নবম-দশম শ্রেণি:ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)

নবম-দশম শ্রেণি:ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)

সৃজনশীল প্রশ্ন-১

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
২০১২ সালের আর্থিক বিবরণীতে দেখা যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
ক. রপ্তানি থেকে আমদানি বেশি হলে কোন ধরনের ঘাটতি দেখা যায়?

খ. সরকার কেন দেশের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করে?
গ. এ কে এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক জনাব সোহানের সামগ্রিক কার্যক্রমকে কী বলা যায়? বর্ণনা কর।
ঘ. জনাব সোহান কোন নীতিটি ঠিকমতো অনুসরণ করলে ক্ষতির সম্মুখীন হতেন না বলে মনে কর?

সৃজনশীল উত্তর
ক. রপ্তানি থেকে আমদানি বেশি হলে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা যায়।
খ. সরকার নিজ দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সমাজের কল্যাণ সাধনের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করে। তার ব্যয়ের খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে রাস্তাঘাট,

সেতু, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি হাসপাতাল, আইনশৃঙ্খলা ও প্রতিরক্ষা, সামাজিক অবকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদি। অর্থাৎ সরকারি অর্থায়নের মূল লক্ষ্য হলো সমাজকল্যাণ।

গ. এ কে এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক জনাব সোহানের সামগ্রিক কার্যক্রমকে ব্যবসায় অর্থায়ন বলা যায়। ব্যবসায় অর্থায়ন হচ্ছে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ এবং সুষ্ঠুভাবে উক্ত তহবিল লাভজনক খাতে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া। অর্থাৎ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তার তহবিল সংগ্রহ ও বিনিয়োগের জন্য এরূপ অর্থায়ন প্রক্রিয়া প্রয়োগ করে থাকে।

উদ্দীপকের জনাব সোহান মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে ঝুঁকি নিয়ে একটি একমালিকানা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ কে এন্টারপ্রাইজকে গড়ে তুলেছেন। প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার পাশাপাশি তিনি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপক হিসেবে অর্থায়নের কাজও পরিচালনা করেছেন।

তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি উৎস হিসেবে ব্যাংক ঋণ এবং স্বল্পমেয়াদি উৎস হিসেবে বন্ধুর ঋণ ও মামাতো বোনের ঋণকে ব্যবহার করেছেন। এসব উৎস হতে সংগৃহীত তহবিল তিনি বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতন, ভাড়া, নতুন মেশিন ক্রয় খাতে ব্যয় করেছেন। তার সম্পাদিত এসব কার্যাবলি ব্যবসায় অর্থায়নের আওতাভুক্ত।

ঘ. জনাব সোহান তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কারবারি অর্থায়নের উপযুক্ততার নীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করলে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতির সম্মুখীন হতো না। কারণ উপযুক্ততার নীতি স্বল্পমেয়াদি তহবিল দিয়ে চলতি মূলধন এবং দীর্ঘমেয়াদি তহবিল দিয়ে স্থায়ী মূলধন সরবরাহের দিক নির্দেশনা দেয়।

একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সচল রাখার জন্য যে নিত্যনৈমিত্তিক অর্থের প্রয়োজন পড়ে সেটাই চলতি মূলধন। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের জন্য মেশিন ক্রয়, দালানকোঠা নির্মাণ ইত্যাদি হলো স্থায়ী মূলধন। উদ্দীপকে জনাব সোহান তার প্রতিষ্ঠানে উপযুক্তার নীতি অনুসরণ না করে বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি উৎস থেকে ১০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে তার অধিকাংশই বিভিন্ন চলতি মূলধন খাতে ব্যয় করেছেন।

এভাবে দীর্ঘমেয়াদি তহবিল দিয়ে চলতি মূলধন সরবরাহ করায় দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুদ তার চলতি ব্যয়কে বৃদ্ধি করেছে। ফলে উপার্জিত আয় হতে চলতি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হয়নি। উপরন্তু চলতি ব্যয় নির্বাহের জন্য তাকে আবার দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের উৎসই ব্যবহার করতে হয়েছে।

এভাবে ধীরে ধীরে উপার্জন অপেক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলতি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এ কে এন্টারপ্রাইজের ক্ষতির কারণ বিশ্লেষণ করে আমার এটাই মনে হয়েছে যে, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক জনাব সোহান যদি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে উপযুক্ততার নীতি অনুসরণ করতেন তাহলে প্রতিষ্ঠানটি এরূপ ক্ষতির সম্মুখীন হত না।

সৃজনশীল প্রশ্ন-২
ক. কিসের পর থেকেই উৎপাদন কৌশল জটিলতর হয়?
খ. একজন ব্যবসায়ীর কোন ধরনের জ্ঞান থাকলে পরিকল্পনামাফিক স্বল্পমূল্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থসংস্থান করতে পারে? ব্যাখ্যা কর।

গ. ‘ক’ প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে অর্থায়ন করতে পারে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উপরিউক্ত দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোন প্রতিষ্ঠানটির ঝুঁকি কম বলে মনে হয়? বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল উত্তর

ক. সপ্তদশ শতাব্দীর শিল্পবিপ্লবের পর থেকেই উৎপাদন কৌশল জটিলতর হয়।
খ. একজন ব্যবসায়ীর অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জ্ঞান থাকলে পরিকল্পনামাফিক স্বল্পমূল্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থসংস্থান করতে পারে।

কারণ অর্থায়নের কাজই হচ্ছে কোন উৎস থেকে কী পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করে, কোথায় বিনিয়োগ করা হলে কারবারের সর্বোচ্চ মুনাফা হবে সেই সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা। অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জ্ঞানের মাধ্যমে একজন ব্যবসায়ী ন্যূনতম খরচে প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহের আদর্শ মিশ্রণ বের করতে পারে।

গ. ‘ক’ প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব তহবিল, আত্মীয়স্বজন বা বন্ধু-বান্ধব থেকে ঋণ ও ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে অর্থায়ন করতে পারে।
একমালিকানা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গঠন ও পরিচালনায় অপেক্ষাকৃত স্বল্প তহবিল প্রয়োজন হয়। তাই মালিক সহজেই নিজস্ব সঞ্চয় থেকে অর্থায়ন করতে পারে। এরূপ ব্যবসায়ের জন্য বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়স্বজন স্বল্পমেয়াদি ঋণের অন্যতম উৎস।

তাছাড়া প্রয়োজনের সময় সুদের বিনিময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ থেকে ঋণ নিয়ে এরূপ ব্যবসায় অর্থায়ন করতে পারে। উদ্দীপকে ‘ক’ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা মালিক একাই ভোগ করে।

মালিকের একক ব্যবস্থাপনা সীমাবদ্ধ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের একমাত্র ব্যবসায়িক পণ্য মিনিপ্যাক শ্যাম্পু অর্থাৎ ‘ক’ প্রতিষ্ঠানটি একটি একমালিকানা ব্যবসায় সংগঠন। তাই প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় তহবিল মালিককে নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করতে হয়।

‘ক’ প্রতিষ্ঠান তহবিলের উৎস হিসেবে মালিকের নিজস্ব তহবিল, মুনাফা, আত্মীয়-স্বজন থেকে গৃহীত ঋণ, ব্যাংক বা গ্রামীণ মহাজন থেকে সুদের ভিত্তিতে ঋণ নিতে পারে। এভাবেই ‘ক’ প্রতিষ্ঠানের মালিক তার ব্যবসায়ের জন্য অর্থায়ন করতে পারে।

ঘ. ‘ক’ ও ‘খ’ এই দুইটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমার কাছে ‘খ’ প্রতিষ্ঠানটির ঝুঁকি কম বলে মনে হয়।
ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য একই ব্যবসায়ে বিভিন্ন প্রকার পণ্য বিক্রয় করার নীতিকে বৈচিত্র্যকরণ নীতি বলা হয়। ব্যবসায়ের বৈচিত্র্যকরণ নিশ্চিত করতে পারলে ঝুঁকি বণ্টনও নিশ্চিত হয়। তাই ঝুঁকি বণ্টনের মাধ্যমে সফলতা নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ের বৈচিত্র্যকরণ প্রয়োজন।

উদ্দীপকের দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘ক’ প্রতিষ্ঠানটির একমাত্র ব্যবসায়িক পণ্য হচ্ছে মিনিপ্যাক শ্যাম্পু। অন্যদিকে ‘খ’ প্রতিষ্ঠান তিনটি পণ্য নিয়ে ব্যবসায় করে। সেগুলো হলো বোতলজাত শ্যাম্পু, মিনিপ্যাক শ্যাম্পু ও হারবাল শ্যাম্পু।

তাই যে কোনো একক পণ্যের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হতে ‘খ’ প্রতিষ্ঠানটি কাক্সিক্ষত মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্রে একটি বাড়তি সুবিধা ভোগ করছে। এক্ষেত্রে সুবিধাটি হলো দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, প্রাকৃতিক ইত্যাদির জন্য সৃষ্ট অনাকাক্সিক্ষত কারণে যে কোনো একটি পণ্যের হ্রাসকৃত বিক্রয়কে অন্য পণ্যের বাড়তি বিক্রয় দ্বারা পুষিয়ে নিতে পারছে।

ফলে তার কাক্সিক্ষত মুনাফা ঠিক থাকছে যা একক পণ্যের ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কখনোই সম্ভব নয়। আবার, ‘খ’ প্রতিষ্ঠানের মালিক একাধিক। এরূপ প্রতিষ্ঠানে লাভ বা ক্ষতি অংশীদারদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। অর্থাৎ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মালিকরা একমালিকানা প্রতিষ্ঠানের মালিকের মতো ব্যবসায়ের সমস্ত ঝুঁকি বহন করে না।

সুতরাং, এক পণ্যের ব্যবসায়িক ক্ষতি অন্য পণ্য দিয়ে পুষিয়ে নেওয়ার এবং ব্যবসায়ের ঝুঁকি একাধিক ব্যক্তির মধ্যে বণ্টন করার সুযোগ থাকায় ‘খ’ প্রতিষ্ঠানটি ঝুঁকি ‘ক’ প্রতিষ্ঠানের তুলনা অনেক কম।

অভিন্ন প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন
মিসেস রোদষী একটি পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানির একজন আর্থিক ব্যবস্থাপক। তিনি প্রথমে কোম্পানির তহবিল সংগ্রহের জন্য শেয়ার বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেন। দ্বিতীয়ত কোম্পানির পণ্য উৎপাদনে সহায়তার জন্য একটি কম্পিউটার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। [স. বো. ’১৫]

ক. সরকারি অর্থায়নের মূল লক্ষ্য কী?
খ. ব্যবসায়ের মূল্য চালিকাশক্তি কী? ব্যাখ্যা কর।

গ. মিসেস রোদষীর প্রথম সিদ্ধান্তটি কোন ধরনের? বর্ণনা কর।
ঘ. মিসেস রোদষীর কোম্পানির জন্য দ্বিতীয় সিদ্ধান্তটির গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল উত্তর
ক. সরকারি অর্থায়নের মূল্য লক্ষ্য হলো দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ করা।
খ. অর্থায়নকে ব্যবসায়ের মূল চালিকাশক্তি বলা হয়। সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে অর্থ সংগ্রহ করা বা তহবিল সংগ্রহ করাকেই সাধারণভাবে অর্থায়ন বলা হয়ে থাকে।

অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা একজন ব্যবসায়ীকে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে অধিক মুনাফা অর্জনে সহায়তা করে। অর্থ ছাড়া ব্যবসায় যেমন শুরু করা যায় না, তেমনি ব্যবসায় পরিচালনাও অকার্যকর হয়ে পড়ে।

গ. মিসেস রোদষীর প্রথম সিদ্ধান্তটি হলো আর্থিক ব্যবস্থাপকের আয় সিদ্ধান্ত বা অর্থায়ন সিদ্ধান্ত।
আয় সিদ্ধান্ত বলতে মূলত তহবিল সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে বোঝায়। সাধারণত ব্যবসায়ের তহবিল সংগ্রহে মালিকপক্ষের নিজস্ব পুঁজি ও বিভিন্ন উৎস হতে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায়ের তহবিল সংগ্রহ করা হয়।

এছাড়া বড় কোম্পানিগুলো শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারে। উদ্দীপকের মিসেস রোদষী পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপক। তিনি আর্থিক ব্যবস্থাপক হিসেবে অর্থায়নের উৎসসমূহ চি‎িহ্নত করেন।

এজন্য তিনি সর্বপ্রথম কোম্পানির তহবিল সংগ্রহের জন্য শেয়ার বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেন। এরপর তিনি কারখানা সচল রাখার জন্য সংগৃহীত অর্থ কোন কোন খাতে ব্যয় করবেন তা পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যয় করেন। যাতে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠান তারল্য সংকটে না পড়ে। সুতরাং, মিসেস রোদষী প্রতিষ্ঠানের জন্য আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

ঘ. মিসেস রোদষীর কোম্পানির জন্য দ্বিতীয় সিদ্ধান্তটি হলো ব্যয় সিদ্ধান্ত বা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত।
বিনিয়োগের মূল লক্ষ্য মুনাফা অর্জন করা। কোন খাতে বিনিয়োগ করলে কম ঝুঁকিতে অধিক লাভ করা যাবে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাকে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত বলে।

এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রত্যাশিত আগমন নির্গমনের পরিকল্পনা করতে হয়। উদ্দীপকের মিসেস রোদষী পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রথমে তিনি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রয় করে মূলধন সংগ্রহ করেন। অর্থাৎ তিনি উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে অর্থায়নের ব্যবস্থা করেন।

এক্ষেত্রে তিনি কোম্পানির পণ্য উৎপাদনে সহায়তার জন্য একটি কম্পিউটার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। আর এ ধরনের ক্রয় সিদ্ধান্ত একটি বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য উৎপাদনমুখী মেশিন কম্পিউটার ক্রয়, কারখানা নির্মাণের খরচও এই জাতীয় সিদ্ধান্ত।

পণ্য উৎপাদন করতে না পারলে ক্রেতাদেরকে সরবরাহ করা যায় না। ফলে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এজন্য মিসেস রোদষী আর্থিক ব্যবস্থাপক হিসেবে তার পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কারখানায় উৎপাদনের চাকা সচল রাখার জন্য কম্পিউটার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এর মাধ্যমে তিনি দ্রুততার সাথে উৎপাদন কার্য সম্পাদন করতে পারবেন।

কম্পিউটার দিয়ে কাজ করানোর জন্য অন্যান্য বিষয় কাঁচামাল, শ্রমিকের মজুরি, জ্বালানিসহ সকল প্রকার আনুষ্ঠানিক কাজ সম্পাদন করতে হয়।

এছাড়া তিনি কম্পিউটার ক্রয়ে বিনিয়োগ সিদ্ধান্তটির জন্য যত বছর কম্পিউটারটি ব্যবহার করা হবে তত বছরের পণ্য বিক্রয় থেকে যে অর্থের আগমন হবে তার সাথে কম্পিউটারের ক্রয়মূল্যের তুলনা করেন। সুতরাং বলা যায়, ভবিষ্যতের পণ্য বিক্রয়ের পরিমাণ ও পণ্যের মূল্য নির্ধারণ একটি দুরূহ কাজ বলে বিনিয়োগ সিদ্ধান্তটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

অনুশীলনমূলক কাজের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন-৪
সেন্ট্রাল মডেল স্কুলের নবী স্যার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি পরিবারের বিভিন্ন ব্যয়ের চার্ট তৈরি করতে দিলেন।

মেহেদি নামের এক শিক্ষার্থী বাজার খরচ, ঘর ভাড়া ও শিক্ষা খরচের কথা উল্লেখ করে। এবং জুলিয়া নামের অন্য এক শিক্ষার্থী আসবাবপত্র, টি.ভি, ও ফ্রিজ ক্রয় বাবদ ব্যয়ের কথা উল্লেখ করে। [দলীয় কাজ, বোর্ড বই. পৃষ্ঠা-২]

ক. ব্যবসায়িক ঝুঁকি কখন বৃদ্ধি পায়?
খ. ব্যাংক প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থায়ন কিরূপ?

