জেনে নিন কিভাবে পাবেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক লোন । আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশের একটি অন্যতম সেরা ব্যাংকের মধ্যে একটি যে ব্যাংক আপনার গরীব দুঃখী পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক লোন নিয়ে বিস্তারিত মানুষের পাশে আজকে অনেক বছর ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাদের কারণে প্রায় ১ থেকে ২ কোটি বাংলাদেশি নিম্নবর্তী উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের জন্য কিছু একটা করতে পারছে।
- আরো পড়ুন: ডাচ বাংলা ব্যাংক পার্সোনাল লোন পাবেন
- আরো পড়ুন: ইউসিবি ব্যাংক লোন উপায়
- আরো পড়ুন: ই-লোন সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা
আজকে আমি আলোচনা করব পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণ নীতিমালা সম্বন্ধে । মানে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কি ধরনের ঋণ দিয়ে থাকে এবং কারা কারা এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে। সবকিছু নিয়েই আজকের আলোচনা করা হবে তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণের প্রকারভেদ
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সদস্য এর মাধ্যমে প্রধানত ৩ ধরনের ঋণ এর কার্যক্রম পরিচালিত করে থাকে যার নাম হলো:
- উদ্যোক্তা ঋণ (সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত)
- মধ্যম উদ্যোক্তা ঋণ (৫০ হাজার এক টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত)
- বিশেষ উদ্যোক্তা ঋণ (৩ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত)
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের উদ্যোক্তা ঋণ নিয়ে বিস্তারিত
আপনি যদি ছোটখাটো কোনো ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের উদ্যোক্তা ঋণ নিয়ে নিতে পারেন । এখানে আপনি সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। এই ঋণ নিয়ে আপনি যে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন সেটা শুরু করতে পারবেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের উদ্যোক্তা ঋণ নিয়ে। সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণ প্রথম দফায় ১০০০০ টাকা ঋণ বিতরণ করা যাবে তবে বিতরনের পূর্বে তার বিনিয়োগের ক্ষেত্র বিশেষ বিবেচনায় রাখতে হবে ।
- প্রকল্পের আওতায় ঋণ গ্রহণ করা থাকলে এবং যথাযথভাবে পরিশোধ হলে পরিশোধকৃত ঋণের সমপরিমাণ বা কম যে কোন পরিমাণ ঋণ এবং সর্বোচ্চ ৫০০০০ টাকা বিতরণ করা যাবে। ঋণের ব্যবহার এবং ঋণ পরিশোধের রেকর্ড উত্তম হলে প্রতি দফায় সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা দিন বৃদ্ধি করা যাবে।
- এই ক্ষেত্রে আপনি যদি আগে থেকেই ঋণ নিয়েছেন এবং ঋণ যথাসময়ে পরিশোধ করেছেন, এবং সবকিছু আপনার ঠিক আছে তাহলে আপনার ক্ষেত্রে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার করে প্রতিবার বাড়ানো হবে।
- ধরেন আপনি ঋণ নিয়েছেন ঋণ নেয়ার মধ্যবর্তী সময়ে যদি আপনার আবার ঋণ এর দরকার হয় তাহলে চলতি দিনের পরিশোধকৃত পরিমাণ টাকা পুনরায় ঋণ দেয়া যাবে।
- সঞ্চয় ব্যাংকের উদ্যোক্তা ঋণ সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা । আপনি চাইলে আপনার এলাকায় একটি খামার স্থাপন করে এই ঋণের সর্বোচ্চ পর্যন্ত যেতে পারেন।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মধ্যম ও উদ্যোক্তা ঋণ
সঞ্চয় ব্যাংক মাধ্যম উদ্যোক্তা ঋণ প্রথম দফায় ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করতে পারেন। তবে সঞ্চয় ব্যাংক মাধ্যম উদ্যোক্তা ঋণ বিনিয়োগের উপযুক্ততা যাচাই-বাছাই করে ঋণ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সঞ্চয় ব্যাংক মাধ্যম উদ্যোক্তা ঋণ এর প্রতি দফায় ২০ হাজার টাকা করে ঋণ বাড়ানোর কথা রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি সুন্দরভাবে ঋণ আদায় করে ফেলেন তাহলে আপনাকে প্রতি দফায় ৫০ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে দেয়া হবে।
