স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল ঝালকাঠি সরকারী হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সিনিয়র শিক্ষক আবু সাঈদ মোঃ ফরিদের বিরুদ্ধে। গত ৯ জুুন ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীর চোখের আড়ালে এ ফাইল সরিয়ে ফেলেন একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু সাঈদ মোঃ ফরিদ। ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক-কর্মচারী জানান, প্রতিদিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে প্রশাসনিক ভবনের মেঝেতে দিবা শাখার গুরুত্বপূর্ণ ভর্তির রেজিস্টার পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় জনৈক কর্মচারী ঐ রেজিস্টারটি শিক্ষকদের কাছে প্রদান করেন। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ৯ জুন বিদ্যালয়ের অফিসকালীন সময় শেষ হলে সন্ধ্যার সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ ফরিদ হোসেন ও নারী নির্যাতন মামলায় বরখাস্ত হওয়া একই বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়নকে নিয়ে গুরুত্বপর্ণ ফাইল ইজিবাইকে ভর্তি করে নিয়ে যায়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে শিক্ষক মোঃ ফরিদ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষটিকে গোপন কক্ষ হিসাবে ব্যবহার করেন। সেই সাথে প্রধান শিক্ষকের রুমের আলমারিতে থাকা সব কাগজপত্রের ফাইল ঐ গোপন কক্ষে নিয়ে যান।
ফাইল সরানোর অভিযোগ অস্বীকার করে স্কুলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: ফরিদ সময়ের বার্তাকে জানান, ‘স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজের টাইলস এর কিছু কাগজ স্কুলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন’ নিয়েছেন। এদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা আরজু সময়ের বার্তাকে জানান, ‘অপ্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নয়নকে দেওয়া হয়েছে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন।