SSC ১ম অধ্যায় পৌরনীতি অনুবাধ ও জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর(PDF)

SSC ১ম অধ্যায় পৌরনীতি অনুবাধ ও জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর(PDF)

SSC ১ম অধ্যায় পৌরনীতি অনুবাধ ও জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর(PDF)

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ॥ ১ ॥ ‘সিভিস’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘সিভিস’ শব্দের অর্থ নাগরিক।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ কত বছরের নিচে রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করা যায় না?
উত্তর : ১৮ বছরের নিচে রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করা যায় না।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ বাংলাদেশের ক্ষেত্রফল কত?
উত্তর : বাংলাদেশের ক্ষেত্রফল ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ আমাদের দেশে গারোদের মধ্যে কোন ধরনের পরিবার দেখা যায়?
উত্তর : আমাদের দেশে গারোদের মধ্যে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার দেখা যায়।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ বর্তমান বাংলাদেশে কোন ধরনের পরিবার বেশি দেখা যায়?
উত্তর : বর্তমান বাংলাদেশে একক ও পিতৃতান্ত্রিক পরিবার বেশি দেখা যায়।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ বৈবাহিক সূত্রের ভিত্তিতে পরিবারকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : বৈবাহিক সূত্রের ভিত্তিতে পরিবারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ কোন বিভাগ দেশের জন্য প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করে?
উত্তর : আইন বিভাগ দেশের জন্য প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করে।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ রাষ্ট্রের চরম, পরম ও সর্বোচ্চ ক্ষমতা কোনটি?
উত্তর : সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের চরম, পরম ও সর্বোচ্চ ক্ষমতা।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ কোথায় নাগরিক ও নগর-রাষ্ট্র অবিচ্ছেদ্য ছিল?
উত্তর : প্রাচীন গ্রিসে নাগরিক ও নগর-রাষ্ট্র অবিচ্ছেদ্য ছিল।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ পৌরনীতি মূলত কোন ধরনের বিজ্ঞান?
উত্তর : পৌরনীতি মূলত নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান।

প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ ‘রিপাবলিক’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘রিপাবলিক’ গ্রন্থের রচয়িতা প্লেটো।

প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ পরিবারের প্রধান কাজ কী?
উত্তর : পরিবারের প্রধান কাজ হলো সন্তান-সন্ততির জš§দান ও লালনপালন করা।

প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ ‘সিভিটাস’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : সিভিটাস শব্দের অর্থ নগর-রাষ্ট্র।

প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ প্রাচীন গ্রিসে যারা রাষ্ট্রীয় কাজে অংশ নিত তাদেরকে কী বলা হতো?
উত্তর : প্রাচীন গ্রিসে যারা রাষ্ট্রীয় কাজে অংশ নিত তাদেরকে নাগরিক বলা হতো।

প্রশ্ন ॥ ১৫ ॥ কয়টি নীতির ভিত্তিতে পরিবারের শ্রেণিবিভাগ করা যায়?
উত্তর : তিনটি নীতির ভিত্তিতে পরিবারের শ্রেণিবিভাগ করা যায়।

প্রশ্ন ॥ ১৬ ॥ বংশগণনা ও নেতৃত্বের ভিত্তিতে পরিবারকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : বংশগণনা ও নেতৃত্বের ভিত্তিতে পরিবারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

প্রশ্ন ॥ ১৭ ॥ পারিবারিক কাঠামো অনুযায়ী পরিবার কয় প্রকার?
উত্তর : পারিবারিক কাঠামো অনুযায়ী পরিবার দুই প্রকার।

প্রশ্ন ॥ ১৮ ॥ পিতৃতান্ত্রিক পরিবার কাকে বলে?
উত্তর : যে পরিবারে সন্তানরা পিতার পরিচয়ে পরিচিত হয় তাকে পিতৃতান্ত্রিক পরিবার বলে।

প্রশ্ন ॥ ১৯ ॥ বহুপতœীক পরিবার কাকে বলে?
উত্তর : একজন স্বামীর একাধিক স্ত্রী থাকাকে বহুপতœীক পরিবার বলে।

প্রশ্ন ॥ ২০ ॥ বহুপতি পরিবার কাকে বলে?
উত্তর : একজন স্ত্রীর একাধিক স্বামী থাকাকে বহুপতি পরিবার বলে।

প্রশ্ন ॥ ২১ ॥ কোন পরিবারে মা নেতৃত্ব দেন?
উত্তর : মাতৃতান্ত্রিক পরিবারে মা নেতৃত্ব দেন।

প্রশ্ন ॥ ২২ ॥ কোন ধরনের পরিবার ছোট হয়ে থাকে।
উত্তর : একক পরিবার ছোট হয়ে থাকে।

প্রশ্ন ॥ ২৩ ॥ সততার শিক্ষা মানুষ প্রথম কোথা থেকে পায়?
উত্তর : সততার শিক্ষা মানুষ প্রথম পরিবার থেকে পায়।

প্রশ্ন ॥ ২৪ ॥ শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা কোথায় শুরু হয়?
উত্তর : শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারে শুরু হয়।

প্রশ্ন ॥ ২৫ ॥ রাষ্ট্রের যাবতীয় কার্য কার মাধ্যমে পরিচালিত হয়?
উত্তর : রাষ্ট্রের যাবতীয় কার্য সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।

প্রশ্ন ॥ ২৬ ॥ পৃথিবীতে ছোট-বড় মোট কতটি রাষ্ট্র রয়েছে?
উত্তর : পৃথিবীতে ছোট-বড় মোট ২০০টি রাষ্ট্র রয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ২৭ ॥ রাষ্ট্রের পরিচালক কে?
উত্তর : রাষ্ট্রের পরিচালক হচ্ছে সরকার।

প্রশ্ন ॥ ২৮ ॥ সরকারের কয়টি বিভাগ রয়েছে?
উত্তর : সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ২৯ ॥ কোন মতবাদ অনুসারে শাসক জনগণের নিকট দায়ী নয়?
উত্তর : ঐশী মতবাদ অনুসারে শাসক জনগণের নিকট দায়ী নয়।

প্রশ্ন ॥ ৩০ ॥ ঐশী মতবাদে শাসক তার কাজের জন্য কার নিকট দায়ী থাকেন?
উত্তর : ঐশী মতবাদে শাসক তার কাজের জন্য স্রষ্টার নিকট দায়ী থাকেন।

প্রশ্ন ॥ ৩১ ॥ আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা কোন মতবাদকে বিপজ্জনক, অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছেন?
উত্তর : আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা ঐশী মতবাদকে বিপজ্জনক, অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছেন।

প্রশ্ন ॥ ৩২ ॥ কোন মতবাদে স্বৈরশাসন সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা বেশি?
উত্তর : ঐশী মতবাদে স্বৈরশাসন সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

প্রশ্ন ॥ ৩৩ ॥ কোন মতবাদ অনুসারে যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়?
উত্তর : বল প্রয়োগ মতবাদ অনুসারে যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়।

প্রশ্ন ॥ ৩৪ ॥ কোন মতবাদ অনুসারে জনসাধারণের পারস্পরিক চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের জš§ হয়েছে?
উত্তর : সামাজিক চুক্তি মতবাদ অনুসারে জনসাধারণের পারস্পরিক চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের জš§ হয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ৩৫ ॥ আইন প্রয়োগ করে সরকারের কোন বিভাগ?
উত্তর : আইন প্রয়োগ করে সরকারের শাসন বিভাগ।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ নাগরিকতার স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রূপ লেখ।
উত্তর : স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নাগরিকতার বিভিন্ন রূপ নিয়ে পৌরনীতি আলোচনা করে। আমরা যেখানে বাস করি, সেখানে আমাদের কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

যেমন : ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদি। ঠিক তেমনি নাগরিককে কেন্দ্র করে জাতীয় পর্যায়ে আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ, বিচার বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ পরিবারের শিক্ষামূলক কাজ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পরিবারের সদস্যদের সুন্দর ও নিরাপদ জীবন গড়ে তোলার জন্য পরিবার বহুবিধ কাজ করে। তার মধ্যে শিক্ষামূলক কাজ অন্যতম। পরিবার হলো শিশুর প্রাথমিক পাঠশালা।

আমাদের মধ্যে অনেকেই বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগেই পরিবারে বর্ণমালার সাথে পরিচিত হই। তাছাড়া মা-বাবা ও ভাই-বোনদের পারস্পরিক সহায়তায় সততা, শিষ্টাচার, উদারতা, নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি মানবিক গুণাবলির শিক্ষা লাভের প্রথম সুযোগ পরিবারেই সৃষ্টি হয়। এগুলো পরিবারের শিক্ষামূলক কাজ।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্বন্ধে ঐশী মতবাদের মূল বক্তব্য লেখ।
উত্তর : ঐশী মতবাদ রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে সবচেয়ে পুরাতন মতবাদ। এ মতবাদে বলা হয়- বিধাতা বা স্রষ্টা স্বয়ং রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছেন এবং রাষ্ট্রকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তিনি শাসক প্রেরণ করেছেন।

শাসক তার প্রতিনিধি এবং তিনি তার কাজের জন্য একমাত্র স্রষ্টা বা বিধাতার নিকট দায়ী, জনগণের নিকট নয়। শাসক যেহেতু স্রষ্টার নির্দেশে কাজ করে, সেহেতু শাসকের আদেশ অমান্য করার অর্থ বিধাতার নির্দেশ অমান্য করা। এ মতবাদ অনুসারে শাসক একাধারে রাষ্ট্রপ্রধান এবং তিনিই আবার ধর্মীয় প্রধান।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্বন্ধে ঐতিহাসিক বা বিবর্তনমূলক মতবাদের মূল বক্তব্য কী?
উত্তর : ঐতিহাসিক বা বিবর্তনমূলক মতবাদের মূল বক্তব্য হলো- রাষ্ট্র কোনো একটি বিশেষ কারণে হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়নি। দীর্ঘদিনের বিবর্তনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন শক্তি ও উপাদান ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে হতে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে।

যেসব উপাদানের কার্যকারিতার ফলে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে, সেগুলো হলো- রক্তের বন্ধন, ধর্মের বন্ধন, যুদ্ধবিগ্রহ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চেতনা ও কার্যকলাপ। ঐতিহাসিক বা বিবর্তনমূলক মতবাদ সম্পর্কে ড. গার্নার বলেন, ‘রাষ্ট্র বিধাতার সৃষ্টি নয়, বল প্রয়োগের মাধ্যমেও সৃষ্টি হয়নি বরং ঐতিহাসিক ক্রমবিবর্তনের ফলে রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে।’

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্বন্ধে বল প্রয়োগ মতবাদের মূল বক্তব্য কী?
উত্তর : রাষ্ট্রের বল বা শক্তি প্রয়োগ মতবাদের মূল বক্তব্য হলো- বল বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে এবং শক্তির জোরে রাষ্ট্র টিকে আছে।

এ মতবাদে বলা হয়, সমাজের বলশালী ব্যক্তিরা যুদ্ধবিগ্রহ বা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দুর্বলের ওপর নিজেদের আধিপত্য স্থাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে এবং শাসনকার্য পরিচালনা করে। এ মতবাদে আরও বলা হয়, সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এভাবেই যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ মানুষ সমাজে বসবাস করে কেন?
উত্তর : সমাজের সাথে মানুষের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। মানুষকে নিয়ে সমাজ গড়ে ওঠে। সমাজ মানুষকে সহযোগিতা, সহমর্মিতা, পরমতসহিষ্ণুতা, ধৈর্যশীলতা, সৌজন্যবোধ ইত্যাদি শিক্ষা দান করে।

এতে মানুষ, ব্যক্তি, রাষ্ট্র তথা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভ্রাতৃত্ববোধের মাধ্যমে নিজেকে উপযুক্ত করে প্রকাশ করতে পারে। সমাজকে সভ্য জীবনযাপনের আদর্শ স্থান মনে করে বলে মানুষ তার নিজের প্রয়োজনেই সমাজে বাস করে।

অনুবাধমূলক প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন ॥ ১ ॥ নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমরা যেমন রাষ্ট্রপ্রদত্ত সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মৌলিক অধিকার ভোগ করি, তেমনি আমাদেরও রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়।

যেমন : রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ, আইন মান্য করা, সঠিক সময়ে কর প্রদান করা, সন্তানদের শিক্ষিত করা, রাষ্ট্রের সেবা করা, সততার সাথে ভোটদান ইত্যাদি।

প্রশ্ন ॥ ২ ॥ পরিবার বলতে কী বোঝ?
উত্তর : সমাজ স্বীকৃত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্বামী-স্ত্রীর একত্রে বসবাস করাকে পরিবার বলে। অর্থাৎ বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এক বা একাধিক পুরুষ ও মহিলা, তাদের সন্তানাদি, পিতামাতা এবং অন্যান্য পরিজন নিয়ে যে সংগঠন গড়ে ওঠে তাকে পরিবার বলে।

ম্যাকাইভারের মতে, সন্তান জন্মদান ও লালনপালনের জন্য সংগঠিত ক্ষুদ্রবর্গকে পরিবার বলে। মূলত পরিবার হলো স্নেহ, মায়া, মমতা, ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গঠিত ক্ষুদ্র সামাজিক প্রতিষ্ঠান।

প্রশ্ন ॥ ৩ ॥ পারিবারিক কাঠামোর ভিত্তিতে পরিবার কী ধরনের হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পারিবারিক গঠন ও কাঠামোর ভিত্তিতে পরিবারকে দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা : একক ও যৌথ পরিবার। একক পরিবার মা-বাবা ও ভাই-বোন নিয়ে গঠিত হয়। এ ধরনের পরিবার ছোট হয়ে থাকে।

যৌথ পরিবারে বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদি, চাচা-চাচি ও অন্যান্য পরিজন একত্রে বাস করে। যৌথ পরিবার বড় পরিবার। বাংলাদেশে উভয় ধরনের পরিবার রয়েছে। তবে বর্তমানে একক পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। মূলত যৌথ পরিবার কয়েকটি একক পরিবারের সমষ্টি।

প্রশ্ন ॥ ৪ ॥ রাষ্ট্র বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। মূলত রাষ্ট্র বলতে সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী, সুসংগঠিত সরকারের প্রতি স্বভাবজাতভাবে আনুগত্যশীল, বহিঃশত্র“র নিয়ন্ত্রণ হতে মুক্ত, স্বাধীন জনসমষ্টিকে বোঝায়।

প্রশ্ন ॥ ৫ ॥ সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে কেন?
উত্তর : নাগরিক জীবনকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। যেমন : পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, নির্বাচন, রাজনৈতিক দল ইত্যাদি।

এদের উৎপত্তি, প্রকৃতি ও কার্যাবলি পৌরনীতির আলোচনার অন্যতম অংশ। সমাজে মানুষের প্রয়োজনের তাগিদে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

প্রশ্ন ॥ ৬ ॥ শক্তি প্রয়োগ মতবাদ সম্পর্কে সমালোচকদের মতামত লেখ।
উত্তর : সমালোচকদের মতে, শক্তি প্রয়োগ মতবাদ ভ্রান্ত ও মারাত্মক। কারণ শক্তির মাধ্যমেই যদি রাষ্ট্র টিকে থাকত, তাহলে শক্তিশালী রাষ্ট্রের পাশাপাশি সামরিক দিক থেকে দুর্বল রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারত না। আসলে শক্তির জোরে নয় বরং সম্মতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে এবং টিকে আছে।

প্রশ্ন ॥ ৭ ॥ সমাজ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : সমাজ বলতে সেই সংঘবদ্ধ জনসমষ্টিকে বোঝায়, যারা কোনো সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য একত্রিত হয়। অর্থাৎ একদল লোক যখন সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করে তখনই সমাজ গঠিত হয়।

প্রশ্ন ॥ ৮ ॥ সরকারের তিনটি বিভাগের কাজ উল্লেখ কর।
উত্তর : সরকারের তিনটি বিভাগ রয়েছে। যথা : আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। আইন বিভাগ দেশের প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করে।

শাসন বিভাগ সেই আইন প্রয়োগ করে সুষ্ঠুভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করে। অন্যদিকে বিচার বিভাগ অপরাধীকে শাস্তি দেয় এবং নিরপরাধীকে মুক্তি দিয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে।

প্রশ্ন ॥ ৯ ॥ পরিবার কীভাবে অর্থনৈতিক চাহিদা মিটিয়ে থাকে?
উত্তর : পরিবারের সদস্যদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি চাহিদা পুরণের দায়িত্ব পরিবারের। পরিবারের সদস্যরা পরিবারকে কেন্দ্র করে কুটিরশিল্প, মৎস্য চাষ, কৃষিকাজ, পশুপালন ইত্যাদি অর্থনৈতিক কার্য সম্পাদন করে। এভাবে পরিবার সদস্যদের অর্থনৈতিক চাহিদা মিটিয়ে থাকে।

প্রশ্ন ॥ ১০ ॥ পিতৃতান্ত্রিক পরিবার বলতে কী বোঝ?
উত্তর : বংশগণনা ও নেতৃত্বের ভিত্তিতে পরিবারকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা : পিতৃতান্ত্রিক পরিবার ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবার। পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে সন্তানরা পিতার বংশ পরিচয়ে পরিচিত হয় এবং পিতা পরিবারের নেতৃত্ব দেন। আমাদের দেশের অধিকাংশ পরিবারই পিতৃতান্ত্রিক পরিবার।

প্রশ্ন ॥ ১১ ॥ যৌথ পরিবার বলতে কী বোঝ?
উত্তর : যৌথ পরিবার হচ্ছে সেই পরিবার সেখানে বাবা-মা, ভাই- বোন, দাদা-দাদি, চাচা-চাচি ও অন্যান্য পরিজন একত্রে বাস করে। মূলত যৌথ পরিবার হচ্ছে একাধিক একক পরিবারের সমষ্টি।

প্রশ্ন ॥ ১২ ॥ রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্বন্ধে ঐশী মতবাদের মূল বক্তব্য লেখ।
উত্তর : রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কিত ঐশী মতবাদের মূল বক্তব্য হলো- বিধাতা বা স্রষ্টা স্বয়ং রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছেন এবং রাষ্ট্রকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তিনি শাসক প্রেরণ করেছেন।

শাসক তার প্রতিনিধি এবং তিনি তার কাজের জন্য একমাত্র স্রষ্টা বা বিধাতার নিকট দায়ী, জনগণের নিকট নয়। শাসক যেহেতু স্রষ্টার নির্দেশে কাজ করে, সেহেতু শাসকের আদেশ অমান্য করার অর্থ বিধাতার নির্দেশ অমান্য করা।

প্রশ্ন ॥ ১৩ ॥ রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্বন্ধে ঐতিহাসিক বা বিবর্তনমূলক মতবাদের মূল বক্তব্য কী?
উত্তর : রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কিত একটি উল্লেখযোগ্য মতবাদ হলো ঐতিহাসিক বা বিবর্তনমূলক মতবাদ। রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত ঐতিহাসিক বা বিবর্তনমূলক মতবাদের মূল বক্তব্য হলো- রাষ্ট্র কোনো একটি বিশেষ কারণে হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়নি।

দীর্ঘদিনের বিবর্তনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন শক্তি ও উপাদান ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে হতে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে। যেসব উপাদানের কার্যকারিতার ফলে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে, সেগুলো হলো- রক্তের বন্ধন, ধর্মের বন্ধন, যুদ্ধবিগ্রহ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চেতনা ও কার্যকলাপ।

প্রশ্ন ॥ ১৪ ॥ রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্বন্ধে বল প্রয়োগ মতবাদের মূল বক্তব্য কী?
উত্তর : রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কিত একটি উল্লেখযোগ্য মতবাদ হলো বল প্রয়োগ মতবাদ। রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্বন্ধে বল প্রয়োগ মতবাদের মূল বক্তব্য হলো- বল বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে এবং শক্তির জোরে রাষ্ট্র টিকে আছে।

এ মতবাদে বলা হয়, সমাজের বলশালী ব্যক্তিরা যুদ্ধবিগ্রহ বা বল প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্বলের ওপর নিজের আধিপত্য স্থাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে এবং শাসনকার্য পরিচালনা করে। এ মতবাদে আরও বলা হয় যে, রাষ্ট্রের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এভাবেই যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে রাষ্ট্রের জš§ হয়েছে।

ANSWER SHEET

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় যে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *