SSC১ম অধ্যায় পৌরনীতি:সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর(PDF)

SSC১ম অধ্যায় পৌরনীতি:সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর(PDF)

SSC১ম অধ্যায় পৌরনীতি:সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর(PDF)

বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন -০১

পরিবারের কার্যাবলি

রমজান সাহেবের স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান মিশুকে নিয়ে তার পরিবার। তিনি মিশুকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য একটি ভালো স্কুলে ভর্তি করেছেন এবং বাসায় ঠিকমতো পড়াশোনার তদারকি করেন। তাঁর স্ত্রী ছেলেকে প্রতিদিন স্কুলে পৌঁছে দেন এবং ছুটি হলে সাথে করে বাসায় নিয়ে আসেন। তিনি ছুটির দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে যান। [স. বো. ’১৬]

ক. রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা কী
খ. পরিবারের অর্থনৈতিক কাজ ব্যাখ্যা কর।

গ. রমজান সাহেবের স্ত্রী পরিবারের কোন কাজটি সম্পন্ন করছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রমজান সাহেবের ছুটির দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়ানোর যথার্থতা মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল উত্তর
ক রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা সার্বভৌমত্ব।
খ পরিবারের সদস্যদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি চাহিদা পূরণের দায়িত্ব পরিবারের। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নভাবে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে এসব চাহিদা মিটিয়ে থাকে। পরিবারকে কেন্দ্র করে কুটির শিল্প, মৎস্য চাষ, কৃষিকাজ, পশুপালন ইত্যাদি অর্থনৈতিক কার্য সম্পাদিত হয়।

গ রমজান সাহেবের স্ত্রী পরিবারের শিক্ষামূলক কাজ সম্পন্ন করছেন।
উদ্দীপকে রমজান সাহেবের স্ত্রী ছেলেকে প্রতিদিন স্কুলে পৌঁছে দেন এবং ছুটি হলে সাথে করে বাসায় নিয়ে আসেন। এখানে যদিও রমজান সাহেবের স্ত্রী সন্তান মিশুকে নিজে লেখাপড়া শেখান না, তিনি স্কুলে সন্তানকে আনা নেওয়া করে সন্তানের সুশিক্ষার ব্যবস্থাই করছেন। অর্থাৎ এখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে সন্তানের শিক্ষা লাভ।

উপরন্তু পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় সততা, শিষ্টাচার, উদারতা, নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি মানবিক গুণাবলি শিক্ষালাভ করাও শিক্ষামূলক কাজের অন্তর্ভুক্ত। মিশু তার মায়ের সাথে প্রতিদিন স্কুলে গিয়ে নিয়মানুবর্তিতা, শিষ্টাচার ইত্যাদি অবশ্যই শিখবে। এ প্রেক্ষিতেই বলা যায়, রমজান সাহেবের স্ত্রী পরিবারের শিক্ষামূলক কাজ সম্পন্ন করছেন।

ঘ রমজান সাহেবের ছুটির দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়ানোর গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। পরিবারের সদস্যদের সুন্দর ও নিরাপদ জীবন গড়ে তোলার জন্য পরিবার বহুবিধ কাজ করে। এসব কাজের মধ্যে বর্তমানে বিনোদনমূলক কাজের গুরুত্ব বাড়ছে। বিশেষ করে আজকের দিনে সুস্থ বিনোদন অত্যন্ত গুরুত্ববহ হয়ে পড়েছে।

কেননা বিভিন্নভাবে নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ বিনোদন সমাজকে ঘিরে ফেলেছে। বস্তুত পরিবারই বিনোদনের প্রধান কেন্দ্র। পরিবারের সদস্যদের সাথে গল্পগুজব, হাসিঠাট্টা, গানবাজনা, টিভি দেখা, বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা বিনোদন লাভ করি।

উদ্দীপকে রমজান সাহেবও ছুটির দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে যান। তার এ কাজটি পরিবারের বিনোদনমূলক কাজের অন্তর্ভুক্ত। সেই সাথে তার এ কাজটি পরিবারের সকল সদস্যের বিনোদনের চাহিদা পূরণ করে। সুতরাং পরিবারের সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ সাধনে রমজান সাহেবের ছুটির দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়ানোর গুরুত্ব অপরিসীম।

সৃজনশীল প্রশ্ন-২

পিতৃতান্ত্রিক পরিবার ও পরিবারের কার্যাবলি

সৈয়দ শফিক আহমেদ তার পুত্র সৈয়দ সৈকত আহমেদকে বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নিয়ে আসেন। প্রধান শিক্ষক সৈকত আহমেদের মাতার নাম ভর্তি বহিতে লিপিবদ্ধ করতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলে আমার পরিচয়ে পরিচিত হবে। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর তিনি সৈকত আহমেদের মায়ের নামটি ভর্তি বহিতে লিপিবদ্ধ করেন। [স. বো. ’১৫]

ক. পৌরনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
খ. খুলনা রাষ্ট্র নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. সৈয়দ শফিক আহমেদের সন্তান তার পরিচয়ে পরিচিত হওয়া কোন শ্রেণিভুক্ত পরিবারকে বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “সৈয়দ আহমেদের সন্তানকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করা পরিবারের একটি আংশিক কাজ মাত্র।”Ñ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল উত্তর
ক পৌরনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Civics.
খ খুলনার সার্বভৌম ক্ষমতা নেই বলে খুলনা রাষ্ট্র নয়। যেকোনো রাষ্ট্র গঠনের জন্য চারটি উপাদান প্রয়োজন। যথা: জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব। খুলনা শহরে জনসমষ্টি রয়েছে, নির্দিষ্ট ভূখণ্ডও আছে এবং স্থানীয় সরকার হিসেবে সিটি কর্পোরেশন রয়েছে। তবে রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যকীয় উপাদান সার্বভৌমত্ব নেই। তাই খুলনা রাষ্ট্র নয়।

গ সৈয়দ শফিক আহমেদের সন্তান তার পরিচয়ে পরিচিত হওয়া যে শ্রেণির পরিবারকে বোঝায় তাহলো পিতৃতান্ত্রিক পরিবার। বংশ গণনা ও নেতৃত্বের ভিত্তিতে পরিবারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : পিতৃতান্ত্রিক পরিবার ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবার।

পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে সন্তানরা পিতার বংশপরিচয়ে পরিচিত হয় এবং পিতা পরিবারে নেতৃত্ব দেন। উদ্দীপকেও দেখা যায়, সৈয়দ শফিক আহমেদ তার পুত্র সৈয়দ সৈকত আহমেদকে বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নিয়ে আসলে প্রধান শিক্ষক সৈকত আহমেদের মাতার নাম ভর্তি বহিতে লিপিবদ্ধ করতে চান।

তখন সৈয়দ শফিক আহমেদ বলেন, আমার ছেলে আমার পরিচয়ে পরিচিত হবে। সৈয়দ শফিক আহমেদের এ বক্তব্য পিতৃতান্ত্রিক পরিবারকেই নির্দেশ করে।

ঘ সৈয়দ আহমেদের সন্তানকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করা পরিবারের একটি আংশিক কাজ মাত্র। পরিবারের সদস্যদের সুন্দর ও নিরাপদ জীবন গড়ে তোলার জন্য পরিবার বহুবিধ কাজ করে। এ লক্ষে পরিবার সাধারণত যেসব কাজ করে থাকে তাহলোÑ জৈবিক কাজ, শিক্ষামূলক কাজ, অর্থনৈতিক কাজ, রাজনৈতিক কাজ, মনস্তাত্ত্বিক কাজ ও বিনোদনমূলক কাজ।

উদ্দীপকে বর্ণিত সৈয়দ শফিক আহমেদ তার পুত্র সৈয়দ সৈকত আহমেদকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেন। তার এ কাজটি পরিবারের শিক্ষামূলক কাজ। এ কাজটি ব্যতীত পরিবারের অন্যান্য আরও কাজ রয়েছে। সন্তান জš§দান ও লালনপালন করা পরিবারের অন্যতম কাজ।

পরিবারের এ ধরনের কাজকে জৈবিক কাজ বলা হয়। পরিবারের সদস্যদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি চাহিদা পূরণের দায়িত্ব পরিবারের। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নভাবে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে এসব চাহিদা মিটিয়ে থাকে। এটি পরিবারের অর্থনৈতিক কাজ। পরিবার যুক্তি, বিবেক ও আত্মসংযমের শিক্ষা দেয়, যা পরিবারের সদস্যদের সুনাগরিক হতে সাহায্য করে।

এভাবে পারিবারিক শিক্ষা ও নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে পরিবারেই শিশুর রাজনৈতিক শিক্ষা শুরু হয়। আবার পরিবার মায়ামমতা, স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের মানসিক চাহিদা পূরণ করে।

এছাড়া পরিবার থেকে শিশু উদারতা, সহনশীলতা, সহমর্মিতা প্রভৃতি গুণগুলো শিক্ষা লাভ করে, যা তাদের মানসিক দিককে সমৃদ্ধ করে। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের সাথে গল্প-গুজব, হাসি-ঠাট্টা, গান-বাজনা, টিভি দেখা, বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা বিনোদন লাভ করে। পরিশেষে বলা যায় যে, সৈয়দ আহমেদের সন্তানকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করা পরিবারের একটি আংশিক কাজ মাত্র এ শ্রোক্ত উক্তিটি যথার্থ।

সৃজনশীল প্রশ্ন- ৩

পরিবারের ধরন

মিমি তার বাবা-মার সাথে ঢাকার মিরপুরে থাকে। মিমির বাবা তাদের পরিবারের প্রধান ও তার ক্ষমতা, কর্তৃত্বে সব কাজ করা হয়। কিন্তু রনির পরিবারে তার মা প্রধান এবং তার পিতার তুলনায় মা বেশি ক্ষমতার অধিকারী। [বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা]

ক. কখন সমাজ গড়ে ওঠে?
খ. সমাজের সাথে মানুষের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের পরিবারগুলোর বর্ণনা দাও।
ঘ. তুমি কি মনে কর রনির পরিবারের মতো পরিবার বাংলাদেশে খুব কম? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

সৃজনশীল উত্তর
ক একদল লোক যখন সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করে, তখনই সমাজ গড়ে ওঠে।
খ সমাজের সাথে মানুষের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। মানুষকে নিয়েই সমাজ গড়ে ওঠে। আর সমাজ মানুষের বহুমুখী প্রয়োজন মিটিয়ে উন্নত ও নিরাপদ সামাজিক জীবন দান করে।

সামাজিক মূল্যবোধ ও বিধিবিধান পালনের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তি জীবনের বিকাশ ঘটে। সমাজকে সভ্য জীবনযাপনের আদর্শ স্থান মনে করে মানুষ সমাজ গড়ে তোলে।

গ উদ্দীপকের পরিবারগুলো হলো যথাক্রমে পিতৃতান্ত্রিক পরিবার ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবার। বংশ গণনা ও নেতৃত্বের ভিত্তিতে পরিবারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: পিতৃতান্ত্রিক পরিবার ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবার। পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে সন্তানরা পিতার বংশপরিচয়ে পরিচিত হয় এবং পিতা পরিবারে নেতৃত্ব দেন।

আমাদের দেশের অধিকাংশ পরিবার এ ধরনের। অন্যদিকে, মাতৃতান্ত্রিক পরিবারে মায়ের বংশপরিচয়ে সন্তানরা পরিচিত হয় এবং মা পরিবারে নেতৃত্ব দেন। আমাদের দেশে গারোদের মধ্যে এ ধরনের পরিবার দেখা যায়। উদ্দীপকে বর্ণিত মিমি তার বাবা-মার সাথে ঢাকার মিরপুরে থাকে।

মিমির বাবা তাদের পরিবারের প্রধান এবং তার ক্ষমতা ও কর্তৃত্বে পরিবারের সব কাজ করা হয় যা পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। অন্যদিকে রনির পরিবারের প্রধান হচ্ছেন তার মা এবং তিনি রনির পিতার তুলনায় বেশি ক্ষমতার অধিকারী যা মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ রনির পরিবারের মতো পরিবার অর্থাৎ মাতৃতান্ত্রিক পরিবার বাংলাদেশে খুব কম। মাতৃতান্ত্রিক পরিবারে মায়ের বংশপরিচয়ে সন্তানরা পরিচিত হয় এবং মা পরিবারে নেতৃত্ব দেন। আমাদের দেশে গারোদের মধ্যে এ ধরনের পরিবার দেখা যায়। উদ্দীপকে বর্ণিত রনির মা তাদের পরিবারের প্রধান।

এ ধরনের পরিবারকে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার বলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের পরিবার মূলত পিতৃতান্ত্রিক। আধুনিককালে উচ্চ শিক্ষিত ও উদার দৃষ্টিসম্পন্ন পরিবারে সমতার নীতি লক্ষ করা যায়। পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে নারীর মর্যাদা স্বীকৃত হয় না। পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে পরিবারের ক্ষমতা বয়স্ক পুরুষ সদস্যের হাতে থাকে।

আর পরিবারের ক্ষমতা বলতে পরিবার পরিচালনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে বোঝায়। মাতৃতান্ত্রিক পরিবারে মাতাই পরিবারের প্রধান এবং সম্পত্তির অধিকারী। অর্থাৎ মেয়েরাই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়। পরিশেষে বলা যায়, রনির মা তার পিতার তুলনায় পরিবারে বেশি ক্ষমতার অধিকারী। তাদের পরিবারে মায়ের সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পায়। তবে বাংলাদেশে এ ধরনের পরিবার খুব কম।

সৃজনশীল প্রশ্ন-৪

যৌথ ও একক পরিবার

আরিফ সামান্য চায়ের দোকানদার। তার পরিবারে স্ত্রী, সন্তান ছাড়াও রয়েছে মা-বাবা, ভাই-বোন। সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়। আরিফের বন্ধু হারুন সরকারি চাকরি পেয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরে গিয়ে একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছে। [বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]

ক. কোনটিকে সভ্য জীবনযাপনের একটি আদর্শ স্থান বলা হয়?
খ. পরিবারের অদৃশ্যমান গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ব্যাখ্যা কর।

গ. আরিফ কোন ধরনের পরিবারের সদস্য তা বর্ণনা কর।
ঘ. ‘হারুন যে ধরনের পরিবারে বাস করে তা বর্তমান যুগের প্রত্যাশা’- যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল উত্তর
ক সমাজকে সভ্য জীবনযাপনের একটি আদর্শ স্থান বলা হয়।
খ পরিবারের অদৃশ্যমান গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো মনস্তাত্ত্বিক কাজ। পরিবার মায়ামমতা, স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের মানসিক চাহিদা পূরণ করে।

নিজের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে ভাগাভাগি করে প্রশান্তি লাভ করা যায়। তাছাড়া পরিবার শিশুকে উদারতা, সহনশীলতা, সহমর্মিতা প্রভৃতি গুণগুলো শিক্ষা দেয়, যা তাদের মানসিক বিকাশ ঘটায়।

গ আরিফ যৌথ পরিবারের সদস্য। পারিবারিক গঠন ও কাঠামোর ভিত্তিতে পরিবারকে দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা: একক পরিবার ও যৌথ পরিবার। একক পরিবার মা-বাবা ও ভাই-বোন নিয়ে গঠিত। আর যৌথ পরিবারে মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদা-দাদি, চাচা-চাচি ও অন্যান্য পরিজন একত্রে বাস করে।

উদ্দীপকে বর্ণিত চায়ের দোকানদার আরিফ তার স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবা ও ভাইবোন নিয়ে একই পরিবারে বসবাস করে। পারিবারিক কাঠামো বিবেচনায় আরিফের বসবাসরত পরিবারটি হলো যৌথ পরিবার।

কেননা, যৌথ পরিবারে মানুষ স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা ও ভাই-বোন নিয়ে একত্রে বসবাস করে। এ ধরনের পরিবার গঠিত হয় কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। তাই আরিফ যৌথ পরিবারের সদস্য তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

ঘ হারুনের বসবাসরত একক পরিবারের সংখ্যা বর্তমান সমাজে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গঠন ও কাঠামোর ভিত্তিতে পরিবারের দুটি ধরনের মধ্যে একটি হলো একক পরিবার।

একক পরিবার মা-বাবা ও ভাই-বোন নিয়ে গঠিত হয়। তাই এ ধরনের পরিবারের সদস্য সংখ্যা কম এবং আকারে ছোট। উদ্দীপকে বর্ণিত হারুন একজন সরকারি চাকরিজীবী। সে শহরে তার একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছে। গঠন ও কাঠামো অনুযায়ী হারুনের পরিবারটি হলো একক পরিবার।

বর্তমান আধুনিক সমাজে তাই একক পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। কেননা, কর্মসংস্থানের জন্য বর্তমানে মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হচ্ছে। ফলে, মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে একত্রে বসবাস করা মানুষের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সময় ও বাস্তবতার প্রেক্ষিতে তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি নিয়ে একক পরিবারে বসবাস করতে হচ্ছে।

পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন সমস্যার প্রেক্ষাপটে যৌথ পরিবারগুলো ভেঙে যাচ্ছে এবং একক পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পরিশেষে বলা যায় যে, হারুনের ন্যায় কর্মজীবী মানুষেরা প্রয়োজনের তাগিদেই একক পরিবারের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে মানুষ একক পরিবারে বসবাস করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। তাই বলা যায়, একক পরিবারে বসবাস করা বর্তমান যুগের প্রত্যাশা।

সৃজনশীল প্রশ্ন- ৫

নির্দিষ্ট ভূখণ্ড

রাকিবের বাবা আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ চাকরি করেন। রাকিব রাষ্ট্র সম্পর্কে জানতে চেয়ে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে- আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশের তুলনায় ক্যালিফোর্নিয়ার আয়তন বেশি হলেও সেটাকে আমরা রাষ্ট্র বলি না কেন? তখন রাকিবের বাবা তাকে বলে, শুধু আয়তন বা ভূখণ্ড থাকলেই সেটাকে রাষ্ট্র বলা যায় না বরং রাষ্ট্র গঠনের জন্য জনসমষ্টি, সরকার ও সার্বভৌমত্ব এসব উপাদান অপরিহার্য। [নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ]

ক. রাষ্ট্র গঠনের উপাদান কয়টি?
খ. নেতৃত্বের ভিত্তিতে পরিবারের গঠন কেমন হয়?

গ. রাকিব রাষ্ট্র গঠন সম্পর্কে যে উপাদানটিকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে সেটি বর্ণনা কর।
ঘ. ক্যালিফোর্নিয়া রাষ্ট্র নয়- রাকিবের বাবার উত্তরের পক্ষে তোমার যৌক্তিক মতামত তুলে ধর।

সৃজনশীল উত্তর
ক রাষ্ট্র গঠনের উপাদান চারটি।
খ নেতৃত্বের ভিত্তিতে পরিবারকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা : পিতৃতান্ত্রিক পরিবার ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবার। পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে সন্তানেরা পিতার বংশ পরিচয়ে পরিচিত হয় এবং পিতা পরিবারের নেতৃত্ব দেন। আমাদের দেশে এ ধরনের পরিবারই বেশি দেখা যায়।

অন্যদিকে, মাতৃতান্ত্রিক পরিবারে মায়ের বংশ পরিচয়ে সন্তানরা পরিচিত হয় এবং মা পরিবারের নেতৃত্ব দেন। গারো সমাজে এ ধরনের পরিবার দেখা যায়।

গ রাকিব রাষ্ট্র গঠন সম্পর্কে যে উপাদানটিকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে তা হলো নির্দিষ্ট ভূখণ্ড। রাষ্ট্র গঠনের জন্য নির্দিষ্ট ভূখণ্ড আবশ্যক। ভূখণ্ড বলতে একটি রাষ্ট্রের স্থলভাগ, জলভাগ ও আকাশসীমাকে বোঝায়। রাষ্ট্রের ভূখণ্ড ছোট বা বড় হতে পারে। যেমন : বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।

কোনো রাষ্ট্রের আয়তন খুব কম হতে পারে। আবার খুব বেশি হতে পারে। যেমন : গণচীন, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রভৃতি রাষ্ট্রের আয়তন বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বড়। উদ্দীপকে বর্ণিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়াও বাংলাদেশের তুলনায় আয়তনে বড়।

আর এ কারণেই রাকিব তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে, বাংলাদেশের তুলনায় আয়তনে বড় হওয়া সত্ত্বেও ক্যালিফোর্নিয়া রাষ্ট্র নয় কেন? রাকিবের এ জিজ্ঞাসার মাধ্যমেই সে যে রাষ্ট্র গঠনের অন্যতম উপাদান নির্দিষ্ট ভূখণ্ডকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যায়।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ক্যালিফোর্নিয়া রাষ্ট্র নয়- রাষ্ট্রের অত্যাবশ্যকীয় উপাদানের অনুপস্থিতির প্রেক্ষিতে রাকিবের বাবার এ উত্তরটিকে আমি যৌক্তিক বলে মনে করি। রাষ্ট্র হচ্ছে এমন একটি সংগঠিত জনসমষ্টি যা কোনো সুনির্দিষ্ট ভূখণ্ডের অধিকারী এবং যার একটি স্বাধীন বা সার্বভৌম সরকার রয়েছে।

বর্তমানে রাষ্ট্র গঠনের পূর্বশর্ত হলো চারটি অপরিহার্য উপাদান। যেমন : জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার এবং সার্বভৌমত্ব। উদ্দীপকে বর্ণিত ক্যালিফোর্নিয়া নামক স্থানটিতে জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড ও সরকার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এ স্থানটির কোনো সার্বভৌম ক্ষমতা নেই।

অর্থাৎ এটি অভ্যন্তরীণ এবং বহিঃশত্রু নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা রাখে না। কেন্দ্রীয় ক্ষমতার ভিত্তিতেই এ রাজ্যটির সার্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। পরিশেষে বলা যায়, ক্যালিফোর্নিয়াতে রাষ্ট্র গঠনের তিনটি উপাদান রয়েছে। কেবল সার্বভৌমত্বের অভাবে ক্যালিফোর্নিয়া রাষ্ট্র নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য মাত্র।

সৃজনশীল প্রশ্ন-৬

সামাজিক চুক্তি ও বল প্রয়োগ মতবাদ

শাওন ও সৌখিন দুই বন্ধু। তারা রাষ্ট্রের উৎপত্তি নিয়ে আলোচনা করছিল। শাওন বলল, রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বে মানুষ প্রকৃতির রাজ্যে বাস করত। কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ব্যক্তিগত সম্পত্তির উদ্ভব হয়। তাদের সামাজিক জীবনে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

এ অরাজকতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তারা নিজেদের মধ্যে চুক্তি করে রাষ্ট্রের সৃষ্টি করে। সৌখিন বলল, আমার মতে শক্তিশালী গোষ্ঠী দুর্বল গোষ্ঠীকে গ্রাস করে রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছে। [রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজ]

ক. পৌরনীতিকে কী বিষয়ক বিজ্ঞান বলা হয়?
খ. মানুষ সমাজে বাস করে কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. শাওনের বক্তব্যে রাষ্ট্রের উৎপত্তিগত কোন মতবাদের সমর্থন পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সৌখিনের বক্তব্যে রাষ্ট্র সৃষ্টির যে মতবাদ প্রতিফলিত হয়েছে তার যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল উত্তর
ক পৌরনীতিকে নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান বলা হয়।
খ মানুষ নিজের প্রয়োজনেই সমাজে বাস করে। সমাজ মানুষের বহুমুখী প্রয়োজন মিটিয়ে উন্নত ও নিরাপদ সামাজিক জীবন দান করে।

সমাজের মধ্যেই মানুষের মানবীয় গুণাবলি ও সামাজিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে। সমাজকে সভ্য জীবনযাপনের আদর্শ স্থান মনে করে মানুষ তার নিজের প্রয়োজনেই সমাজ গড়ে তোলে।

গ শাওনের বক্তব্যে রাষ্ট্রের উৎপত্তিগত সামাজিক চুক্তি মতবাদের সমর্থন পাওয়া যায়। রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কিত একটি উল্লেখযোগ্য মতবাদ হলো সামাজিক চুক্তি মতবাদ। এ মতবাদ অনুযায়ী, রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বে মানুষ প্রকৃতির রাজ্যে বসবাস করত। তারা প্রকৃতির নিয়ম মেনে চলত এবং প্রাকৃতিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করত।

কিন্তু প্রকৃতির রাজ্যে আইন অমান্য করলে শাস্তি দেওয়ার কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না। ফলে সামাজিক জীবনে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। মানুষের জীবন কষ্টকর ও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।

এ ছাড়া প্রকৃতির রাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যক্তিগত সম্পত্তির আকাক্সক্ষা ও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। প্রকৃতির রাজ্যের এ অরাজকতাপূর্ণ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ নিজেদের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্র সৃষ্টি করে। উদ্দীপকেও দেখা যায়, রাষ্ট্রের উৎপত্তি নিয়ে আলোচনাকালে শাওন বলে, রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বে মানুষ প্রকৃতির রাজ্যে বাস করত।

কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ব্যক্তিগত সম্পত্তির উদ্ভব হয়। তাদের সামাজিক জীবনে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এ অরাজকতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তারা নিজেদের মধ্যে চুক্তি করে রাষ্ট্র সৃষ্টি করে। শাওনের এ বক্তব্য রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কিত সামাজিক চুক্তি মতবাদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ. সৌখিনের বক্তব্যে রাষ্ট্র সৃষ্টিতে বল বা শক্তি প্রয়োগ মতবাদের প্রতিফলন ঘটেছে। বল বা শক্তি প্রয়োগ মতবাদের মূল বক্তব্য হলো বল বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়েছে এবং শক্তির জোরে রাষ্ট্র টিকে আছে। এ মতবাদে বলা হয়, সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের জš§ হয়েছে।

উদ্দীপকে বর্ণিত সৌখিনের বক্তব্য হলো- শক্তিশালী গোষ্ঠী দুর্বল গোষ্ঠীকে গ্রাস করে রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছে। সৌখিনের এ বক্তব্য রাষ্ট্র সৃষ্টির বল বা শক্তি প্রয়োগ মতবাদকে নির্দেশ করে। কেননা বল বা শক্তি প্রয়োগ মতবাদে বলা হয়, সমাজের বলশালী ব্যক্তিরা যুদ্ধবিগ্রহ বা বল প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্বলের ওপর নিজেদের আধিপত্য স্থাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে এবং শাসনকার্য পরিচালনা করে।

এ মতবাদে আরও বলা হয়, সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এভাবেই যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে রাষ্ট্রের জš§ হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা এ মতবাদকে অযৌক্তিক, ভ্রান্ত ও ক্ষতিকর বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারা বলেন, শক্তির মাধ্যমেই যদি রাষ্ট্র টিকে থাকত তাহলে শক্তিশালী রাষ্ট্রের পাশাপাশি সামরিক দিক থেকে দুর্বল রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারত না।

আসলে শক্তির জোরে নয় বরং সম্মতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র গড়ে ওঠে এবং টিকে থাকে। সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সৌখিনের বক্তব্যে প্রতিফলিত হওয়া বল বা শক্তি প্রয়োগ মতবাদ রাষ্ট্র সৃষ্টির যথার্থ মতবাদ নয়।

ANSWER SHEET

যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।

এগুলো দেখুন

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ

SSC ফ্রি PDF ব্যবসায় উদ্যোগ: MCQ উত্তরসহ বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় যে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *