জেনে নিন স্মার্টফোন নিরাপদ রাখার ৭ উপায় সম্পর্কে। আসুন আজকে এ সম্পর্কে আলোচনা করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। যতই প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে ততই বাড়ছে বিড়ম্বনা। হ্যাকারদের জন্য কোনও কিছুই এখন নিরাপদ নয়। হ্যাকিংয়ের সবচেয়ে সহজ পথ হচ্ছে স্মার্টফোন। কখনও ম্যালওয়্যারের আক্রমণ তো কখনও স্ক্যামারদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধের মোবাইলটি। কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাক হয়ে যাবে।
- আরো পড়ুন: কেউ কল রেকর্ড করছে কিনা বুঝবেন যেভাবে
- আরো পড়ুন: ইউটিউব শর্টস থেকে আয় করার সহজ উপায়
- আরো পড়ুন: ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে ফিরে পাওয়ার উপায়
প্রতিনিয়তই স্মার্টফোনের মাধ্যমে হ্যাকিং এর শিকার হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবহারকারীদের অনেক গোপন তথ্য নিজেদের অজান্তেই চলে যাচ্ছে অন্যজনের নিয়ন্ত্রণে। এমন অনাকাক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়তে না চাইলে এখনই আপনার ফোনে কিছু পরিবর্তন আনুন।
জেনে নিন স্মার্টফোন নিরাপদ রাখার ৭ উপায় সম্পর্কে-
১. স্ক্রিন লক ব্যবহার করুন। স্মার্টফোন অথবা ট্যাবলেটকে সুরক্ষিত রাখতে সব সময় স্ক্রিন লক ব্যবহার করুন। পিন, প্যাটার্ন ও পাসওয়ার্ড যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেভাবেই লক করুন। আরো বেশি সুরক্ষার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস আনলকের মতো বায়োমেট্রিক পদ্ধতিও ব্যবহার করতে পারেন।
২. লক স্ক্রিন নোটিফিকেশন দিয়ে রাখুন। ফোন লকড থাকলে লক স্ক্রিনে কোন কোন নোটিফিকেশন দেখা যাবে তা বেছে রাখুন। নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপের নোটিফিকেশন দেখার ব্যবস্থা করে, বাকি নোটিফিকেশন লক স্ক্রিন থেকে সরিয়ে রাখতে পারবেন।
এতে সহজে আপনার ব্যবহৃত অ্যাপের ব্যাপারে কেউ জানতে পারবে না। এজন্য ফোনের অ্যাপ সেটিংসে গিয়ে নির্দিষ্ট অ্যাপ সার্চ করে, সেই অ্যাপে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে এই ফিচার সম্পূর্ণভাবে কাজ করার জন্য ফোনে অ্যানড্রয়েড ১১ অপারেটিং সিস্টেম প্রয়োজন হবে।
৩. আপনার ফোনে ফাইন্ড মাই ডিভাইস অন করে রাখুন। এতে আপনার অ্যানড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ব্যবহার করে হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোনও খুঁজে পাবেন। এই ফিচার ব্যবহারের জন্য আপনাকে পূর্বে তা কনফিগার করতে হবে।
এজন্য ফোনের সেটিংসে গিয়ে সিকিউরিটি অপ্সহনে যান। সেখান থেকে ফাইন্ড মাই ডিভাইস ওপেন করে রাখুন। এই ফিচার কাজ করার জন্য ফোনের লোকেশন অবশ্যই অন থাকতে হবে।
৪. নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ফোন আনলকড রাখতে ব্যবহার করুন স্মার্ট লক। নির্দিষ্ট কোনও ব্লুটুথ ডিভাইসের সাথে কানেক্টেড থাকলে অথবা নির্দিষ্ট কোনও লোকেশনে থাকলে আপনাকে একবারই পাসওয়ার্ড অথবা পিন ব্যবহার করে ফোন আনলক করতে হবে।
এরপরে আপনার ফোন যতক্ষণ স্মার্টলকের শর্ত মেনে চলবে, ততক্ষণ তা আর লক হবে না। তবে ৪ ঘণ্টা ফোন ব্যবহার না করলে অথবা ফোন রিস্টার্ট করলে তা ফের লক হয়ে যাবে। শুধুমাত্র অ্যানড্রয়েড ১০ ও ১১ গ্রাহকরা এই ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন।
৫. গুগল প্লে প্রোটেক্ট ব্যবহার করুন প্লে স্টোর থেকে যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোড ক্ষেত্রে। এতে ডিভাইসে কোনও ক্ষতিকর অ্যাপ ইনস্টলড থাকলেও গ্রাহককে সতর্ক করে এই ফিচার। সব ক্ষতিকারক অ্যাপ নিজে থেকেই ফোন থেকে ডিলিট করে দেয় প্লে প্রোটেক্ট।
এছাড়া কোনও অ্যাপ গুগলের সফটওয়্যার পলিসি না মানলে সে বিষয়েও সতর্ক করে এই ফিচার। গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়ার জন্য কোনও অ্যাপ যদি নিঃশব্দে ফোনের কোন পার্মিশন ইনেবল করে সেই বিষয়েও গ্রাহককে সতর্ক করা হয়। যেকোনো অ্যানড্রয়েড ফোনে এই ফিচার প্রথম থেকেই ইনেবলড থাকে। আপনি সেটিংসের সিকিউরিটিতে গিয়ে গুগল প্লে প্রটেক্ট ওপেন করতে পারবেন।
- আরো পড়ুন: গুগল ড্রাইভে ছবি রাখার নিয়ম
- আরো পড়ুন: ওয়েবসাইট’র গুরুত্ব কি?
- আরো পড়ুন: Gmail এ ছবি রাখার নিয়ম
৬. অ্যানড্রয়েড ডিভাইসে সেইফ ব্রাউজিং মুড অন করে রাখুন। ডিফল্ট ব্রাউজার ক্রোমে আছে এই ফিচারটি। এটি ইনেবলড থাকলে ক্ষতিকারক কোনো ওয়েবসাইটে লগ-ইন করার পূর্বে সতর্ক করে দেয়া হয়। অবশ্যই এই ফিচার ইনেবলড করে রাখুন। এজন্য গুগল ক্রোম ওপেন করে, ডান দিকে উপরে থ্রি ডট মেনু সিলেক্ট করে, সেটিংস সিলেক্ট করুন। এবার সিঙ্ক ফর গুগল সার্ভিস অপশনটি বেছে নিন।
৭. আপনার স্মার্টফোনটি নিরাপদ রাখতে নিয়মিত সিকিউরিটি চেক আপ করুন। এতে গুগল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে। ধাপে ধাপে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার বিভিন্ন উপায় আছে এই ফিচারে। এখানে ‘Your devices’, ‘Recent security events’, ‘Third-party access’ ও ‘Sign-in & recovery’ বিভাগে গিয়ে আলাদা আলাদা করে সুরক্ষার সমীক্ষা করতে পারবেন।
এসময় যদি কোনও হলুদ ডট দেখতে পান। তাহলে বুঝবেন, আপনার অ্যাকাউন্টের ফোনের সুরক্ষায় সমস্যা আছে। সবুজ চিহ্ন দেখানোর অর্থ সুরক্ষায় কোনও গাফিলতি নেই।
যুক্ত হোন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে এখানে ক্লিক করুন এবং আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন ফেইজবুক পেইজে এখানে ক্লিক করে।