জেনে নিন ভালো বোলার হওয়ার জন্য ৫টি বেসিক টিপস। আসুন এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। ক্রিকেট খেলায় বোলার, ব্যাটসম্যান ও ফিল্ডার, এই ৩ বিভাগে লোক থাকা চাই। ক্রিকেট মূলত ব্যাটসম্যান বনাম বোলারের খেলা। বোলারের প্রধানতম দায়িত্ব হচ্ছে প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নেয়া, রান আটকানোও আরেকটা দায়িত্ব তাদের। ফিল্ডাররা এই কাজে বোলারদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। অনেক সময় ফিল্ডাররা রান-আউট করতে পারেন ব্যাটসম্যানদের, তবে সেটা অন্য বিষয়। আপাতত, আমাদের আলোচনা হচ্ছে বোলারদের নিয়ে, বেসিক বোলিং টিপস নিয়ে।
অনেকেরই শখ একজন ভালো বোলার হতে পারা। কিন্তু এজন্য শুধু বল নিয়ে মাঠে ছোড়াছুড়ি করলেই যে আপনি একজন ভালো বোলার হয়ে উঠবেন, বিষয়টা এমন নয়। এরজন্য সাধনা, মনোযোগ ও পরিশ্রমের পাশাপাশি কিছু বেসিক বিষয়ে জানা থাকা জরুরি। সবকিছুরই আছে নির্দিষ্ট নিয়ম। নিয়ম মেনে কোনো কাজ করলেই আসে সফলতা। বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং এসবের ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। বোলারদেরও মৌলিক কতিপয় বিষয় মেনে বোলিং করতে হয়।
বিখ্যাত বোলারদের কাছ থেকে পাওয়া ১০টি ফাস্ট বোলিং টিপস অনেকেই ফলো করছেন। তবে, একেকজন বোলার একেক পদ্ধতিতে বোলিং করে থাকেন। আর আদর্শ একটি বোলিং অ্যাকশনের জন্য বোলিং এর এই ৫টি মৌলিক উপাদানের দিকে খেয়াল করতে হবে। আর সঙ্গে টিপসগুলো মেনে চললেই একটি আদর্শ অ্যাকশনে বোলিং করা যাবে।
- আরো পড়ুন: ৫জন স্বনামধন্য খেলোয়াড়দের ৫টি ভাল গুণ
- আরো পড়ুন: কিভাবে ভালো ফিল্ডার হবেন – ক্রিকেট ফিল্ডিং টিপস
- আরো পড়ুন: ওয়ানডে ক্রিকেটের নিয়ম-কানুন
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভালো বোলার হওয়ার জন্য ৫টি বেসিক টিপসগুলো:
৫টি বেসিক বোলিং টিপস
১. রান-আপ,
২. কয়েল,
৩. বাউন্ড,
৪. রিলিজ,
৫. ফলো থ্রু।
১. রান-আপ (mashraf bin mortaza run up):
ক. রান-আপ শুরু করতে হবে প্রথমে ছোট ছোট পদক্ষেপ ফেলে। ধীরে ধীরে পদক্ষেপ বড় করতে হবে। সঙ্গে গতিও বাড়াতে হবে।
খ. বাহুদ্বয়কে দেহের কাছে রাখতে হবে। মাথাটাকে রাখতে হবে অনড়। চোখের নজর থাকবে মানে তাকিয়ে থাকতে হবে আপনার লক্ষ্য, অর্থাৎ ব্যাটসম্যানের দিকে।
২. কয়েল (coil in cricket):
ক. কয়েল হচ্ছে বল রিলিজ করার আগে দেয়া লম্ফ। বলটাকে চিবুকের কাছে রাখুন। আর মাথা থাকবে সামনের উঁচু হাতটির পিছনে।
খ. পিছনের পা টা যখন পিচে নামাবেন দেহটাকে তখন সোজা রাখবেন। পিছনের পা স্থিতিশীল এবং পুরো দেহের ভারবহন করতে হবে। আর সামনের পা সামান্য উপরে উঠাতে হবে।
গ. সামনের পা মাটিতে নামানোর সময় ব্যাটসম্যানের দিকে মুখ করে থাকতে হবে। এভাবে পা রাখলে আপনার পাজোড়া ডেলিভারির পূর্ণ ধকল সামলাতে প্রস্তুত থাকবে।
৩. বাউন্ড (bound in bowling):
ক. ক্রিজের দিকে যখন আপনি অগ্রসর হবেন, শরীরটাকে পাশে একটু বাঁকিয়ে পিছনের দিকে সামান্য ঝুঁকবেন।
৪. রিলিজ (sakib al hasan bowling action):
ক. হাত ঘুরানো শুরু করলে, আপনার বোলিং এর হাতটাকে কয়েল পজিশনের সামনে ও নিচের দিকে ধাক্কা দিন। আর অন্য হাতটি ব্যাটসম্যানের দিকে তাক করে রাখুন।
খ. হাতটাকে পুরোপুরি ঘুরান। বল রিলিজ করবেন ঘূর্ণ্নবৃত্তের সর্বোচ্চ স্থান হতে।
- আরো পড়ুন: ক্রিকেট খেলায় কিভাবে অলরাউন্ডার হবেন?
- আরো পড়ুন: দক্ষ উইকেটকিপার হতে চাইলে যে ৬টি টিপস মেনে চলবেন
- আরো পড়ুন: ক্রিকেট ফিল্ডিংয়ে ভালো করার ১০টি দুর্দান্ত উপায়!
৫. ফলো থ্রু (mustafizur rahman bowling action):
ক. ফলো থ্রু করার সময় বোলিং এর হাতটাকে ভাঁজ করে দেহের দিকে নিয়ে আনুন। নিতম্ব পাশে ঘুরিয়ে ফলো থ্রু শেষ করুন।
খ. আপনার ভরবেগের কারণে আপনি সামনের দিকে একটু এগোবেন। এটা যত কমানো যায় তত ভালো। কারণ, সামনে যত কম আগাবেন, আপনার ফিরতি ক্যাচ ধরতে ও ক্ষেত্রবিশেষে নন-স্ট্রাইকিং ব্যাটসম্যানকে আউট করতে তত সুবিধা হবে। কিন্তু কোনোভাবেই পিচের মাঝখানে যাওয়া যাবে না। কারণ এরূপ করলে “Damaging The Pitch” এই ওজরে আপনার বিরুদ্ধে ম্যাচ রেফারি আপনাকে জরিমানা, একাধিক ম্যাচ নিষিদ্ধকরণ বা উভয়ই করতে পারেন।
শেষ কথা
এই সব বেসিক বোলিং টিপস্ মেনে বল করলে আপনি একটি আদর্শ অ্যাকশনে বল করতে পারবেন। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিং এর মাধ্যমেই ঘায়েল করতে হয়। তাই যারা ভালো পেসার হতে চান, তারা এইসব টিপসগুলো মেনে চলতে পারেন।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।