কিভাবে করে
- আরো পড়ুন: এইচটিএমএল কি? এইচটিএমএল ট্যাগ কি – বৈশিষ্ট্য এবং এর ব্যবহার
- আরো পড়ুন: ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার
বাংলা ফন্ট ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই অনেক সমস্যায় পরি। আর এ জন্য কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া বাংলা ফন্ট ব্যবহারের জন্য মতিন ফন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এখানে আপনি বাংলা ওয়েবসাইটে ব্যবহারের জন্য ১২ টি প্রফেশনাল ফন্ট পাবেন। যা আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে না।
এছাড়া আপনি যদি স্টাইলিশ বাংলা ফন্ট ব্যবহার করতে চান তাহলে শহীদ ফন্ট ব্যবহার করতে পারেন। সিএসএস লিংকিং করার মাধ্যমে এখানে দেওয়া চমৎকার সব স্টাইলিশ বাংলা ফন্ট আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।