জেনে নিন কিভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন পাবেন । আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আমরা যেই পরিমান আয় করি, সেটা অনেক সময় আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়, তাই পরিবারে বা ব্যক্তিগত কাজে আর্থিক ঘারটতি দেখা দিলে ব্যাংক থেকে ঋণ বা লোনের দারস্থ হয় আমরা। ব্যাক্তিগত ঋণ বা পার্সোনাল লোনের চাহিদা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি। কারণ এটা ঝামেলামুক্ত, কম ডকুমেন্টস লাগে এবং খুব দ্বারা সময়ের মধ্যে এই লোনটা প্রসেস করা হয়।
ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন পাবেন
তবে পার্সোনাল লোন নেয়ার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে খুজ খবর নিতে হবে যে, কোন ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেট সবচেয়ে কম এবং অনান্য সুযোগ সুবিধা কেমন, বাংলাদেশের সব ব্যাংক পর্যালোচনা করে পাওয়া যায় যে, ডাচ বাংলা ব্যাংকের পার্সোনাল লোনের ইন্টারেস্ট রেট সবচেয়ে কম। তাই ডাচ বাংলা ব্যাংকের পার্সোনালটা আপনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পাবেন।
- আরো পড়ুন: ইউসিবি ব্যাংক লোন উপায়
- আরো পড়ুন: ই-লোন সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা
- আরো পড়ুন: ব্যাংক গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তায় নতুন আইন কি!
আজকে আপনারা জানতে পারবেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের পার্সোনাল লোন সম্পর্কে এ টু ডেট সবকিছু । যেই তথ্যগুলো আপনি অন্য কোনো ভিডিও কিংবা ওয়েবসাইটে হান্ড্রেড পার্সেন্ট সঠিক নাও-পেতে পারেন। তো প্রথমেই আপনারা যে,
- ডাচ বাংলা ব্যাংকের পার্সোনাল লোনের জন্য কারা আবেদন করতে পারব?
- যদি আপনি পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনি সর্বনিম্ন কত টাকা এবং সর্বোচ্চ কত টাকা লোন নিতে পারবেন?
- পার্সোনাল লোনের ইন্টারেস্ট কত হবে?
- প্রসেসিং ফ্রী কত হবে?
- তো আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে চান, সেইক্ষেত্রে আপনার কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে?
- কত টাকা লোন নিলে আপনার মাসিক কিস্তি কত টাকা আসবে?
- ডাচ বাংলা ব্যাংকের পার্সোনাল লোনের জন্য কারা আবেদন করতে পারবে?
বেতনযুক্ত ব্যক্তি (Salaried Person)
আপনি যদি কোথাও জব করেন এবং সেখান থেকে প্রতিমাসে আপনি যদি সেলারি পান, আপনার সেলারিগুলো যদি কোনো ব্যাংকে সাথে যুক্ত হয় অথবা আপনার সেলারি থেকে ৫০ শতাংশ হয়তো কেইসে পাচ্ছেন আর বাকি ৫০ শতাংশ সেলারি হয়তো ব্যাংক একাউন্টে জমা হচ্ছে । তাহলে আপনি এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন । বেতনযুক্ত ব্যক্তি সরকারি জীবীও হতে পারে, আবার বেসরকারিজীবীও হতে পারে।
পেশাদার যেমন: (Doctor, Engineer, Architect, FCA, CA, etc)
এই ধরনের প্রফেশনালে যারা আছেন তারা চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংকের পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বাড়িওয়ালা (Landlord / Landlady)
আপনার যদি কোনো বাড়ি থাকে, আপনি যদি সেই বাড়ি থেকে প্রতিমাসে ভাড়া পান তাহলে আপনি এই Dutch Bangla Bank personal loan এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ব্যবসায়ী (Business person)
আপনি যদি কোনো একটা বিজনেস পারসন্স হন, হতে পারে সেটা আপনার প্রাইভেট কোম্পানি অথবা লিমিটেড কম্পানি অথবা পাটনারশীপ বিজনেস তাহলে আপনি এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এবার আপনারা জানবেন যে,
ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোনের পরিমাণ কত?
যদি আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনি সর্বনিম্ন কত টাকা এবং সর্বোচ্চ কত টাকা লোন নিতে পারবেন?
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে আপনি যদি Dutch Bangla Bank personal loan নেন, তাহলে সর্বনিম্ন আপনি ৫০ হাজার টাকা লোন নিতে পারবেন। এবং সর্বোচ্চ যদি নিতে চান সেই ক্ষেত্রে ২০ লাখ টাকা পযর্ন্ত আপনি পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন।
ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোনের ইন্টারেস্ট কত হবে?
আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে যদি পার্সোনাল লোন নেন তাহলে আপনার ইন্টারেস্ট রেট হবে ৭.৫০ শতাংশ। এবং আপনি যদি অন্য ব্যাংক থেকে টেকওভার করেন। মনে করুন, যে, আপনি হয়তো ব্র্যাক ব্যাংকে থেকে একটা লোন নিয়েছেন বা অন্য কোনো ব্যাংকে আপনার একটা লোন রয়েছে। আপনার সেই লোনটা এখনো শেষ হয়নি।
আপনি চাইছেন যে, আপনার লোনের পরিমান যেটা রয়েছে সেটা যদি আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে টেকওভার করেন তাহলে আপনি ৭.০০ শতাংশ ইন্টারেস্ট এই লোনটা নিতে পারবেন। তার মানে যদি আপনি নতুন লোন নেন ডাচ বাংলা থেকে সেই ক্ষেত্রে আপনার ইন্টারেস্ট রেট হবে ৭.০০ শতাংশ। আর যদি অন্য কোনও ব্যাংক থেকে আপনি লোন টেকওভার করে আনেন সেইক্ষেত্রেও আপনার ইন্টারেস্ট হবে ৭.০০ শতাংশ।
ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোনের মেয়াদ কতদিন পাবেন?
পার্সোনাল লোনের মেয়াদ হবে ১ থেকে ৫ বছরের জন্য।
ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন প্রসেসিং ফ্রী কত হবে?
নতুন লোনের ক্ষেত্রে প্রসেসিং ফ্রী হচ্ছে ০.৫ শতাংশ থেকে ১.০০ শতাংশ পযর্ন্ত । আর আপনি অন্য কোনো ব্যাংক থেকে যদি লোন টেকওভার করে আনেন সেইক্ষেত্রে আপনার কোনো প্রসেসিং ফ্রী নেই । এটা সম্পূর্ণ প্রসেসিং ফ্রী মুক্ত। তো ডাচ বাংলার এখন পযর্ন্ত মার্কেটে যতগুলো ব্যাংক আপনার লোন সেইল করছে পার্সোনাল লোন, যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা গাইডলাইন আছে সর্বোচ্চ ব্যাংকের পার্সোনাল লোন হচ্ছে ৯.০০ শতাংশ। বাংলাদেশের যতগুলো ব্যাংক আছে সবগুলো ব্যাংক এনালাইসিস করে পাওয়া যায় যে, ডাচ বাংলা ব্যাংকের পার্সোনাল লোনের ইন্টারেস্ট রেট সবচাইতে কম ।
ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন নিতে কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে?
আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে চান, তাহলে আপনার যেই যোগ্যতাগুলো থাকতে হবে সেইগুলো হলো:
১. বয়স : আপনার বয়স হতে হবে অবশ্যই ১৮ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
২. জাতীয়তা : আপনার জাতীয়তা অবশ্যই বাংলাদেশি হতে হবে । তার মানে আপনার কাছে অবশ্যই আপনার নেশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে ।
৩. মাসিক আয় :
আপনি যদি বেতনযুক্ত ব্যক্তি হন বা আপনি পেশাদার হন বা আপনি কোনো বাড়ির মালিক হন সেইক্ষেত্রে প্রতিমাসে আপনার যদি মিনিমাম ৩০ হাজার টাকা ইনকাম থাকে তাহলে আপনি এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন । আর আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন, সেইক্ষেত্রে প্রতিমাসে যদি আপনার বিজনেস থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম হয় । তাহলে আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৪. কাজের অভিজ্ঞতা :
এবং আপনার অভিজ্ঞতা হতে হবে, আপনি যদি বেতনযুক্ত ব্যক্তি হন তাহলে ১ থেকে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, যদি আপনি কোনো পেশাদার হন কোনো ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার হন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ৬ মাসের পেকটিসের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ব্যবসায়ী হলে মিনিমাম আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বয়স ২ বছর হতে হবে। আর যদি আপনি বাড়িওয়ালা হন অথবা আপনার কোনো বাড়ি থাকে সেইক্ষেত্রে আপনার কোনো অভিজ্ঞতা লাগবেনা । তো এই যোগ্যতাগুলো থাকলে তাহলেই আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন । এখন আপনারা জানতে পারবেন যে,
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিলে আপনার মাসিক কিস্তি কত আসবে ?
আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ৩ বছরের জন্য ১ লাখ টাকা নতুন লোন নেন তাহলে আপনার ইন্টারেস্ট হবে ৭.৫০ শতাংশ ৷ এবং মেয়াদ হবে ৩ বছর। ৩ বছরের মোট কিস্তি হবে ৩৬ টি । এবং মাসিক কিস্তি আসবে ৩,১১০.৬২ টাকা । আপনাকে মোট ইন্টারেস্ট প্রদান করতে হবে ১১,৯৮২.৩৯ টাকা ।
তার মানে আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ৩ বছরের জন্য ১ লাখ টাকা লোন নেন তাহলে আপনাকে ১ লাখ টাকার সাথে ইন্টারেস্ট দিতে হবে মাত্র ১১,৯৮২.৩৯ টাকা। আর আপনি যদি ৫ বছরের জন্য ৫ লাখ টাকা লোন নেন তাহলে আপনার লোনের পরিমান হবে ৫,০০,০০০ টাকা।
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিলে ইন্টারেস্ট রেট
ইন্টারেস্ট রেট হবে ৭.৫০ শতাংশ। আপনার মেয়াদ হবে ৫ বছর । এবং মোট কিস্তি হবে ৬০টি । প্রতিবছর যদি আপনি ১২ টা করে কিস্তি দেন, প্রতিমাসে একটা করে তাহলে ৫ বছরে হবে ৬০ টা কিস্তি । প্রতিমাসে আপনাকে যেই কিস্তি ইএমআইটা দিতে হবে সেটার পরিমাণ আসবে ১০.০১৮.৯৭ টাকা ।
মোট ইন্টারেস্ট আসবে আপনার ১,০১,১৩৮.৫০ টাকা। তার মানে আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা লোন নেন তাহলে আপনার ৫ লাখ টাকার সঙ্গে আপনাকে এক্সট্রা ইন্টারেস্ট দিতে হবে ১,০১,১৩৮.৫০ টাকা ।
এবার মনে করুন, আপনি যদি অন্য কোনো ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা টিকওভার করে আনেন সেইক্ষেত্রে ইন্টারেস্ট হবে ৭.০০ শতাংশ। এবং মেয়াদ হবে ৫ বছর, মোট কিস্তি হবে ৬০ টি, প্রতিমাসে আপনাকে মাসিক কিস্তি বা ইএমআইটা দিতে হবে ৯,৯০০.৫৯ টাকা, মোট ইন্টারেস্ট দিতে হবে ৯৪,০৩৫.৯৬ টাকা ।
এখন ধরুন, আপনার অন্য কোনও ব্যাংকে একটা লোন আছে সেটার ইন্টারেস্ট রেট আপনি ৯ শতাংশ করে দিচ্ছেন এই মুহূর্তে, কিন্তু আপনি যদি সেই লোনটা ডাচ বাংলা ব্যাংকে টেকওভার করে আনেন সেই ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ইন্টারেস্ট রেটটা ৯ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ এ চলে আসবে। এবং আপনার ইএমআই এর পরিমাণটাও কমে যাবে। এবং মোট ইন্টারেস্ট রেটটাও কমে যাবে। এছাড়া আপনার লোনের পরিমাণটা হয়তো ভিন্নও হতে পারে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন আপনার কি কি ধরনের ডকুমেন্টস লাগবে?
প্রথমে, আপনার কমন ডকুমেন্টস লাগবে। এর মানে আপনি যেই প্রফেশনালের লোক হোন না কেন সেই ক্ষেত্রে আপনার কমন ডকুমেন্টসগুলো লাগবে । আপনার যেই যেই কমন ডকুমেন্টসগুলো লাগবে সেগুলো হলো যেমন:
- ৩ কপি চবি
- NID কপি
- ভিজিটিং কার্ড / অফিস আইডি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ই-টিন কপি
- ইউটিলিটি বিলের কপির প্রয়োজন হবে ।
- যেহেতু আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে পার্সোনাল লোনের জন্য এপ্লাই করবেন সেইক্ষেত্রে আপনার একজন গ্যারান্টের থাকতে হবে। সেটা আপনার ফ্যামিলির কেউ একজনও হতে পারে অথবা আপনার পরিচিত কেউ একজনও হতে পারে।
- সেই ক্ষেত্রে আপনার যেই গ্যারান্টের থাকবে তার ২ কপি ছবি, NID কার্ডের ফটোকপি লাগবে। পাশাপাশি ব্যাংকের রিকোয়ামেন্ড অনুযায়ী আড্রাস কিছু ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হতে পারে । তো এগুলো হচ্ছে কমন ডকুমেন্টস। এছাড়াও প্রত্যেকটা প্রফেশন অনুযায়ী আপনাকে আলাদা আলাদা কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে সেগুলো হচ্ছে যেমন:
বেতনযুক্ত ব্যক্তি
আপনি যদি বেতনযুক্ত ব্যক্তি হন তাহলে আপনার স্যলারি সার্টিফিকেটের কপি লাগবে, পে – স্লিকের কপি এবং ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টে লাগবে যেখানে আপনার স্যলারিটা রিফ্লেক্ট করবে ।
পেশার ক্ষেত্রে
আপনি যদি পেশাদার ব্যক্তি হন, তাহলে আপনার পেশাদারি সার্টিফিকেট কপি, যেমন আপনি যদি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হন সেই ক্ষেত্রে আপনার বিএমডিসির সার্টিফিকেট লাগবে। তো আপনি যেই যেই প্রফেশনের হোন না কেন সেই প্রফেশন অনুযায়ী আপনার পেশাদারিত্ব যেই সার্টিফিকেটটা রয়েছে সেটার ফটোকপি লাগবে, আপনি লেটার হেডে যেই আয়টা করেন সেটার ডিক্লেয়ারেশন দিবেন, এবং আপনার ১ বছর ব্যাংক এস্টেটমেন্ট লাগবে।
ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে
আপনি যদি বিজনেসম্যান হন সেইক্ষেত্রে আপনার বিজনেসের লাস্ট ৩ বছরের ট্রেড লাইসেন্সের কপি লাগবে এবং আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি পার্টনারশিপ কম্পানি হয় সেই ক্ষেত্রে আপনার পার্টনারশিপ ডিড লাগবে। আর যদি লিমিটেড কম্পানি হয় সেই ক্ষেত্রে মোয়া কপি লাগবে। ১ বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে আর কোম্পানির TIN / BIN সার্টিফিকেটের কপির প্রয়োজন হবে।
বাড়িওয়ালা
আপনি যদি বাড়িওয়ালা হন, সেইক্ষেত্রে বাড়ি ভাড়া এগ্রিমেন্টের কপি লাগবে, আপনি কত টাকা মাসিক ভাড়া আয় করেন সেইবিষয়ে একটা ডিক্লেয়ারেশন দিতে হবে, আপনার বাড়ির ওনারশীপ লাগবে, আপনার ১ বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবে। এর পাশাপাশি যারা প্রবাসি ভাইয়েরা রয়েছেন দেশের বাইরে থাকেন তারাও চাইলে এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে সেই ক্ষেত্রে ব্যাংকের রিকমেন্ড অনুযায়ী যেই ডকুমেন্টসগুলো প্রয়োজন হয় সেই ডকুমেন্টসগুলো আপনাকে সাভমিড করতে হবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
তো ডাচ বাংলা ব্যাংকের পার্সোনাল লোনের সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য রয়েছে চলুন সেগুলো জেনে নিন।
প্রথমত, ডাচ বাংলা লোনের জন্য কন্টাকচুয়াল এমপ্লয়ি আবেদন করতে পারবে। এবং অনেকেই রয়েছে যারা বিভিন্ন কোম্পানিতে জব করে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জব করে যারা হয়তো পাল্মারেট এমপ্লয়ি না। তার পূর্বে এতদিন পযর্ন্ত যারা ছিল পাল্মারেট না-হলে আপনি কোনো ব্যাংক থেকে লোন বা ক্রেডিট কার্ডের জন্য এপ্লাই করতে পারতেন না বা এপ্লাই করলেও সেটা ডিকলাইন হতো। কিন্তু ডাচ বাংলা পার্সোনাল লোনের জন্য কোনো কন্টাকচুয়াল এমপ্লয়ি চাইলে আবেদন করতে পারবে এবং তিনিও এই লোনটা নিতে পারবে।
দ্বিতীয়, আপনার লোন নেয়ার পর আপনি চাইলে যেকোনো মূহুর্তে সেই লোনটা আংশিক বা ফুল আর্লিসেটেলমেন্ট করতে পারবেন। দরুণ আপনি ৫ লাখ টাকা লোন নিয়েছেন ৫ বছরের জন্য, কিন্তু আপনি ২ বছর যাওয়ার পর চাইছেন আপনার লোনের সম্পূর্ণ টাকাগুলো একেবারে পরিশোধ করে দিতে সেইটা সম্ভব অথবা আপনি যদি আংশিক সেটেল করতে চান সেটাও সম্ভব।
- আরো পড়ুন: ১ লাখ টাকা খরচে ব্যাগ তৈরির কারখানায় মাসে ৪০ হাজার আয়
- আরো পড়ুন: টেক্সটাইলে ব্যবহৃত কেমিক্যাল ব্যবসা
- আরো পড়ুন: কিভাবে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায়?
আর্লিসেটেলমেন্ট ফ্রী : আপনি যদি আংশিক আর্লিসেটেলমেন্ট করেন সেই ক্ষেত্রে ১.০০ শতাংশ। আর আপনি যদি ফুল আর্লিসেটেলমেন্ট করেন সেইক্ষেত্রে আপনার ২.০০ শতাংশ আর্লিসেটেলমেন্ট ফ্রী চার্জ হবে।
আপনি চাইলে আপনার পরিবারের যেকোনো সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে জয়েন্টলি এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। হয়তো আপনি যদি এককভাবে আবেদন করতে চান তাহলে আপনার ইনকাম অনুযায়ী এমাউন্টা কম পাবেন। তো আপনি যদি বেশি এমাউন্ট পেতে চান তাহলে আপনি চাইলে আপনার পরিবারের আপনার বাবা, মা, ভাই, বোন বা যেকোনো কাউকে জয়েন্টলি নিয়ে এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তাহলে হয়তো আপনাদের ২ জনের ইনকামটা যখন দেখাবেন তখন আপনাদের টোটাল ইনকামের উপর ভিত্তি করেই আপনার লোনের এপ্লাইটা এপ্রুফ হবে। তো সেই ক্ষেত্রে আপনি বেশি পরিমাণে লোন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এবং এই লোনের পরিমাণ যদি ৫ লাখ টাকার কম হয় তাহলে আপনার ই-টিন সার্টিফিকেট লাগবে না। আর যদি ৫ লাখ টাকা বেশি হয় তাহলে আপনার ই-টিন সার্টিফিকেট লাগবে।
এই লোনের জন্য আপনি চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনেও আবেদন করতে পারেন। ডাচ বাংলা ব্যাংকের একটা অনলাইন এপ্লিকেশন রয়েছে। আপনারা চাইলে এই লিংকে এপ্লাই করতে পারবেন। তাহলে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে আপনার সঙ্গে সরাসরি কমেনিকেড করা হবে।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।