জেনে প্লে-স্টোর থেকে যে ১০ অ্যাপ নামালেই বিপদ । আসুন এই ১০ টি অ্যাপ সম্পর্কে আলোচনা করে জেনে নেওয়া যাক যে, এগুলো নামালে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে আমাদের। গুগলের প্লে-স্টোরে রয়েছে লাখ লাখ অ্যাপ। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য তৈরি সব অ্যাপের মধ্যে কিন্তু সব অ্যাপ মানসম্মত নয়। সাধারণত বড় বড় ডেভেলপারদের তৈরি অ্যাপগুলো মানের দিক থেকে ভালো হয়, আবার এগুলোর ওপর ভরসাও করা যায়।
- আরো পড়ুন: স্মার্টফোন পানিতে পড়ে গেলে যে ১০ কাজ করবেন
- আরো পড়ুন: গুগলে যে বিষয় সার্চ করলেই বিপদ
- আরো পড়ুন: ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে করণীয়
গুগল প্লে-স্টোরে গুগলের তৈরি অসংখ্য অ্যাপ আছে। এগুলোর মধ্য থেকে কিছু অ্যাপ পাওয়া গেলো যা ভুয়া বলে দাবি করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। প্লে-স্টোরের বেশ কয়েকটি অ্যাপে আরো একবার দেখা মিলল বিপজ্জনক ম্যালওয়্যারের। সম্প্রতি গুগল প্লে-স্টোরের ১২টি জনপ্রিয় অ্যাপে খোঁজ মিলেছে একাধিক ম্যালওয়্যারের।
থ্রেড ফেব্রিক সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, এ ভয়াবহ ম্যালওয়্যার ইউজারদের অজান্তেই তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সব ডিটেলস চুরি করে নিতে পারে। এরই মধ্যে এই ১২ টি অ্যাপকে প্রায় ৩ লাখ বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
থ্রেড ফেব্রিকের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, প্লে-স্টোরের এই ১২ টি বিপজ্জনক অ্যাপে আছে অ্যানাস্টা, এলিয়েন, হাইড্রা, এরম্যাক নামক ম্যালওয়্যার। এরা ইউজারদের অনলাইন ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি টু-স্টেপ অথেন্টিকেশনের কোডও চুরি করে নেয়। সেই সাথে ব্যবহারকারীর ফোনে কি টাইপ করা হচ্ছে তার স্ক্রিনশটও নিতে পারে এই ম্যালওয়্যারগুলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্লে-স্টোরে ভালো রেটিং থাকার ফলেই একাধিক ইউজার নানা কাজে এ অ্যাপগুলো ব্যবহার করেন। একবার কোনও ডিভাইসে ডাউনলোড হলেই এই অ্যাপগুলো থার্ড পার্টি সোর্সের মাধ্যমে বিপজ্জনক কনটেন্ট স্মার্টফোনে ইনপুট করে দেয়।
জেনে নিন গুগল প্লে-স্টোরের কোন কোন জনপ্রিয় অ্যাপে ভয়ানক ম্যালওয়্যারের সন্ধান মিলেছে-
১. কিউ আর স্ক্যানার
২. কিউ আর স্ক্যানার ২০২১
৩. পিডিএফ ডকুমেন্ট স্ক্যানার
৪. টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন
৫. প্রোটেকশন গার্ড
৬. কিউ আর ক্রিয়েটর স্ক্যানার
৭. মাস্টার স্ক্যানার লাইভ
৮. ক্র্যাপ্টো ট্র্যাকার
৯. জিম এন্ড ফিটনেস ট্রেইনার
১০. পিডিএফ ডকুমেন্ট স্ক্যানার ফ্রি
- আরো পড়ুন: ফেসবুক গ্রুপ চালিয়ে ৭ উপায়ে আয় করুন
- আরো পড়ুন: যেভাবে বুঝবেন আপনার ফোন কেউ হ্যাক করেছি কিনা
- আরো পড়ুন: সাইবার বুলিং প্রতিরোধে আমাদের যা করণীয়
তবে এই প্রথম নয়, এর পূর্বেও প্লে-স্টোরের একাধিক অ্যাপে সন্ধান মিলেছে ট্রোজান ম্যালওয়্যারের। এমনও কিছু জনপ্রিয় অ্যাপে ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গেছে যাদের ডাউনলোড করেছে মিলিয়ন ইউজার।
গুগলের তরফ থেকে এই ধরণের বিপজ্জনক অ্যাপকে বারবার ব্যান করা হলেও, নানারকম রূপ নিয়ে নতুন অ্যাপের আড়ালে এরা ফিরে আসছে। ক্ষতি করছে ইউজারদের। আসলে একাধিক অ্যাপের মাধ্যমে ‘ট্রোজন’ জোকার ম্যালওয়্যার অজান্তেই আপনার স্মার্টফোনে প্রবেশ করছে বলে জানিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। কখন পাসওয়ার্ড হাতিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেবে, আপনি ঘুণাক্ষরেও টের পাবেন না।
সর্বশেষ কথা
আশা করি আমাদের দেওয়া তথ্য আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এখনো প্লে-স্টোর থেকে যে ১০ অ্যাপ নামালেই বিপদ আছে এ সম্পর্কে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা আপনাকে দ্রুত আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া চেষ্টা করবো।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।