পৌরনীতি-নাগরিকতা বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

পৌরনীতি-নাগরিকতা বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

  • সৃজনশীল প্রশ্ন-১
  • আইন ও স্বাধীনতা

জনাব আসিফ চৌধুরী একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সততার সাথে নিজ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর অধীনস্ত কর্মচারীগণও প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কনুন মেনে স্ব স্ব দায়িত্ব স্বাধীনভাবে সম্পন্ন করেন। [স. বো. ’১৬] ক. আইনের উৎস কয়টি?

খ. স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়?
গ. জনাব আসিফ চৌধুরীর আইনের অনুশাসন মেনে চলার পেছনে কী কী ধারণা কাজ করছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “জনাব আসিফ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানে আইন ও স্বাধীনতার সমন্বয় ঘটেছে” তুমি কি উক্তিটির সাথে একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তর-১

ক আইনের উৎস ৬টি।
খ সাধারণ অর্থে স্বাধীনতা বলতে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো কাজ করাকে বোঝায়। পৌরনীতিতে স্বাধীনতা ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। অন্যের কাজে হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করে নিজের ইচ্ছানুযায়ী নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করাই হলো স্বাধীনতা।

গ জনাব আসিফ চৌধুরীর আইনের অনুশাসন মেনে চলার পিছনে নিজের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা এবং প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা, স্থায়িত্ব প্রভৃতি ধারণা কাজ করেছে।

আইনের শাসনের অর্থ হচ্ছে কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়, সবাই আইনের অধীন। কোনো প্রতিষ্ঠানে আইনের শাসন থাকলে সকল স্তরের কর্মচারীরা সমান অধিকার লাভ করে। কর্তৃপক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারে না।

প্রতিষ্ঠানে অরাজকতা সৃষ্টি হয় না। কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়। কাজের পরিবেশ বজায় থাকে ও প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যায়। সকল কর্মচারী সজাগ থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব স্বাধীনভাবে পালন করে বলে প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ত্বরান্বিত হয়।

জনাব আসিফ চৌধুরীও প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে স্বাধীনভাবে যোগ্যতার সাথে দায়িত্ব পালনে আইনের অনুশাসন মেনে চলেন। যাতে প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা, স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায় তথা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ঘটে।

ঘ ‘জনাব আসিফ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানে আইন ও স্বাধীনতার সমন্বয় ঘটেছে।’ উক্তিটির সাথে আমি একমত। আইন ও স্বাধীনতার সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আইন স্বাধীনতার রক্ষক এবং অভিভাবক। জন লক যথার্থই বলেছেন, ‘যেখানে আইন থাকে না, সেখানে স্বাধীনতা থাকতে পারে না।

পিতামাতা যেমন অভিভাবক হিসেবে সন্তানদের সকল বিপদাপদ থেকে রক্ষা করে নিরাপদে রাখেন, ঠিক তেমনি আইন সর্বপ্রকার বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করে স্বাধীনতাকে রক্ষা করে। উইলোবির মতে, ‘আইনের নিয়ন্ত্রণ আছে বিধায় স্বাধীনতা রক্ষা পায়।’ আইনের ফলে স্বাধীনতাকে সুন্দর, শান্তিময়, সুষ্ঠুরূপে প্রতিষ্ঠা করা যায়।

বস্তুত আইন যখন সবার কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত হয়; তা হয় স্বাধীনতার রক্ষক, অভিভাবক, শর্ত ও ভিত্তি। উদ্দীপকে আমরা দেখি, জনাব আসিফ চৌধুরী তার প্রতিষ্ঠানে আইনের অনুশাসন মেনে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং তার অধীনস্ত কর্মচারীগণও প্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুন মেনে স্ব স্ব দায়িত্ব স্বাধীনভাবে সম্পন্ন করেন। অর্থাৎ এখানে তাদের আইন মেনে চলার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সম্প্রসারিত হয়েছে। সুতরাং, সুস্পষ্টরূপে বলা যায় যে, জনাব আসিফ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানে আইন ও স্বাধীনতার সমন্বয় ঘটেছে।

সৃজনশীল প্রশ্নর-২

আইনের শাসন

প্রতাপ মণ্ডল এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। সে প্রভাব খাটিয়ে গ্রামের অনিক কর্মকারের বাগানের সব আম পেড়ে নিয়ে যায়। অনিক কর্মকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে এর প্রতিকার চান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনিক কর্মকার নিজেই জুলুমের শিকার হয়। [সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]

ক. আইনের মূলকথা কী?
খ. জনগণ আইন মান্য করে কেন?

গ. নাগরিক জীবনে কোনটি না থাকার কারণে অনিক কর্মকার জুলুমের শিকার হয়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আইনের শাসন না থাকার কারণে শুধুমাত্র অনিক কর্মকারের মতো ব্যক্তিরা জুলুমের শিকার হয়? মতামত দাও।

সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তর-২

ক আইনের মূলকথা হলো আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান।
খ আইন বলতে সমাজ স্বীকৃত ও রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদিত নিয়ম-কানুনকে বোঝায়। আইন মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।

তাই জনগণকে আইন মেনে চলতে হয়। আইন মেনে না চললে সমাজে অশান্তি ও অস্থিরতা দেখা দেয়। আইন দিয়ে ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির, ব্যক্তির সাথে রাষ্ট্রের এবং রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ণীত হয়।

গ নাগরিক জীবনে আইনের শাসন না থাকার কারণে অনিক কর্মকার জুলুমের শিকার হয়। কেননা আইনের শাসনের অর্থ হচ্ছে-কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সবাই আইনের অধীন। অর্থাৎ আইনের চোখে সবাই সমান। আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রাপ্তির সুযোগকেই আইনের শাসন বলে।

আইনের শাসন না থাকলে বিশৃঙ্খলা, অশান্তি ও হানাহানি সমাজের শক্ত ভিতকে দুর্বল করে তুলে। সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বলের ভেদাভেদ প্রকট আকার ধারণ করে। উদ্দীপকে প্রতাপ মণ্ডলকে প্রভাব খাটিয়ে অনিক কর্মকারের বাগানের সব আম পেড়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

তিনি প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তার অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নির্বাক ভূমিকা পালন করে। উপরন্তু ক্ষতিগ্রস্ত নিরীহ অনিক কর্মকার ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয় এবং জুলুমের শিকার হয় যা আইনের শাসনের অনুপস্থিতিকে নির্দেশ করে।

ঘ আইনের শাসন না থাকার কারণে শুধু অনিক কর্মকারের মতো নিরীহ ব্যক্তিরাই জুলুমের শিকার হয়। আমি এ বক্তব্যটির সাথে একমত নই। কারণ আইনের শাসনের অর্থই হলো কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সবাই আইনের অধীন। অন্যকথায় আইনের চোখে সবাই সমান, অর্থাৎ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-পেশা নির্বিশেষে আইনের সমান আশ্রয় লাভ করা।

এর ফলে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল, সকলে সমান অধিকার লাভ করে। আইনের শাসন অনুপস্থিত থাকলে নাগরিক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সামাজিক মূল্যবোধ, সাম্য কিছুই থাকে না। মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়। আইনের শাসন না থাকলে রাষ্ট্রের শান্তি বিঘিœত হয়। এতে শাসক ও শাসিতের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

ফলে সরকারের স্থায়িত্ব হুমকির মধ্যে পড়ে। এর অভাবে সরকারের প্রতি মানুষের অবিশ্বাস, আন্দোলন ও বিপ্লব অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। আর বিশৃঙ্খলা, অশান্তি ও হানাহানি সমাজের শক্ত ভিতকে দুর্বল করে দেয়।

আইনের শাসনের অভাবে এ অরাজক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে যে কেউ জুলুমের শিকার হতে পারে যদিও উদ্দীপকে দেখা যায় আইনের শাসনের অভাবে প্রতাপ মণ্ডল প্রভাবশালী হওয়ায় অপরাধ করার পরও শাস্তির বিধান থেকে রেহাই পান। অন্যদিকে অনিক কর্মকার জুলুমের শিকার হন।

কিন্তু আইনের শাসন না থাকলে সমাজ ও রাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তিই জুলুমের শিকার হতে পারে। উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, আইনের শাসনের অভাবে শুধু অনিক কর্মকারের মতো ব্যক্তিরা নয় সমাজের সর্বস্তরের ব্যক্তি জুলুমের শিকার হতে পারে।

সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তর-৩

নাগরিক জীবনে আইনের শাসন

গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক স্বাধীন হলেও সুজন সিকদার ও তার পরিবারের ক্ষেত্রে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। কোনো এক নির্বাচনে এলাকার প্রভাবশালী প্রার্থীর কারণে স্বাধীনভাবে ভোট প্রদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় তারা। সন্ত্রাসীদের ভয়ে সুজনের পরিবারের প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে চলা দুষ্কর হয়ে পড়ে।

সুজনদের শুভাকাক্সক্ষী একজন প্রতিবেশী এ ব্যাপারে আইনের সহায়তা চাইলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং সুজন পরিবারকে মুক্ত করে। [লালমনিরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

ক. ‘সাম্য’ অর্থ কী?
খ. আইনের উৎসগুলো কী কী?

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সুজন-পরিবার কোন ধরনের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে? বর্ণনা কর।
ঘ. সুজন-পরিবারের বাস্তবতার আলোকে আইনের শাসনের গুরুত্ব পর্যালোচনা কর।

সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তর-৩

ক ‘সাম্য’ অর্থ সমান।
খ আইনের বিভিন্ন উৎস রয়েছে। যেমন : প্রথা, ধর্ম, আইনবিদদের গ্রন্থ, বিচারকের রায়, ন্যায়বোধ ও আইনসভা। এছাড়া আধুনিককালে আইনের প্রধান উৎস হলো আইনসভা। রাষ্ট্র সৃষ্টির পর যেসব প্রথা রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে, সেগুলো আইনে পরিণত হয়।

বিভিন্ন উৎস থেকে প্রণীত আইন সমাজ ও রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত সুজন-পরিবার রাজনৈতিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত। রাজনৈতিক স্বাধীনতার মাধ্যমে ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় শাসনকাজে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করে।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভোটদান, নির্বাচিত হওয়া, বিদেশে অবস্থানকালীন নিরাপত্তা লাভ ইত্যাদি নাগরিকের রাজনৈতিক স্বাধীনতা।

উদ্দীপকে দেখানো হয়েছে, সুজন সিকদার ও তার পরিবার কোনো এক নির্বাচনে এলাকার প্রভাবশালী প্রার্থীর কারণে স্বাধীনভাবে ভোট প্রদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে সুজন-পরিবারের প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে চলা দুষ্কর হয়ে পড়ে। সুজন-পরিবার একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করার পরও ভোট প্রদান করতে পারেনি।

ফলে তারা রাষ্ট্রীয় শাসনকাজে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করতে পারে না। অথচ এ সবকিছুই ছিল তাদের রাজনৈতিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, সুজন-পরিবার রাজনৈতিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত।

ঘ সুজন-পরিবারের বাস্তবতার আলোকে আইনের শাসনের গুরুত্ব অপরিসীম। আইনের শাসনের অর্থ হচ্ছে-কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সবাই আইনের অধীন। আইনের চোখে সবাই সমান।

আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রাপ্তির সুযোগকে আইনের শাসন বলে। আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান-এর অর্থ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-পেশা নির্বিশেষে আইনের সমান আশ্রয় লাভ করা। এর ফলে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল সকলে সমান অধিকার লাভ করে। আইন না থাকলে সমাজে অনাচার, অরাজকতা সৃষ্টি হয়।

আইনের শাসন অনুপস্থিত থাকলে নাগরিক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সামাজিক মূল্যবোধ, সাম্য কিছুই থাকে না। সাম্য, স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের শাসন অত্যাবশ্যক। আইনের শাসনের দ্বারা শাসক ও শাসিতের সুস্পর্ক সৃষ্টি হয়। সরকার স্থায়িত্ব লাভ করে এবং রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।

এর অভাবে অবিশ্বাস, আন্দোলন ও বিপ্লব অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। আর বিশৃঙ্খলা, অশান্তি ও হানাহানি সমাজের শক্ত ভিতকে দুর্বল করে তোলে। সমাজে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বলের ভেদাভেদ প্রকট আকার ধারণ করে। উদ্দীপকেও এ প্রেক্ষাপটে আইনের শাসনের গুরুত্ব পরিলক্ষিত হয়।

সুজন-পরিবার এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সন্ত্রাসীদের ভয়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা এবং রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং সুজন-পরিবারকে মুক্ত করে।

এখানে আইনের শাসনের উপস্থিতি সুজন-পরিবারকে শান্তিতে বসবাসের সুযোগ করে দেয় এবং তাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় সুজন-পরিবারের বাস্তবতার আলোকে আইনের শাসনের গুরুত্ব অপরিসীম।

সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তর-৪

সাম্যের কারণ

বান্দরবান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণের কোনো ভেদাভেদ নেই। নেই ধনী দরিদ্রের পার্থক্য। শিক্ষার্থীদের অন্যায়ের বিচারে পিতামাতার সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করা হয় না।

এখানকার শিক্ষক, শিক্ষিকা ও পরিচালনা পর্ষদ শিক্ষার্থীদের প্রতি খুবই যতœশীল। তাই প্রতিবছর স্কুলটির ফলাফল হয় খুবই সন্তোষজনক। [বান্দরবান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]

ক. ব্ল্যাকস্টোনের আইন বিষয়ক গ্রন্থটির নাম কী?
খ. আইনের শাসন বলতে কী বোঝ?

গ. উদ্দীপকে সাম্যের কোন রূপগুলো প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শিক্ষার্থীরা কি কেবল উদ্দীপকে উল্লিখিত সাম্যগুলোই ভোগ করে? মতামত দাও।

ক ব্লাকস্টোনের আইন বিষয়ক গ্রন্থটির নাম ‘কমেনটরিজ অন দ্যা লজ অব ইংল্যান্ড’।
খ আইনের শাসনের অর্থ হচ্ছে-কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সবাই আইনের অধীন। অন্যকথায় আইনের চোখে সবাই সমান। আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রাপ্তির সুযোগকে আইনের শাসন বলে।

অর্থাৎ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-পেশা নির্বিশেষে আইনের সমান আশ্রয় লাভ করা। এর ফলে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল সকলে সমান অধিকার লাভ করে।

গ উদ্দীপকে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আইনগত সাম্যের রূপ প্রতিফলিত হয়েছে। সাম্যের অর্থ সমান। সাম্য বলতে সমাজে সবার সমান মর্যাদাকে বোঝায়। ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আইনগত সাম্য হলো সাম্যের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রূপ। ব্যক্তিগত সাম্য বলতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বংশ ও মর্যাদা ইত্যাদি নির্বিশেষে মানুষে মানুষে কোনো ব্যবধান না করাকে বোঝায়।

আবার, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-পেশা নির্বিশেষে সমাজের সকল সদস্যের সামাজিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করাকে সামাজিক সাম্য বলে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বা শ্রেণিকে কোনো বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না। আইনগত সাম্য বলতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের আইনের দৃষ্টিতে সমান থাকাকে বোঝায়।

উদ্দীপকে সাম্যের এই রূপগুলোর ধারণা পাওয়া যায়। উদ্দীপকে দেখা যায়, বান্দরবান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণের কোনো ভেদাভেদ নেই।

এছাড়াও নেই ধনী দরিদ্রের মধ্যকার পার্থক্য। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ওপর সামাজিক ও ব্যক্তিগত সাম্যের রূপ প্রতিফলিত হয়। আবার শিক্ষার্থীদের অন্যায়ের বিচারে পিতামাতার সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করা হয় না।

এক্ষেত্রে আইনগত সাম্যের রূপ প্রতিফলিত হয়। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, উদ্দীপকে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আইনগত সাম্যের রূপ প্রতিফলিত হয়েছে।

ঘ আমি মনে করি, শিক্ষার্থীরা কেবল উদ্দীপকে উল্লিখিত সাম্যগুলোই ভোগ করে না। উদ্দীপকে দেখানো হয়েছে স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জাতি-ধর্ম-বর্ণ বা লিঙ্গের কোনো ভেদাভেদ নেই।

সেই সাথে ধনী-দরিদ্রের পার্থক্যও নেই। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অন্যায়ের বিচারে পিতামাতার সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করা হয় না। অর্থাৎ, শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আইনগত সাম্য ভোগ করে।

কিন্তু একজন মানুষের বিভিন্নমুখী বিকাশ সাধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন। তাই শিক্ষার্থীরা উক্ত তিনটি সাম্য ছাড়াও স্বাভাবিক সাম্য, অর্থনৈতিক সাম্য ও রাজনৈতিক সাম্য ভোগ করে।

স্বাভাবিক সাম্যের অর্থ জš§গতভাবে প্রত্যেক মানুষ স্বাধীন এবং সমান। কিন্তু বাস্তবে জš§গতভাবে প্রত্যেক মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে সমান হতে পারে না।

তবে তার রূপ অবশ্যই আছে। আবার যোগ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেকের কাজ করার ও ন্যায্য মজুরি পাওয়ার সুযোগকে অর্থনৈতিক সাম্য বলে। বেকারত্ব থেকে মুক্তি, বৈধ পেশা গ্রহণ ইত্যাদি অর্থনৈতিক সাম্যের অন্তর্ভুক্ত। শিক্ষার্থীরা এ সাম্য ভোগের ক্ষেত্রেও স্বাধীন।

এছাড়াও রাষ্ট্রীয় কাজে সকলের অংশগ্রহণের সুযোগ-সুবিধা থাকাকে রাজনৈতিক সাম্য বলে। শিক্ষার্থীরা নাগরিক হিসেবে রাজনৈতিক সাম্যের কারণে মতামত প্রকাশ এবং যথানিয়মে নির্বাচিত হওয়া এবং ভোট দেওয়ার অধিকার ভোগ করে।

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, শিক্ষার্থীরা কেবল উদ্দীপকে উল্লিখিত সাম্যগুলোই ভোগ করে না। এছাড়াও স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সাম্যের অন্যরূপগুলোও ভোগ করে।

  • মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
  • সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তর-৫
  • আইনের শাসন

শেফালী বেগম একজন দরিদ্র বিধবা নারী। সংসার চালানোর জন্য তিনি তার আধাবিঘা কৃষি জমি স্থানীয় মেম্বারের কাছে দশ হাজার টাকায় বন্ধক রাখেন।

দুই বছর পর তিনি জমি ফেরত নিতে গেলে মেম্বার তাকে জানান, তিনি ৫০,০০০ টাকা দিয়ে জমি কিনে নিয়েছেন। এদিকে মেম্বার ঘুষ দিয়ে থানার পুলিশকেও হাত করে নেন। ফলে শেফালী বেগম থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

ক. কোন স্বাধীনতার মাধ্যমে ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় শাসনকাজে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করে?
খ. ‘সাম্য মানে স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা মানেই সাম্য’-উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

গ. শেফালী বেগমের ক্ষেত্রে যে বিষয়টির অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘উক্ত বিষয়টির অভাবে সমাজে অনাচার, অরাজকতা বৃদ্ধি পায়’- উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তর-৫

ক রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার মাধ্যমে ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় শাসনকাজে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করে।
খ সাম্য ও স্বাধীনতা পরস্পর সম্পূরক। সাম্য ছাড়া স্বাধীনতার কথা যেমন কল্পনা করা যায় না, ঠিক তেমনি স্বাধীনতা ছাড়া সাম্যের কথা ভাবা যায় না।

রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণ, চলাফেরা ও জীবনধারণের জন্য সাম্যভিত্তিক সমাজ গঠন করা সম্ভব হবে না।

সমাজের সুবিধাগুলো সকলে মিলে সমানভাবে ভোগ করতে হলে স্বাধীনতার প্রয়োজন। একটি রাষ্ট্র যত সাম্যভিত্তিক হবে সেখানে স্বাধীনতা তত নিশ্চিত হবে। তাই বলা হয়, সাম্য মানেই স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা মানেই সাম্য।

গ শেফালী বেগমের ক্ষেত্রে যে বিষয়টির অভাব পরিলক্ষিত হয় তা হলো আইনের শাসন। আইনের শাসনের অর্থ হলো কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সবাই আইনের অধীন।

আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রাপ্তির সুযোগকে আইনের শাসন বলে। সবার উপরে আইন-এর অর্থ আইনের প্রাধান্য।

আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান এর-অর্থ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-পেশা নির্বিশেষে আইনের সমান আশ্রয় লাভ করা। এর ফলে ধনী-দরিদ্র, সবল-দুর্বল সকলে সমান অধিকার লাভ করে।

উদ্দীপকে কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান ও সকলে সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও উদ্দীপকে শেফালী বেগমের ক্ষেত্রে বিষয়টির বিপরীত চিত্র ফুটে উঠেছে। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, শেফালী বেগমের ক্ষেত্রে আইনের শাসনের অভাব পরিলক্ষিত হয়।

ঘ ‘আইনের শাসনের অভাবে সমাজে অনাচার, অরাজকতা বৃদ্ধি পায়’- প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ। উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনার ন্যায় সকল ঘটনা সমাজে অনাচার ও অরাজকতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

আইনের শাসন রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও জনগণের মঙ্গলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও বিত্তবান শ্রেণি আইনের শাসনের আড়াল থেকে রাজনৈতিক কর্তৃত্বের সুবিধাদি ভোগ করে।

যার ফলশ্রুতিতে ধনী-গরিব, দুর্বল ও সবলের ভেদাভেদ প্রকট আকার ধারণ করে। আইনের শাসন অনুপস্থিত থাকলে নাগরিক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সামাজিক মূল্যবোধ ও সাম্য কিছুই থাকে না।

এর অভাবে অবিশ্বাস, আন্দোলন ও বিপ্লব অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। আর বিশৃঙ্খলা, অশান্তি ও হানাহানি সমাজের শক্ত ভিতকে দুর্বল করে তুলে।

কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান-এর অর্থ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-পেশা নির্বিশেষে সকলে সমভাবে আইনের সুবিধা ভোগ করবে, কিন্তু উদ্দীপকের শেফালী বেগমের বেলায় তা দেখা যায়নি।

সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি মেম্বার ঘুষ দিয়ে থানার পুলিশকে হাত করে আইনের অপব্যবহার করেছে এবং বিধবা নারী শেফালী বেগমের সাথে প্রতারণা করেছে। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এ কথা স্পষ্ট বলা যায়, আইনের শাসনের অভাবে সমাজে অনাচার, অরাজকতা বৃদ্ধি পায়- উক্তিটি যথার্থ।

  • সৃজনশীল প্রশ্ন- ৬
  • আইনের বিভিন্ন উৎস

জনাব ‘ক’ তার একপুত্র আরফান ও দুই কন্যা সাদিয়া ও জাকিয়াকে রেখে মৃত্যুবরণ করেন। পিতার মৃত্যুর পর সাদিয়া ও জাকিয়া ভাইয়ের নিকট পিতৃসম্পত্তি দাবি করলে আরফান বোনদের সম্পত্তি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সাদিয়া ও জাকিয়া বাধ্য হয়ে মামলা করে। মামলার রায়ে তারা তাদের সম্পত্তির অধিকার অর্জন করে।

ক. আইনকে সাধারণত কতভাগে ভাগ করা যায়?
খ. স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়?

গ. সাদিয়া ও জাকিয়া যে আইন বলে সম্পত্তির অধিকার অর্জন করে সে আইনের উৎস ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কি মনে কর, উক্ত উৎসটিই আইনের একমাত্র উৎস? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

সৃজনশীল প্রশ্নর উত্তর-৬

ক আইনকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
খ সাধারণ অর্থে স্বাধীনতা বলতে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো কাজ করাকে বোঝায়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা বলতে এ ধরনের অবাধ স্বাধীনতাকে বোঝায় না।

কারণ, সীমাহীন স্বাধীনতা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাই পৌরনীতিতে স্বাধীনতা ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। অন্যের কাজে হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করে নিজের ইচ্ছানুযায়ী নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করাই হলো স্বাধীনতা।

গ সাদিয়া ও জাকিয়া যে আইন বলে সম্পত্তির অধিকার অর্জন করে সে আইনের উৎস হচ্ছে ধর্ম। এটি আইনের একটি প্রধান উৎস। সকল ধর্মের কিছু অনুশাসন রয়েছে, যা ঐ ধর্মের অনুসারীরা মেনে চলে।

এসব অনুশাসন সমাজজীবনকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। ফলে এসব ধর্মীয় অনুশাসনের অনেক কিছুই পরবর্তীতে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি লাভের মাধ্যমে আইনে পরিণত হয়।

যেমন : মুসলিম আইন, হিন্দু আইন প্রভৃতি। আমাদের দেশে পারিবারিক ও সম্পত্তি আইনের অনেকগুলোই এই দুটি ধর্ম থেকে এসেছে। উদ্দীপকে সাদিয়া ও জাকিয়া পিতৃসম্পত্তি ভাইয়ের নিকট দাবি করলে ভাই আরফান তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

পরে তারা মামলা করে এবং মামলার রায়ে পারিবারিক ও সম্পত্তি আইনের প্রেক্ষিতে তারা সম্পত্তির অধিকার অর্জন করে। এই সম্পত্তির আইনের উৎস ধর্ম থেকে এসেছে। তাই বলা যায়, সাদিয়া ও জাকিয়া যে আইন বলে সম্পত্তির অধিকার অর্জন করে সে আইনের উৎস হচ্ছে ধর্ম।

ঘ আমি মনে করি, উক্ত উৎসটিই আইনের একমাত্র উৎস নয়। উদ্দীপকে উল্লিখিত আইনের উৎসটি হলো ধর্ম। আর ধর্ম থেকে আসা পারিবারিক ও সম্পত্তি আইনের মাধ্যমে সম্পত্তির অধিকার অর্জন করে সাদিয়া ও জাকিয়া। ধর্ম ছাড়াও আইনের আরও উৎস আছে।

প্রথা আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। প্রত্যেক সমাজে প্রচলিত অনেক রীতিনীতি থাকে। রাষ্ট্র সংগঠনের সময় এসব প্রচলিত প্রথা স্বীকৃতি লাভ করে আইনে পরিণত হয়।

বিচারকগণ কোনো মামলার বিচারকার্য সম্পাদন করতে গিয়ে আইন সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় পড়লে তা সমাধানের জন্য আইনবিশারদদের বিজ্ঞানসম্মত গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে সেসব আইন ব্যাখ্যা করেন যা পরবর্তীতে আইনে পরিণত হয়।

আদালতে উত্থাপিত মামলার বিচার করার জন্য প্রচলিত আইন অস্পষ্ট হলে বিচারকগণ তা ব্যাখ্যার মাধ্যমে সুসম্পন্ন করে উক্ত মামলার রায় দেন।

পরবর্তীতে সেই রায় আইনে পরিণত হয়। আদালতে এমন অনেক মামলা উত্থাপিত হয়, যা সমাধানের জন্য অনেক সময় কোনো আইন বিদ্যমান থাকে না।

সে অবস্থায় বিচারকগণ তাদের ন্যায়বোধ বা বিবেক দ্বারা উক্ত মামলার বিচার কাজ সম্পাদন করেন এবং তা পরবর্তীতে আইনে পরিণত হয়। আধুনিককালে আইনের প্রধান উৎস আইনসভা।

জনমতের সাথে সঙ্গতি রেখে বিভিন্ন দেশের আইনসভা নতুন আইন প্রণয়ন করে এবং পুরোনো আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করে তোলে। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, উক্ত উৎসটি ছাড়াও আইনের আরও গুরুত্বপূর্ণ উৎস রয়েছে।

ANSWER SHEET

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় যে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *