জেনে নিন টাঙ্গাইল ভ্রমণে যা যা দেখলাম। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ সময়গুলো ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে যায়। চাকরির প্রস্তুতি, ক্লাস-পরীক্ষাসহ নানা দায়িত্ব এসে পরে একসাথে। তবুও থেমে থাকে না আড্ডা কিংবা ঘোরাঘুরি।
- আরো পড়ুন: শিমুল বাগান ভ্রমণের সেরা সময় কখন?
- আরো পড়ুন: ‘বাঁশ গ্রাম’র যা যা দেখবেন
- আরো পড়ুন: শ্রীমঙ্গল ভ্রমণে যা যা দেখবেন
টাঙ্গাইল ভ্রমণে যা যা দেখলাম
করোনায় অনেক দিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। হঠাৎ টং দোকানে চায়ের কাপ হাতে বন্ধুরা বলে, ‘কোথাও ঘুরতে যাওয়া হোক। পরিকল্পনাও করে। মিডটার্ম শেষে ঘুরতে যাবার।’ তবে সেবার আর যাওয়া হয়নি! পরে তানজুম, বিথী, লিমা, টুছি ও মতিউর ঠিক করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাছে কোথাও যাওয়ার। গন্তব্য বেছে নেওয়া হয় সাভার গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরের জেলা টাঙ্গাইলে।
সকাল ৭টায় রওনা হবার কথা হলেও বাসে যখন উঠি তখন ঘড়িতে ১১টা। তারপরও ৩ জন বাকি রয়ে যায়। পরের বাস ধরে রওনা দেয় আতিক, মতিউর ও মীম। ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে টাঙ্গাইলের মহেরা জমিদার বাড়িতে বিজয়, রুকু, ইশরাতসহ ৭জন পৌঁছে যাই।
জমিদার বাড়ি প্রবেশের আগেই চোখে পরে ‘বিশাখা সাগর’ নামের বিশাল এক দীঘির। পরের বাসে রওনা দেওয়া বন্ধুরা জানায়, ‘তাদের আসতে ৩০ মিনিট লাগবে।’ তাই জমিদার বাড়ির ভেতরে প্রবেশের আগে চারপাশ ঘুরে দেখলাম। জমিদার বাড়ির উল্টো দিকে আছে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একাডেমিক ভবন। অবশেষে সবাই একসঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করি। মূল ফটকের পরেই দেখা যায় চৌধুরী লজের৷ পাশাপাশি আছে আরও দুটি লজ। ভবনগুলো দেখতে প্রায় একই রকম।
একটি ভবন দেখা শেষে আরেকটি ভবনে যেতে থাকি। পুলিশের প্রশিক্ষণ চলায় লজের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। দৃষ্টিনন্দন লজগুলো দেখা শেষে পাসরা ও রানি পুকুর পারে খানিকটা বিশ্রাম করি। পুকুরের পাশেই আছে রঙিন মাছে ভরা অ্যাকুরিয়াম। আরও আছে লোহার তৈরি টেবিল ও চেয়ার। জাদুঘর দেখে মহেরা থেকে বেড়িয়ে পরি। তখন দুপুর ৩টা।
- আরো পড়ুন: কাদিগড় জাতীয় উদ্যানে যেভাবে যাবেন
- আরো পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে যা আছে দেখার
- আরো পড়ুন: বিশ্বের যে ৭ স্থানে তাজমহল দেখতে পাবেন
এবারের গন্তব্য ২০১ গম্বুজ মসজিদ। বিথীর ব্যস্ততা থাকায় সে বিদায় নেয়। গোপালপুরে বন্ধু ইমরানের বাড়ি। মসজিদে যাওয়ার আগে ইমরানের বাড়িতে যাই ও তাদের রাইস মিল পরিদর্শন করি। পরে দুপুরের খাবার সেরে নেই। বেলা ডুবে গেছে। অটোরিকশায় চেপে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গম্বুজের মসজিদে পৌঁছে যাই। রাত হয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ থাকলেও এই মসজিদ এনে দেয় প্রশান্তি।
কারুকার্যে পরিপূর্ণ বিশাল এই মসজিদ এখনো নির্মাণাধীন। রাতের শেষ বাসে ক্যাম্পাসে ফেরত আসি। এখানেই গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ৬ষ্ঠ ব্যাচের সফর সমাপ্ত হয়।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।