সঞ্চয় ব্যাংক প্রকল্পের আওতায় ৩ থেকে ৪ বার ঋণ গ্রহণ করে তার যথাযথ ব্যবহার, সম্পদ অর্জন, সঞ্জয় প্রধান এবং অন্যান্য সকল প্রকার শর্তসমূহ যথাযথভাবে পালন এর রেকর্ড থাকলে। এবং বিনিয়োগের উপযুক্ত প্রকল্প প্রস্তুতি থাকলে তাকে মাধ্যম উদ্যোক্তা ঋণ দেওয়া যেতে পারে। অথবা দুই থেকে তিন মোতাবেক বৃদ্ধির হার বিবেচনায় এনে ঋণ বিতরণ করা যাবে।
সঞ্চয় ব্যাংক বিশেষ উদ্যোক্তা ঋণ
যখন আপনি সঞ্চয় ব্যাংক ঋণের আওতায় যে সদস্য সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেন। মানে আপনি সঞ্চয় ব্যাংকের মাধ্যম উদ্যোক্তা ঋণ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুন্দর ভাবে আদায় করেছেন। কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া, তাহলে আপনি সঞ্চয় ব্যাংক এর বিশেষ উদ্যোক্তা ঋণের আওতায় পারবেন।
সকল প্রকার মৌলিক চাহিদা পূরণের সক্ষমতা অর্জন করেছেন প্রতিমাসে গড়ে কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা বিভিন্ন আমানতে জমা হচ্ছে, এবং বর্তমানে প্রত্যাশিত ঋণ বিনিয়োগ এর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এমন সদস্য উল্লেখিত ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : সঞ্চয় ব্যাংকের উদ্যোক্তা ঋণ, উদ্যোক্তা ঋণ, বিশেষ উদ্যোক্তা ঋণ, সম্পূর্ণ সবকিছু বিবেচনা করে আমি যেটা বুঝতে পারলাম সেটা হলো বিশেষ উদ্যোক্তা ঋণ পর্যন্ত যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথম থেকে শুরু করতে হবে।
মানে সঞ্চয় ব্যাংকের উদ্যোক্তা ঋণ থেকে শুরু করে বিশেষ উদ্যোক্তা ঋণ পর্যন্ত আপনাকে ধাপে ধাপে যেতে হবে। প্রথম কিস্তি নিয়ে সেটা আদায় করে এরপর আরেকটু বেশি দিবে। সেটা আদায় করে এরপরেই ভাবে সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আপনি সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের উদ্যোক্তা ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা
- প্রথমত আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
- শাখার অধিকারের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে আপনি যদি স্থায়ী বাসিন্দা না হন তাহলে এটাই একজন বাসিন্দা আপনার ঋণের গ্যারান্টার হতে হবে
- ব্যাংক কর্তৃক নিবন্ধিত সমিতি এবং ওই সমিতির সদস্য হতে হবে।
- সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত কোন ব্যক্তি যিনি এ ব্যাংকের একজন গ্রাহক হিসেবে নিয়মিত হিসাব পরিচালনা করেন
- স্কুল ব্যাংকিং শিক্ষার্থী সঞ্চয়ী আমানত এবং শিক্ষা উপবৃত্তি গ্রহণকারী কোন গ্রাহক ছাত্র-ছাত্রী
- সমিতির সদস্যের ক্ষেত্রে বয়স সাধারণত ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে হতে হবে তবে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নিয়মিত ঋণ পরিশোধ কারী ব্যক্তি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এমন সদস্যের ক্ষেত্রে বয়সের সর্বোচ্চ সীমা শিথিলযোগ্য থাকবে।
- প্রকল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ভার উদ্যোক্তা হিসেবে প্রমাণের দৃশ্যমান যোগ্যতা থাকতে হবে
- প্রকল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে বা উদ্যোক্তা হবার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা থাকতে হবে
- এবং অন্য কোনও ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এনজিও বা অন্য কোনও বেসরকারি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপি যোগ্য বিবেচিত হবে না।
- অস্থায়ীভাবে কোন দায়-দেনা নেই মর্মে ব্যাংকের মাঠ সহকারি প্রতিবেদন প্রদান করবেন।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণের উদ্দেশ্য এবং খাত
- কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্র যথা কৃষিখাত, মৎস্যচাষ, হাঁস-মুরগী পালন, গবাদি পশু পালন, নার্সারি বা ফল চাষ, মৎস্য হ্যাচার, জৈবসার উৎপাদন, মাশরুম চাষ, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই ঋণ প্রদানের অগ্রগতি সাধিত হবে
- উৎপাদিত কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের ঋণ প্রদানের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হবে
- পল্লী অঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ঋণ সম্পাদনের ক্ষেত্রে হিসেবে চিহ্নিত হবে
- নিষিদ্ধ নয় এবং লাভজনক উৎপাদন এবং বাণিজ্যনবা সেবামূলক যে কোন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঋণের খাত হিসেবে বিবেচিত হবে।
- সঞ্চয় ব্যাংকের উদ্যোক্তা ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ভিত্তিক শ্রেণী
- সঞ্চয় ব্যাংকের উদ্যোক্তা ঋণ আপনি তিন পদ্ধতিতে পরিশোধ করতে পারবেন।
- সাপ্তাহিক ভাবে কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।
- মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।
- এবং মৌসুমী ভিত্তিক পরিশোধ করতে পারবেন।
- এখানে কোনও সদস্য স্বেচ্ছায় সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধে আগ্রহী হলে সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সাপ্তাহিক কিস্তিতে পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
- ঋণের আবেদন ফরম ও ফিস
- সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে শাখায় ঋণ আবেদনকালে ফি জমা দিতে হবে না।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণের গ্যারান্টার এর যোগ্যতা
- এখানে আবেদনকারীর পিতা মাতা স্ত্রী স্বামী শশুর শাশুড়ি ও গ্যারান্টার হতে পারবেন।
- এখানে এলাকায় স্থানীয় বসতভিটায় বসবাসকারী ঋণ পরিশোধে সক্ষম ব্যক্তির গ্যারান্টার হতে পারবেন।
- পর্যাপ্ত জমি থাকা সাপেক্ষে একজন গ্যারান্টার সর্বোচ্চ চারজন ঋণ আবেদন গ্যারান্টার হতে পারবেন।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আবেদনকারী / গ্যারান্টার এর স্থায়ী ঠিকানা
- নিজ নামে অথবা পিতা-মাতা স্বামী-স্ত্রী শ্বশুর-শাশুড়ির নামে যে এলাকায় বাড়ি থাকবে তাকে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে গণ্য করা হবে।
- ঋণ অনুমোদনের ক্ষমতা
- শাখা ব্যবস্থাপক সর্বোচ্চ ২০০০০ টাকা পর্যন্ত,
- আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত,
- প্রধান কার্যালয় সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণের জামানত ও চার্জ ডকুমেন্ট
- উদ্যোক্তার ঋণের ক্ষেত্রে মানে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ এর ক্ষেত্রে
- ঋণগ্রহীতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত ডিপি নোট
- সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজার সুপারিশ জামানতের স্বাক্ষর
- মাঠ সহকারির সুপারিশ
- মাধ্যমিক ঋণের ক্ষেত্রে
- যথাযথ মূল্যমানের ট্রাম্পের একজন উপযুক্ত গ্যারান্টি গ্যারান্টি
- সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজারের সুপারিশ
- মাঠ সহকারী ও ফিল্ড সুপারভাইজার এর মন্তব্য
সঞ্চয় ব্যাংক বিশেষ উদ্যোক্তা ঋণ এর ক্ষেত্রে
- ঋণগ্রহীতা কৃষক স্বাক্ষরিত ডিপি নোট
- ঋণগ্রহীতাদের সম্পত্তি মূল দলিল দস্তাবেজ ব্যাংকে জমা দেয়া
- সম্পত্তির মূল্য দলিল-দস্তাবেজ ব্যাংকে জমা রাখার স্মারকলিপি সম্পাদন করতে হবে
- সমিতির সভার সিদ্ধান্ত সহ সমিতির সভাপতি ম্যানেজার সংশ্লিষ্ট মাঠ সহকারি সুপারভাইজার এর সুপারিশ।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণের সার্ভিস চার্জ
- সকল প্রকার উদ্যোক্তা ঋণ এর জন্য ৮ শতাংশ হারে ফ্ল্যাট রেট এর সার্ভিস চার্জ ধার্য করা হয় তবে সমিতি ইচ্ছা করলে
- মাসিক ঋণের স্থিতি রুপোর সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ পার্সেন্ট হারে সার্ভিস নির্ধারণ করা যাবে ।
- মৌসুমী ভিত্তিক ঋণের জন্য ১০ শতাংশ হারে ফ্লাট রেট সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করতে হবে।
- এই সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ হবে ঋণ বিতরণের সময় থেকে ঋণ পরিশোধের সময় পর্যন্ত।
- ঋণ বিতরণের সময় ৮ পার্সেন্ট হারে সার্ভিস চার্জ ধরে পাওনা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। যেমন ১০০০ টাকা ঋণের জন্য এক বছরের সার্ভিস হবে ৮০ টাকা। অর্থাৎ উদ্যোক্তা নিকট থেকে এক বছরের মধ্যে ১০৮০ টাকা আদায় করতে হবে।
- আর যদি আপনি এই ঋণ নেয়ার পর ঋণ পরিশোধের সময় পর্যন্ত আপনি ঋণ সম্পূর্ণ আদায় করতে না পারেন তাহলে অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে।
- মানে যদি আপনি এক বছরের মধ্যে কোন পাওনা টাকা পরিশোধ না করেন তাহলে পরবর্তী বছরের জন্য ১০৮০ টাকার ওপর সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করতে হবে। আবার সদস্যদের নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে 500 টাকা পরিশোধ করে থাকেন, তাহলে পরবর্তী বছরের জন্য ৫৮০ টাকার উপর সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করতে হবে।
সদস্যের গৃহীত ঋণের ওপর নির্ময় বর্ণিত তিন সময়ের সার্ভিস হিসাব করতে হবে।
- ১৬.৬.১ প্রতি ৬ মাস অন্তর ৩০ শে জুন ও ৩১ শে ডিসেম্বর
- ১৬.৬.২ মধ্যবর্তী সময়ে ঋণ পরিশোধ হলে।
- ১৬.৬.৩ সদস্য পদ ছেড়ে যাওয়ার সময় ।
যদি আপনি নিয়মিতভাবে সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করেন তাহলে পরিশোধের পরে পুরষ্কার হিসেবে সার্ভিস চার্জের একটা ন্যূনতম অংশ বেয়াত দেওয়া হবে।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণ আদায়
- ঋণ নেয়ার ১ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ
- মৌসুমী ভিত্তিক ঋণের সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ৬ মাস
- কিস্তির যথাসময়ে যথাস্থানে পরিশোধ করতে হবে
- খেলাপি হলে তার জন্য কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হয়
- ঋণ আদায়ের সাথে প্রতিমাসে সঞ্চয়ী হিসাবে ন্যূনতম ১০০ টাকা জমা রাখতে হবে।
- মধ্যম উদ্যোক্তা ২০০ এবং বিশেষ উদ্যোগ ৩০০ টাকা হারে প্রতিমাসে কিস্তির সাথে ন্যূনতম সঞ্চয় জমা রাখতে হবে।
যদি আপনি একাউন্ট করে রিং না নেন তাহলে আপনাকে প্রতিদিন দুই টাকা হারে মাসে ৬০ টাকা জমা দিতে হবে । - ঋণ গ্রহণ করে তা বিনিয়োগ না করলেও এককালীন আদায় করা যাবে । এক্ষেত্রে যতদিন তার নিকট টাকা থাকবে ততদিন এর সার্ভিস চার্জ আদায় করতে হবে।
- সংশ্লিষ্ট সদস্যের পাস বই এন্ট্রি না দিয়ে কোন কিস্তি আদায় করা যাবে না।
- আরো পড়ুন: এসইও কি এবং কিভাবে ওয়েবসাইটে এসইও করতে হয়?
- আরো পড়ুন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: একের ভিতর সব
- আরো পড়ুন: কোডিং শেখার ভালো উপায় কি? কিভাবে শুরু করবেন?
পল্লী সঞ্চয় ঋণ আবেদনের সাথে দলিল যোগ্য কাগজপত্রাদি চেকলিস্ট
- ঋণের আবেদনপত্র
- আবেদনকারীর সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- গ্যারান্টার এর সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- স্থায়ী বাসিন্দা প্রমাণপত্র হিসেবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ (একটি বাড়ি একটি খামার সমিতির সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য নয়)
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা সনদের ফটোকপি (যদি থাকে)
- প্রকল্প স্থান ভাড়া / লিজ হলে ভাড়া / লিজ চুক্তি পত্রের ফটোকপি বা শাখা ব্যবস্থাপকের প্রত্যয়নপত্র
- প্রকল্প স্থান ভাড়া/ লিজকৃত হলে ভাড়ার চুক্তিপত্রের মূল কপি
- যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ঋণের ক্ষেত্রে তিনটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে তিনটি দরপত্র।
- ৫০০০০ টাকার উপরে ঋণের প্রয়োজনের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি।
- ওষুধের দোকানে স্থাপনের জন্য ঋণের ক্ষেত্রে ড্রাগ লাইসেন্স এর ফটোকপি।
- সাদা কাগজের প্রকল্পের আয় ব্যয় হিসাব ।
সঞ্চয় ব্যাংকের সকল ঋণ সম্বন্ধে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন । আর যদি আপনাদের কোনো ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর কোনো ভুল হয়ে থাকলে লেখার মধ্যে অথবা বোঝার মধ্যে কোনো ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন। এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।