গ. মেহেদির উল্লিখিত ব্যয়সমূহের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. জুলিয়ার উল্লিখিত ব্যয়সমূহ মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের উৎসসমূহ আলোচনা কর।

সৃজনশীল উত্তর
ক. অধিক মুনাফার প্রত্যাশায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করলে ব্যবসায়িক ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
খ. ব্যাংকের অর্থায়ন প্রক্রিয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে একটু ভিন্ন প্রকৃতির।

ব্যাংক মানুষের ক্ষুদ্র তহবিলকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন মেয়াদি আমানত সৃষ্টি করে এবং আমানতকারীকে নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করে। আবার এই তহবিল হতে ব্যাংক বিভিন্ন কারবারে নির্দিষ্ট হারে সুদের বিনিময়ে ঋণ প্রদান করে। এই দুধরনের সুদের হারের পার্থক্যই ব্যাংকের মুনাফা।

গ. মেহেদির উল্লিখিত ব্যয়সমূহ হলো পরিবারের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যয়। একটি পরিবারের যে সকল ব্যয় সংগঠিত হয় তাকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করতে পারি যথা : নিত্যনৈমিত্তিক ব্যয় ও বড় অংকের ব্যয় বা স্থায়ী সম্পদ ক্রয়ে ব্যয়। নিত্যনৈমিত্তিক ব্যয়গুলো সাধারণত নিয়মিতভাবে করা হয়।

এরূপ ব্যয় করা ব্যতীত পরিবার সঠিকভাবে চলতে পারে না। উদ্দীপকে মেহেদি পরিবারের ব্যয়ের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে বাজার খরচ, ঘর ভাড়া ও শিক্ষা খরচের কথা উল্লেখ করেছে। সাধারণত একটি পরিবারের আয় অনুযায়ী এই ব্যয়গুলোর পরিমাণ নির্ধারিত হয়।

পরিবারের আয় কম হলে এসব ব্যয়ের পরিমাণও কম হয়। আর যদি পারিবারিক আয় বেশি হয় তবে এই ব্যয়ের পরিমাণও বেশি হয়ে থাকে। সুতরাং, মেহেদির উল্লিখিত ব্যয়সমূহ পরিবারের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যয় যা পরিবারের আয়ের উপর নির্ভর করে এবং যা একটি পরিবারকে সচল রাখতে সহায়তা করে।

ঘ. জুলিয়ার উল্লিখিত ব্যয়সমূহ হলো একটি পরিবারের বড় অংকের ব্যয় বা স্থায়ী সম্পদ ক্রয়ের ব্যয়। পরিবারের অসংখ্য ব্যয়ের মধ্যে এটি একটি অন্যতম ব্যয়। একটি পরিবারের ব্যয়সমূহ সাধারণত পরিবারের আয়ের উপর নির্ভর করে।

কিন্তু অনেক সময় পরিবারের ব্যয় মেটাতে বিশেষ করে বড় অংকের ব্যয়ের ক্ষেত্রে পরিবারের আয় যথেষ্ট হয় না। তখন পরিবারের প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটানোর জন্য বিভিন্ন উৎস হতে অর্থ সংগ্রহ করতে হয়। উদ্দীপকে জুলিয়া পারিবারিক ব্যয় হিসেবে আসবাবপত্র, টি.ভি ও ফ্রিজ ক্রয়ের করা উল্লেখ করেছে।

এ সকল স্থায়ী সম্পত্তি ক্রয় করার জন্য প্রয়োজন অধিক অর্থ যা অনেক সময় পারিবারের নিয়মিত আয় থেকে নেওয়া সম্ভব হয় না। তখন পরিবারের সঞ্চিত অর্থ আত্মীয়স্বজন, পরিচিত ব্যক্তি, বন্ধু-বান্ধব থেকে ঋণ নিয়ে এরূপ ব্যয় নির্বাহ করা হয়।

তাছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ পরিবারের এই বড় অংকের ব্যয়ের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে ঋণ দিয়ে থাকে। জুলিয়ার উল্লিখিত ব্যয়সমূহ বড় অংকের এবং এসব ব্যয় নির্বাহে সাধারণত পরিবারের আয় বহির্ভূত কোনো উৎস ব্যবহার করা হয়।

সৃজনশীল প্রশ্ন-৫

সালমান মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র এবং তার বাবা ওয়ান ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা। একদিন সে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখে ‘বাঁধন’ কর্তৃক পরিচালিত সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি চলছে। [দলীয় কাজ, বোর্ড বই. পৃষ্ঠা-৬]

ক. অউই এর পূর্ণরূপটি লিখ।
খ. উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন বিষয়ক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন কেন?

গ. সালমানের অধ্যয়নরত প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন প্রক্রিয়া কোন ধরনের অর্থায়নের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অপর দুটি প্রতিষ্ঠানের তুলনামূলক আলোচনা কর।

সৃজনশীল উত্তর
ক. অউই এর পূর্ণরূপটি হলো Asian Development Bank.

খ. বাংলাদেশের বেশির ভাগ ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা স্বল্পশিক্ষিত বলে তারা একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না।

ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় আর্থিক সংকটে পড়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জ্ঞান থাকলে সহজেই পরিকল্পনামাফিক তারা অর্থসংস্থান করে তার সঠিক বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে পর্যাপ্ত মুনাফা অর্জন করতে পারে।

গ. সালমান যে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে তার অর্থায়ন প্রক্রিয়া সরকারি অর্থায়নের অন্তর্ভুক্ত। একটি দেশে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকে। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান অন্যতম। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত অর্থায়ন প্রয়োজন হয়। আর এই অর্থায়ন সরকারি অর্থায়ন নামে পরিচিত।

সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অনেক খাতসমূহে অর্থ ব্যয় করে থাকে, যেমন : রাস্তাঘাট, সেতু, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি হাসপাতাল, আইন-শৃঙ্খলা ও প্রতিরক্ষা, সামাজিক অবকাঠামো ইত্যাদি। আর এই সকল খাতে অর্থায়নের মূল লক্ষ্য সমাজকল্যাণ।

একটি দেশের সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং দেশের জনগণের কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করে। আর এর অন্যতম হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ। সরকারিভাবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয় যাতে করে দেশের জনগণ অল্প অর্থ ব্যয় করে শিক্ষা পেতে পারে। সালমানের বিদ্যালয়টি যেহেতু একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান সেহেতু এর লক্ষ্য হলো সেবাদান। আর এই প্রতিষ্ঠানে অর্থায়ন করে থাকে সরকার যার প্রধান লক্ষ্য হলো সেবা দেওয়া।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অপর প্রতিষ্ঠান দুটি হলো ‘ওয়ান ব্যাংক’ এবং ‘বাঁধন’। এখানে ‘ওয়ান ব্যাংক’ একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং ‘বাঁধন’ হলো অব্যবাসয়ী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুইটির উদ্দেশ্য এবং কার্যকলাপ সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। ব্যাংক হলো একটি মুনাফা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা আমানত গ্রহণ করে এবং ঋণদান করে।

অন্যদিকে ‘বাঁধন’ হলো একটি অমুনাফাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা জনগণকে বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদান করে থাকে। ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন করা। অন্যদিকে বাঁধন এর মূল উদ্দেশ্য সেবাদান করা। ব্যাংক বিভিন্ন আর্থিক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে আর ‘বাঁধন’ এর মত অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে থাকে।

এদের উদ্দেশ্য ও কার্যকলাপের ভিন্নতার কারণে এদের অর্থায়ন প্রকৃতিও ভিন্ন। ওয়ান ব্যাংক আমানত হিসেবে জনগণের নিকট থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সঞ্চয় ও তহবিল সৃষ্টি করে সঞ্চয়ের উপর সুদ প্রদান করে এবং এই সঞ্চয় ও তহবিল বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করে নির্দিষ্ট হারে সুদ আদায় করে। আর অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অনুদানের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে এবং এই অর্থ নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করে মানব কল্যাণের জন্য।

সৃজনশীল প্রশ্ন -৬
জামাল তার গ্রামের বাড়িতে নিজস্ব তহবিল, আত্মীয়-স্বজন ও ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে একটি লাইব্রেরি স্থাপন করেন। কিন্তু তিনি তার লাইব্রেরিতে সঠিক মানের বই ও স্টেনশনারি সরবারাহ করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হন। তখন তার বড় ভাই নাহিদ সাহেব বলেন অর্থায়ন সিদ্ধান্তের চেয়ে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত অধিক গুরুত্বপূর্ণ। [মুক্ত আলোচনা, বোর্ড বই. পৃষ্ঠা-১০]

ক. অর্থায়ন কী?
খ. অর্থায়নকে ব্যবসায়ের মূল চালিকাশক্তি বলা হয় কেন?

গ. লাইব্রেরি স্থাপনের ক্ষেত্রে আর্থিক ব্যবস্থাপক হিসেবে জামালের সম্পাদিত কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. নাহিদ সাহেবের উক্তির সাথে তুমি কি একমত? তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও।

সৃজনশীল উত্তর
ক. কোনো প্রতিষ্ঠানের তহবিল সংগ্রহ ও এর ব্যবহার সংক্রান্ত কার্যকলাপকে অর্থায়ন বলে।
খ. অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা ব্যবসায়ের প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ নির্ণয় করে এই অর্থ সংগ্রহের উৎস নির্ধারণ করে থাকে এবং ব্যবসায়ে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে অধিক মুনাফা অর্জনে সহায়তা করে থাকে।

অর্থ ব্যতীত যেমন কোনো ব্যবসায় স্থাপন করা যায় না অনুরূপভাবে অর্থায়ন ব্যতীত কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সফলভাবে পরিচালনা করা যায় না। তাই অর্থায়নকে ব্যবসায়ের মূল চালিকাশক্তি বলা হয়।

গ. লাইব্রেরি স্থাপনের ক্ষেত্রে আর্থিক ব্যবস্থাপক হিসেবে জামাল অর্থায়ন সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করেছে। আয় সিদ্ধান্ত বলতে মূলত তহবিল সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে বোঝায়। অর্থায়ন সিদ্ধান্তের আওতায় তহবিল সংগ্রহের ভিন্ন উৎস নির্বাচন এবং এসব উৎসের সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ করে অর্থায়ন সংক্রান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

সাধারণত চলতি ব্যয় নির্বাহের জন্য স্বল্পমেয়াদি উৎস এবং স্থায়ী ব্যয় নির্বাহের জন্য দীর্ঘমেয়াদি উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। ছোট আকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মালিকের নিজস্ব পুঁজি ও বিভিন্ন উৎস হতে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায় তহবিল সংগ্রহ করা হয়।

উদ্দীপকে জামাল তার নিজস্ব পুঁজি এবং আত্মীয়-স্বজনের ও ব্যাংক ঋণ নিয়ে লাইব্রেরি স্থাপন করেছেন। এভাবে বিভিন্ন উৎস হতে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহ করা ব্যবসায়ের অর্থায়ন সিদ্ধান্তের অন্তর্গত।

আর ব্যবসায়ের জন্য অর্থায়ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা আর্থিক ব্যবস্থাপকের একটি অন্যতম কার্যাবলি। সুতরাং, জামাল তার ব্যবসায়টি স্থাপনের জন্য অর্থায়ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আর্থিক ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

ঘ. নাহিদ সাহেবের উক্তিটির সাথে আমি সম্পূর্ণভাবে একমত। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করার জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই। আর আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ব্যবসায়ের জন্য দুটি সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দুটি হলো আয় সিদ্ধান্ত বা অর্থায়ন সিদ্ধান্ত এবং ব্যয় সিদ্ধান্ত বা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত।

আয় সিদ্ধান্ত হলো তহবিল সংগ্রহ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত। ব্যবসায়ের প্রয়োজনীয় অর্থ কোন কোন উৎস থেকে সংগ্রহ করা যাবে, কোন উৎস থেকে সংগ্রহ করলে ব্যসায়ের ব্যয় কম হবে এবং ব্যবসায়ের জন্য তা কতটা সহজলভ্য ও সুবিধাজনক হবে তা নির্ধারণ করাই হলো আয় সিদ্ধান্ত।

এরূপ সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয় এবং ব্যবসায়ের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অন্যদিকে ব্যয় সিদ্ধান্ত বা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত হলো ব্যবসায়ের সংগৃহীত অর্থ কোথায় এবং কীভাবে ব্যয় করলে প্রতিষ্ঠানের মুনাফা সর্বাধিক হবে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত।

আর এই সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে একটি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা অর্জন ক্ষমতা। যেহেতু প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হলো মুনাফা অর্জন করা তাই ব্যয় সিদ্ধের ওপর প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য নির্ভর করে।

আয় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ব্যবসায়ের জন্য যে অর্থ সংগ্রহ করা হয় যদি এই অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগানো না যায় তবে এই অর্থ ব্যবসায়ের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

সঠিক ব্যয় সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠান স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারে। তাই আমি মনে করি অর্থায়ন সিদ্ধান্তের চেয়ে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

ANSWER SHEET

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় যে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *