‘বাঁশ গ্রাম’র যা যা দেখবেন

জেনে নিন ‘বাঁশ গ্রাম’র যা যা দেখবেন । বাঁশ দিয়ে তৈরি বিশাল এক গ্রাম। চারপাশে রয়েছে সারি সারি বাঁশ, বাঁশের তৈরি ঘর, সাঁকো, রেস্টুরেন্ট, রাস্তা। এমনকি গ্রামের বিভিন্ন স্থানে বাঁশ দিয়েই সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে গ্রামটির।



‘বাঁশ গ্রাম’র যা যা দেখবেন

জানা গেছে, ১৪ প্রজাতিরও বেশি সংখ্যক বাঁশ আছে এই গ্রামে। এ কারণে নাম দেয়া হয়েছে বাঁশ গ্রাম। প্রকৃতির সান্নিধ্যে যারা দু’দণ্ড নিরিবিলি সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য বাঁশ গ্রাম হতে পারে আদর্শ এক স্থান।

নিরিবিলি ও শান্ত পরিবেশে পাখিদের ডাকসহ বাতাসে বাঁশ ঝাড়ের আওয়াজ মুহূর্তেই আপনাকে নিয়ে যাবে কল্পনার জগতে। গ্রামে সবাই বাঁশ বাগানের দেখা ঠিকই পেয়ে যান, কিন্তু সাজানো গোছানো একটি বাঁশের গ্রাম দেখতে হলে যেতে হবে বাঁশ গ্রামে। তবে এদেশে নয়, বরং ভারতের ত্রিপুরায় গড়ে তোলা হয়েছে বিস্ময়কর এই গ্রাম।

ত্রিপুরায় তৈরি হয়েছে ভারতের প্রথম বাঁশের উদ্যান। ইকো-ট্যুরিজমকে আরও উন্নত করতেই তৈরি হলো এই বাঁশ গ্রাম। যারা যোগাসন করতে ভালবাসেন, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই বাঁশ গ্রাম তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের ঠিক পাশে পশ্চিম ত্রিপুরার কাতলামারায় তৈরি করা হয়েছে এই বাঁশের তৈরি উদ্যানটি। প্রায় ৯ একর জমিজুড়ে এর অবস্থান। বাম্বু আর্কি‌টেক ও বিশেষজ্ঞ মান্না রায়ের নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছে এই বাঁশ গ্রাম। জানা গেছে, এরই মধ্যেই ভারতের বহু পরিবেশবিদ ও প্রচুর পর্যটকরা স্থানটিতে ঢুঁ মেরে আসছেন। তার মধ্যে আছে বিদেশি পর্যটকও।

জানা গেছে, এই বাঁশ গ্রামে আছে একটি যোগাসন কেন্দ্র, খেলার মাঠ, বেশ কয়েকটি পুকুর, বাঁশের তৈরি সেতু, বাঁশের তৈরি কটেজ ইত্যাদি। যেহেতু এই উদ্যানের উদ্দেশ্য পরিবেশের সঙ্গে মানুষের যোগসূত্র স্থাপন করা, তাই সমগ্র উদ্যানটি সবুজে ঘেরা।



আছে অনেক পশু-পাখিও। বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব উপযোগিতা ও সুবিধাও রয়েছে এখানে। ত্রিপুরার বাঁশ-বেতের কারুকার্য নজরকাড়া। এই রাজ্যে বর্তমানে ২১ প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়। বাঁশ গ্রামে ঘুরতে গেলে আপনি দেখতে পাবেন ১৪টিরও বেশি প্রজাতির বাঁশ। এ ছাড়াও আছে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ ও ফুলের গাছ।

এক সাক্ষাৎকারে মান্না রায় জানিয়েছেন, এই বাঁশ গ্রামে দ্রুত তৈরি হতে চলেছে একটি জাদুঘরও। যেখানে দেখা যাবে আধুনিকতার যুগে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হওয়া বাঁশের তৈরি বিভিন্ন জিনিস।

জানা গেছে, বাঁশ গ্রাম তৈরির পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো প্রকৃতির ক্ষতি না করেই স্থানীয় ও গ্রামীণ সম্পদের সঠিক ও কার্যকর ব্যবহার। বাঁশ গ্রামকে একটি বিশ্বমানের মেডিকেল-কাম-ইকো পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করাই উদ্যোক্তার উদ্দেশ্য। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে বাঁশ গ্রাম গড়ে তুলতে। সরকার বা কোনো ব্যাংকের কাছ থেকে নেয়া হয়নি টাকা।

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

‘নিউজিল্যান্ড পাড়ায়’ দেখবেন যেখানে

‘নিউজিল্যান্ড পাড়ায়’ দেখবেন যেখানে

জেনে নিন ‘নিউজিল্যান্ড পাড়ায়’ দেখবেন যেখানে । দেশের মধ্যেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড পাড়া। নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *