সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণের সকল তথ্য এখানে ।। চলুন ব্যাংকিং ডেস্ক থেকে বিস্তারিত যেনে নেই ।। বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন এর প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে গৃহনির্মাণ ও গৃহায়ন ব্যবস্থার উন্নয়নের অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছেন। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণ শুবিধা। এখান থেকে স্বল্পমেয়াদী গৃহনির্মাণ ঋণ শুবিধা। যারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন তারা এখান থেকে অল্প সময়ের মধ্যে ঋণ গ্রহণ করে গড়ে তুলতে পারেন আপনার স্বপ্নের ঠিকানা।
প্রতিষ্ঠানটি ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের গৃহনির্মাণ ও গৃহায়ন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে আসছেন। বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে জারীকৃত রাষ্ট্রপতির ৭নং আদেশ বলে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিইচবিএফসি) পুনর্গঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য:
বাংলাদেশের প্রকট গৃহায়ন সমস্যার সমাধান তথা সামগ্রিক গৃহায়ন ব্যবস্থার উন্নয়নই বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনর মূল উদ্দেশ্য।
দীর্ঘ কয়েক যুগ দেশের গৃহায়ন খাতে অর্থ সংস্থানের ক্ষেত্রে বিএইচবিএফসি একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করে আসছেন।
যদিও কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ খাতে ঋণ প্রদান করে থাকে, তবুও গৃহায়ন খাতে ঋণ প্রদানে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন অন্যতম প্রধান উৎস।
চলুন যেনে নেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণের নিয়মাবলী
১। আপনি কি এই প্রকল্পের আওতায়? প্রথম সর্ত হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই গৃহ নির্মাণ/ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণের জন্য আবেদনকারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ী হতে হবে।
২। আপনার বয়স কত? গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রাপ্তির জন্য সরকারি কর্মচারিদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৫৮ (আটান্ন) বছর।
৩। আপনার বিরুদ্ধে মামলা আছে? কোন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রজু এবং দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে চার্জশীট দাখিল হলে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ নীতিমালার আওতায় ঋণ গ্রহণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
৪। আপনি কি চুক্তিভিত্তিক? চাকুরীতে চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত কোন কর্মচারী এই নীতিমালার আওতায় ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।
৫। কি ধরনে জমি-ফ্ল্যাট পছন্দ? ঋণ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত ভূমি বা ফ্ল্যাট সম্পূর্ণ দায়মুক্ত হতে হবে।
৬। নকশা-বাড়ি নির্মাণ আছে? আবেদনকারীকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত নকশা এবং বিধি মোতাবেক বাড়ি নির্মাণ করতে হবে;
৭। কখন ঋণ পাবেন? ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সম্পূর্ণ তৈরি (Ready) ফ্ল্যাটের জন্য ঋণ প্রদান করা হবে।
৮। ব্যাংক হিসাব নম্বার আছে? বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকে আবেদনকারীর একটি হিসাব থাকতে হবে। উক্ত হিসাবের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বেতন/ভাতা/পেনশন এবং গৃহ নির্মাণ বা ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণ বিতরণ ও আদায় সংক্রান্ত সমুদয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
প্লিজ আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
৯। ঋণ কি যৌথ নাকি একক? স্বামী ও স্ত্রী একটি জমির মালিক হলে একক ঋণ হিসেবে গণ্য হবে। একাধিক মালিক হলে গ্রুপ ঋণ হবে। গ্রুপ ঋণের ক্ষেত্রে ১জন সরকারি কর্মচারী হলে শুধু তিনি সরকারি কর্মচারী ঋণ পাবেন। গ্রুপের অন্যান্য পক্ষ কর্পোরেশনের প্রচলিত ঋণ পাবেন। গ্রুপের সকল পক্ষের ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত দলিলপত্র ফেরত দেয়া হবে না।
উল্লেখিত তথ্য সঠিক থাকলেই সহজেই পেয়ে যাবেন আপনার ঋণ সুবিধা।
আরো পড়ুন:শিক্ষক-কর্মচারীদের গৃহনির্মাণ ঋণের সকল তথ্য এখানে
এছাড়া আরো বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন